আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় তাঁকে ন'বার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সেই আর্জি খারিজ হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি হেফাজতেই কেটেছে রাত। সকাল হতেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই, শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। রাতে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০,০০০ টাকা পেয়েছে মাত্র তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকেরা।
এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আজ কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে দিল্লিতে উত্তেজনা সামাল দিতে আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে পথে নামছে আম আদমি পার্টি।
জানা গিয়েছে, ইডি সকালে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে আদালতে পেশ করবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কাউকে গ্রেফতার করার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তারপরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুরো জেরাটি লিখিত হবে এবং তার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে দিল্লির রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে কোনও রকম জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ফের ইডির তলব এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির নোটিশ এড়ালেন কেজরিওয়াল। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে, লোকসভার নির্বাচনর আগেই কি গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবারও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও তিনি তলব এড়িয়ে ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই নোটিশ 'বেআইনি' এবং 'অবৈধ'।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপর এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। এর আগে ১২ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছিল। আজও তাঁর ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করার সম্পূর্ণ ইচ্ছা আছে। কিন্তু যে নোটিশটি তাঁকে পাঠানো হয়েছে সেটি বেআইনি এবং অবৈধ। তিনি বুঝতে পারছেন যে, তাকে গ্রেফতার করার জন্যই এই নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যাতে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচার করতে না পারেন। তিনি আরও লিখেছেন আগের চিঠিতে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেগুলির কোনও উত্তর ইডি না দিয়ে ফের নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার কার্যে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। একাধিকবার ইডির তলব এড়ানোর জন্য ইডি পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।
ফের একবার ইডির তলব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। আজ অর্থাৎ সোমবার দিল্লি আবগারি মামলায় ইডি ফের তলব করল আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামী ২১ ডিসেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই ইডির সমন হাতে পেলেন কেজরিওয়াল।
এর আগেও দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেসময় দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সমন এড়িয়ে যান তিনি। বিধানসভা ভোটের প্রচারে মধ্যপ্রদেশে যাবেন বলেই কেজরীওয়াল ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, কেজরীওয়াল তাঁকে তলব করার ঘটনাকে ‘বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন। ফলে এবার কি তিনি সমনে সাড়া দেবেন নাকি ফের হাজিরা এড়িয়ে যাবেন, এটাই এখন দেখার।
ফের রাজ্যে আয়কর হানা (Income Tax Raid)। এবারে এক মদের কারখানায় হানা দিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে এক মদের কারখানায় হানা দিলেন আয়কর আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের টিম।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভোরের আলোও ফোটেনি, সে সময় হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এর পর অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক মদের কারখানায় হানা দেন তাঁরা। তবে শুধুমাত্র আয়কর আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে মোট পাঁচটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আসে। গ্রামের লোকজনও একে একে আসতে শুরু করেন এলাকায়। তারাও এই ঘটনায় হতবাক। উল্লেখ্য, এই কারখানায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন কাজ করেন।
বড় ধাক্কা আপ শিবিরে (AAP)। সিবিআইয়ের পর এবার দিল্লি আবগারি দুর্নীতি (Liquor Policy Case) মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
সোমবার আবগারি মামলায় জামিন দেওয়া হয়নি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সুুপ্রিম কোর্ট থেকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিল তা আংশিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এর পাশাপাশি ইডিকে এই মামলার তদন্তের প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই এই মামলার তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আর এই নির্দেশের পরই দেখা গেল, ইডি তলব করল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ অর্থাৎ আবগারি মামলায় মণীশকে জামিন দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, টাকা লেনদেন প্রায় প্রমাণিত। অর্থাৎ আপ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত প্রমাণ করা গিয়েছে। ফলে মণীশের জামিনে 'না' সুপ্রিম কোর্টের। আরও জানানো হয়েছে, সময়ে তদন্ত শেষ না হলে আবার জামিনের আবেদন করতে পারবেন আপ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। এর পর আজ অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এই কারণ দেখিয়েই খারিজ করা হয়েছে আপ নেতার জামিনের আবেদন। তবে দিল্লির আবগারি মামলার তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিসোদিয়া আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy) গ্রেফতার করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে (Sanjay Singh)। গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিনভর সঞ্জয় সিং-এর বাড়ি তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এর পর বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
অন্যদিকে এদিন ডিডিইউ মার্গে আপ অফিসের কাছে কেন্দ্রীয় দিল্লিতে বিক্ষোভ করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আপ কর্মীকে দিল্লি পুলিস আটক করেছিল। তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় এবং সিংয়ের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে। বুধবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারের পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আপ কর্মীরা বিক্ষোভ করছে।
দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Policy) এবারে ইডির নজরে আরও এক আম আদমি পার্টির (AAP) সদস্য সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি বুধবার সকাল থেকেই আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। সেই থেকে এখনও তল্লাশি চলছে বলে খবর।
#WATCH | Visuals from outside AAP Rajya Sabha MP Sanjay Singh's residence
— ANI (@ANI) October 4, 2023
ED raids underway at the residence of AAP Rajya Sabha MP Sanjay Singh pic.twitter.com/k6FRDjY12S
আবগারি দুর্নীতি মামলা ঘিরে অস্বস্তিতে রয়েছে আপ। ইতিমধ্যে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এমনকি জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও। আর এবারে ইডির নজরে সঞ্জয় সিং। অভিযোগ উঠেছে, দিল্লিতে আবগারি নীতিতে পরিবর্তন এনে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে কেজরিওয়াল সরকার। বেআইনি ভাবে একাধিক ব্যক্তিকে আবগারি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এবং তাঁদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে আম আদমি পার্টি। এমনই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর পর থেকেই আপের একের পর এক মন্ত্রী এবং সাংসদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি, সিবিআই।
সূত্রের খবর, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরার অভিযোগ, সিসোদিয়ার সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয় সিং। দীনেশ অরোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই বিষয়ে জানা যায়। পরে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে সঞ্জয় সিংয়ের নাম রয়েছে। ফলে এবারে সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।
বড়সড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এবারে দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী সীমা সিসোদিয়ার সম্পত্তিও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'মণীশ সিসোদিয়া-সহ দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তদের ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।' গত ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে নেমেই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে একই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া, তাঁর স্ত্রী সীমা সিসোদিয়া, আমনদীপ সিং ঢাল, রাজেশ জোশি, গৌতম মালহোত্রা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মণীশ ও তাঁর স্ত্রীর দুটি সম্পত্তি রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এই দুটি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা ১১ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহে খারাপ খবর সুরাপ্রেমীদের জন্য। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে মদের দোকান বন্ধ থাকবে আগামী পাঁচ দিন। এমনকি হোটেল-রিসর্ট-পানশালায়ও (Liquor shop) পাওয়া যাবে না মদ। এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে আবগারি দফতর।
আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিজ্ঞপ্তি করেছে আবগারি দফতর। বলা হয়েছে, ৬ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা থেকে আগামী ৮ জুলাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত যে সব এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে সেই সমস্ত এলাকায় মদের দোকান এবং পানশালা বন্ধ রাখতে হবে।
অন্যদিকে, ১০ জুলাই যে সব এলাকায় পুনর্নিবাচন করা হবে সেখানেও মদ বিক্রি বন্ধ থাকবে। ১১ জুলাই ফল ঘোষণা হবে সেদিনও একই নির্দেশিকা বজায় থাকবে। সব মিলিয়ে মোট ৫ দিন দিঘা থেকে দার্জিলিংয়ে জারি থাকবে এই নির্দেশিকা।
বিয়ারের বোতল (Beer Bottle) ভর্তি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যেতেই অবাক করা কাণ্ড। গাড়ি উল্টে যেতেই সেখান থেকে দেদার চুরি হয়ে যাচ্ছে বিয়ারের বোতল। মঙ্গলবারের ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (AndhraPradesh) কাসিমকোটা মন্ডল জেলার।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেয়াভরামের জাতীয় সড়কে মদ বহনকারী একটি ট্রাক যাওয়ার সময় উল্টে যায়। গাড়িতে মোট ২০০টি বক্স ভর্তি বিয়ার ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যাওয়ার পরে বিয়ারের বোতল গাড়ি থেকে মাটিতে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু বিয়ারের বোতল ভেঙে যায়। এরপর বিয়ারের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা ট্রাকের চালককে সাহায্য করার পরিবর্তে একে একে বিয়ারের বোতল কুড়োতে থাকেন।
অন্যদিকে জানা যায়, এই ঘটনার পর ট্রাকের চালক আহত হয়েছেন। তবে এমন মদ চুরি করার ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন কিছু নয়। মদ বহনকারী ট্রাক এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরে অন্ধ্রপ্রদেশে স্থানীয় মানুষজনদের মদের বোতল চুরি করার রেকর্ড এর আগে একাধিক রয়েছে।
অবশেষে আড়াই মাস পর জেল থেকে বেরোতে পারলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। ৭ ঘণ্টার জন্য জেলের বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল তাঁকে। তবে কিছু শর্ত রাখা হয়েছিল। ফলে আজ, শনিবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে ফিরলেন মণীশ সিসোদিয়া। তবে দেখা হল না স্ত্রীর সঙ্গে। সিসোদিয়া বাড়িতে ঢোকার আগেই স্ত্রীকে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে (Loknayak Hospital) ভর্তি করতে হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মণীশ সিসোদিয়াকে অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব সহ কোনও গ্যাজেট, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন সকাল ১০টার পর পুলিসের পাহাড়ায় মথুরা রোডে নিজের বাড়িতে পৌঁছন মণীশ সিসোদিয়া। কিন্তু এদিন সকালে সিসোদিয়া বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ফলে নিজের বাড়িতে কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁকে ফের তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী ব্রেন এবং নার্ভের জটিল রোগে ভুগছেন।
কিছুটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। অবশেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন মণীশ সিসোদিয়া। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Scam) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি তিনি। কিছুদিন আগেই প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তবে এবারে তাঁর স্ত্রী-এর জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।
তবে আজ, ২ জুন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। দিল্লি আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল, ৩ জুন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ইন্টারনেটে সংযোগ করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তীব্র দাবদাহে অস্বস্তিতে বঙ্গবাসী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে মদ বিক্রির পরিমাণ এক রেকর্ড ছুঁয়েছে। গরম থেকে স্বস্তি পেতে চুটিয়ে মদ খেয়েছেন বঙ্গবাসী। বিশেষ করে বিয়ার বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। এর ফলে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন মদ ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট ১৬,২৭২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। যা পশ্চিমবঙ্গে এক রেকর্ড গড়েছে।
জানা গিয়েছে, বিয়ার বিক্রি আগের বছর থেকে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ সালে মোট মদ বিক্রির ৯ শতাংশ বিক্রি হয়েছিল বিয়ার। আর বিয়ার বিক্রির পরিমাণ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৮ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দফতর সূ্ত্রে খবর, বাংলায় এই পরিমাণ মদ বিক্রি ইতিহাসে প্রথমবার ঘটেছে। শুধুমাত্র মদ বিক্রি নয়, গরমে বিয়ার বিক্রির পরিমাণও রেকর্ড তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছে আবগারি দফতর।
তবে রাজ্যে চোলাই মদ বা বিষমদের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আবগারি দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে, চোলাই মদ বা বিষ মদ যাতে বিক্রি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে আবগারি দফতর। আবার দেশি মদের গুণমানও উন্নত করতে চলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের আবগারি দফতর।
করোনাকালে মদ (liquor) বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। লকডাউন (Lockdown) হওয়ার আগে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল মদের দোকানের বাইরে। আর লকডাউন খোলার পর তো কার্যত মদ কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বলা যায়, মহামারীকালে মদ বিক্রির রেকর্ড ভেঙেছে একাধিক রাজ্য। বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)। রঙের উৎসবের দিনও রেকর্ড পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে দিল্লিতে। ফলে কোষাগারে যে ভালো পরিমাণে টাকা ঢুকল তা বলাই বাহুল্য।
আবগারি দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দিল্লিতে ২৩৪ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত অন্যান্য সময়ের থেকে অনেকটাই বেশি। দিল্লিতে ৬ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫৯ কোটি টাকার ব্যয়ে মোট ২৬,০২,০৪৩ বোতল বিক্রি হয়েছে মদ। যা গত ডিসেম্বরের বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে বিক্রি হওয়া পানীয়র মূল্যকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আর এবার দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে মাত্র একটি সপ্তাহে মদ বিক্রি করে সরকারের আয় হয়েছে ৬১০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে শুল্কের পরিমাণই প্রায় ১১০০ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, মোট মদ বিক্রির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিক্রি হয়েছে বিয়ার। মোট মদ বিক্রির মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বিয়ার বিক্রি হয়েছে দোলের দিন। আবার বিয়ারের পরেই বিক্রি হয়েছে ভোদকা।