ওড়িশার (Odisha) এক সংবাদ চ্যানেল এআই জেনারেটেড সংবাদ সঞ্চালিকা (AI News Anchor) 'লিসা'-কে (Lisa) প্রকাশ্যে এনে তাক লাগিয়ে দিল দেশবাসীর। এই প্রথম মানুষের জায়গায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে সংবাদ সঞ্চালনা করা হবে। তবে কি সংবাদমাধ্যমের দুনিয়ায় এক নতুন যুগ শুরু হতে চলল! তবে কি খুব শীঘ্রই মনুষ্য বুদ্ধিমত্তার জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসতে চলেছে? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার পড়শি রাজ্য ওড়িশার এক বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল 'ওটিভি'-তে প্রথম এআই নিউজ অ্যাঙ্কর লিসা-কে প্রকাশ্যে আনা হয়। এই এআই জেনারেটেড নিউজ অ্যাঙ্করের পরনে দেখা যায় ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি। তাকে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, এই নিউজ অ্যাঙ্করের বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার দক্ষতা রয়েছে। তবে বর্তমানে ইংরেজি ও ওড়িশার ভাষাতেই তাকে খবর পড়তে দেখা যাবে।
ওটিভি থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, 'ভবিষ্যতে এই নিউজ অ্যাঙ্করকে খবর পড়ার ক্ষেত্রে আরও উপযুক্ত করে তোলা হবে। তাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে পাওয়া যাবে ও তাকে ফলোও করা যাবে।' তবে এই সংবাদ চ্যানেলে প্রথম এআই জেনারেটেড সংবাদ সঞ্চালিকা লিসাকে আনার জন্য সংবাদ দুনিয়ায় এক নজির সৃষ্টি করল ওড়িশা।
সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। একসময় বিশ্বসুন্দরীর মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। অভিনয় জগতেও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনও গুছিয়ে নিয়েছেন নিজের মতো। মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন সুস্মিতা। মাদার টেরিজার দেখানো পথে দত্তক নিয়েছিলেন দুই কন্যাকে। বড় কন্যার নাম রেখেছিলেন রেনে। ছোট কন্যাটির নাম রেখেছেন আলিসা। সেই ছোট্ট মেয়েটির এখন বড় হওয়ার পালা।কিন্তু তার আগেই আলিসাকে দুনিয়া দেখতে নিয়ে গেলেন মা সুস্মিতা।
মেয়ে আলিসাকে নিয়ে প্যারিস গিয়েছেন সুস্মিতা। আইফেল টাওয়ার দেখে ছোট কন্যাটি তো খুব খুশি। মেয়ের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন সুস্মিতা। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে আমার সোনার প্রথম ফ্রান্সের প্যারিস সফর।সময় কত তাড়াতাড়ি উড়ে যায়। আমি আমাদের এই নাচ সবসময় মনে রাখব।'
দুই মেয়েকেই মাতৃস্নেহে বড় করে তুলেছেন সুস্মিতা। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এমন অনেক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন নেটিজেনরা। মেয়ে আলিসার বিদেশ যাওয়ায় সুস্মিতার জীবনের আরও একটি অধ্যায়ের শুরু। নেটিজেনরাও অভিনেত্রীর বক্তব্যের সম্মতিতে বলছেন, 'সত্যিই সময় পেরিয়ে গিয়েছে কত তাড়াতাড়ি।'
সৌমেন সুর: ১৫০৩ সাল থেকে ১৫০৬ সালের মধ্যে চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা সম্পূর্ণ করেন। লিওনার্দো মোনালিসার রূপে এতই বিভোর হয়েছিলেন যে মোনালিসার ছবি আঁকা ছাড়াও ওর মূর্তি নির্মাণে পর্যন্ত আকৃষ্ট হয়েছিলেন। লিওনার্দো নিজে ছিলেন অসাধারণ রূপবান পুরুষ। তার গভীর ঘন কালো দুটি চোখ, লাবণ্যপূর্ণ অবয়ব যে কোনো মানুষের ঈর্ষার বস্তু। অপরূপ সুন্দরী মোনালিসা যখন তার স্বামীর কাছে শোনেন, লিওনার্দো পঞ্চাশের উর্ধ্বে বয়স, তখন তাকে 'বৃদ্ধ' বলে বাতিল করে দিয়েছিলেন। কিন্তু যখন স্বচক্ষে লিওনার্দোকে দেখলেন তখন নিজের ভাবনাটাকে Withdraw করতে বাধ্য হন। যাই হোক লিওনার্দো মোনালিসার প্রতিকৃতি আঁকার পর নিজের সৃষ্টিতে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে ছবিটা মোনালিসার স্বামীর হাতে কখনই তুলে দেননি। ছবিটি সম্পর্কে লিওনার্দো এতই সংবেদনশীল ছিলেন যে, রাতে শোবার সময় মাথার কাছে ছবিটি নিয়ে শুতেন। লিওনার্দোর এই মোনালিসা প্রেমের জন্য তার অনুরাগীরা, ছাত্ররা নানা বিদ্রুপ করতো কিন্তু লিওনার্দো এসব ভ্রুক্ষেপ করতেন না। তিনি আপন খেয়ালেই চলতেন।
বস্তুত এই ছবি নিয়ে অনেকদূর গড়ায়। বিভিন্ন রাজার ভাবনাকে নস্যাত্ করে দেন লিওনার্দো। ছবিটি তিনি কিছুতেই কারো কাছে বিক্রি করবেন না। একসময় অস্বাভাবিক দাম উঠেছিল মোনালিসার। কিন্তু লিও মাথা নীচু করেন নি। অবশেষে লিওনার্দোর মৃত্যুর পর ছবিটি চলে যায় ফ্রান্সের রাজপরিবারের অধীনে। এরপর থেকে ছবিটি প্রায় পৌনে ৩০০ বছর তাদের হেফাজতেই ছিল। ১৮০০ সালে ছবিটি নেপোলিয়ানের হাতে আসে। ছবিটি দেখে নেপোলিয়ান এত মুগ্ধ হন যে, ছবিটি তিনি শয়নকক্ষে টাঙিয়ে রাখেন।
অতীতের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ছবিটা দু'বার ফ্রান্সের বাইরে গেছে। একবার ১৯১১ সালে ফ্রান্সের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি যায়। এরপর দুবছর বাদে ইতালিতে পাওয়া যায়। আর একবার একমাসের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডির অতিথি হয়ে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ইনসিওর হয়ে আমেরিকায় যায়। বর্তমানে মোনালিসা ছবিটি ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামেই রাখা আছে। এখানে সারা পৃথিবী থেকে হাজার হাজার শিল্পরসিক মানুষ এই অনন্য প্রতিকৃতি দেখতে আসেন। তথ্যঋণ---ভাস্কর ভট্টাচার্য।
সৌমেন সুর: মোনালিসা, এমন একটা পৃথিবীর অন্যতম ছবি-যা আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। সমস্ত পৃথিবীর তাবড় শিল্পরসিক মানুষ জানেন, ছবিটি অন্যতম চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা অমর ছবি। শিল্পী ছিলেন ভার্সেটাইল জিনিয়াস। তিনি ছিলেন একাধারে স্থপতি, গনিতজ্ঞ, ভূবিদ, পদার্থবিদ, এরোনটিক্স ইঞ্জিনীয়র, নগর উন্নয়ন বিশারদ, জ্যোর্তিবিদ ও একজন পাকা সমাজদার সঙ্গীতজ্ঞ। পৃথিবাতে এমন বহুমুখী প্রতিভাবান মানুষ বিরল। মোনালিসা ছবিটি দেখলে কখনো কখনো প্রশ্ন আসে মনে, কে এই মোনালিসা, কি তার পরিচয়! সে কি শুধু টিত্রকরের কাল্পনিক মনের প্রকাশ, নাকি রক্তমাংসের কোনো এক প্রানী! এ ছবি আঁকার পেছনে উদ্দেশ্যটা কী।
ইতালির ফ্লোরেন্স ছিল এক সমৃদ্ধময় নগরী। প্রায় ৫০০ বছর আগের কথা, সেখানে বাস করতেন ফ্রানসেস্কো ডেল গায়োকোণ্ডো নামে একজন যুবক ব্যবসায়ী। এই যুবকের সুন্দরী স্ত্রী ছিলেন মোনালিসা। এই মোনালিসার আসল নাম ম্যাডোনালিসা খেরারডিনি, ডাকনাম 'মোনা।' জীবনপথে চলতে চলতে হঠাত্ ফ্রানসেস্কোর মনে বাসনা জাগে-তার স্ত্রীর একটি প্রতিকৃতি আঁকতে হবে। তখন বাজারে লিওনার্দোর খুব নামডাক। ফ্রানসেস্কো লিওনার্দোকে কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সিলেক্ট করেন। ১৫০৩ সালের ঘটনা। লিওনার্দোর বয়স তখন একান্ন। আর মোনালিসার বয়স সবেমাত্র চব্বিশ। ইতিহাস বলে, প্রতিদিন কাজের শেষে মোনালিসা বিকেলের পড়ন্ত বেলায় এই শ্রেষ্ঠ শিল্পীর স্টুডিওতে যেতেন। পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ এসে পড়তো জানালা বেয়ে ঘরে। মোনালিসা বসতেন সেই আলোয়। শিল্পী লিওনার্দো তখন রং তুলি নিয়ে, উদ্ভাসিত সুন্দরীর মুখখানাকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে একটু একটু করে ক্যানভাস পূর্ণ করে চলতেন। এই মোনালিসার প্রতিকৃতিটি অঙ্কন করেছেন সম্পূর্ণ বাম হাতে। মূল প্রতিকৃতির দৈর্ঘ্যে ছিল ৭৭ সেমি ও প্রস্থে ছিল ৫৩ সেমি। লিওনার্দো ছবিটি নিখুঁত করে আঁকতে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। শুধু তাই নয় মোনালিসার মুখের সেই রহস্যময় হাসিটি যা আজ অবধি সারা বিশ্বের মানুষকে নাড়া দিয়ে আসছে। আমরা অনেকেই জানি, মোনালিসা তার হাসিটির জন্য জগত্ বিখ্যাত। প্রতিকৃতি আঁকতে গিয়ে লিওনার্দোকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল, যতক্ষণ না পর্যন্ত মোনালিসার ঠোটে সেই রহস্যময় হাসিটি দেখে Satisfy হচ্ছেন--ততদিন মোনাকে হাসির Display করে যেতে হতো। (চলবে) তথ্যঋণ-ভাস্কর ভট্টাচার্য
হালিশহর (Halisahar) পুরসভার (Municiplity) পুরপ্রধান (Chairman) পদ থেকে পদত্যাগ করলেন রাজু সাহানি। তার জায়গায় বর্তমান পুর প্রধান হলেন শুভঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা হালিশহরের পুর প্রধান রাজু সাহানি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, হালিশহর পুরসভার ২০ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু। সম্প্রতি চিটফান্ড মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, বুধবার হালিশহর পুরসভায় একটি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে পুরসভার প্রধান হবেন শুভঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, শুভঙ্কর হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আজ অর্থাৎ বুধবার পদত্যাগের পর রাজু সাহানি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দলের নির্দেশেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
বেসরকারি ব্যাংকের ব্যাক অফিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Frauad) অভিযোগে গ্রেফতার এক। লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, চলতি বছরে ২২শে ফেব্রুয়ারি সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা দাস বিধান নগর সাইবার থানায় অভিযোগ করেন।
তরুণীর অভিযোগ, তিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাঁর জীবনপঞ্জী বা বায়োডাটা আপলোড করেছিলেন। ২৬শে ডিসেম্বর ২০২২-এ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারে এক ব্যক্তি নিজেকে অভিজিৎ সাহা পরিচয় দিয়ে বেসরকারি এক ব্যাংকের এইচআর হিসেবে দাবি করেন।
জানানো হয়, প্রিয়াঙ্কা দাসের সিভি দেখে তাঁকে ব্যাংকের ব্যাক অফিস কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তরুণীকে জানানো হয়, ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তার জন্য ২২০ টাকা জমা করতে হবে। তিনি সেই ফর্ম ফিলাপ করলে কিছুদিনের মধ্যে আরেকটি নাম্বার থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, জয়েনিংয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে।
এভাবে বিভিন্নভাবে ফোন করে তাঁর থেকে মোট ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৯২ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এরপরই প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। জানা যায়, একটা চক্র এই বেসরকারি ব্যাংকের নাম করে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে হালিশহরে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সেখান থেকে সুজয় দে নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, বেসরকারি ব্যাংকের নাম করে ওই ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন। শুক্রবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
হালিশহরে (Halisahar Incident) জেঠিয়ার কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ের এক নামী বহুতল হোটেলে গভীর রাতে আগুনের (Fire Incident) ঘটনায় চাঞ্চল্য। গত ২৫শে জানুয়ারি ওই হোটেলের এক ঘরে এক তরুণীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিস ঘরটি সিল করে দেয়। সেই সিল করা ঘরে কীভাবে আগুন লাগলো, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় জেঠিয়া থানার পুলিসের হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাই পুলিস চাইছে ফরেন্সিক তদন্ত করতে। তবে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিস (Bengal Police)। যদিও হোটেল মালিক নুর আলম জানান, 'হোটেলের এক ঘরে এক মেয়ের মৃত্যুর কারণে পুলিস ঘরটি সিল করেছিল। শটসার্কিট থেকে সেখানে আগুন লেগেছে বলে অনুমান। গোটা বিষয়টি পুলিস তদন্ত করছে।'
জানা গিয়েছে, একাধিক ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ হিসেবে শট সার্কিট থেকে আগুনের তত্ত্ব খাড়া করছেন হোটেল কর্মীরা। ফায়ার অফিসার প্রশান্ত সরকার বলেছেন, 'হোটেলের দো'তলার কোনের ঘরে আগুন লেগেছে। থানার লোক এসে কিছুদিন আগে ওই ঘর সিল করে দিয়েছিল। পুলিস তালা খোলার পর দেখে ঘরে গিজার, কল খোলা ছিল। সেখানেই শটসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
হোটেলে সমস্ত ফায়ার লাইসেন্স চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে থানায় অভিযোগ জানানো হবে ফায়ার ব্রিগেডের পক্ষ থেকে।' এমনকি হোটেলে ফায়ার প্রোটেকশন না থাকায় ক্ষুব্ধ ফায়ার ব্রিগেড।
আমি জড়িত নই, সব জানতে পারবেন। সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) থেকে আদালতে যাওয়ার পথে এই মন্তব্য করলেন রাজু সাহানি। শুক্রবারই হালিশহরের (Halisahar) পুরপ্রধান রাজুকে চিটফান্ড-কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র। তাঁর ব্যাঙ্ককে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। হাওয়ালা যোগ থাকতে পারে এই তৃণমূল নেতার। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ সিবিআইয়ের। সেই রাজু সাহানি শনিবার বলেছেন, 'তিনি এই ঘটনায় জড়িত নয়।'
সিবিআই সূত্রে দাবি, শুক্রবার তল্লাশিতে রাজু সাহানির রিসর্ট ও লাগোয়া বাড়ি থেকে ৮০ লক্ষ টাকা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি, একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড থেকে প্রচুর টাকা প্রোটেকশন মানি নিয়েছেন রাজু সাহানি। মাঝেমধ্যেই তাঁর কাছে মোটা টাকা পৌঁছে যেত। টাকা কোথা থেকে এল, কেন এত টাকা বাড়িতে রাখা ছিল, তার সদুত্তর দিতে পারেননি হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। সেই কারণেই গ্রেফতার।
হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানির পৈতৃক বাড়ি হালিশহর লালকুঠি মিত্রপাড়ায় যে বাড়ি, সেটা এখন তালাবন্ধ। তিনি এবং পরিবার বেশিরভাগ সময়ে হালিশহর খাস বাটিতে তার যে রিসোর্ট সেখানেই থাকতেন। তাছাড়াও নিউ টাউন চিনার পার্কে থাকতেন, ছোটবেলার বেড়ে ওঠা লালকুঠির মিত্রপাড়ায়, ছোটবেলায় তিনি একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন। এলাকার মানুষ এখনও ভাবতেই পারছে না, যে রাজুকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। অনেকের ধারণা তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, বাবা লক্ষণ সাহানি, একসময় সিপিএমের নেতা ছিলেন।
হালিশহর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও ছিলেন তিনি, ২০১১ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলের যোগদান। তখন রাজু কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু থাকতেন। বাবার কথায় চলে আসা হালিশহরে, তারপর থেকেই একটু একটু করে রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০১৭ সালে নির্দলের হয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যেতেন রাজু , তারপর ২০১৮ সালে তৃণমূলের যোগদান। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর যখন বিজেপির হাওয়া ওঠে তখন কিছুদিনের জন্য বিজেপিতে গেলেও আবার ফিরে আসে তৃণমূলে। ২০১৯-এ হালিশহর পুরসভা চলে যায় বিজেপির দখলে। তিন মাস পরে পুনরায় বোর্ড দখল করে তৃণমূল সেই সময় পৌর প্রশাসক হিসেবে হালিশহর পৌরসভার দায়িত্ব পান রাজু সাহানি। ২০২২-এ ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন রাজু শাহানি। তারপরেই পৌর প্রধান হিসেবে যোগদান রাজু সাহানির।
চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chit Fund Case) এবার গ্রেফতার হালিশহর পুরসভার (Halisahar Municipality) চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। সন্মার্গ কো-অপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় এই গ্রেফতার। রাজুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত (এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত) ৬০ লক্ষ টাকা (Cash) উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা নেই।
জানা গিয়েছে, নিউ টাউন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু বেশ কিছুদিন ধরে পুরসভার আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্র খবর পায় কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটেই গা ঢাকা দিয়েছিলন তিনি। সূত্র মারফৎ সেই ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় সিবিআই। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল আয় বহির্ভূত সম্পত্তি। এমনকি, ধৃত তৃণমূল নেতার থাইল্যান্ডেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যদিও এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, সিজিও কমপ্লেক্সে এবিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হতেই পারে।