প্রথম দফায় শুরু ভোট পর্ব। তার মধ্য়েই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে কোচবিহার। শুক্রবার সকালে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন ১২ জনকে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটার তালিকায় তাঁদের মৃত বলে উল্লেখ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা অঞ্চলের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের ৬০ নম্বর বুথে।
অভিযোগ, ধূপগুড়ির ওই বুথে ভোট দিতে গেলে ভোট কর্মীরা জানান, ভোটার তালিকায় মৃত বলে নাম রয়েছে। তাই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে এসে মোট ১২ জন জলজ্য়ান্ত মানুষকে মৃত বলে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি ভোট দিতে পারলেন না ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, সরকারি কাগজে তিনি মৃত। সমস্তরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ধূপগুড়ির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বাসন্তী দাস। এদিন সকালে বৈরাতীগুড়ি হাইস্কুলে ভোট দিতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কারণ জানতে গেলে তাঁকে জানানো হয় কাগজ-কলমে তিনি মৃত। জেলাশাসক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে মৃত বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আরও পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট। আজ, শুক্রবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় দফতরে সেই ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আইএসএফের দর কষাকষিতে বামফ্রন্ট যে অসন্তুষ্ট সেটাও বোঝা গিয়েছে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। আইএসএফের পর ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিল সিপিআইএম।
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইএসএফ দাঁড় করিয়েছে মজনু লস্করকে। নওশাদ সিদ্দিকী প্রথমে এই আসন থেকে লড়াই করবেন বলে বারবার জানিয়ে এলেও তা হয়নি। এই ভোলবদলের কারণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ বলছেন, তিনি দলের ঊর্ধ্বে নন। আইএসএফের প্রার্থী দেওয়ার পর আজ সিপিআইএম প্রতীকুর রহমানকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করল। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক এবং সাম্প্রতিক সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে আসা নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করা হয়েছে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে।
ব্যারাকপুর আসন থেকে সিপিআইএমের হয়ে লড়বেন দেবদূত ঘোষ। ঘাটাল আসনে সিপিআইয়ের তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বারাসত কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রবীর ঘোষ। এদিন বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০টি আসনে লড়বেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। জয়নগর ও মথুরাপুর আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। ১২টি আসনে বামেদের সমর্থনে লড়াই করবে কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় একাই লড়বে ফরওয়ার্ড ব্লক।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের।
জল্পনার অবসান। অবশেষে লোকসভা ভোটের জন্য পঞ্চম প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ১৭টি রাজ্যের ১১১টি লোকসভা আসনের নাম ঘোষণা পদ্ম শিবিরের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি আসন রয়েছে। মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবার লড়বেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপি অগ্নিমিত্রা পল। এছাড়া, ব্যারাকপুর থেকে লড়বেন অর্জুন সিং। বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু চমক রয়েছে। তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রাম আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
একনজরে বাংলার প্রার্থী তালিকা
জলপাইগুড়ি - ডাঃ জয়ন্ত রায়
দার্জিলিং-রাজু বিস্তা
রায়গঞ্জ-কার্তিক পাল
জঙ্গিপুর-ধনঞ্জয় ঘোষ
কৃষ্ণনগর-অমৃতা রায় (রানিমাতা)
ব্যারাকপুর-অর্জুন সিং
দমদম-শীলভদ্র দত্ত
বারাসত- স্বপন মজুমদার
বসিরহাট- রেখা পাত্র
মথুরাপুর-অশোক পুরকায়েত
কলকাতা দক্ষিণ- দেবশ্রী চৌধুরী
কলকাতা উত্তর-তাপস রায়
উলুবেড়িয়া- অরুণ উদয় পাল চৌধুরী
শ্রীরামপুর-কবীর শঙ্কর বোস
আরামবাগ- অরূপ কান্তি দিগর
তমলুক-অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (প্রাক্তন বিচারপতি)
মেদিনীপুর-অগ্নিমিত্রা পল
বর্ধমান পূর্ব- অসীম কুমার সরকার
বর্ধমান-দুর্গাপুর- দিলীপ ঘোষ
বিজেপির এই প্রার্থীতালিকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, যাঁরা প্রাথী হয়েছেন, তাঁদের সবারই জন্যই দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবারেও বাংলায় ৭ দফায় ভোট হবে৷ শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই তালিকায় চমক, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। সুকৃতি ঘোষাল বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বিমান বসু বলেছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। তাই বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পূর্ণ বামেদের৷ এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ময়দানে প্রচারের ঝড় তুলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বঙ্গের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলোতে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার বাকি আসনগুলোর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ফের দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই বাংলার বাকি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির প্রার্থী তালিকার পদ্ধতিগত দিকটি ব্যাখ্যা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি বাংলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাকি ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসছে।
বারাসতে- প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর
বর্ধমান-দুর্গাপুরে- দিলীপ ঘোষ
মেদিনীপুর- ভারতী ঘোষ
দমদম- শীল ভদ্র দত্ত
ব্যারাকপুর- অর্জুন সিং
দক্ষিণ কলকাতায়- বৈশাখী ডালমিয়া
যদিও সম্ভাব্য তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা স্পষ্ট হবে বলেই মত গেরুয়া নেতৃত্বের।
সন্দেশখালির পর ফের হামলা সংবাদ মাধ্যমের ওপর। সন্দেশখালির পর এবার সত্য খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে গার্ডেনরিচে আক্রান্ত হতে হল সিএন-কে। রবিবার মধ্যরাতে ঘটে যাওয়া গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল নির্মাণের ঘটনা, বিস্তারিত সম্প্রচার করে সিএন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে, হাসপাতালে পৌঁছে- সব জায়গা থেকে মানুষের কাছে ঘটনার খবর মুহূর্তে ,মূহুর্তে পৌঁছে দিলো সিএন। সেখানে ফের ধেয়ে এল বাধা।
লাইভ সম্প্রচারে থাকাকালীন হঠাৎ চিত্র সাংবাদিককে ক্যামেরা বন্ধ করতে বলা হয়। তারপরেই হাত থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ক্যামেরা। সিএন-এর চিত্র সাংবাদিক বাধা দিতে গেলে তাঁদের গায়েও হাত তোলে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে জড়ো হওয়া কিছু যুবক।
সকাল থেকেই সেখানে থাকা সিএন-এর আরেক চিত্র সাংবাদিক সঞ্জীব চক্রবর্তীর ওপরেও চালানো হয় হামলা। প্রাণভয়ে এক ক্লাব ঘরে আশ্রয় নিলে, সেখানেও পৌঁছে যায় হামলাকারীরা।
২০২৪ এর শুরুতেই সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে যাওয়ায় শাহজাহান অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক-সহ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও। তখনও আক্রান্ত হয়েছিওল সিএন। এবারেও, ঘটল একই ঘটনা। বেআইনি বহুতলের রহস্যভেদ হয়ে যাওয়ার জন্যই কি রাগ সংবাদ মাধ্যমের ওপর? এই আক্রমণকারীরাই বা কারা? প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতির প্রশ্ন উঠছেই। সঙ্গে রাজ্যে নির্ভীক ভাবে খবর করতে গেলে সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের থাকতে হবে প্রাণভয়ে? এই প্রশ্নও উঠছে।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি আসনে বদলানো হলো প্রার্থী। ফলে বিদায়ী অনেক সাংসদই টিকিট পেলেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ। নজিরবিহীনভাবে লোকসভার ৪২ প্রার্থী নিয়ে র্যাম্পে হাঁটলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রার্থী তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, দেখে নিন একনজরে-
কোচবিহার থেকে লড়বেন- জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া
আলিপুরদুয়ার- রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক
জলপাইগুড়ি- সাংসদ নির্মল চন্দ্র রায়
দার্জিলিং- গোপাল লামা
রায়গঞ্জ- কৃষ্ণ কল্যানী
বালুরঘাট- মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র
মালদা উত্তর- প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদা দক্ষিণ- শানোয়াজ আলী রেহান
জঙ্গিপুর- খলিলুর রহমান
বহরমপুর- ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান
মুর্শিদাবাদ- আবু তাহের খান
কৃষ্ণনগর- মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট- মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ- বিশ্বজিৎ দাস
ব্যারাকপুর- পার্থ ভৌমিক
দমদম- প্রফেসর সৌগত রায়
বারাসত- ডক্টর কাকলি ঘোষ দস্তিদার
বসিরহাট- হাজী নুরুল ইসলাম
জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর- যুবনেতা বাপি হালদার
ডায়মন্ড হারবার- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যাদবপুর- সায়নী ঘোষ
কলকাতা দক্ষিণ- মালা রায়
কলকাতা উত্তর- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাওড়া- ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
হুগলি- অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ- মিতালী বাগ
তমলুক- আইটি সেলের রাজ্যের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য
কাঁথি- উত্তম বারিক
ঘাটাল- দীপক অধিকারী (দেব)
মেদিনীপুর- জুন মালিয়া
ঝাড়গ্রাম- কালিপদ সরেন
পুরুলিয়া- শান্তি রাম মাহাতো
বর্ধমান-দুর্গাপুর- কীর্তি আজাদ
আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহা
বাঁকুড়া- অরূপ চক্রবর্তী
বোলপুর- অসিতকুমার মাল
বীরভূম- শতাব্দী রায়
বিষ্ণুপুর- সুজাতা খাঁ
সুপার সানডে! লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল। আজ, 'জনগর্জন সভা' তৃণমূলের। আর সেই সভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। ক’দিন আগে বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছিল। সূত্রের খবর, আজকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে।
৪২ এ ৪২-এর লক্ষ্যে 'জনগর্জন সভা' থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সভা থেকেই প্রার্থী তালিকা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ব্রিগেডের ময়দানই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার করবেন সুপ্রিমো। ৪২ টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ঘরে তুলেছে তৃণমূল। ব্রিগেডের মঞ্চে আরও বড় কোনও চমক থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের পরদিনই রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। একদিকে যেমন উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা, অন্যদিকে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আর তা রীতিমতো সংঘর্ষে পৌঁছয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উওর কাশীপুর থানার পুলিস। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার সকালে তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ভাঙরের কোচপুকুর এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ফেস্টুন ব্যানার লাগাচ্ছিলেন এলাকায়। আর তা কেন্দ্র করে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। পরবর্তীতে বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের পক্ষ থেকে উত্তর কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোচপুকুরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের জিরানগাছা প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় রেফার করে দেয় চিকিৎসকেরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের মামলায় গ্রেফতার ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস আরাবুলকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে খবর, খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আরাবুলকে গ্রেফতারের ঘটনায় ভাঙড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আজ, শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়। ১২ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিস সূত্রে খবর, আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসেন উত্তর কাশীপুর থানায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে ঝামেলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আরাবুল ইসলামকে। ভাঙরের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলে আসেন উত্তর কাশীপুর থানায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির পাশাপাশি আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনাতেও আরাবুল ইসলামের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অর্থাৎ বিজয়গঞ্জ বাজারে গণ্ডগোলের ঘটনায় খুন, অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাত মাসের পুরনো মামলায় ধৃত তাজা নেতা আরাবুল ইসলাম। যদিও একই মামলায় এখনও মুক্ত বিধায়ক শওকত মোল্লা। কান পাতলেই ভাঙরে শোনা যাচ্ছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা।
গ্রেফতার ভাঙ্গড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় লালবাজারে। সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রাজনৈতিক হিংসার বলি হন মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী। খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় আরাবুল ইসলামের নামে। সেই মামলাতেই আজ, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
দ্বিতীয় দিনে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সিএন-এর প্রতিনিধি মণি ভট্টাচার্যের মাধ্যেমে প্রথম জানতে পারেন লাল কালি দিয়ে বারকোড ঢাকা ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই তদন্তে করে ১১জন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্কুলে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলে উল্লেখ করেন। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচারও হয় সিএন-এ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই ভাইরাল হওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্র এবারের পরীক্ষার তা স্বীকার করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিনও ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় শাস্তির মুখে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচার করে সিএন। যদিও এই ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রগুলি এবারের পরীক্ষার কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর একদিন আগেই নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, এবার প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি ইউনিক বারকোড থাকবে। যদি কেউ প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে যায় তাহলে সেই ছবি কে তুলছে সেটা বোঝা যাবে। এত কড়া নিরাপত্তা ও সতর্কতা সত্ত্বেও দেখা গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘোরাঘুরি করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বিষয়ে পর্ষদ কি বলছে সেটাই এখন দেখার।
রাজ্যে বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। সোমবার প্রকাশ্যে এল ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা। বর্তমানে রাজ্যের মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭,৫৮,৩৭,৭৭৮ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ১১,৩৩,৯৩৬ জন। এছাড়াও ১৮ থেকে ১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হলো ১৫,৩১,৯২৩ জন। নতুন ভোটারের মধ্যে ৫,৬৩,৫২১ জন পুরুষ এবং ৫,৭০,৩৪১ জন মহিলা ও ৭৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩,৮৫,৩০,৯৮১ জনন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৭৩,০৪,৯৬০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৮৩৭ জন।
এবারের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের সংখ্যার উপর প্রথম থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাই মৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪৭,৭৫৭ জন। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালে ৪,৫১,৭০৬ জন ভোটার বাড়লো এই রাজ্যে। তবে লক্ষণীয় বিষয় একটাই, এই প্রথমবার রাজ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। প্রতিবছর ভোটার তালিকা প্রকাশ পায় ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ার পর নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সময় দরকার। সে কারণেই ২০২৪ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ পেল ২২শে জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এই ভোটার তালিকা একশো শতাংশই নির্ভুল।
প্রায় ২২ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই কামারহাটির বিধায়ক বলেছিলেন তিনি ভালো নেই। এবারে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন মদন মিত্র। শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ ফের তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অসংলগ্ন কথাবার্তা ও রক্তাল্পতা জনিত সমস্যার কারণে তাঁকে এবারে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে তৎপর ছিল ইডি। এরই মাঝে শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছে বিধায়কের বলে জানতে পারা গিয়েছে। কথায় কিছুটা অসংলগ্নতা ছিল তাঁর। সেই কারণে তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত তাঁকে এমারজেন্সি বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ডিসেম্বর মাস নাগাদ মদন মিত্রকে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাঁধের অস্ত্রোপচার এর জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এক মাস হতে না হতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। বর্তমানে ডক্টর সৌরেন পাঁজা-এর অধীনে ভর্তি হয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।