বড়সড় বিপদের থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ শাখার লোকাল ট্রেন। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট লোকালের একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই রেল সূত্রে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, সকালে ৩০১২৮ নম্বরের ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ঢোকার মুখেই একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরপর আতঙ্কে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যদিও কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলে নি। এ বিষয়ে পূর্বরেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, 'একটা ছোট্ট দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।' যদিও শনিবার ব্যস্ততম সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটায় লোকাল ট্রেন চলাচল কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। এই মুহূর্তে ট্রেনটি ৫ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে।
বেলানগর স্টেশনে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ২৬ মার্চ অর্থাৎ রবিবার হাওড়া-বর্ধমান (কর্ড শাখায়) সব ট্রেন বাতিল। এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও কর্ড শাখায় সব ট্রেন বাতিল, ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। ওই দিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল। জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। অন্যটি ছাড়বে ৯টা ১৫ মিনিটে। তবে সাধারণ লোকাল ট্রেন পরিষেবা শনিবার রাত ১২টার পরেই বন্ধ, পরিষেবা আবার চালু হবে রবিবার রাত ১২টার পর।
জানা গিয়েছে, এই কাজ চলার জন্য রবিবার ধানবাদ কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেস, দুন এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনকে মেন লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার জন্য হাওড়া-বালি, ডানকুনি-বর্ধমানের মধ্যে মেন লাইনে বেশ কিছু ট্রেন চলবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হলেও অন্য যাত্রীরাও এই ট্রেনগুলিতে চাপতে পারবেন।
হাওড়া-বর্ধমান লোকাল (Howrah-Burdwan) ট্রেন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা রেলের (Eastern Rail)। হাওড়া শাখার ডিআরএম (Howrah DRM) মণীশ জৈন জানান, 'যে সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, সেটা ১৯০১ সালের সেতু। তাই আমাদের ভাঙতে হচ্ছে। নতুন কেবল ব্রিজ ২০১৯ সালে চালু হয়েছে। পুরনো ব্রিজে টোটো, সাইকেল ইত্যাদি উঠছিল। এতে বিপদ বাড়ছিল। এমনকি নতুন কিছু দূরপাল্লার রেক বা কয়লা রেকের মাথা পুরনো ব্রিজের নিচে ঠেকে যাচ্ছিল। আমরা নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি দাবি করেন, 'ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর প্ল্যাটফর্ম এবং ট্র্যাকের পরিধি বাড়বে। ন্যূনতম যেটুকু না করলেই নয়, বাধ্য হয়ে ট্রেন বাতিল করেছি। বুধবার মধ্যরাতের পর পুরনো সমস্ত গার্ডার একে একে ক্রেন দিয়ে তুলে ফেলা হবে।' মেইন লাইনের ১৭টি ট্রেন, ১৪টি কর্ড লাইনের ট্রেন এবং ৪১টি মেল এবং এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাতিল। রাজধানী-সহ হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন ৩ নম্বর লাইন দিয়ে পাস করবে কিন্তু প্ল্যাটফর্ম পাবে না। এদিন জানান হাওড়া শাখার ডিআরএম।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই রেলকর্তা জানান, '২০১৯-এ এটা প্রথম ভেঙে ফেলার প্ল্যান হয়। সে সময় তিন মাস সময় লাগতো। এবার কিন্তু ২৪ দিনে গোটা কাজ হবে। কিছু শাটল ট্রেন চলবে, যাত্রীদের ক্রমাগত ঘোষণা করতে থাকব।' মেইন লাইনে শক্তিগড়ে ১১ জোড়া, কর্ড লাইনে মশাগ্রাম ১০ জোড়া স্পেশাল শাটল ট্রেন চলবে।
অর্থাৎ ট্রেন বর্ধমান স্টেশন না ছুঁলেও, যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাত্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হবে। এদিন রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এনজেপি শতাব্দী, পাটনা শতাব্দী, রাঁচি শতাব্দী, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস-সহ ৪১টি মেইল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মেইন পাওয়ার ব্লক থাকবে, জানা গিয়েছে পূর্ব রেল সূত্রে। তারপর থেকে ধাপে ধাপে পাওয়ার ব্লক শিথিল করবে রেল। জানা গিয়েছে, কাজ শেষ হতে আনুমানিক ২১ ফেব্রুয়ারি।
উড়ালপুলের মেরামতির কাজের কারণে রবিবার সারাদিন বন্ধ হাওড়া এবং ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানগামী সব ট্রেন। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে পূর্ব রেল। বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট শাখাতেও লোকাল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে ছুটির দিনে। তবে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড এবং মেন শাখায় কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। রেল জানিয়েছে, রবিবারের জন্য মেন শাখায় হাওড়া থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। অন্যদিকে, কর্ড শাখায় ১০ জোড়া হাওড়া-মসাগ্রাম চলবে।
জানা গিয়েছে, শুধু ছুটির রবিবারই নয়, কাজের দিন অর্থাৎ সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওড়া-বর্ধমান (কর্ড এবং মেন মিলিয়ে), ব্যান্ডেল-বর্ধমান, বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট এই সব ক’টি শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সব লোকাল ট্রেনই। ওই সময় বন্ধ থাকবে ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল ট্রেন পরিষেবাও।
রেল জানিয়েছে, সোমবার হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ৬ জোড়া এবং মেন শাখায় ৫ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল। দুই শাখার একটিতেও কোনও স্পেশাল ট্রেন চলবে না। মঙ্গল ও বুধবারও হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ১০ জোড়া এবং মেন শাখায় ১০ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল।
অল্পের জন্য বড়সড় রেল দুর্ঘটনা (Rail Accident) থেকে রক্ষা শিয়ালদহ মেইন সেকশনের (Sealdah Main Section)। শিয়ালদহ কারশেডের মুখেই লাইনচ্যুত (derail Train) কারশেডগামী একটি ট্রেন। জানা গিয়েছে, রানাঘাটগামী একটি লোকালের সঙ্গেই ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা। ধাক্কার অভিঘাতে তুবড়ে গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লোকালের মোটর ম্যানের কেবিন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়নি। কীভাবে এই দুর্ঘটনা। জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পূর্ব রেল। একদিনের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
একটি লোকাল লাইনচ্যুত হওয়ায় সাময়িক ভাবে ব্যাহত শিয়ালদহ উত্তর শাখার ট্রেন চলাচল। বহু মানুষকে লাইন ধরে হেঁটেই শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে আরপিএফ, মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে লাইনে থাকা যাত্রীদের। অবিলম্বে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনকে লাইন থেকে সরিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। পাশাপাশি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রানাঘাট লোকালটিও। জানা গিয়েছে, ৬,৭ এবং ৮ নম্বর লাইন ধরে কোনও আপ এবং ডাউন ট্রেনকে শিয়ালদহে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে কিছুটা এগোতেই ধাক্কা লাগে। দুটি ট্রেনই ঘষটে ঘষটে কিছুটা এগিয়ে যায়। ধুয়োয় ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে আমরা ট্রেন থেকে নেমে পড়ি।
সিগনালিং সমস্যা না চালকের গাফিলতি, এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। প্রায় আধ ঘণ্টা বেশি সময় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় পায়ে অপেক্ষা করতে না পেরে হেঁটে শিয়ালদহ পৌঁছন নিত্যযাত্রীরা। স্টেশনে দাঁড়িয়েও প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় যাত্রীরা। বিধাননগর থেকেও অনেক যাত্রীকে হেঁটে শিয়ালদহে আসতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ১২টার কিছু আগে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা, একটা বিকট শব্দও শোনা গিয়েছে।
রেললাইন (rail line) পারাপারের রাস্তায় আচমকাই বেড়া লাগানোয় প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল থেকেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা বনগাঁ-শিয়ালদহ (Bangaon-Sealdah) রেলপথের দত্তপুকুরে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই দত্তপুকুরে (Dattapukur) রেল অবরোধ করে বিক্ষোভে (protest) সরব হন স্থানীয়রা। এর জেরে হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। উত্তেজনা বাড়তেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রেল পুলিস (rail police)। রেল পুলিস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, ১০০ বছরের পুরোনো একটি গ্রাম। যেখানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা রেললাইন পারাপার করেই। নেই কোনও ব্রিজ। বারবার প্রশাসন থেকে স্থানীয় নেতৃত্বদের জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বেড়া দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই এই অবরোধ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এভাবে বেড়া দেওয়া হলে অসুবিধায় পড়তে হবে তাঁদের। এই রেললাইন দিযেই যাতায়াত তাঁদের। ওই বেড়ার কিছু অংশ খোলা রাখার দাবি করেছেন তাঁরা।
এদিকে, অবরোধের জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ রেলপথে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছিল।
হাওড়া-বর্ধমান শাখায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। ইতিমধ্যেই আপ-ডাউন মিলিয়ে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল (Local Train) করা হয়েছে। হাওড়া (Howrah)-বর্ধমানের (Bardhaman) মেন এবং কর্ড লাইনে হাতেগোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেন চলছে বর্তমানে। প্রায় ১০ দিন ধরে এই দুর্ভোগ চলবে বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।
হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনের রসুলপুর ও শক্তিগড়ের (Shaktigarh) মধ্যে তৃতীয় লাইন সংযুক্তিকরণের জন্য বিগত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব রেলওয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্লক নিচ্ছে। গত ৩ তারিখ থেকে আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ব্লকের ফলে একাধিক হাওড়া বর্ধমান মেন ও কর্ড লাইন শাখার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মেমারি ও মশাগ্রাম স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সময়মত গাড়ি না চলায় এদিন হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন শাখার পান্ডুয়া ও মগরা স্টেশনের রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে রেল পুলিস পৌঁছলেও রেল অবরোধ চলতে থাকে। বেলা বাড়লে রেল পুলিসের আশ্বাসে অবশেষে অবরোধ উঠে যায়।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনের রসুলপুর এবং শক্তিগড়ের মধ্যে তৃতীয় লাইন নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ চলছে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ চলবে। প্রি-নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন, মেন লাইন এবং রিভার্স লাইনে ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লক থাকবে। এদিকে, ট্রেন বাতিলের খবরে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সপ্তাহের প্রথম দিন, সোমবার কম ট্রেন চলায় সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা।