কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের তথা তৃণমূল উচ্চ নেতৃত্বের। এই বিক্ষোভ তুলতে গেলেই হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে যায় দিল্লিতে। সেসময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদকে টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে হটিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ মহিলা সংসদেরও মারধর করা হয়। এর পরই তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অর্থাৎ ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে অক্টোবর দুই ও তিন তারিখ দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। সেই মত আজ অর্থাৎ শেষ দিন দিল্লিতে যন্তর মন্তরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এদিন সন্ধ্যেবেলায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হবার কথা ছিল। সেই মতোই যন্তর মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছায় তৃণমূল। সেখানে তৃণমূল নেতৃত্বরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে, এরপর তাদের জানানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
এরই পাল্টা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি দেখা না করে যাবেন না এরপরই বেধে যায় হুলুস্থুল কান্ড। জোরপূর্বক পুলিশ টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে তৃণমূল সাংসদ সহ সমস্ত উচ্চ নেতৃত্বদের আটক করে নিয়ে যায় মুখার্জি নগর থানায়। ভিডিও কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীর কর্মসূচি গ্রহণ করেন। পাশাপাশি এর পূর্বে কখনোই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিজন ভ্যানে ওঠেননি।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে (Delhi) তৃণমূল (TMC)। মোদী সরকারকে নিশানা করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। সোমবার রাজঘাটে ধরনায় বসলেও কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে উঠিয়ে দেয় দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। আর এবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে আনলেন আগামীকালের কর্মসূচি। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, মঙ্গলবার দুপুরে যন্তর-মন্তরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেবেন সাধারণ মানুষ, জব কার্ড হোল্ডাররা। দিল্লি পুলিস তাঁদের গায়ে হাত দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
সূত্রের খবর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বৈঠকের পড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রথমে আমাদের সঙ্গে দুপুর ১২টায় দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন। পরে ই-মেল করে জানানো হয়, দুপুরে তাঁর সময় হবে না, সন্ধ্যায় দেখা করবেন। তাই দুপুর ১টা থেকে আমরা যন্তর-মন্তরে সভা করব। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষেরা এসেছেন, এই সভায় যোগ দেবেন। তাদের গায়ে দিল্লি পুলিস হাত দিলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যাবে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। আগামীকাল তাঁদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের দাবি জানাতে যাবে। যদি তাঁরা তাঁদের প্রশ্নের জবাব সঠিক ভাবে না পায়, তা হলে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়েই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা'র অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) ধরনা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ধরনার জন্য লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ধরনার জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেই জায়গাতেই ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আধ ঘণ্টা ধরনা করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। ফলে সোমবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে রাজঘাটে আন্দোলনে বসেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা যখন দিল্লির রাজঘাটে ধরনা-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, সেসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৪ বছরের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন দিল্লিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চাকরির দাবিতে এখানে ধরনায় বসেছেন। বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এবারে দিল্লি এসেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে ধরনায় বসবেন, সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দু'দলের (BJP And AAP Scuffle) কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র দিল্লি পুরসভা (Delhi Municipality)। আপ-বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতির জেরে স্থগিত পুরসভার মেয়র নির্বাচন (Mayor Election)। ফলে দেশের রাজধানী অঞ্চলে এবার নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে নাগরিক পরিষেবা।
দিল্লির পুর আইন বলছে, মেয়র-ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী নয়। আর সেই অঙ্কে ভর করেই কাউন্সিলর সংখ্যার হিসাবে অনেক পিছিয়েও মেয়র ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। ফলে তৈরি হয়েছিল গোলমালের আশঙ্কা। শুক্রবার অধিবেশনের সূচনায় বিতর্ক তৈরি করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপরাজ্যপালের এক মনোনয়ন। উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা সত্য শর্মাকে তদারকি স্পিকার মনোনীত করেন।
বিজেপি নেতা সত্য মেয়র ভোটের আগে শপথগ্রহণ করাতে গেলে বাধা দেন আপ কাউন্সিলররা। দিল্লির লেফটান্যান্ট গভর্নর আগেই ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই একাজ করছেন, অভিযোগ তুলেছিল আপ।
🚨#BreakingNews
— Kreately.in (@KreatelyMedia) January 6, 2023
दिल्ली : केजरीवाल के #AAP पार्षदों की सदन में गुंडागर्दी...मेज पर चढ़कर #BJP पार्षदों पर किया हमला..#MCDMayorElection pic.twitter.com/M87MxZAbnW
২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে মেয়র জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে ফেলেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস।
পূর্বাভাস সত্যি করে দিল্লি পুরসভা বা দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (MCD) দখল আম আদমি পার্টির (AAP)। আপের পক্ষেই যাবে দিল্লি পুরসভা, দাবি করেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল হাতছাড়া বিজেপির (BJP)। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ২৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে আপ দখল করেছে ১৩৪টি ওয়ার্ড, বিজেপির দখলে ১০৪টি ওয়ার্ড। কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন আর অন্যদের ঝুলিতে ৩টি আসন।
এদিন গণনা শুরুর প্রথম থেকেই গেরুয়া ঝড়ের আভাস ছিল। তবে বেলা গড়তেই কেজরিওয়ালের দলের দিকে যেতে শুরু করে ফল। একটা সময় ছিল বিজেপি আপের জোর টক্কর। তবে বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেক আগেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যায় দিল্লির শাসক দল। বাকি সব ভোটের মতো দিল্লি পুরসভার ভোটেও ফল খারাপ কংগ্রেসের।
MCD নির্বাচনের ক্ষেত্রে AAP জয়ী হবে বলে ভোটের পর থেকেই আপের দিকে পাল্লা ভারি রেখেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা। যদিও ৭০%-র মতো বেশি আসনে কেজরিওয়ালের দলের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, ৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেশের দুই রাজ্যের ফল ঘোষণা। হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাতের ফলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাত ফের বিজেপির দখলে থাকবে, এই ইঙ্গিত দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। হিমাচল প্রদেশে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা বৃহস্পতিবার ইভিএম খোলার।