এবারে মালদহে (Malda) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে লরি ও টোটোর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জন কৃষকের। লরির ধাক্কায় উল্টে যায় টোটো ও ছিটকে যান টোটোর যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের ও গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সূত্রের খবর, মালদার গাজোলের শ্যামনগর সংলগ্ন এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন টোটো করে কৃষকরা সবজি নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি লরি এসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। টোটোর পিছন দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও টোটো উল্টে গিয়ে ছিটকে যান যাত্রীরা। তিনজনের দুর্ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলেও অন্য একজন গাজোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান। আরেকজনকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠোনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টোটোতে ৪-৫ জন কৃষক ছিলেন। শ্যামনগরের কাছে একটি লরি সজোরে এসে ধাক্কা মারে একটি টোটোকে। এরপরেই টোটোতে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে তিনজন সেখানেই মারা যান। অন্য একজনের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়। আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, মৃতেরা আহোরা এলাকার বাসিন্দা। ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে ও ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) কর্নাটকে (Karnataka)। একটি বাসের সঙ্গে লরির (Lorry) সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৫ জনের। গুরুতর জখম ৮। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিত্রদুর্গা জেলার গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসটি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়চুর থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই বাসটি। সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত একাধিক। সূত্রের খবর, বেপরোয়া ভাবে বাস চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, যাত্রী বোঝাই বাসের সামনেই ছিল একটি লরি। কিন্তু সেটি খুব ধীর গতিতে চলছিল। ফলে লরিটিকে ওভারটেক করার জন্য বাসের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে লরিতে। এতেই বাসের বামদিক পুরো ভেঙে-চুরে যায়। এর পরই ঘটনাস্থলে একজন ৫ বছরের শিশু সহ মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিত্রদুর্গার সুপারইনটেনডেন্ট অফ পুলিস ধর্মেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে।
ভোররাতে হুলুস্থুল কাণ্ড ফরাক্কা সেতুতে (Farakka Bridge)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালগাড়িতে ধাক্কা ১৪ চাকার লরির। এমারজেন্সি ব্রেক কষে বড়সর দুর্ঘটনা (Accident) থেকে বাঁচালেন মালগাড়ির চালক। রেলের তরফে ডাউন রেল লাইনে রেল চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ রাখে। পাশাপাশি ফরাক্কা ব্রিজের উপরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তারপর লরিটিকে রেললাইনের ধার থেকে ক্রেনের মাধ্যমে সরিয়ে আনা হয়। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআইএসএফ (CISF) ও পুলিসের কর্মকর্তারা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে মালদহ থেকে ফরাক্কার রেল লাইন দিয়ে যাওয়া একটি মালগাড়িকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চৌদ্দ চাকার একটি লরি সজোরে ধাক্কা মারে। এমারজেন্সি ব্রেক করে মালগাড়ি চালক ডাউন লাইনে উপর দাঁড়িয়ে যায়। মালদহ থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। চৌদ্দ চাকা লরিটিও মালদহ থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় ফরাক্কার দিক থেকে মালদহের দিকে একটি ট্রাক্টর আসছিল। ১৪ চাকার লরিটি ব্যারেজের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ট্রাক্টরকে ধাক্কা মারে এবং তারপরেই গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে ব্রিজের রেলিং ভেঙে দিয়ে ডাউন মাল গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুমড়ে মুছরে যায় ট্রাক্টর ও লরিটি। যদিও কোন রকমে রক্ষা পেয়েছে মালগাড়িটি।
উল্লেখ্য, মালগাড়ি চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আর এটাই সবচেয়ে স্বস্তির খবর বলে মনে করছেন রেল কর্তারা।
লরিতে (Lorry) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল লরি ভর্তি পাট। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) নাজিরপুর বাজারে। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire Brigade) দুটি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গাড়িতে রাখা পাটগুলি। আগুনের জেরে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়াতে ঢেকে গিয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে চরম আতঙ্কে সাধারণ মানুষজন।
জানা গিয়েছে, সোমবার একটি দশ চাকার লরিতে পাট বোঝাই-এর কাজ চলছিল। এমন সময় ইলেকট্রিক তার থেকে ওই লরিতে অগ্নি লেগে যায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে তেহট্ট ফায়ার ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরবর্তীতে করিমপুর ফায়ার ব্রিগেড থেকে আরও একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। শেষমেশ নিয়ন্ত্রণে আনান সম্ভব হয় আগুন।
ফের সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত্যু (Death)। বাসন্তী হাইওয়েতে (Basanti Highway) বালি বোঝাই লরির সজোরে ধাক্কা ভ্যানকে। মৃত দুই ব্যক্তি। ঘাতক লরি সহ চালক আটক।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসন্তী হাইওয়ে ঘুসিঘাটা এলাকায়। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ বাসন্তী কলকাতা হাইওয়ে মিনাখা থেকে একটি বালি বোঝাই লরি ঘুসিঘাটা এলাকায় একটি দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে চালক ও এক যাত্রী গুরুতর জখম হয়। তাঁদেরকে উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম শিবনাথ নস্কর, বয়স ৫৮, অরুন নস্কর (৪৭)। প্রশ্ন উঠছে বালি বোঝাই লরি কী করে রাস্তার উপরে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা মারলো। এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ঘাতক লরি-সহ খালাসিকে আটক করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিকনিকে যাওয়ার পথে মাদারিহাটে ভয়াবহ (Madarihat Accident) বাস দুর্ঘটনা। ঘটনাটি (Lorry rams Bus) শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মাদারিহাট এশিয়ান হাইওয়ের। দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন, তার মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে মাদারিহাট থানার পুলিস আহতদের উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাস-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনার কবলে বাস বোঝাই যাত্রীরা। কামাক্ষ্যাগুড়ি থেকে একটি বাস পিকনিক করতে শিলিগুড়ির ফাগুর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, মাদারিহাট এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। মূলত কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় মাদারিহাট এলাকায়।
মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) কড়া নির্দেশের পর গাঁজা পাচারকারীদের (Weed traffickers) রুখতে আরও তৎপর ত্রিপুরা (Tripura) পুলিস। সম্প্রতি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মধ্য দিয়েও গাঁজা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা। এবার বাঁশ বোঝাই লরির বাঁশের মধ্যে গাঁজা লুকিয়ে রেখে পাচার করতে গিয়ে পুলিসের হাতে ধরা পড়ল এক লরি চালক। ঘটনাটি ঘটেছে তেলিয়ামুড়া হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্টে।
তেলিয়ামুড়া হাওয়াই বাড়ি নাকা চেকিংয়ে অন্য দিনের মতো এদিনও গাড়ি চেকিং করা হচ্ছিল। সে সময় সন্দেহ হওয়ায় একটি বাঁশ বোঝাই লরিকে আটক করে পুলিস। গাড়ি-সহ চালককে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে পুলিস।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর বিষয়। জিজ্ঞাসাবাদে লরি চালক পুলিসের কাছে স্বীকার করেন বাঁশের আড়ালে গাঁজা রয়েছে। এরপরই তল্লাশি চালাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছে পুলিসের। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ শুকনো গাঁজা। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।