সুস্থ থাকতে তো আমরা সবাই চাই। কিন্তু শুধু চাইলেই তো আর হয় না, তার জন্য কয়েকটি নিয়ম মানাও জরুরি। সেই সব নিয়মের মধ্যে প্রধান হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা। তবে এখনকার দিনের ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে ওয়ার্ক আউটের জন্য সময় আমরা অনেকেই বের করতে পারি না। আর এই ব্যস্ততার মধ্যেই অনেক ভুল কাজ করে থাকি আমরা, যার প্রভাব আমাদের শরীরের ওপর পড়ে। সময় বাঁচাতে আমরা অনেকেই সিঁড়ির বদলে লিফট বা এসক্যালেটরই ব্যবহার করি। কিন্তু এখানেই সবথেকে বড় ভুল করছি আমরা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিট হতে গেলে লিফট বা এসক্যালেটরের অভ্যাস ভুলে সিঁড়ি ভাঙা শুরু করা উচিত। জেনে নিন সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করলে শরীরে কী কী প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত সিঁড়ি ওঠার অভ্যাস থাকলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে। এছাড়াও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে পায়। আবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করলে বোন ডেনসিটির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাড় শক্ত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
লিফট ছিঁড়ে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু (Death)। পার্কস্ট্রিট (Park Street) মোড় সংলগ্ন এলাকার একটি বহুতল ওম টাওয়ারে চলছিল লিফট মেরামতির কাজ। জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে রয়েছে ৪টি লিফট। তার মধ্যে একটি লিফট (Elevator Breaks) উপরে উঠে যায়। বিল্ডিংয়ের লিফট অপারেটর রহিম ভিতরের দিকে মাথা এগিয়ে দেখছিলেন মেরামতির কাজ। সেসময় আচমকা লিফট ছিঁড়ে তাঁর উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তির নাম, রহিম খান। দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১১টার দিকে।
ওই বহুতলে একাধিক সংস্থার অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার কর্মীরা জানান, বহুদিন ধরেই লিফট অপারেটরের কাজ করছিলেন রহিম খান। তবে বহুতলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কর্মীদের অভিযোগ, প্রায়দিনই লিফটের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। বেশিরভাগ দিন সিঁড়ি দিয়ে যাতায়াত করেন ভয়ে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিফটের মেরামতি সঠিক ভাবে না করার অভিযোগ উঠেছে বারবার। লিফ্ট সংক্রান্ত কোনও না কোনও সমস্যা লেগেই থাকত। এর আগে লিফট মাঝপথে আটকে যাওয়ার ঘটনা একাধিক বার প্রকাশ্যে এসেছে। এ বার একেবারে লিফ্ট ছিঁড়ে অপারেটরের মৃত্যু হল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিস। লিফট সরিয়ে দেহ উদ্ধার করেন ডিমজি আধিকারিকরা। মৃতদেহ উদ্ধারে পর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এখন লিফট মেরামতির সময় কোনওরকম সুরক্ষার বন্দোবস্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সংসার চালাতে নিজের কষ্টকে তুচ্ছ করে খাবার ডেলিভারি (Food Delivery) করে চলেছেন যুবক। আর ওই যুবকের সঙ্গে লিফটে (Lift) দেখা হয় আবাসনের এক বাসিন্দার। আর তাঁদের দুজনের মধ্যিকার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল। ডেলিভারি বয়ের কথা শুনে, মন ভারাক্রান্ত আবাসিকের, সে কথাও ভাইরাল করেছেন ওই ব্যক্তি। এও বলেন, ডেলিভারি বয় থেকে শিক্ষা অর্জন করেছেন তিনি।
কী এমন ঘটেছিল? ওই যুবক যখন অর্ডার করা খাবার গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দিতে যায়, তখন লিফটে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় বাসিন্দা তারিক খানের। চোখ যায় যুবকের পায়ের দিকে। তারিক দেখতে পান, খালি পায়ে খাবার দিতে এসছেন। এর কারণ কী জানতে চাইলে যুবক বলেন, 'একটা দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে চোট লাগে। এতে তাঁর গোড়ালি ফুলে গিয়েছে। তাই ব্যাথার কারণে জুতো খুলে হাঁটছেন।'
তখন তারিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কাজ না করে বিশ্রাম কেন নিচ্ছেন না? উত্তরে যুবক বলেন, 'গোটা পরিবার তাঁর উপর নির্ভরশীল। কাজ না করলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।' এই জবাব শুনে আর কিছু বলতে পারেননি তারিক। লিফট থেকে বেরোনোর সময় যুবককে 'স্যার' বলে সম্বোধন করেন তারিক।