ফের এক বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল এক যাত্রীবাহী ট্রেন (Train)। এবারে দুর্ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুনিন্নাভুর। রেল ট্র্যাকের উপর গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষলেন লোকো পাইলট (Loco Pilot)। আর এর ফলেই ফের এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেন শতাধিক যাত্রী।
রেলসূত্রে খবর, রেললাইনের উপরে নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলা ছিল। আর সেটিই দূর থেকে দেখতে পান লোকো পাইলট। এতে ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে ট্রেন থামান। এই ঘটনার পরই রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিসকে খবর দেন তিনি। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এরপর রেললাইনের উপর থেকে গুঁড়িটি সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে কোথা থেকে গাছের গুঁড়ি এল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর এক স্থানীয়ের নাম সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠছে, তিরুনিন্নাভুরের সেন্থিল নামে এক ব্যক্তি নারকেল গাছ কেটে তার একটা গুঁড়ি রেললাইনের উপর রেখে চলে যায়। তবে এর পিছনে কী উদ্দেশ্য, কেন এমনটা তিনি করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কাণ্ডের রেশ কাটেনি। আতঙ্কে রয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু এর মধ্যেই আরও একটি দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এই প্রথম নয়, করমণ্ডলের পর একাধিক মালগাড়ির লাইনচ্য়ুত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই যাত্রীবাহী ট্রেন একমাত্র লোকো পাইলটের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচেছে বলে দাবি পুলিসের।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat) চালানোর দায়িত্ব এল প্রথম মহিলা চালকের উপর। এশিয়ার প্রথম লোকোপাইলট সুরেখা যাদব। মুম্বই-পুনে-সোলাপুরের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর দায়িত্ব পান তিনি। ২০২১-র একটি নারী দিবসের সাক্ষাৎকারে তিনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, তাঁর এই ইচ্ছাপূরণ করছে ভারতীয় রেল।
১৯৮৯ সালে একজন সহকারী ট্রেন চালক (Loco Pilot) হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সুরেখা। সাতরার বাসিন্দা সুরেখা যাদব ট্রেন চালক হিসেবে কর্মজীবন শুরুর আগে স্থানীয় সেন্ট পল কনভেন্ট থেকে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি। প্রায় ৩৪ বছর ধরে ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে সুরেখা যাদবের।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি জানান, 'তাঁকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ট্রেন চালক হিসেবে নিযুক্ত করার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ ভারতীয় রেলের কাছে। প্রথম দিনেই একদম ঠিক সময়ে সোলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়েছিলেন তিনি এবং সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই ট্রেন নিয়ে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি স্টেশনে পৌছন।'
পরিবারের চোখে ফাঁকি দিয়ে খেলতে খেলতে শিশু রেল লাইনের (Railline) মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় ওই লাইন দিয়ে আসছিল একটি ট্রেন (Train)। দূর থেকে তা দেখতে পেয়ে চালক শিশুটিকে (Child) বাঁচানোর জন্য ট্রেনটি থামান। এরপর শিশুকে উদ্ধার করে তার মায়ের হাতে তুলে দিলেন ট্রেনের চালক এবং সহকারী চালক। ঘটনাটি ঘটেছে বামনহাট ষ্টেশন সংলগ্ন উত্তর লাউচাপড়া গ্রামে। শনিবার রেলের তরফে সেই ভিডিও (Viral Video) প্রকাশ করতেই মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ বামনহাট স্টেশনে বামনহাট-আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার ট্রেনের শান্টিং করা হচ্ছিল। ট্রেনের ইঞ্জিন যখন ঘুরিয়ে আনার জন্য সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় উত্তর লাউচাপড়া গ্রামে ট্রেন লাইনে খেলায় মত্ত ছিল ওই শিশু। দূর থেকে তা নজরে আসে লোকো পাইলট অভিজিৎ বিশ্বাস এবং তাঁর সহকারী চন্দন কুমারের।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ট্রেন থামিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন। সে সময় শিশুর খোঁজে তার মা-বাবাও বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন। রেললাইনের ধারেই বাড়ি ওই শিশুর বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই শিশুকে উদ্ধার করে তার বাবা-মার হাতে তুলে দেন লোকো পাইলট এবং তাঁর সহযোগী। শিশুর প্রাণ রক্ষার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ঘটনায় শিশুটির প্রাণ বাঁচানোর জন্য ট্রেনের চালক ও সহ চালককে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল।