বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিস্ফোরক বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ইউসুফ পাঠান ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জন্য দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল এবার রেকর্ড গড়ার আশায় বহরমপুরে প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ইউসুফ পাঠান থাকেন গুজরাতে। একটা শব্দ বোঝেন না, বাংলায় তাঁকে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের টিকিটে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। প্রার্থী পাচ্ছে না শাসক দল।
দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, পুরনোরা রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে তাও কিছু লোককে পাল্টাতে পারেনি, রেখেছে। তাঁদের হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে। আর প্রার্থী খুঁজতে খুঁজতে বিহার পার হয়ে গুজরাত চলে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে, যার টিকিট কেউ দাঁড়াতে চায় না, তারা জিতবে টা কী করে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ডায়মন্ড হারবারে হাই প্রোফাইল দলীয় বৈঠক করেছেন। সেখানে একলক্ষের বেশি ভোটে জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওখানে সবার সব সময় হাই প্রোফাইল থাকে, লো প্রোফাইল হয় না। ওখানে একটা আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চলে, ওয়েস্ট বেঙ্গল গর্ভমেন্টের থেকে আলাদা।
নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রকে উনিও আলাদা দেখাতে চান। তিনি বলেন, সরকারের টাকা নেই, ওখানে বিলিয়ে দেয় কী করে? এত খরচা করেছেন। একটাই লোকসভা আছে নাকি? বাকি ৪১ টার কী হয়েছে, কেন সরকার দেখে না। এদিক ওদিক লুটপাট করে সব লোককে দেখাচ্ছেন! দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জীবনে কী উন্নতি হয়েছে, সামাজিক কি পরিবর্তন হয়েছে, বড় বড় কথা বলেন।
শান্তনু ঠাকুর, রেখা পাত্রকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাধা দেওয়া ছাড়া কী করবে তারা? রেখা পাত্রকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছিল, সন্দেশখালি তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। রেখা পাত্রকে বুকে টেনে নিয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি এবার বাংলা থেকে বিদায় নেবে, বলেছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। সেকারণেই বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে। তবে মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, যদি তাঁকে সশরীরে ডাকা হয় ইডির তরফে তাহলে তিনি অবশ্যই হাজিরা দেবেন। আপাতত নিজের বোলপুরের বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এই সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরের খবর তো সবারই জানা। এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে একের পর এক নেতা- কর্মীর নাম দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে তাতে আখেরে যে শাসকদলের মুখ পুড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
প্রসূন গুপ্তঃ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের কিংবা লোকসভা ভোটে প্রচারের নানান রূপ দেখা যায়। পন্ডিত নেহেরু অবিশ্যি এসবে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ভোট প্রচারে গেলে সারা দেশ জুড়ে তাঁকে ঘুরতে হত এবং একেকটি রাজ্যে গেলে পারদপক্ষে সেখানকার পোশাক (অবশ্যই শাড়ি) পড়তে দেখা যেত। রাজীব গান্ধীর প্রচারের সময়ে দেখা যেত নিজেই গাড়ি চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য কেন্দ্রে যেতেন। বাংলাতেও তাই দেখা যেত। জ্যোতি বসু অবিশ্যি কটাক্ষ করে বলতেন যে, পাইলট ছিলেন তাই অভ্যাসটি যায়নি, এখনও দেশটিকে এরোপ্লেন বলে মনে করেন। যাই হোক না কেন রাজীব কিন্তু ওসব পরোয়া করেননি। একই অভ্যাস অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীরও রয়েছে। আসলে এঁরা যথেষ্ট সুদর্শন, কাজেই সেগুলো তাঁদের ইউএসপি বলেই ধরে নেওয়া হতো বা হয়।
তবে এই রাজ্যে বিভিন্ন পোশাকের বহর প্রথম দেখা গিয়েছিলো সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মধ্যে। এরপর কমিউনিস্ট সরকারে পোশাক আশাক ইত্যাদি নেতাদের মধ্যে একেবারেই দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিশ্যি জেলা ভিত্তিক নানান ব্যবহার করেছেন। জঙ্গলমহলে তাঁর সাঁওতালদের সঙ্গে নাচ বা গানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই ভিন্ন মুডে থাকেন। রাজ্য বিজেপিতে ভিন্ন রূপে নেতাদের দেখা গিয়েছে বিস্তর।
এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচারে সবকটি দলই রং খেলায় মেতেছেন। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর থেকে হুগলি বা বীরভূম সহ প্রায় প্রতিটি জায়গায় প্রার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দ উৎসবে। বাদ নয় সিপিএম প্রার্থীরাও। আজকের প্রচারে কাঠখোট্টা ভাষণে মানুষ বোধহয় আনন্দ পায় না। এখন জমজমাট ভাষণ দিতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। সোশ্যাল নেটের যুগে নতুনত্ব আনতেই আজকের রাজনৈতিক দলে সেলিব্রেটিদের আনাগোনা। তাঁরা কোথাও খাবার পরিবেশন করছেন, কোথাও নিজেরাই খেতে বসেছেন। কোথাও পুজোতে খঞ্জনি বাজাচ্ছেন আবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজিরা দিচ্ছেন ইফতারে। করতেই হবে, ভোট যে বড়োই বালাই।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজেছে। লাগু হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধিও। রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের তাই বাকসংযম, ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকা, ভাষণে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন না করা, ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার না করা, নারীর সম্মান-মর্যাদা বজায় রাখার মতো নানাবিধ নির্দেশিকা কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। আর এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তাপপ্রবাহকে ঘিরে একাধিক সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মিলিয়ে গ্রীষ্মকাল। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ৭ দফার ভোট নির্ঘন্ট অনুযায়ী, আগামী ১৯ শে এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট, চলবে ১ লা জুন পর্যন্ত। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে যাতে ভোটারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত না হয় তার জন্য নেওয়া হল একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। কী আছে সেই নির্দেশিকায়?
১) ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের মাথার উপরে ত্রিপল অথবা শেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২) দুপুর ১২ টা- দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে।
৩) বেশি করে জলপান।
৪) জামা-কাপড় থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া এমনকি ছাতা বা টুপি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। প্রার্থীদের জন্যও রয়েছে একগুচ্ছ উপদেশ।
অতীতে দীর্ঘক্ষণ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো একাধিক উদাহরণ রয়েছে এ রাজ্যে। এবার তাই আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে এই ব্যবস্থাপনা পালনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত পুর নির্বাচনেও কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের লাইনে অসুস্থ হয়ে লক্ষ্মী সাহা নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিলো। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই আগাম সতর্কতা নির্বাচন কমিশনের।
আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।
বাংলায় কবে কোথায় ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।
অসুস্থ বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। খবর অনুযায়ী, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে বিগ বি-র। যদিও বচ্চন পরিবারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।
বলিউড সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই কোকিলাবেন হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর অমিতাভ নিজেই টুইট করেছেন। বিগ বি লিখেছেন, 'আমি চিরকৃতজ্ঞ'। অমিতাভের টুইট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হওয়ার পর সুস্থই রয়েছেন তিনি।
২০২৪-র লোকসভা ভোট কবে? অবশেষে সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে, এমনটাই শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার বিকেল ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভা ভোটের সূচি ঘোষণা হবে। সেই সঙ্গে সম্ভবত অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিমের বিধানসভা ভোটের দিনও জানা যাবে। প্রসঙ্গত, একদফায় রাজ্যে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তির আশঙ্কায় প্রতিবার সবচেয়ে বেশি দফায় ভোট হয় পশ্চিমবঙ্গে। এবার কত দফায় ভোট হবে সেটাই দেখার।
এদিকে মোদী সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব পেশ করেছে। লোকসভা ভোটের সঙ্গে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ভোটের দিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে কি বিজেপি সরকার সেই পথে পা বাড়াবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে সব রাজনৈতিক দলই ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এবার ৪০০ আসনে ভোটে জেতার দাবি করেছে বিজেপি।
দেশের নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু। নতুন নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে তাঁর বাসভবনে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও। বৈঠকে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুর নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে কার্যত একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, নাম আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমাকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য ডাকা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনারের পদে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। তাঁর ইস্তফা নিয়ে সরগরম হয় জাতীয় রাজনীতি। অরুণ গোয়েলের ইস্তফায় সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন কি কিছুটা ধাক্কা খেল? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। এই আবহেই বৃহস্পতিবার দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার পেল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
বড় অবলীলায় ভরা সভা থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন মাননীয়া। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট ভাল পরিবেশ নাকি রয়েছে এই বাংলাতেই। ঠিক যেমন ডিগ্রিধারীদের জন্য চপশিল্পের অনুপ্রেরণা। আর বাস্তবের ছবিটা কী বলছে? বাস্তবে পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা। আর তাতেই পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিনরাজ্য়ে বাসা বাঁধে ওঁরা। আর সেই আশাতেই কাজের খোঁজে দালাল ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল বাঁকুড়ার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের দল। কিন্তু সেখানে গিয়েই ধাপ্পা। নাম কে ওয়াস্তে বেতনের বিনিময়ে প্রায় ক্রীতদাসের ভূমিকায় বঙ্গ সন্তানের দল। আধপেটা খাবার। সঙ্গে অমানসিক অত্যাচার। কেড়ে নেওয়া হয় যোগাযোগের একমাত্র সম্বল মোবাইলটাও।
ভিনরাজ্যে আটকে বাড়ির ছেলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে প্রশাসন, সব দরজায় কড়া নেড়েও সুবিধে হয়নি কোনওটাতেই। অবশেষে ময়দানে নামে লাল ঝাণ্ডার দল। সিটুর বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছোতেই হুলুস্থুলু শুরু দুই রাজ্যে।
কখনও মৃত্যু। কখনও নিখোঁজ। কখনও প্রাণ টুকু নিয়ে বাড়ি ফেরা। কম পয়সায় পরিযায়ী শ্রম লুফে নিলেও সব রাজ্যেই ওঁরা অবাঞ্ছিত। ভিনরাজ্যে সামাজিক সুরক্ষার কথা না হয় তোলাই থাকল। সরকারই বা কী ভাবছে নিজের রাজ্যের শয়ে শয়ে বেকার যুবক যুবতীদের জন্য়। বছরে একবারের শ্রমিক মেলার চাকচিক্যে মুছবে কড়া বাস্তবটা। নিজের দায়িত্ব থেকে এইভাবেই মুখ ফিরিয়ে নেবে সরকার?
কদিন আগেই বাবাকে ফোন করে ছেলে বলেছিল টাকা পাঠাচ্ছি ফল কিনে খেও। দিন দুয়েকের ব্যবধান, কথাগুলো রয়ে গেল স্মৃতির পাতায়। আবারও মৃত্যু! আবারও হাহাকার, আর্তনাদ। সন্তানহারা এক বাবা-মায়ের বুক ফাটা কান্না। এটাই বাংলার যুব সমাজের ভবিতব্য? আবারও সেই প্রশ্নই তুলে দিল বনগাঁর তিন শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বছর ৩৬ এর পীযূষ হালদার, বছর ২৬ এর শঙ্কর বৈদ্য ও বছর ৪৬ এর মনোরঞ্জন সমাদ্দারের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বনগাঁ সীতানাথপুর এলাকায় শোকের ছায়া।
একদিকে অভাবের সংসার অন্যদিকে রাজ্যে কাজ নেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পাড়ি দিয়ছিলেন মুম্বাইয়ের বরেলিতে। দোলের আগে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা, বদলে দিল সবকিছু। ঘরের ছেলের আর ঘরে ফেরা হল না। অপেক্ষায় রয়ে গেল কারও ৫ বছরের ছেলে, তো কারও বৃদ্ধ বাবা-মা। এখন দিশেহারা পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, বাংলায় কাজ পেলে মুম্বইতে যেতে হতো না।
রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকলে কাউকে বাইরে যেতে হতো না। বিজেপির নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক নিমেষে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। একটা মৃত্যু তুলে দেয় হাজার প্রশ্ন। শুরু হয় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। তবে কী বাংলায় জন্মানোই অপরাধ?
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল গত সোমবার। বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে রেল কলোনির বন্ধ কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালায়। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম অংশুমান সিং(১৭)। এমপি বিলাস স্কুলের এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। বাড়ি বেহালা পাঠকপাড়ায়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে গত সোমবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল অংশুমান। মঙ্গলবারও অংশুমান বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন অংশুমানের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওরকম ভাবে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সেই বন্ধুরাও কেউ ফোনে পাচ্ছিল না অংশুমানকে।
এরপরই পরিবারের লোকজন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেহালা গোলশাপুর রেল কলোনির বদ্ধ বিল্ডিং গুলিতে খোঁজ করতে গিয়ে ৩৫ নম্বর বিল্ডিং-এর চার তলায় অংশুমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকার মানুষজন। তড়িঘড়ি অংশুমানকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
কীভাবে কী কারণে এই মৃত্যু পরিবারের লোকজন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অংশুমান অনলাইন গেম খেলায় আসক্ত ছিল। বেশ কয়েক মাস ধরে তার কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল বন্ধু দের কাছে। পরিবারকে কিছুই জানায়নি। সোমবার অংশুমান-এর বন্ধু মারফত তাঁরা তা জানতে পারেন।
আবারও ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে মৃত্য়ু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। আহত আরও তিনজন। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম কুতুবউদ্দিন শেখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত চক এনায়েত নগরের বাসিন্দা তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতমাসে ২৮ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়িতে কাজে যান চারজন শ্রমিক। যাঁরা হলেন কুতুবউদ্দিন শেখ, সিরাজ শেখ, ফুরকান শেখ, ইনসান শেখ। গতকাল অর্থাৎ শনিবার তাঁদের বাড়িতে খবর আসে যে, অ্যামোনিয়া গ্যাসের পাইপ লিক করে মৃত্য়ু হয়েছে কুতুবউদ্দিন শেখের। আর গুরুতরভাবে আহত হয়েছে সিরাজ শেখ, ফুরকান শেখ ও ইনসাফ শেখ।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মৃত কুতুবউদ্দিন ছিলেন তাঁর বাড়ির একমাত্র ভরসা। তাঁর উপার্জনের মাধ্য়মেই চলত গোটা সংসার। এক ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে সংসার তাঁর। হঠাৎ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবারসহ গোটা এলাকার মানুষজন।
কুতুবউদ্দিন শেখের আত্মীয়-স্বজনদের বক্তব্য, এই রাজ্যে বা এই জেলায় যদি কাজ থাকত তাহলে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে এইভাবে মৃত্যু হত না। কাজ নেই তাই পেটের টানে ভিনরাজ্যে ছুটতে হয় এই এলাকার মানুষজনদেরকে। পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে একটাই দাবি প্রশাসনের সাহায্যের।
সাতসকালে কলকাতায় ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার সকালে কাদাপারার একটি জুটমিলের গুদামে আগুন লাগে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দমকল কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। গুদামের নিজস্ব গাড়ি দিয়েই পাটগুলো বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আতঙ্কিত ওই জুটমিলের শ্রমিকরা। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে গোটা গুদামঘরটিকে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে। এখনও পর্যন্ত কোনওরকম হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
১৮ দিন পার, মানুষের ক্ষোভে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। পুঞ্জীভূত রাগ ফেটে বেরোচ্ছে ক্রমাগত। প্রশাসনের উপরও ভরসা হারিয়ে এবার রাস্তাতেই বিচার চেয়ে মানুষ। সন্দেশখালি ঢুকতে বাধার মুখে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধার মুখে আইনজীবীও। এই ছবি দেখতে দেখতে চোখ সয়ে গেছে প্রায়। তারই মধ্যে এবার অন্য ছবি দেখাল শাসক তৃণমূল। সন্দেশখালি জুড়ে যখন কাঁদো কাঁদো রব। তারই মাঝে বেড়মজুরে খোলকর্তাল নিয়ে, গলায় মালা পরে কীর্তনে মজে সুজিত-পার্থরা। সঙ্গে হাজির সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও।
তবে শুধুই নাচানাচি নয়। পাশাপাশি সন্দেশখালির মানুষকে দিলেন জমি ফেরানোর আশ্বাসও। বছর শুরুর সময় থেকেই ক্ষণে ক্ষণে উত্তাপ ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। গোটা এলাকা জুড়ে দাবি একটাই। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারই। পুলিসের জালে দুই শাগরেদ এলেও এখনও অধরা সন্দেশখালির বাঘ। সেখানেই যখন গ্রামবাসীদের আক্রমণের তিরে স্থানীয় তৃণমূল, তখনই এবার দ্বীপাঞ্চলের মাটিতে পা পড়ল শাসক তৃণমূলের।
শনিবারের পর রবিবারও সন্দেশখালিতে হাজির রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। রবিবার একেবারে ফুলের মালা পরে ঢোল নিয়ে কীর্তনে মজে থাকতে দেখা গেল রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের। এসব দৃশ্য দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিকই, মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে শেষ দাওয়াই হরিবোল? কীর্তন করে এতদিনের অত্যাচারে ইতি টানা যাবে? মন্ত্রীদের উপস্থিতিতেই আবার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে ধাওয়া করে উত্তরটাও বোধ হয় বুঝিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালির মানুষ।
বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। তবে নির্ঘন্ট প্রকাশের সম্ভাবনা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর দিল্লি ফিরে সবদিক বিচার করেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। ৩ থেকে ৫ মার্চ বঙ্গ সফরে ফুলবেঞ্চ। দেশের সব প্রান্তের পরিস্থিতি তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। স্বীকৃত আটটি রাজনৈতিক দল সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন।তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেই বিশেষভাবে কাজে লাগাতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগালে একেবারেই মসৃণ ভাবে পরিচালনা করা যাবে লোকসভা নির্বাচন।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ঘণ্ট প্রকাশের অনেক আগেই এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। সেই মোতাবেক ১লা মার্চ ১০০ কোম্পানি এবং ৭ই মার্চ ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে একদিকে ভয় কাটানো, সাহস যোগানো, থেকে শুরু করে এলাকায় রুট মার্চ করার পাশাপাশি এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ করবে বাহিনী। ইতিমধ্যেই বাজারে নির্ঘন্ট প্রকাশ নিয়ে অনেক ভূয়ো খবর ছড়িয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর দফতর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যে।খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সকলেই এখন তাকিয়ে আছেন দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দিকে। আর সবকিছুর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩ ই মার্চের পর নির্ঘণ্ট ও প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে। এখন দেখার বিষয় একটাই অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কী ভূমিকা পালন করে এবং কতটা তৎপর হয়।