
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে শেষ কবে দেখা গিয়েছিল! ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ কেটেছে। কিন্তু একবারের জন্য কোনও মাঠে দেখা যায়নি মাহিকে। সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংস জানিয়েছে, ধোনিকে রেখেই দল ঘোষণা করছে তাঁরা। তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। তবে ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে মাহি। নিজের খামার বাড়িতে রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ধোনির একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাঁর কালো ঘোড়া চেতক-কে খাবার খাওয়াতে দেখা যায় ক্যাপ্টেন কুলকে। ধোনির সঙ্গে দেখা যায় আরও কয়েকজনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ধোনির ফার্ম হাউজে ঘোড়া ছাড়াও একাধিক পশু আছে। কুকুর, মুরগি, রাজহাঁসও আছে। এর আগেও তাঁর প্রিয় ঘোড়া চেতকের সঙ্গে ধোনির ভিডিয়ো দেখা যায়। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে।
বিশ্বকাপ জেতার জন্য ধোনির পরামর্শ নেওয়ার প্রস্তাব দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আর শেষ মুহূর্তে কঠোর লড়াই করেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হার নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরাট ও রোহিতের প্রসঙ্গে টেনে আনেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, একজনের ঝুলিতে ৫০টি ODI সেঞ্চুরি অন্যজনের ৩০টি সেঞ্চুরি। সুতরাং কী ভাবে খেললে বিশ্বকাপ আসবে সেই রাস্তা খুঁজে বের করুক বর্তমান প্লেয়াররা। একই সঙ্গে ধোনির পরামর্শ নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর বক্তব্য, হার-জিত খেলারই অঙ্গ। ভারতীয় টিম ভালো খেলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশে চলে গিয়েছে। শোনা গেলো বিজয়ী দলের জন্য সেরকম কিছু হৈচৈ হলো না তাদের দেশে। আসলে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন করে কি আর আনন্দ করবে? এতো কাপ যেটা একরকম নিয়মই হয়ে গিয়েছে। কাঁটাছেঁড়ার পালাও শেষ। এবারে প্রচার মাধমের কাছে আর এখনই খেলার কিছু নেই যদিও টি ২০ শুরু হচ্ছে ওই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই কিন্তু তাতে বিশ্বজয়ীদের খুব একটা কেউ নিয়ে , ভারতীয়দের তো প্রায় নেইই। কি হবে আর ওই ম্যাচ নিয়ে, ধারণা যেমন দর্শকদের স্বাভাবিক ভাবে মিডিয়ারও। কিন্তু এতো কাণ্ডের পর একটি ঘটনা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সারা জাগিয়েছে , কপিল দেব কিংবা ধোনিকে ফাইনালে মাঠে দেখা গেলো না কেন ?
জানা গেলো ১৯৮৩ বিশ্বকাপের অধিনায়ক তথা ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কপিল নিজেই তা সোশ্যাল নেটে জানিয়েছেন। কিন্তু এমন ভুল হলো কেন ? জানা যাচ্ছে যা, কপিলকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নিমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কিন্তু এই দুঃসাহস হলো কি করে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি থেকে। যতটুকু গুঞ্জনে জানা গেলো তা, সম্প্রতি যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তুলে অবস্থান করেছিল আমাদের কুস্তির খেলোয়াড়রা, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছিলেন কপিল দেব কাজেই গোঁসা তো হতেই পারে । অথবা আরও একটি বিষয় তো ছিলই। কপিল বরাবরই কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। ইন্দিরা রাজীব নারসিমার সঙ্গে অতি সুসম্পর্ক ছিল। এতেই কি কোপ পড়লো আমন্ত্রণে ? অবিশ্যি ধোনি এলেন না কেন ? তাঁকেও কি আমন্ত্রণ জানানো হয় নি ? গুঞ্জনে, তিনি নাকি বিজেপির প্রচার করতে চান নি গত ঝাড়খন্ড নির্বাচনে, অন্যটি কপিলকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি বলেই নাকি তিনি আসেন নি। রাজনীতিটি কি ভয়ঙ্কর ভাবেই ছিল বিশ্বকাপে ?
সফল হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket) দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) হাঁটুর অস্ত্রোপচার। সূত্রের খবর, আপাতত ভাল আছেন তিনি। চেন্নাইয়ের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই মুম্বইয়ের (Mumbai) কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করালেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
বৃহস্পতিবার সকালেই সাফল্যের সঙ্গে ধোনির হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও কাসি বিশ্বনাথন। ধোনি সুস্থ রয়েছেন এবং দিন দুই হাসপাতালে কাটিয়ে ছাড়া পেয়ে যাবেন বলেও জানা গিয়েছে।
চলতি মরশুমের আইপিএল চলাকালীন মাহির বাঁ হাঁটুতে চোট লাগে। সেই চোট নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। আইপিএল শেষ হতেই বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ধোনি। চিকিৎসকেরা দেরি না করে দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর।
দেশের একাধিক জায়গায় একাধিকবার সম্মানিত হওয়ার পর এবারে মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh dhoni) সংবর্ধনা জানালেন দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর (The Elephant Whisperers) বোমান (Bomman) ও বেলিকে (Belli)। 'দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স' সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে অস্কারের মঞ্চে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে অস্কার জিতেছে এই ডকুমেন্টরি। ভারতীয় সিনেমায় এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই ছবি। এই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে কোনও ভারতীয় সিনেমা অস্কার জিতেছে। ফলে এটি অস্কার জেতার পর সারা বিশ্বজুড়ে শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। এর এবারে দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর মাহুত দম্পতিকে সংবর্ধিত করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিং-এর টিম তাঁদের সম্মানিত করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৯ মে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই পুরো সিএসকে টিম বাস্তব জীবনের হিরো বোমান ও বেলিকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনি নাম লেখা সিএসকে-এর জার্সি বোমান ও বেলিকে উপহার দিয়েছেন। বোমান ও বেলির পাশাপাশি ডকুমেন্টরির পরিচালক কার্তিকি গনসালভেসকেও সম্মানিত করেছেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিং টিম বোমান ও বেলিকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জানাতে আজও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) স্মৃতি ও তাঁর অভিনীত প্রত্যেকটি ছবি এখনও সবার মনে অক্ষত। সুশান্তের প্রায় প্রতিটি ছবিই বড় পর্দায় চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। তবে একটি বিশেষ ছবি ছিল যা মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সেই ছবি হলো এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (MS Dhoni: The Untold Story)। বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ছবি। একেতেই ধোনির বায়োপিক, তার উপর সুশান্তের দারুণ পারফরম্যান্স। ফলে ধোনি ও সুশান্তের অনুরাগীদের জন্য সুখবর। ফের একবার বড় পর্দায় অর্থাৎ প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি। আগামী ১২ মে ফের একবার বড় পর্দায় সুশান্তকে দেখতে পারবেন। এই খবর স্টার স্টুডিওস থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
দিনটা ছিল ২০২০ সালের ১৪ জুন। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের জন্য সবাইকে ছেড়ে চলে যান সুশান্ত সিং রাজপুত। তিনি যে আত্মহত্যা করেছেন, এটা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে পুরো দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। তবে তিনি সবার মনে এখনও রয়ে গিয়েছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। মাহির জীবনের উপর তৈরি করা ছবিতে অভিনয় করে সবার তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মন ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁর অভিনয়। ফলে তাঁর চলে যাওয়ার পরও যে আবার তাঁকে মাহি রূপে বড় পর্দায় দেখা যাবে তা নিয়ে বেজায় খুশি তাঁর ভক্তরা।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বিখ্যাত ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ২০১৬ সালে প্রথম মুক্তি পেয়েছিল। এবারে চলতি মাসের ১২ তারিখ ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় আবারও মুক্তি পেতে চলেছে।
'এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য হাতে অনেক সময় রয়েছে।' নিজের অবসর (Retired) প্রসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। আইপিএল (IPL) শেষ হলেই কি ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের মনে এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। জল্পনার মাঝে অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ধোনিকে নিয়ে ভক্তদের উচ্ছাস নেহাত কম নয়। এবারের আইপিএলে ভালো ফর্মেও আছেন তিনি, এখনও ক্রিকেটপ্রেমীরা চান না অবসর নিন ধোনি। ৪১ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে আইপিএলে যে ছন্দে দেখা যাচ্ছে, তাতে আরও দু’এক বছর তিনি খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু ধোনি নিজে কী ভাবছেন? আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছে বুধবার। সেখানে অবসর নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক।
অবসর নিয়ে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেননি ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা (অবসর) নেওয়ার জন্য হাতে অনেকটা সময় রয়েছে। এখন আমরা প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। বেশ কয়েকটা ম্যাচ আমাদের এখনও খেলতে হবে। আমি এমন কোনও মন্তব্য করতে চাই না, যেটা কোচকে চাপে ফেলতে পারে। আমি কোচকে এক দমই চাপে রাখতে চাই না।’ তা হলে কি ক্রিকেটকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন? না হলে তাঁর কথায় কেন চাপে পড়বেন সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ?
২০০৮ সাল থেকে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল আইপিএল খেলছেন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে চার বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেন্নাই। প্রথম বার তাঁকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল সিএসকে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ধোনি। গত বছর আইপিএলের পর জানিয়েছিলেন, চেন্নাইয়ের মানুষের সামনে খেলার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। গত বছর শুরুতে নেতৃত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই ধোনির অবসর নিয়ে তৈরি নানা জল্পনা।
বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) ঘরের মাঠে দাপট দেখাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল (MS Dhoni)। টস হেরে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK) প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দাপুটে ব্যাটিং করে রান তুললেন চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ের তুলনায় তাঁদের দাপট ম্লান মনে হলেও শেষ হাসি হাসলেন ধোনিরাই। ধোনিদের ৬ উইকেটে ২২৬ রানের জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর করল ৮ উইকেটে ২১৮।
৭৫ দিন আগে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়েছিল চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ম্যাচের ২২ গজে। শুকনো এবং পাটা উইকেটে কত রান করলে নিরাপদে থাকা যাবে, তা নিয়ে ম্যাচের শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না ধোনি। তাই চেন্নাই অধিনায়কের নির্দেশ ছিল, যতটা সম্ভব বেশি রান তুলতে হবে। সেই মতোই প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। অন্য ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩) দ্রুত আউট হলেও প্রভাব পড়ল না চেন্নাইয়ের ইনিংসে। অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবেরাও একই রকম দাপটে খেললেন। কনওয়ে খেললেন ৪৫ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা রাহানে করলেন ২০ বলে ৩৭। এ বারের আইপিএলে নতুন মেজাজে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দল থেকে দূরে চলে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন রাহানে। শিবমকে সামলাতেও সমস্যায় পড়লেন আরসিবির বোলাররা। তাঁর ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা।
এক সময় মনে হচ্ছিল ধোনিরা ২৪০ রানের কাছাকাছি তুলবেন। তা হল না শেষ দিকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয়। মইন আলি ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও অম্বাতি রায়ডু, রবীন্দ্র জাডেজারা ব্যাট হাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। রায়ডু ৬ বলে ১৪ এবং জাডেজা ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। শেষে মইনের সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন ধোনি (১)।
বেঙ্গালুরুর কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। সফলতম বোলার ওয়ানিন্দু হারসঙ্গ। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। বেঙ্গালুরুর সব বোলারই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। কিছুটা ভাল বল করলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের জন্য ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বেঙ্গালুরুর। প্রথমেই আউট হয়ে গেলেন কোহলি। ৪ বলে ৬ রান করে আকাশ সিংহের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা মহীপাল লোমরোরও (শূন্য)। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় আরসিবিরা। সেই চাপ কাটল অধিনায়ক ডুপ্লেসির ব্যাটে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের কোনও বোলারকেই রেয়াত করলেন না তাঁরা। ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল জুটির দাপটে কিছুটা দিশেহারা দেখাল অভিজ্ঞ ধোনিকেও। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৬১ বলে ১২৬ রান। ম্যাক্সওয়েল করলেন ৩৬ বলে ৭৬ রান। মারলেন ৩টি চার এবং ৮টি বিশাল ছক্কা। তিনি আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না ডুপ্লেসিও। বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৩৩ বলে ৬২ রান। তিনি মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়।
তাঁরা পর পর আউট হওয়ার পর আবার লড়াইয়ে ফেরেন ধোনিরা। যদিও বেঙ্গালুরুর ইনিংসের হাল ধরেন শাহবাজ় আহমেদ এবং দীনেশ কার্তিকের জুটি। কার্তিক আউট হলেন ১৪ বলে ২৮ রান করে। তাঁর পরই সাজঘরে ফিরলেন শাহবাজ়ও (১২)। এই দুই ব্যাটার আউট হতেই বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে সুযশ প্রভুদেশাই চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান।
চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার দেশপাণ্ডে নিলেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ৪২ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেলেন আকাশ সিংহ, মাহিশ থিকসানা এবং মইন আলি।
একটা কথা আছে বিশ্বে, 'লিভিং লেজেন্ড (Living Legend)।' তাঁদেরকেই বলা হয় যাঁরা তাদের কার্যক্রম দিয়ে মানুষের মন জয় করে যাচ্ছেন দিনের ওর দিন। ঠিক তেমনই ক্রিকেট বিশ্বে ধোনি (MS Dhoni) যেন 'প্লেয়িং লেজেন্ড।' রাঁচির (Ranchi) ছেলেটা যেন জয় করে বসে আছে গোটা বিশ্বের মন।
কেন এমন বলছি জানেন! সম্প্রীতি আইসিসি, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল ২০২৩ বিশ্বকাপের দামামা বাজিয়েছে। সেটা কবে জানেন! রবিবার। রবিবার কী এমন ছিল? সোমবার থেকে ১২ বছর আগে ধোনির অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। ওইদিনই শেষ বলে ছয় মেরে ভারতকে জেতায় 'প্লেইং লেজেন্ড' ধোনি। আইসিসি রবিবার টুইট করে ২০২৩ সালে বিশ্বকাপের লোগো প্রকাশ করে। ওই টুইটে আইসিসি লিখেছে, 'মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছয় মেরে দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ঠিক ১২ বছর আগে। ২০২৩ সালের প্রতিযোগিতার ব্র্যান্ডের উদ্বোধনের জন্য সেই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হল।'
আইপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং ধোনির পা ছুঁয়ে প্রণাম করার চেষ্টা করেন। যার পরে আবেগে ভেসেছে নেট দুনিয়া। রবিবার ধোনিকে, আইসিসির এই সম্মান প্রদর্শনে আবারও আবেগে ভেসেছে ধোনি ভক্তরা ও নেট দুনিয়া।
আইপিলের শুরু হয়েছে সবে। এর মধ্যেই এক দিনের বিশ্বকাপের ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০১১ সালে শেষ বার এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১২ বছর পর সেই স্মৃতি উসকে দিল আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যের দিনে প্রকাশ করা হল আগামী বিশ্বকাপের লোগো। রবিবার পূর্ণ হল ভারতের দ্বিতীয় এক দিনের বিশ্বকাপ জয়ের ১২ বছর। এক যুগ পর সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিল আইসিসি। আগামী অক্টোবরে ভারতের মাটিতে চতুর্থ বার এক দিনের বিশ্বকাপের আসর বসবে।
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ। ফাইনাল হওয়ার কথা ১৯ নভেম্বর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। দেশের মোট ১২টি শহরে হবে বিশ্বকাপের খেলাগুলি। মোট ৪৮টি ম্যাচ হবে বিশ্বকাপে। আয়োজক ভারত-সহ মোট ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করবে।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি চলে যাওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেট দল কেমন একটা ছন্নছারা ভাবে চলছে। রবি শাস্ত্রীর আমলে আইসিসির কোনও বড় ট্রফি নেই। বিরাট কোহলি অধিনায়ক হওয়ার পরে তাঁর মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলির আগ্রাসন দেখা গেলেও নিজের ফর্ম হারিয়ে গত দু-আড়াই বছর বড় রানের বাইরে। নেতৃত্ব ছেড়েও ফর্মে ফিরতে পারছিলেন না বিরাট। তবে এশিয়া কাপ এবং সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় রান তাঁকে হয়তো কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় দলে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ভালো খেলে দিলেও ধারাবাহিকতার অভাব। বিশেষ করে ডেথ ওভার বোলিংয়ে শামি, বুমরাহর অভাব দেখা যাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে কেএল রাহুল অফ ফর্ম, কোনওদিন রান পাচ্ছেন রোহিত, কোনওদিন ফ্লপ।
এভাবেই ব্যাটিং চলছে, তবে এর মধ্যে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন সূর্যকুমার যাদব| বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলে রেকর্ড করলেন সূর্য। টি-২০ বিশ্বকাপের একটু স্বস্তিতে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে বোলিংয়ের অবস্থা তথৈবচ। ভুবনেশ্বর কুমারের মতো প্রতিভাবান বোলারের অফ ফর্ম ভাবাচ্ছে দ্রাবিড়দের। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে আর্ষদীপের বোলিং কিছুটা কমিয়েছে দুশ্চিন্তা। ঠিক কোন রহস্যে ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামিকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে কেউ জানে না। আসলে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে বড্ড বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ড, বিশেষ করে উইকেট কিপিং, সব জায়গাতেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ধারাবাহিক অফ ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থ যেমন জায়গা পাচ্ছে। তেমনই জায়গা পাচ্ছেন দীনেশ কার্তিক।
গত তিন মাসে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের ফল আশানুরূপ হলেও, আইসিসি টুর্নামেন্টে তীরে এসে তরী ডোবার ইতিহাস ভারতের সেই ২০১৪ থেকে। এদিকে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে ভারত প্রতিকূল পিচে খেলবে। সেখানে গ্রিনটপ বা দ্রুতগামী বোলারদের উপযুক্ত উইকেটই অপেক্ষা করবে। এই মুহূর্তে আর্ষদীপের বল সুইং করেছে। চোটের কবলে জসপ্রীত বুমরা। এই মুহূর্তে দরকার উইকেট টেকার মহম্মদ শামিকে। প্রশ্ন উঠেছে মহম্মদ সিরাজকে নিয়েও। তিনি এত আশা জাগানোর পর কোথায়? প্রশ্ন উইকেটের পিছনে কে থাকবে পন্থ নাকি কার্তিক? এসব নিয়ে ভারতের এখনই ভাবা দরকার।