আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় তাঁকে ন'বার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সেই আর্জি খারিজ হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি হেফাজতেই কেটেছে রাত। সকাল হতেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই, শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। রাতে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০,০০০ টাকা পেয়েছে মাত্র তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকেরা।
এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আজ কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে দিল্লিতে উত্তেজনা সামাল দিতে আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে পথে নামছে আম আদমি পার্টি।
জানা গিয়েছে, ইডি সকালে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে আদালতে পেশ করবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কাউকে গ্রেফতার করার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তারপরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুরো জেরাটি লিখিত হবে এবং তার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে দিল্লির রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে কোনও রকম জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ অর্থাৎ আবগারি মামলায় মণীশকে জামিন দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, টাকা লেনদেন প্রায় প্রমাণিত। অর্থাৎ আপ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত প্রমাণ করা গিয়েছে। ফলে মণীশের জামিনে 'না' সুপ্রিম কোর্টের। আরও জানানো হয়েছে, সময়ে তদন্ত শেষ না হলে আবার জামিনের আবেদন করতে পারবেন আপ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। এর পর আজ অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এই কারণ দেখিয়েই খারিজ করা হয়েছে আপ নেতার জামিনের আবেদন। তবে দিল্লির আবগারি মামলার তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিসোদিয়া আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy) গ্রেফতার করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে (Sanjay Singh)। গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিনভর সঞ্জয় সিং-এর বাড়ি তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এর পর বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
অন্যদিকে এদিন ডিডিইউ মার্গে আপ অফিসের কাছে কেন্দ্রীয় দিল্লিতে বিক্ষোভ করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আপ কর্মীকে দিল্লি পুলিস আটক করেছিল। তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় এবং সিংয়ের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে। বুধবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারের পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আপ কর্মীরা বিক্ষোভ করছে।
বড়সড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এবারে দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী সীমা সিসোদিয়ার সম্পত্তিও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'মণীশ সিসোদিয়া-সহ দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তদের ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।' গত ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে নেমেই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে একই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া, তাঁর স্ত্রী সীমা সিসোদিয়া, আমনদীপ সিং ঢাল, রাজেশ জোশি, গৌতম মালহোত্রা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মণীশ ও তাঁর স্ত্রীর দুটি সম্পত্তি রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এই দুটি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা ১১ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
অবশেষে আড়াই মাস পর জেল থেকে বেরোতে পারলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। ৭ ঘণ্টার জন্য জেলের বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল তাঁকে। তবে কিছু শর্ত রাখা হয়েছিল। ফলে আজ, শনিবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে ফিরলেন মণীশ সিসোদিয়া। তবে দেখা হল না স্ত্রীর সঙ্গে। সিসোদিয়া বাড়িতে ঢোকার আগেই স্ত্রীকে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে (Loknayak Hospital) ভর্তি করতে হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মণীশ সিসোদিয়াকে অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব সহ কোনও গ্যাজেট, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন সকাল ১০টার পর পুলিসের পাহাড়ায় মথুরা রোডে নিজের বাড়িতে পৌঁছন মণীশ সিসোদিয়া। কিন্তু এদিন সকালে সিসোদিয়া বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ফলে নিজের বাড়িতে কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁকে ফের তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী ব্রেন এবং নার্ভের জটিল রোগে ভুগছেন।
কিছুটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। অবশেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন মণীশ সিসোদিয়া। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Scam) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি তিনি। কিছুদিন আগেই প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তবে এবারে তাঁর স্ত্রী-এর জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।
তবে আজ, ২ জুন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। দিল্লি আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল, ৩ জুন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ইন্টারনেটে সংযোগ করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।