Breaking News
Summon: বাবা, মা ও অভিষেকের পরে অভিষেকের স্ত্রীকেও তলব ইডির      Abhishek: দিল্লির থানা থেকে বেরিয়ে কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক অভিষেকের      Dengue: ডেঙ্গির থাবায় মৃত্যু আরও তিন জনের, নয়া পদক্ষেপ নবান্নের      ED: ইডিকে আগেই জানানো উচিত ছিল, অভিষেকের মামলায় মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের      Abhishek: নিজের কথাই রাখছেন অভিষেক, যাচ্ছেন না ইডির তলবে      Delhi: লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে রাজঘাট থেকে তৃণমূলকে বের করে দিল দিল্লি পুলিস      Meeting: একদিকে ইডি, অন্যদিকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সোম-মঙ্গলের প্লান কষতে দিল্লিতে বৈঠকে অভিষেক      Abhishek: দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নজরে ৩ অক্টোবর      Accident: দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূলের দিল্লিগামী বাস, আশঙ্কাজনক ১১ জন      Justic Sinha: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ! রনংদেহী জাস্টিস সিনহার নির্দেশে মহাফাঁপরে ইডি ও অভিষেক     

Lover

Bengaluru: সন্দেহের কারণে প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, প্রেসার কুকার দিয়ে পিটিয়ে খুন করল যুবক!

শ্রদ্ধা ও আফতাবের কথা প্রায় সবারই মনে রয়েছে। কীভাবে রাগের বশে নিজের প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল প্রেমিক আফতাব। এবারও ফের একই রকমের ঘটনা ঘটল। শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) নৃশংভাবে খুন হল এক যুবতী। ঘটনাটি শনিবারের। প্রেমিকা অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে, আর সেই সন্দেহের বশেই প্রেসার কুকার দিয়ে আঘাত করে খুন করল তাঁর প্রেমিক। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ও তাকে ইতিমধ্য়ে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ২৪ বছর বয়সী যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বৈষ্ণব নামের এক যুবকের। তাঁরা কেরলের বাসিন্দা। কলেজ থেকেই তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। এরপর কাজের সূত্রে তাঁরা বেঙ্গালুরুর বেগুরে লিভ-ইনে থাকতেন। প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। পুলিস সূত্রে খবর, একদিন তাঁদের বচসা চরমে পৌঁছয়। ফলে বৈষ্ণব রান্নাঘরে গিয়ে প্রেসার কুকার নিয়ে এসে প্রেমিকাকে একের পর এক আঘাত করতেই থাকে। বারংবার আঘাত করার ফলে মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে ও সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিস জানিয়েছে, যুবতীর চিৎকার শুনতে পেয়েই পুলিসে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। এরপর তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে বৈষ্ণবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাকে খুজতে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

a month ago
Bihar: গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে প্রেমিকের সঙ্গে অভিসার কিশোরীর, হাতেনাতে ফল

ভালোবাসার (Love) টানে মানুষ কত কিছুই না করেন! প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, কিন্তু কেউ যাতে টের না পায়। আর তার জন্যই এমন এক কাণ্ড করে বসলেন কিশোরী, যা দেখে হতবাক গ্রামবাসীরা। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, তাই রোজ রাতে গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করত কিশোরী। কিন্তু এমনটা এক সপ্তাহ চলার পর পরে অবশেষে নিজেই বিপদে পড়ল সে। এই ঘটনাটি বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার বেতিয়া এলাকার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেতিয়ার বাসিন্দা প্রীতি কুমারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে রাজকুমারের। প্রতি রাতেই তার সঙ্গে দেখা করতে যেত প্রীতি। কিন্তু তার আগে পরিকল্পনা করে তার গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যাতে কেউ দেখতে না পায়। অন্যদিকে এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না গ্রামবাসীরা। বিরক্ত হয়ে যান গ্রামবাসীরা। রোজ রোজ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তিতিবিরক্ত হয়ে যান তাঁরা। ইলেকট্রিক অফিসে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলও কোনও কাজে দেয়নি তা। ফলে রোজ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পিছনে কী কারণ, তা খুঁজতে একদিন বেরিয়ে পড়েন গ্রামবসীরা। আর তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে প্রীতি ও রাজকুমার। এরপরই বিদ্যুৎ যাওয়ার আসল কারণ জানতে পারেন গ্রামবাসীরা।

এরপরই প্রীতি ও রাজকুমারকে ধরার পর গ্রামবাসীরা চড়াও হন তাদের উপর। অন্যদিকে রাজকুমারের দলও আসে ও গ্রামবাসীদের মধ্য়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে ভাইরাল হয়। এরপর জানা যায়, গ্রামবাসীরা প্রীতি ও রাজকুমারকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন।

2 months ago
Bihar: বিয়ে করতে চান না প্রেমিক, ঘাড় ধরে মন্দিরে টেনে নিয়ে গেল প্রেমিকা! তারপর...

বিয়ে (Marriage) করবেন না প্রেমিক (Lover), তাই তাঁর জামার কলার ধরে জোর করে টেনে নিয়ে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে হুমকি (Threat), বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ফলে বিয়ে করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বিহারের ভাগলপুরে। ভাগলপুরের এক অফিসে কাজ করছিলেন এক মহিলার প্রেমিক, হঠাৎ সেখানে উপস্থিত তাঁর প্রেমিকা। দেখে মনে হচ্ছে, সাংঘাতিক রেগে রয়েছেন তিনি। সেই যুবক ও তরুণীকে দেখে অফিসের বাকিরা অবাক। আসলে কী ঘটেছে, তাঁরা কেউই জানেন না। এরপরেই সেই তরুণী বললেন, 'আমাকে বিয়ে করবে কি না?' এরপরেই ঘটনাটি বুঝতে পারলেন বাকিরা।

সূত্রের খবর, ভাগলপুরের ভাটোদিয়া গ্রামের বাসিন্দা করিশ্মা। আর সেই গ্রামেই থাকেন তাঁর প্রেমিক রোহিত কুমার। জানা গিয়েছে, তাঁদের ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু যখন করিশ্মা বিয়ে করার কথা বলেন, তখন রোহিত তাতে রাজি হন না। কিন্তু করিশ্মা জোর করলে রোহিত তাঁকে সিঁদুর পড়াতে বাধ্য হন। তবে রোহিতের বাড়ির লোকও তাঁকে মেনে নেয় না। অভিযোগ, তাঁকে নাকি বাড়ি থেকেই বের করে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর করিশ্মা তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। আর এই ঘটনায় রোহিতকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই তাঁর জামিন হতে ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকেন করিশ্মা।

আরও জানা গিয়েছে, জামিন পেতেই রোহিত একজায়গায় কাজও পান। আর সেই অফিসে গিয়েই করিশ্মা ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকেন। এরপর রোহিত না মানলে করিশ্মা তাঁর জামার কলার ধরে টানতে টানতে পাশের বুদ্ধনাথ মন্দিরে নিয়ে যান। এরপর তিনি হুমকিও দেন যে, রোহিত বিয়ে না করলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। এরপর এই খবর পুলিসের কাছে পৌঁছতেই তাঁদের হেফাজতে নেন ও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও পুলিস স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।

4 months ago


Haryana: প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশে ফিরে খুন তরুণী! দেহ লোপাটে পোড়ানোর অভিযোগ

প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে কানাডা থেকে ফিরেছেন ভারতে। কিন্তু সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে। হরিয়ানার এই ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী নিলমকে গত বছরের জুন মাসে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। আবার প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি ক্ষেতে। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর ঘটনার স্মৃতি এখনও মনে তাজা, এরই মধ্যে ফের প্রেমিকা খুনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

সূত্রের খবর, নিলমের পরিবার এই দেশেই থাকে। নিলম কাজের সূত্রে কানাডায় চলে গিয়েছিলেন। নিলমের বোন জানিয়েছেন, নিলম ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম পরীক্ষায় পাশ করে কানাডায় গত বছরের জানুয়ারি মাসেই চলে গিয়েছিলেন। এরপর তাঁর প্রেমিক সুনীল তাঁকে প্রভাবিত করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ফিরে আসতে বলে। সেই মতো ভালোবাসার মানুষকে পেতে বিয়ের স্বপ্ন নিয়ে তিনিও ছুটে আসেন দেশে। কিন্তু এমনটা কিছুই ঘটল না। বরং তাঁর প্রেমিকই তাঁকে খুন করল।

দেশে ফেরার পর নিলমের যখন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখনই তাঁর পরিবার মিসিং ডায়েরি করে। তবে পুলিস প্রথমে এই ঘটনায় তেমন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁর পরিবার হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের দ্বারস্থ হন। এরপর এই ঘটনা ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কাছে ট্রান্সফার করে দেওয়ার পর তদন্তে নামে তাঁরা। এরপরই সুনীলের ক্ষেতে থাকা ১০ ফুট গভীর গর্তের মধ্যে থেকে তাঁর দেহের হাড় উদ্ধার করা হয়। এরপর সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সুনীলকে গ্রেফতার করা হলেই সে স্বীকার করে নেয় যে, সে তাঁকে অপহরণ করেছিল ও মাথায় দু'বার গুলি করেছে।

প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহও পুড়িয়ে দেয় সে। সুনীলকে হেফাজতে নেওয়ার পর পুলিস আরও জানিয়েছে যে, সুনীল এমন অনেক খুন ও বেআইনি ভাবে বন্দুক রাখার মামলায় জড়িত আছে।

6 months ago
Special: 'ভোজন রসিক বাঙালি', জানুন খাদ্যরসিক দেশবন্ধু থেকে রামমোহনের কীর্তি

সৌমেন সুর: সে একটা দিন গেছে। এখন আর তেমন কিছু চোখে পড়ে না। যখন মানুষ খেয়ে এবং খাইয়ে সমান তৃপ্তি পেতো। জিনিসপত্রের তেমন আকাল ছিল না। এক একজন খেতে পারতেনও প্রচুর। সেসব কথা শুনলে নেহাতই্ গল্পকথা মনে হবে। যেমন ধরুন রাজা রামমোহন রায়ের কথা। তিনি ছিলেন সুপুরুষ ও তেজস্বী। খাওয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনেকের উপরে। একটা গোটা পাঁঠার মাংস খাওয়া তার কাছে কোনও কঠিন ব্যাপার ছিল না। দিনে বারো সের দুধ খেতেন। পঞ্চাশটা আম আর এক কাঁদি কলা-নারকেল অনায়াসে সেবন করতেন। নিজের শারীরিক শক্তি সম্পর্কে ছিল প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস।

অন্যদিকে প্যারীমোহন সরকার, প্রথম জীবনে ছিলেন ভীষণ পেটুক। সে সময় তিনি জলখাবার সারতেন এক ধামা মুড়ি আর শ'খানেক মুলো খেয়ে। বারাসাতে এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে তর্ক করে খেয়ে ফেলেছিলেন একসের ছানাবড়া। মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন তার যোগ্য সহচর। পাঁঠা কাটা হলে দুই বন্ধু মিলে অর্ধেকটা সাবাড় করে দিতেন।

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনও এ ব্যাপারে কম যান না। পেটভরে পোলাও মাংস খেয়ে, দু সের রসগোল্লা-অম্লান বদনে খেয়ে ফেলতেন। সেকালের খাওয়া নিয়ে কোনও কথা উঠলে ঠাকুরবাড়ির কথা চলে আসে অবিশ্বাস্যভাবে। দ্বারকানাথ, দেবেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ-- এঁরা প্রচুর খেতে না পারলেও খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে ছিলেন ভীষণ শৌখিন। রবীন্দ্রনাথ আবার এক খাবার দুবার খেতেন না। প্রখ্যাত লেখিকা পার্ল বাক বাঙালি রান্নার প্রশংসা করে গেছেন। সবুজ কলাপাতার উপরে অতি মিহি চালের ভাতের সঙ্গে নানা দর্শনধারী পদের গুন ও স্বাদুতাকে তিনি পোয়েটিক বলে বর্ণনা করে গেছেন।

তথ্যঋণ/ সুরজিত্ ধর

7 months ago


Book Fair: মেলায় ভিড় বেশি, বিক্রি কম! ক্রমেই কি ঐতিহ্য হারাচ্ছে আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা

প্রসূন গুপ্ত: কলকাতা বইমেলাকে নিঃসন্দেহে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলার পরই নাকি রাখা যেতে পারে। এই প্রতিবেদককে একসময় প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী জানিয়েছিলেন যে, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলা বিক্রিবাট্টা বা ব্যবসার জন্য নয়। জার্মানির কাছে এই মেলা একটা ঐতিহ্য। সারা বিশ্বের লেখক পাঠকরা হাজির হন জার্মানিতে। সেখানে অবশ্যই বই ডিসপ্লে করা হয়ে থাকে। কেনাকাটাও হয়, তবে ফারাক এই যে ওই বইমেলা ঠিক ব্যবসার জন্য নয়। নিয়মিত আলোচনা চক্র থাকে। লেখকরা নিজের ভাষায় তাঁদের বক্তব্য রাখেন, সেই ভাষণ অনূদিত হয়। মহাশ্বেতা দেবীও বক্তব্য রেখেছিলেন।

মিলনক্ষেত্র জার্মানির বইমেলা। এদিকে কলকাতায় বইমেলা শুরু বাম আমলে। কলকাতা ময়দানে আয়োজন করা হতো ধুমধাম করে। ভিড় যেমন থাকতো তেমন বিক্রিবাট্টাও ছিল। সংস্কৃতি মন্ত্রী থাকার সময় থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন বইমেলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও আরও ঘটা করে এই মেলা হচ্ছে। দেশি-বিদেশিদের ভিড়ে রমরমা ব্যাপার। কিন্তু বই বিক্রি এবং বইয়ের জন্য হা-হুতাশ পুরোনো দিনের মতো নেই। সোশাল নেটওয়ার্কের যুগে বই পড়ার সংস্কৃতি কমেছে ভীষণ ভাবে।

শুধু বাংলা বা ভারতে নয়, সারা বিশ্বে এই অবস্থা। বাম আমলে প্রথমে শুধু মাত্র বইয়ের স্টল থাকতো, কিন্তু দ্রুত সেই নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। ৯০-এর শেষে কলকাতায় ধীরে ধীরে প্রচুর টিভি চ্যানেল আসতে শুরু করে, যা এখন কয়েক ডজনে পরিণত হয়েছে। 

তারাও স্টল দিচ্ছে, এছাড়া খাবারের প্রচুর দোকান। এছাড়া ক্যুইজ ইত্যাদি লোভনীয় পুরস্কার যুক্ত প্রতিযোগিতা রয়েছে। কাজেই বইমেলাতে ঢুকলে এমনিই সময় কেটে যায়। বইমেলা বাম জমানাতেই একটা মিনি পিকনিকক্ষেত্র হয় গিয়েছিলো। যুগলের প্রেমকেন্দ্রের পাশাপাশি গান-বাজনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

এদের হয়তো অনেকেই জীবনে গল্পের বই পড়েনি। আজকাল মোবাইলের মধ্যেই বিশ্ব ঢুকে রয়েছে। আজকের সিনেমা স্বল্প সময়ের যেখানে উপন্যাসের বালাই নেই, মানুষের ধৈর্য কমেছে, চটজলদি সবকিছু পেতে চায়। কাজেই বই পড়ার মতো আদ্যিকালের ভাবনাকে পাত্তা দিচ্ছে না আজকালকার ছেলেমেয়েরা। বইমেলায় প্রকাশকরা এক সময় বই বিক্রি করে দারুণ লাভবান হতেন। সারা বছরের বিক্রি এই কয়েকদিনেই উঠে আসতো। লেখকরা নতুন লেখার অনুপ্রেরণা পেতেন। কিন্তু আজ সেসব ধীরে ধীরে বিদায়ের পথে। প্রশ্ন থাকছে  ইন্টারনেটের কাছে কি বই হেরে গেলো? উত্তর শুধু আজকের পড়ুয়াদের কাছে।


8 months ago
Death: পশু শিকারে বেড়িয়ে খুন! পোষ্যর ছোড়া গুলিতে কানসাসে মৃত যুবক

পশু-পাখি শিকার অনেকের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও পশু হত্যা আইন বিরুদ্ধ। কিন্তু পোষ্য কুকুরের (Dog) ছোড়া গুলিতে 'শিকার' হলেন যুবক। এমন ঘটনা অবিশ্বাস্য। অবাক করার মতো হলেও, বাস্তবে এমনই ঘটেছে আমেরিকায় (America)। এক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার পোষা কুকুরের ‘ছোড়া’ গুলিতে ৩০ বছর বয়সি কানসাসের এক যুবকের মৃত্যু (Death) হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন ওই যুবক একটি গাড়িতে করে শিকার করতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর পোষ্য কুকুর। আর শিকারের যাবতীয় সরঞ্জাম। যার মধ্যে ছিল গুলি ভর্তি বন্দুক। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিল আদরের পোষ্য। কোনোভাবে বন্দুকের ট্রিগারে পা পড়ে। আর বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যুবকের পিঠে লাগে। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিস জানিয়েছে।

তবে প্রাথমিক তদন্তের পর সামার কাউন্টি শেরিফের অফিসের পক্ষ থেকে এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে। শিকারের জন্য গাড়ির পিছনের সিটে রাখা ছিল ক্যানাইন রাইফেল। সেই রাইফেল থেকে ছোড়া গুলিতেই নিহত হন যুবক। ঘটনাস্থল থেকে ওই কুকুরটিকে উদ্ধার করে পশু কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

8 months ago
Dog: পোষ্যকে 'কুকুর' ডাকায় ক্ষুব্ধ পেট লাভার যুবক! ঘুষিতে মৃত পড়শি বৃদ্ধ

অর্থ, প্রেম, বদলা-র জেরে খুনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে পোষ্য প্রেমীর হাতে(pet lover) প্রতিবেশীর খুনের ঘটনা বিরল। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনাই ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) দিন্দিগুল জেলার থাডিকোম্বু থানা এলাকায়। পোষ্যকে ‘কুকুর’ বলে ডাকায় প্রতিবেশী বৃদ্ধের বুকে ঘুষি মারেন এক প্রতিবেশী যুবক। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রায়াপ্পান (৬২)।

স্থানীয়দের দাবি, নির্মলা ফতিমা রানি এবং তাঁর দুই ছেলে ড্যানিয়েল ও ভিনসেন্ট একটি কুকুর পোষেন পাড়ায়। একাধিক বার তাঁদের আদরের পোষ্যকে নাম ধরে ডাকার জন্য রায়াপ্পান ও তাঁর পরিবারকে সতর্ক করেছিলেন ড্যানিয়েলরা। কিন্তু বলা সত্ত্বেও নাম ধরে না ডেকে ‘কুকুর’ বলে সম্বোধন করতেন সেই বৃদ্ধ।

পুলিস জানিয়েছে, রায়াপ্পান নিজের নাতি কেলভিনকে মাঠে জলের পাম্প বন্ধ করতে পাঠিয়েছিলেন। প্রতিবেশীদের ওই কুকুরটি পথে থাকতে পারে সেই ভয়ে একটি লাঠি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেছিলেন রায়াপ্পান। আড়ি পেতে সেই কথা শুনে ফেলেন ড্যানিয়েল। এরপর ক্ষুব্ধ ড্যানিয়েল ওই বৃদ্ধকে আক্রমণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পরিবার-সহ পালান ড্যানিয়েল। তবে শুক্রবারে পুলিস তাদের আটক করেছে। শুধুমাত্র কুকুরকে কেন্দ্র করেই এই খুন, নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

9 months ago


Bankura: গর্ভেই মৃত সন্তান! সংক্রমণে ধুঁকতে থাকা পথকুকুরকে বাঁচালেন দুই পশু চিকিৎসক

নিজেরা উদ্যোগ নিয়েই অস্ত্রোপচার করে পথকুকুরের (street dog) মৃত্যু রুখলেন দুই পশু চিকিৎসক। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়াবাসী। প্রসঙ্গত, পেটে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু হয় দুটি বাচ্চার। মৃত সেই বাচ্চার শরীর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল মা কুকুরের ইউটেরাসে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকা সেই মা পথ কুকুরকে দেখে এগিয়ে আসেন দুই পশু চিকিৎসক (Veterinarian)। শেষ পর্যন্ত নিজেদের উদ্যোগে অস্ত্রোপচার করে সেই পথ কুকুরকে বাঁচানোর চেষ্টা চালালেন দুই পশু চিকিৎসক ও এক পশু প্রেমী (animal lover)। আপাতত সুস্থই রয়েছে সেই মা কুকুর।

বাঁকুড়ার (Bankura) মাচানতলায় বেশ কিছুদিন ধরেই একটি মা কুকুরকে অসুস্থ অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নজর এড়ায়নি বাঁকুড়ার এক সারমেয় প্রেমী মধুমিতা দাস ও স্থানীয় প্রাণীবন্ধু শুভাশিষ তেওয়ারির। কুকুরটিকে দেখেই শুভাশিষ বাবু বুঝতে পারেন মা কুকুরটির পেটে থাকা বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে।

সেখান থেকেই মা কুকুরের শরীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। এরপর পশুপ্রেমী মধুমিতা দেবীর উদ্যোগে দ্রুত খবর দেওয়া হয় পশু চিকিৎসক তাপস বিশ্বাসকে। তড়িঘড়ি মাচানতলা এলাকার মানুষের কাছে টেবিল চেয়ে খোলা আকাশের নিচে তৈরি করে ফেলা হয় অস্থায়ী অপারেশান থিয়েটার। সেখানে মা কুকুরটির শরীরে অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকরা বের করে আনেন মৃত শাবকগুলিকে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কেটে বাদ দিতে হয় ইউটেরাসও।

অস্ত্রোপচারের পর কিছুক্ষণ স্যালাইন ও অন্য ইঞ্জেকশান চালাতেই চাঙা হয়ে ওঠে মা কুকুরটি। কুকুরটির শরীরে অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় খুশি পশুপ্রেমী থেকে দুই পশু চিকিৎসকও। 

10 months ago
Food Lovers: অশোক কুমার ও কিশোর কুমার; দু'জনেই মনে প্রাণে খাঁটি বাঙালি এবং খাদ্যরসিক

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: গত ১৩ অক্টোবর ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি অভিনেতা অশোক কুমারের জন্মদিন। পাশাপাশি তাঁর ছোট ভাই ভারতীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি গায়ক ও অভিনেতা কিশোর কুমারের মৃত্যুদিন। বলিউডের এই দুই কিংবদন্তি শিল্পীকে কাছ থেকে দেখার ও মেশার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। ওরা প্রবাসী বাঙালি হলেও এঁদের মধ্যে যথেষ্ট বাঙালিয়ানা ছিল। অশোক কুমার বাংলা লিখতে ও পড়তে পারতেন। কিন্তু কিশোর কুমার বাংলা লিখতে ও পড়তে পারতেন না। তবে অশোক কুমার ও কিশোর কুমার দু'জনেই পরিষ্কার বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতেন। 

বাড়িতে ওরা বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই কথা বলতেন। অশোক কুমার ও কিশোর কুমার দু'জনেই ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। অশোক কুমার বিরাট মাপের অভিনেতা তো ছিলেনই তা ছাড়াও উনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে খুবই দক্ষ ছিলেন। খুব ভাল ছবি আঁকতেন।   খুব ভাল জ্যোতিষচর্চা করতেন। অসম্ভব ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতেন। নিয়মিত সকাল বেলায় ঘন্টা দুয়েক বিনা পয়সায় রুগি দেখতেন এবং ওষুধ দিতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজনা করা ছাড়াও তিনি অনেক বড়বড় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

নানান বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। সাহিত্যের প্রতি ওর গভীর অনুরাগ ছিল। বাংলা সাহিত্যের প্রতি ছিল প্রবল ভালবাসা। নিয়মিত বাংলা কবিতা, উপন্যাস পড়তেন। আমি বেশ কিছু বাংলা কবিতার বই ও বাংলা পত্রপত্রিকা দাদামণিকে পড়তে দিয়েছিলাম। বাংলা বই পেলে খুব খুশি হতেন অশোক কুমার। কলকাতা থেকে ওর ঘনিষ্ঠরা কেউ এলে তাজা সবজি, মিষ্টি নিয়ে আসত। অশোক কুমার পটল ভাজা খেতে খুব ভালবাসতেন। কলকাতার সন্দেশ ও রসগোল্লার প্রতি খুবই দুর্বল ছিলেন। 

তবে অশোক কুমার খুবই নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করতেন। খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তেন এবং খুবই ভোরে উঠেতেন। এমনিতে কাজের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস ছিলেন দাদামণি। আবার প্রিয়জনদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডাও দিতেন। পাশাপাশি কিশোর কুমারও অসম্ভব প্রতিভাধর ছিলেন। একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সুরকার-গায়ক। দারুণ মজার মানুষ ছিলেন কিশোর কুমার। সর্বদাই হাসি মজা করে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। বাংলা ভাষা পড়তে বা লিখতে না জানলেও পরিষ্কার বাংলায় কথা বলতেন। 

বাঙালি হিসেবে উনি খুবই গর্ব অনুভব করতেন। বাঙালি খাবারের প্রতি ছিল বিশেষ দুর্বলতা। এমনিতে সিগারেট, মদ্যপান এসব কোন নেশা না থাকলেও, খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে উনি বড় ভাই অশোক কুমারের মত কঠোর নিয়ম মেনে চলতেন না। ঘি, মশলা যুক্ত সুস্বাদু খাবার খুবই পছন্দ করতেন। পছন্দ করতেন ঘিতে ভাজা ফুলকো ফুলকো লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, আলুর দম সহযোগে জল খাবার খেতে ও খাওয়াতে। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা ছিল নানা রকমের বাঙালি মাছের পদ ও কলকাতার বাঙালি মিষ্টির প্রতি। কিশোর কুমার প্রায়ই বলতেন বাঙালিদের মতো মাছ রান্না করতে কেউ পারে না।

গলদা চিংড়ি র মালাইকারি, ইলিশ ভাপা, ভেটকি সর্ষে, কাতলা মাছের দম, ট্যাংরার ঝাল, শিং, মাগুরের ঝোল প্রভৃতি পছন্দ করতেন। মিষ্টির মধ্যে দই, রাবড়ি, রাজ ভোগ, রসগোল্লা, নতুন গুড়ের সন্দেশ, জল ভরা তালশাস, মালাই চমচম ইত্যাদি ভালবাসেন।  নিজে কলকাতা থেকে যাওয়ার সময় অনেক দই, মিষ্টি ও মাছ নিয়ে যেতেন।

12 months ago


Kapoor: বাংলার সঙ্গে কাপুরদের যোগ আত্মিক, সেভাবে বাঙালির মতোন এঁরাও যথেষ্ট খাদ্যরসিক

প্রসূন গুপ্ত: পৃথ্বিরাজ কাপুর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কলকাতায় চলে আসেন। খুব ভালো বাংলা বলতে পারতেন, এখানে টুকিটাকি কাজ করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে থিয়েটার, পরে সিনেমায় যোগ দেন। কলকাতার নানা খাবারে তখন ঝোঁক ছিল অসম্ভব। একদিকে জন্মসূত্রে পাঞ্জাবি, তাই পাঞ্জাবি খানা এবং পরে কলকাতায় থেকে মাছ থেকে খাঁসির মাংস, মিষ্টির প্রতি পৃথ্বিরাজের আগ্রহ বাড়ে। একই খাবারের আকর্ষণ ছিল রাজ কাপুরের। তিনিও বাংলা জানতেন, শাম্মি বা শশী এত ভালো বাংলা না জানলেও খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ তাঁদেরও এই কলকাতার সূত্রে।

শুধু খাবারই নয় বিদেশী সুরার প্রতিও আকর্ষণ ছিল কাপুরদের। রাজ বা তাঁর বংশধরাও নানান ডিশ খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। এদের মুম্বাইয়ের বাড়িতে বা আরকে স্টুডিওতে প্রায়ই খানাপিনার আসর বসতো। সিনেমা জগৎ বলে শুধু নয় সাংবাদিক থেকে রাজনৈতিক নেতা বা মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের নিমন্ত্রণ থাকতো কাপুরদের আসরে। দোল হোলিতে আরকে স্টুডিওতে ৫০০ অতিথির নিমন্ত্রণ থাকতো কম করে।

ঋষি কাপুর খেতে এবং মদ্যপান করতে ভীষণ ভালোবাসতেন। তিনি যখন নায়কের চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, তখন স্ত্রী নিতু সিং অনেকটাই তাঁকে কন্ট্রোল করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিতু জানিয়েছেন, ঋষি নাকি ৩০ দিনে ৩০ রকম ডিশের বায়না করতেন। করোনা আবহে তিনি মদের দোকান বন্ধ ছিল বলে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।

কিন্তু এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম অর্থাৎ রণবীর কাপুর কিন্তু একবারেই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক। সকালে ফ্রুট জুস্, ডিমের সাদা অংশ-সহ একটি টোস্ট এবং ফল। 

দুপুরে প্রায় কিছুই নয়। খিদে পেলে  হেলথ বিস্কুট, রাতে সবুজ সবজি, সেদ্ধ মাংস এবং একটি রুটি। রণবীর জানে তাঁর বাজার এবং চেহারা ধরে রাখতে হবে।

one year ago
Mumbai: একটু দূরে ট্রেন, লাইনে কুকুর! সাতপাঁচ না ভেবে প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে নামলেন যুবক, তারপর...

প্ল্যাটফর্মে জনাকয়েক মানুষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি (Viral Video)দেখে আঁতকে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি স্টেশনে (Mumbai Station) ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন এক যুবক।  নিজের জীবন বাজি রেখে কুকুরকে বাঁচাতে (save a dog) প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন সেই যুবক। সে সময় ওই লাইনে ঢুকছিল ট্রেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন।  কুকুরটি লাইনের মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার কথা ঘোষণা হয়। তখনই যুবকের চোখে পড়ে কুকুরটিকে। সাত-পাঁচ না ভেবেই লাইনে নেমে পড়েন ওই পশুপ্রেমী। আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সকলে তাঁর কাণ্ড দেখে হইচই জুড়ে দেন।

View this post on Instagram

A post shared by Mumbai Meri Jaan (@mumbai7merijaan)

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দূর থেকে ওই যুবকে প্ল্যাটফর্মে  নামতে দেখে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। কুকুরটিকে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেন। তারপর নিজে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ওই পশুপ্রেমী যুবকের এমন কাণ্ড দেখে সকলে অবাক হলেও প্রশংসা করছেন নেটাগরিকরা। এবং তাঁর সাহসকে কুর্নিশও জানাচ্ছেন।

one year ago
Missing: স্বামীর তিল তিল করে জমানো টাকা ও গয়না নিযে প্রেমিকের সঙ্গে পালাল স্ত্রী

টোটো কিনবেন বলে লক্ষাধিক টাকা জমিয়েছিলেন স্বামী। দিল্লিতে সেলাই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে তিল তিল করে বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে এটা জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের কী করুণ পরিহাস! সেই জমানো টাকা এবং বাড়িতে রাখা গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিল স্ত্রী। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসাদপুর গ্রামে।

দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে সেলাই কারখানায় কাজ করতেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসাদপুরের বাসিন্দা সোহরাব আলি। দিল্লি থেকে বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। ইচ্ছে ছিল, টাকা জমিয়ে টোটো কিনে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চালাবেন। তাই দিয়েই রোজগার করে সংসারের খরচ জোটাবেন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে জমানো প্রায় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়ে যান সোহরাব আলির স্ত্রী। 

স্বামী এবং শাশুড়ির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিল বধূ। লক্ষাধিক টাকার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে বাড়িতে রাখা সোনার গয়নাও। সোহরাব আলির দুই পুত্রসন্তান। মা তাঁর দুই সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে ফেলে রেখেই পালিয়েছে বলে জানান স্বামী সোহরাব।

পলাতক বধূর শাশুড়ি সারাবানু জানালেন, বৌমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই ধরনের কাজ কেন ও করল, বুঝতে পারছি না। টাকাপয়সার সঙ্গে আমার সোনার গয়না নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে। বাড়িতে ছোট দুটি ছেলে। এখন ওদের কী বলবো। পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছি।

পলাতক বধূর মা রাহেলা বিবি জানান, ২০১১ সালে আমার মেয়ের সঙ্গে দেখাশোনা করে সোহরাবের বিয়ে হয়েছিল। প্রথম দিকে পরকীয়ার জন্য মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা হত। কিন্তু পরে সব মিটমাট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মেয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেন নিল, পুলিস তদন্ত করে দেখুক।

সোহরাব আলি জানান, এলাকার এক ছেলের সঙ্গে, ও পরকীয়ার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিল। আমি সাবধান করার পরে আমার স্ত্রী আমাকে বলেছিল সে ভালো হয়ে গিয়েছে আর পরকীয়ায় জড়াবে না। কিন্তু এতদিন ধরে ও যে অভিনয় করে গিয়েছিল, এখন সেটা বুঝলাম। আমার জমানো সমস্ত টাকাও নিয়ে চলে গেছে। এখন কী করে টোটো কিনব। আবার আমাকে ভিন রাজ্যে গিয়ে শ্রমিকের কাজই করতে হবে।

এদিকে ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস।

one year ago


Asansol: প্রেমিককে দিয়ে স্বামীর টাকা লুট করিয়েও শেষ রক্ষা হল না, পুলিসের জালে স্ত্রী

প্রায় এক মাস আগে চুরি যাওয়া ৭৫ লক্ষ টাকা ও ৪০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করল রানিগঞ্জ থানার পুলিস। প্রেমিককে দিয়ে স্বামীর টাকা লুট করিয়েছিল স্ত্রী, প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। আটক প্রেমিক ও স্ত্রী। ধৃতরা রয়েছে পুলিস রিমান্ডে।

জানা যায়, গত মাসের ২৫ তারিখে চুরির ঘটনা ঘটে আসানসোলের রানিগঞ্জের জিরাডাঙ্গায়। এরপর রানিগঞ্জ থানার পুলিসকে চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জানান ব্যবসায়ী অভিজিৎ সরকার। রানিগঞ্জ থানার পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে প্রবেশ করা এক ব্যক্তি। এরপর ওই ব্যক্তিকে কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে রানিগঞ্জ থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ব্যক্তির নাম নবীন সিং। উল্লেখ্য, নবীন সিং-এর সঙ্গে অভিজিৎ সরকারের স্ত্রী ববিতা রাবানি-র অবৈধ সম্পর্ক ছিল। নবীন সিংকে জেরা করে রানিগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৪০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে রানিগঞ্জ থানার পুলিস।

one year ago
Mandarmani: মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নেমে মৃত্যু প্রেমিকের, খোঁজ নেই প্রেমিকার

সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের মধ্যে স্নানে নেমে তলিয়ে গেলেন প্রেমিক ও প্রেমিকা। কর্তব্যরত নুলিয়া ও পুলিস প্রেমিককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করলেও এখনও নিখোঁজ প্রেমিকা। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা নাগাদ মান্দারমণি ৩ নং ঘাটে ঘটে এই দুর্ঘটনা। ঘটনার পরই আতঙ্কের পরিবেশ মন্দারমণিতে।

জানা যায়, এদিন সমুদ্রস্নানে নামে ঝাড়গ্রাম থেকে বেড়াতে আসা একদল পর্যটক। বাকি পর্যটকরা একসঙ্গে স্নান করলেও, ওই প্রেমিক-প্রেমিকা একটু দূরে সমুদ্রস্নানের মজা নিচ্ছিলেন। তখনই জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যান দুজনে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন কর্তব্যরত নুলিয়া ও পুলিসকর্মীরা। এরপর প্রেমিককে উদ্ধার করে রামনগর বালিসাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক প্রীতম শিটের বয়স ২০ বছর। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার কেশবদিঘি গ্রামে। নিখোঁজ প্রেমিকার বয়স ১৯ বছর। পুলিস যুবকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, ওই যুবতীকে উদ্ধার করতে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। একের পর এক পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।

কয়েকদিন আগে একই জায়গাতে সমুদ্রস্নানে নেমে মৃত্যু হয়েছিল এক পর্যটকের। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটার পরও কেন সেখানে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মন্দারমণি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, "একজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যুবতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে।"

one year ago