রুটি রুজির টানে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে চাষ। আর ফসল ফলার আগেই ক্ষতির মুখে গোপীবল্লভপুরের বেলদুয়ার গ্রামের চাষিরা। রোগাক্রান্ত হয়ে নষ্ট হতে বসেছে চাষিদের বিঘার পর বিঘা শশা চাষ।
গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদীর উর্বর পলি সমৃদ্ধ গ্রাম হল বেলদুয়ার। এই গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার কৃষি নির্ভর।বছরভর নানা ধরনের সবজি থেকে শুরু করে ধান চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এবছর আউষ ধান তোলার পর জমিতে শশা চাষ করেই সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষিরা। শশা চাষের ফলন ফলার আগেই গাছে রোগ আক্রমণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় একশো বিঘার বেশি জমির শশা গাছ হলদেটে হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও জমি আবার ঝলসে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করে চাষে ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত চাষিদের।
বেলদুয়ার গ্রামের শশা চাষিদের অভিযোগ, কোম্পানির বীজ থেকেই রোগ ছড়িয়েছে। নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করেছে বীজ কোম্পানি। অপরদিকে চাষিদের আরও অভিযোগ, সবজি চাষের জন্য হর্টিকালচার দফতরে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাই চাষিদের দাবি শুধু ধান, সরিষার মতো চাষ নয়, সবজি চাষেও বীমা চালু করুক প্রশাসন।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের শারীরিক অসুস্থতাও বাড়তে থাকে। এর মধ্যে একটি হল শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া। তবে বর্তমানে শ্রবণশক্তি কমে (Hearing Loss) যাওয়ার প্রবণতা বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ছোট থেকেই শরীরে এই রোগ না দেখা যায়, তার জন্যও বিশেষজ্ঞরা খাদ্যতালিকায় (Diet)পরিবর্তন আনার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যার ফলে জানা যাবে, কেমন ধরনের খাবার খাদ্য়তালিকায় রাখলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, মধ্যবয়স্কদের থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের শরীরে ডিএইচএ-র পরিমাণ বেশি থাকলে শ্রবণশক্তির কমে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮-২০ শতাংশ হ্রাস পায়। অর্থাৎ যাঁদের শরীরে ডিএইচএ-র মাত্রা কম থাকে, তাঁদের শোনার ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর আগে গবেষণায় জানা গিয়েছিল, শরীরে ডিএইচএ-র পরিমাণ কমে গেলে হৃদরোগের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবারে জানা গেল, এর Docosahexaenoic Acid অর্থাৎ ডিএইচএ-র মাত্রা কম থাকলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্যতালিকায় সি-ফুড (Seafood) অন্তর্ভুক্ত করলে রক্তে ডিএইচএ-র মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এর থেকে শ্রবণশক্তি ঠিক থাকার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও হবে।
আগে মহিলারা ঠোঁট (lips) প্রাকৃতিক উপায় ঠোঁট লাল করার জন্য ব্যবহার করতেন গোলাপের পাপড়ি, এরপর আসে লিপস্টিক। কিন্তু এবারে এক তরুণীর কাণ্ড দেখলে আকাশ থেকে পড়বেন। ঠোঁট লাল করার জন্য লিপস্টিক বা গোলাপের পাপড়ি কোনওটাই ব্যবহার করেননি, বরং এগুলোর বদলে ঠোঁটে লাগালেন লঙ্কা। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। ঠোঁটে চিলি ফ্লেক্স (Chilli Flakes) লাগিয়ে ঠোঁট লাল করার উপায় বের করতে চেয়েছিলেন এই তরুণী। কিন্তু নিজের নিজের বোকামোর জন্য সেটা মুছে ফেলতে বাধ্য হলেন।
ভাইরাল হতে বা ফ্যাশনের জন্য মানুষ কী না করে থাকে! ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক তরুণী একটি প্যালেটে কিছু লিপ গ্লস দিলেন, এরপর তাতে মিশিয়ে দিলেন চিলি ফ্লেক্স। এরপর তা মিশিয়ে লাগালেন ঠোঁটে। আর ঠোঁটে লাগাতেই জ্বলতে শুরু করলে তা পরে মুছে দেন তিনি। কিন্তু তাতে সত্যি ঠোঁট আগের থেকে অনেকটাই লাল হয়েছে। আসলে ঝাল কিছু লাগাতেই সেখানে জ্বালা শুরু হয় ও লাল হয়ে যায়। এমনটাই এখানেও ঘটেছে।
তরুণী নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার করার পর ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ভিউ এসেছে ১.২ মিলিয়নের উপরে। লাইকও এসেছে প্রচুর। তবে নেটিজেনরা তাঁর এই ফ্যাশনকে 'বোকামি' বলেই উল্লেখ করেছে। তবে তরুণী নিজেই পরে ক্যাপশনে লিখেছেন, তিনি এটা আর কখনও করবে না।
রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে কলকাতাকে (KKR) ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই (MI)। ব্যাটারদের ব্যর্থতা, দলগঠনে পরিকল্পনার অভাব, জোরে বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং (IPL)। সব মিলিয়ে আরও এক বার আরব সাগরে জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল কলকাতার। আরও এক বার শাহরুখ খানের শহরে হারতে হল কলকাতাকে। বেঙ্কটেশ আয়ারের শতরান দিনের শেষে দাম পেল না। রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই। টানা দ্বিতীয় জয় পেল তারা। এ দিকে, কলকাতা টানা দু’টি ম্যাচে হেরে গেল।
মুম্বইয়ের ইনিংসের শুরুটা দেখেই বোঝা গিয়েছিল দিনটা কেমন হতে চলেছে। প্রথম ওভারে উমেশ যাদব ২ রান দিলেন বটে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকে স্বমূর্তি ধারণ করলেন ঈশান কিশন এবং রোহিত শর্মা। শার্দূল ঠাকুরের ওভার থেকে এল ১৬। তাঁকে দেখে তৃতীয় ওভারে উমেশও নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং শুরু করলেন। তাঁর ওভার থেকে ১৭ রান এল।
ওয়াংখেড়ে জুড়ে তখন তাণ্ডব চালাচ্ছেন ঈশান। মাঠের বিভিন্ন দিকে তাঁর মারা শট উড়ে যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন রোহিতও। পাওয়ার প্লে-তেই মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে ৭২ রান উঠে যায়। ম্যাচের ভবিষ্যৎ ওখানেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। অর্ধশতরান করে ঈশান ফিরতেও রান তোলার গতি কমেনি। সূর্যকুমার যাদব যেন কলকাতা ম্যাচকেই বেছে নিয়েছিলেন রানে ফেরার জন্য। পুরনো দলের বিরুদ্ধে আরও এক বার জ্বলে উঠতে দেখা গেল তাঁকে।
তার আগে অবশ্য ওয়াংখেড়ে জুড়ে ছিলেন শুধুই বেঙ্কটেশ এবং বেঙ্কটেশ। ইডব্লিউএ দিবস উপলক্ষে নানা পরিকল্পনা করেছিল মুম্বই। গোটা গ্যালারির রং নীল। পাশেই নীল সমুদ্র। গ্যালারি এবং সমুদ্রে একইসঙ্গে ঢেউ তুলে দিলেন কলকাতার ব্যাটার। ব্যাট হাতে এমনিতেই তিনি ধারাবাহিক। কিন্তু রবিবার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন বেঙ্কটেশ। মুম্বইয়ের কোনও বোলারই তাঁর সামনে টিকতে পারেননি। অফসাইডে হোক লেগ সাইডে, সব দিকেই সমান স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে ব্যাট করলেন বেঙ্কটেশ।
কলকাতার ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা কবে মিটবে কেউ জানেন না। এ দিনও রহমানুল্লা গুরবাজ এবং নারায়ণ জগদীশন ওপেন করলেন। চলতি মরসুমে টানা তৃতীয় বার। কিন্তু সাফল্য এল না। জগদীশন যে ওপেন করার মতো যোগ্য ক্রিকেটারই নন, এটা হয়তো কেকেআরের বোঝার সময় এসেছে। এ দিন পাঁচটি বল খেলে খাতাই খুলতে পারলেন না। একই কথা বলা যেতে পারে গুরবাজের ক্ষেত্রেও। রিজার্ভ বেঞ্চে লিটন দাসের মতো ক্রিকেটার বসে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও খারাপ ছন্দে থাকা গুরবাজকে প্রতিটি ম্যাচে খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি অর্ধশতরান ছাড়া পাঁচটি ম্যাচে কেকেআরের হয়ে কিছুই করতে পারেননি তিনি।
বেঙ্কটেশ না থাকলে এ দিন কেকেআরের রান ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছত কিনা বলা মুশকিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আন্দ্রে রাসেলের ২১। একার হাতে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেলেন কেকেআরের ইনিংসকে। কলকাতার ইনিংসে ১০টা ছক্কার মধ্যে ৯টাই তাঁর। মুম্বই বোলারদের একার হাতে শাসন করলেন তিনি।
শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু মাঝের দিকে ওভারে হঠাৎই কলকাতার রানের গতি অনেকটা কমে গেল। শতরানের কাছাকাছি এসে বেঙ্কটেশ আর ঝুঁকি নিয়ে শট খেলতে চাননি। খুচরো রান করার দিকে নজর দিয়েছিল। উল্টো দিকে থাকা রিঙ্কু সিংহকেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল না। রিঙ্কু এ দিন হতাশই করলেন। স্বভাববিরোধী ক্রিকেট খেললেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে চার-ছয়ের প্রত্যাশাই করেন কেকেআরের সমর্থকরা। সেখানে রিঙ্কু ১৮টি বল খেলে মাত্র ২টি চার মেরেছেন।
ওজন কমানো বা মেদ (Fat) ঝরানো এই বিষয়টি যেন এখন সবার মুখে মুখে। সবাই এখন প্রায় এক্সারসাইজ (Exersise) না করেই ওজন (Weight) কমাতে চান, তাও আবার তাড়াতাড়ি। আবার কারও কারও ব্যস্ত জীবনে শরীরচর্চা করা হয়ে ওঠে না, তাই অন্য উপায় খোঁজেন ওজন কমানোর জন্য বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। ফলে পুষ্টিবিদরা, কিছু পুষ্টিগুণে ভরপুর স্যালাডের নাম বলেছেন, যা খাদ্য তালিকায় রাখলে মেদ ঝরবে অনায়াসেই।
শসার স্যালাড: শসা প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। তাই শসার সঙ্গে চিলি পেপার, পেপার ফ্লেকস, বাদাম, লেবুর রস, স্বাদমত নুন ও চিনি দিয়ে তৈরি করে ফেলুন এই স্যালাড। আপনি কিছু সবজি যেমন গাজর, বীটও দিতে পারেন। তবে এই স্যালাড তৈরি করে বেশিক্ষণ রেখে দেবেন না, বানিয়ে তখনই খান।
বীটরুট স্যালাড: ছোট করে কাটা বীটের সঙ্গে মিশিয়ে নিন দই, ব্ল্যাক পেপার, নুন, চিনি, রোস্ট করে রাখা জিরে গুড়ো ও ধনে পাতা। এরপর কিছুক্ষণ রেখে স্যালাডটি খেয়ে নিন। এটি স্বাস্থ্যকর ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
সুইট কর্ন স্যালাড: কর্নকে সেদ্ধ করে, তার মধ্যে দিয়ে দিন টোম্যাটো কেচআপ, মেয়োনিজ, ব্ল্যাক পেপার, স্বাদমতো নুন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে তৈরি করুন এই স্যালাড। এই স্যালাডও আপনি রাখতে পারেন আপনার খাদ্য তালিকায়।
স্প্রাউটেড মুগ ডাল স্যালাড: স্প্রাউটেড মুগ ডালের সঙ্গে মিশিয়ে নিন শসা, বীট, পেঁয়াজ, গাজর, লেবুর রস, লঙ্কা, ব্ল্যাক পেপার। এরপর ভালো করে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন।
ছোলার স্যালাড: ভিজিয়ে রাখা কালো ছোলাকে সেদ্ধ করে তার মধ্যে শসা, গাজর, বীট, পেঁয়াজ, লেবুর রস, ব্ল্যাক পেপার, স্বাদমত নুন দিয়ে তৈরি করুন স্যালাড। এটি যেমন পুষ্টিতে ভরপুর তেমনি খেতেও সুস্বাদু।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবার বিপাকে। বক্স অফিসে চলল না তাঁর ছবি। এবার ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁর থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করলেন ডিস্ট্রিবিউটাররা। বলিউড ইন্ডাষ্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয়-চর্চিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কারণে অকারণে তিনি সর্বদাই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন। অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন পদ্মশ্রী (Padmashree)। কিন্তু তিনি যেন বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছেন বক্স অফিসে। তাঁর বিগত বেশ কিছু ছবি কেবলমাত্র আলোচনা-সমালোচনাতেই থেকে গেল। সাফল্যের মুখ দেখতে পেল না। এইবার তারই খেসারত দিতে হতে পারে অভিনেত্রীকে।
কঙ্গনার শেষ ছবি 'ধাকড়' মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবিটিও বক্স অফিসে ব্যৰ্থ হয়েছিল। অভিনেত্রী অভিযোগ তোলেন, তাঁকে ইচ্ছাকৃত কোণঠাসা করা হচ্ছে। বলিউডের একাংশ প্রভাবশালীদের কাঠগড়ায় তোলেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, বলিউডে স্পষ্টবাদী অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত কঙ্গনা। একসময় বলিউডে নেপোটিজমের অভিযোগও তোলেন তিনি। বংশানুক্রমিকভাবে অভিনয় জগতে আসেননি, তাই তাঁকে এককোণে রাখা হয়, এমন কথা বলেছিলেন তিনি। বলিউডের পরিচালকরা তাঁকে ছবি করতে নেন না, এমন বিস্ফোরক কথাও বলেছেন সমাজমাধ্যমে। এইবার আবারও তিনি চর্চায় উঠে এলেন।
২০২১ সালে জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি' ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন কঙ্গনা। হিন্দি, তামিল ও তেলেগু তিনটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কঙ্গনার অভিনয় প্রশংসিত হয়, কিন্তু বক্স অফিসে তেমন সংগ্রহ করতে পারেনি ছবিটি। ডিস্ট্রিবিউটারদের দাবি, ছবিটি থেকে তাঁদের বিশেষ লাভ হয়নি। তাই ক্ষতিপূরণবাবদ কঙ্গনার থেকেই ৬ কোটি টাকা দাবি করলেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।
পূর্বাভাস সত্যি করেই তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মন্দাস (Cyclone Mandaus)। ঘণ্টায় ৮৫ কিমি বেগে দক্ষিণের এই রাজ্যের মল্লপুরমের কাছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আছড়ে পড়ে ভারী ঘূর্ণিঝড়। এই দুর্যোগের প্রভাবে সেভাবে প্রাণহানির খবর না মিললেও, প্রচুর সম্পত্তিহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাণহানি একদম শূন্য এটা বলা চলে না। একেবারে প্রাণহানি এড়ানো যায়নি। ঝড়ের কারণে চেন্নাইয়ের (Chennai) মাদিপক্কমে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা একজন মহিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্য। পাশাপাশি সইদাপেটে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে একই পরিবারের চার। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এখনও পর্যন্ত খবর, চেঙ্গলপাত্তুতে কয়েকশো গাছ উপড়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট জলমগ্ন। অন্যদিকে শহর চেন্নাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একশো মিলিমিটারের বৃষ্টি হয়েছে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন সূত্রে খবর, দুশোরও বেশি গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাতের মধ্যেই সেই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মল্লপুরম, কোভালামে সমুদ্র তীরবর্তী বাড়ির ছাদ উড়েছে। দোকান, মৎস্যজীবীদের বেশ নৌকারও ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ কত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।