ফুসফুস (Lung), শরীরের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রথম থেকেই ফুসফুসের জন্য আলাদা করে যত্ন না দিলে পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ভয়ানক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তার মধ্যে বর্তমানে আরও বেশি করে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ বর্তমান যুগে বায়ুতে দূষণের (Air Pollution) মাত্রা চরমে উঠেছে। আর এর জন্যই বেশিরভাগ মানুষ এখন ব্রঙ্কাইটিস, আস্থামা, সিওপিডি-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে যত্ন নিলে আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বেই।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে, দিনের শুরু সাইকেল চালিয়ে করুন। এছাড়াও যখন সময় পাবেন তখনই সাইকেল চালানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এতে শ্বাসযন্ত্র ভালো থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শীতকালে কোন জ্বলন্ত কাঠের কাছে গিয়ে তাপ নেওয়ার থেকে ইলেকট্রিক হিটার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁদের বাড়ির বাইরে গেলেই মাস্ক পরার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বেশি দূষিত জায়গা এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে।
আবার ফুসফুসের কোনও সমস্যা হলেই কেউ কেউ ইনহেলার না নিয়ে প্রথমেই ওষুধ খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শ্বাসযন্ত্রের কোনও সমস্যা হলেই ইনহেলার নেওয়া উচিত। ইনহেলার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং ওষুধের থেকে ইনহেলার বেশি কার্যকরী।
পায়রাকে(Pigeon) খাবার দিলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে ঠানে(Maharashtra Thane) পুরসভা। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঠানে নগর নিগম জুড়ে যে পোস্টার লাগিয়েছে, সেখানেই জরিমানার বিষয়টি উল্লেখ করা। শহরে বাড়তে থাকা রোগের কারণে এই নির্দেশিকা। তাই পায়রাকে খাবার দিলেই ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে।
জানা গিয়েছে, শহরে হাইপার সেন্সিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের(Lungs Diseas) রোগের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। আর তা ক্রমশ উদ্বগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। শহরে এই ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য পায়রাকেই দায়ী করছে প্রশাসন। অভিযোগ, পায়রার বিষ্ঠা এবং পাখনা থেকেই এই ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে শহরজুড়ে। তাই সচেতনতা বাড়াতে শহরজুড়ে মাইকে প্রচার-সহ দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার লাগানো চলছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, পায়রাকে অনেকেই চাল, গম জাতীয় দানাশস্য খেতে দেন। কিন্তু পায়রার বিষ্ঠায় থাকা ব্যাকটেরিয়া বাতাসের মাধ্যমে পায়রার কাছাকাছি থাকা লোকজনের শরীরে প্রবেশ করে। তখনই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই পায়রার কাছাকাছি থাকা মানুষজনেরই এই ধরনের রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে।