স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে এক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার শিকার খোদ তৃণমূলের যুব নেতা। অভিযোগ, ভুয়ো তৃণমূল কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণা করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই ভুয়ো তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তের সঙ্গে বিধায়ক এবং মন্ত্রীর ছবি ঘিরে শুরু বিতর্ক। প্রতারিত যুব নেতা প্রতারক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার পাকুড়তলার বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ তাঁতি প্রতারণার শিকার হন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে কৌতলা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি। গত সেপ্টেম্বর মাসে দলের কর্মসূচিতে গিয়ে আলাপ হয় পাথরপ্রতিমা বিধানসভার লক্ষ্মীজনার্দনপুর পঞ্চায়েতের মহেশপুরের বাসিন্দা প্রীতম কলার সঙ্গে।
অভিযোগকারী যুব তৃণমূল নেতার দাবি, প্রীতম তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদকের পদে ছিলেন। এরপর তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির টোপ দেন প্রীতম। এমনকি চার লক্ষ টাকায় গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি হয়। অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা নেয় প্রীতম। এরপর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির একটি নিয়োগপত্র হাতে পান পৃথ্বীরাজ। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গেলে সুপার জানিয়ে দেন এটি ভুয়ো নিয়োগপত্র। তারপরেই ফাঁস হয়ে যায় প্রতারণার জাল।
এরপর ওই প্রতারিত নেতা কলকাতা পুলিস ও সুন্দরবন পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রীতমের পরিবার তৃণমূল সমর্থক বলে জানান তাঁর মা রীণা কলা। তবে প্রতারণার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত।
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি বিল নিয়ে অযথা যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাতার ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি।
৪ ডিসেম্বর থেকে শীলকালীন অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেসময় ফৌজদারি বিল এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হতে পারে। মূলত ফৌজদারি বিলের ক্ষেত্রে অযথা তাড়াহুড়ো না করার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমান ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী আগেও সরব হয়েছেন। ওই প্রস্তাবিত আইনের ধারা নিয়ে চরম আপত্তি তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ফের বেকার হলেন ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের নিয়োগপত্র বাতিল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ, এই ৯৪ জন এতদিন টেট ছাড়াই চাকরি করেছেন। পর্ষদ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থী ছিলেন বলেই দাবি। চাকরি হয়েছিল দু বছর পর।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তথ্য যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁদের তথ্য যাচাই করে পর্ষদের রিপোর্ট, এরমধ্যে ৯৪ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। এমনকী, ওই শিক্ষকরা স্বীকার করেছেন, তাঁদের নিয়োগে অনিয়ম ছিল।
পর্ষদের বক্তব্য, নথি খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, ওই ৯৪ জন শিক্ষক টেট উত্তীর্ণ না হয়েই চাকরি পেয়েছেন। হাই কোর্টের নির্দেশ, তাঁদের নিয়োগ বাতিল নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে পর্ষদকে।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিও দিয়েছিলেন। সেই চিঠি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, অবশেষে ওই চিঠির জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো জবাবি চিঠির বিষয়টি জানান তিনি। ইতিমধ্যে ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাঠিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যদিও ওই চিঠিতে ঠিক কী বলা হয়েছে সেবিষয়ে কিছু জানাননি রাজ্যপাল।
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে প্রথমে দিল্লিতে ধরনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কলকাতাতে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেন তিনি। অবশেষে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি।
একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজভবন সম্পর্কে চির ধরেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী একে অপরকে ব্যাপক কটাক্ষ করেছেন। শনিবার সন্ধে নাগাদ স্পেন সফর শেষ করে রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেই ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপালের লেখা ওই চিঠির বিষয়বস্তু কী তা জানা যায়নি। তবে সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর সম্পর্কে জানতেই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রথম চিঠি পাঠাননি রাজ্যপাল। এর আগেও একাধিকবার রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এমনকী মধ্যরাতেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
একাধিক চিঠি পাঠালেও রাজ্য- রাজভবন সম্পর্কের কোনও উন্নতিই হয়নি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গলাতেও রাজ্যপালের কটাক্ষ শুনতে শোনা গিয়েছে। এই অবস্থায় শনি রাতে রাজভবনের তরফে হঠাৎ কেন চিঠি পাঠানো হল সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চিঠি লিখে এবার বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানালেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে লেখা ওই চিঠিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তথ্যবিকৃতির অভিযোগ করেছেন সাংসদ। তাঁকে সেন্সর করারও দাবি তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি স্পেন যাওয়ার পথে দুবাই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংঘের দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরস্পরের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়। সেই ছবি নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট ওয়ালে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছবি নিয়েই কাল্পনিক কথা লিখেছিলেন শুভেন্দু। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন ডেরেক।
জানা গিয়েছে, ওই সাক্ষাৎকারের সময় মমতার উদ্দেশে বিক্রমসিংঘ বলেন, "আপনি কি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন?" জবাবে মমতাকে বলতে শোনা যায়, "ওহ মাই গড"।
কিন্তু বিষয়টা এখানেই থেমে যায়নি। শুভেন্দু কাল্পনিকভাবে ওই কথপোকথন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন। ওই কাল্পনিক কথোপকথনে তিনি লিখেছিলেন, "আপনি কি আপনার রাজ্যকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন? যে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা!" কাল্পনিক কথাবার্তায় যার পাল্টা মমতার বক্তব্যে বিরোধী দলনেতা লেখেন, "আপনি নির্দেশ করেন আমি বাজার থেকে আরও টাকা ধার নিতে পারি।"
সূত্রের খবর, ডেরেক ওই চিঠিতে লিখেছেন, শুভেন্দুর কাল্পনিক কথপোকথনের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি হতে পারে।
একাধিক ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপাল তরজা অব্যাহত। নবান্ন ও দিল্লিতে রাজ্যপালের পাঠানো গোপন চিঠি নিয়েও জোর চর্চা চলছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফরের আগে তাঁকে আর টেনশন দিতে চাননা। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পর তাঁদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে নবান্নর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভামঞ্চে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। তারপরেই মুখবন্ধ খামে নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও চলছে জোর জল্পনা।
কী রয়েছে ওই চিঠিতে? এবিষয়ে সোমবার রাজ্যপালের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "গোপন বিষয় গোপন থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশ যাচ্ছেন। তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাইনা।"
এবিষয়ে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপালকে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা আলোচনা করার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনা করবেন তিনি। কোনও জুনিয়র অ্য়াপয়েন্টির সঙ্গে কথা বলবেন না বলেই জানিয়েছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি একান্ত কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী রয়েছে রাজ্যপালের গোপন চিঠিতে? তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। তিনি বলেন, যেটা গোপন সেটা গোপন থাকাই ভালো। এটা যিনি চিঠি দিলেন আর যিনি চিঠি পেলেন তাঁদের মধ্যেই গোপন থাক। শুধু চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কী রয়েছে তা বলতে পারবেন যিনি চিঠি গ্রহণ করেছেন তিনিই।
তবে এখানেই তিনি থেমে যাননি। ইঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রী ও নাম না করেই ব্রাত্য বসুকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন, জুনিয়র অ্যাপয়েন্টির কথার উত্তর দেব না। কোনও আলোচনার প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হবে। এখন এটা নিয়ে আলোচনা করার সময় নয় কারণ, মুখ্যমন্ত্রীকে টেনশন দিতে চাই না। তিনি বিদেশ যাচ্ছেন, বিদেশ থেকে ফিরলে এটা নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। রাজ্যে উচ্চশিক্ষার হাল ফেরানো থেকে শুরু করে নির্বাচনী সন্ত্রাস, রাজ্যপালের ভূমিকায় বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। কখনও মহিষাসুর তো কখনও রাজ্যপালের পোশাক নিয়ে তুলনা। একে এক শিকার হতে হয়েছে শাসক দলের কটুক্তির। আর এবার ফের রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে মহম্মদ বিন তুঘলকের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারই পাল্টা হিসেবে মিডনাইট অ্যাকশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। হুঁশিয়ারি মতোই শনিবার রাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দুটি গোপন চিঠি দেওয়া হয় রাজভবনের তরফে। কী রয়েছে চিঠিতে? তা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। সোমবার সে প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন রাজ্যপাল। আর তাতেই স্পষ্ট রাজ্যপাল যে একেবারেই হার মানার পাত্র নন।
এদিকে রাজ্যপালের মিডনাইট অ্যাকশনের হুঁশিয়ারির পরেই তড়িঘড়ি রাজভবনে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ওটা মুখ্যসচিব ও প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বৈঠক ছিল। এদিকে রাজ্যপালের মন্তব্যে সরব শাসক শিবির। আশ্চর্য ব্যাপার! রাজ্যপালের পোস্ট তো টেনশন দেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি। কটাক্ষ তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের। পাশাপাশি রাজ্যপালকে গুণ্ডা বলেও সম্বোধন করেন তিনি।
শাসক শিবিরের পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। এটা স্পষ্ট যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে টেনশন আছে। মন্তব্য বিজেপি নেতার। এখন কী রয়েছে চিঠিত? রাজ্যপালের কথা মতো কোন নতুন টেনশনেই বা পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার? সে উত্তর দেবে সময়েই।
কখনও অপহরণ, কখনও হুমকি বা খুন। কংগ্রেস কর্মীরা বাধ্য হচ্ছে তৃণমূলে যোগ দিতে। এমনই অভিযোগ করে, পরিস্থিতি বদলানোর দাবি জানিয়ে মমতাকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিরোধী সদস্যদের বিশেষ করে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের কখনও অপহরণ করা হচ্ছে বা কখনও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকী পুলিশ দিয়েও নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। এই পরিস্থিতির বদলাতে মমতার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রবিবারের চিঠিতে একইসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লিখেছেন, 'এই ভয়-ভীতি এবং হুমকির সম্মুখীন হয়ে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।'
চিঠিতে অধীরের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় থেকে ভোটের সময় এবং ভোটের পরে বাংলায় সন্ত্রাস ও রক্তক্ষয়ের ঘটনা সকলের জানা। কিন্তু নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণার পরে যখন বোর্ড গঠনের সময় আসছে তখনও একই ধরনের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে এই রাজ্যে। সে সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সম্মানীয় সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
চিঠিতে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, "এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও এই রাজ্যে আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জেতার পথ অবলম্বন করছে, তা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত? " এর পাশাপাশি তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, "এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও এই রাজ্যে আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জিততে যে ধরণের পথ অবলম্বন করছে, তা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত?" অধীরবাবু এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যেভাবে সম্পত্তি ও প্রাণহানির ভয় দেখিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের দ্বারা চাপ সৃষ্টি করে, খুনের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্য করার অপচেষ্টা চলছে সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন তাঁর চিঠিতে।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। গভীর রাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সকালে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সেই হুঁশিয়ারি মোতাবেক রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগেই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত, শুক্রবার বিকালে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ অর্থাৎ মধ্যরাতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। নানান জল্পনার মাঝে অবশেষে রাত ১২টার মিনিট দশেক আগে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হল। এই দুটি চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও এর যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে তা বলা বাহুল্য।
ওয়াকিবহালের অনুমান, রাজ্যপাল একটি চিঠি যেমন নবান্নে পাঠিয়েছেন, অপর চিঠিটি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন বলে একাংশের অনুমান। এবার এই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে, তা বলা বাহুল্য।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান ও নেত্রী সনিয়া গান্ধী। বিশেষ অধিবেশনে ৯টি বিষয় আলোচনার জন্য দাবি করলেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিকে জি-২০ সম্মেলনের আগে ইউরোপ উড়ে গেলেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের অন্তর্গত আইনজীবী, ছাত্রছাত্রী ও প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাহুল।
এদিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সনিয়া গান্ধী তাঁর চিঠিতে লিখেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সহমত না হয় এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর অ্যাজেন্ডা কী, কেউ জানে না। জানানো হয়েছে এই পাঁচদিন সরকারের কাজ আছে। সনিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে সহমত হয়েই যাতে এই বিশেষ অধিবেশনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যাদবপুরের হুমকি চিঠির ঘটনায় কতৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করল যাদবপুর থানার পুলিস। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও অতিরিক্ত রেজিস্টারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবার ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে একটি মামলা রুজু করল পুলিস।
সূত্রের খবর, যে নামে চিঠি এসেছে ওই নামের কোনও অধ্যাপক আদতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরী। ওই হুমকি চিঠিতে রেজিস্টার ও অতিরিক্ত রেজিস্টারকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল যে, 'সৌরভের গায়ে আঁচড় পড়লে গুলি করে খুন করে দেওয়া হবে।' পাশাপাশি ওই চিঠিতে দুজনকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। সূত্রের খবর, ওই চিঠির শেষে রানা রায় নামক এক ব্যক্তির নাম ও ঠিক ছিল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা কতৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিল এই চিঠির প্রেরক কি আদতে যাদবপুরের অধ্যাপক। তাঁর উত্তরে তদন্তকারীরা জানান এই নামের কোনও অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবে এই চিঠি কি করে এল, কিংবা কে এই চিঠি পাঠাল তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধার হল বিশেষ ডায়েরি। যা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সেখানে ডিনের উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আদৌ ওই চিঠি মৃত ছাত্রের লেখা কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে মৃতের বাবা সরাসরি দাবি করেছেন ওই চিঠি তাঁর ছেলের লেখা নয়।
রবিবার সকালে ওই ডায়েরিটি উদ্ধার করেন তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। এদিকে এই মামলায় সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল সংবাদমাধ্যমে জানান, একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এবং সেটি জোর করে লেখানো হয়েছে বলেই দাবি তাঁর।
ওই চিঠিতে এক বিভাগীয় সিনিয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই সিনিয়র প্রথম বর্ষের মৃত ছাত্রকে হস্টেলের পরিবেশ নিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতেন। ডিনকে এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
শুভশ্রী মুহুরী: বাংলা সিনেমা জগতে নব জোয়ার এনেছিলেন তিন পরিচালক, সত্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিক (Satyajit-Mrinal-Ritwick)। তৎকালীন বাণিজ্যিক ছবির প্লট ভেঙে তুলে ধরেছিলেন জীবনের প্রতিচ্ছবি, সমাজের প্রতিভূ। পরিচালকেরা প্রয়াত হয়েছেন কবেই। কিন্তু সেই সাদা-কালো চিত্রনাট্যের মায়ায় আজও আবদ্ধ সিনেমাপ্রেমী বাঙালিরা। সেই সময়ে পরিচালকদের পাশাপাশি তাঁদের স্ত্রী-পরিবার সবাই আত্মিক বন্ধনে জড়িয়ে পড়তেন। ভালো খারাপে একে অপরের পাশে দাঁড়াতেন। পরবর্তী প্রজন্ম কেবল তাঁদের গল্প শুনেছেন। তবে এবার সম্পর্কের লিখিত আখ্যান উঠে এলো এক চিঠিতে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি চিঠি ঘুরপাক খাচ্ছে। পুরোনো হলদেটে এক কাগজে, খানিকটা ছিঁড়ে যাওয়া নীল কালিতে লেখা একটি চিঠি। যেমন তেমন চিঠি নয়। পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রী চিঠি লিখেছিলেন মৃণাল সেনের স্ত্রীকে, তাও আবার মৃণাল সেনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে। বহু বছর পর মায়ের পুরোনো ব্যাগ ঘাটতে গিয়ে অমূল্য এই চিঠি খুঁজে পেয়েছেন মৃণাল পুত্র কুণাল সেন। সেই চিঠি সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। গীতা সেনকে কী লিখেছেন সুরমা ঘটক? সুরমা ঘটকের লেখা বানান, শব্দ গঠন এবং যতিচিহ্ন অপরিবর্তিত রেখে সেই চিঠি তুলে ধরা হল।
ঋত্বিক পত্নী সুরমা লিখেছেন, "গীতা আজ মৃণাল সেনের জন্মদিন। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মৃণালবাবুকে জানাচ্ছি। মৃণাল বাবুরা একটি যুগের প্রতীক। একটা স্বপ্ন নিয়ে-কাঁধে একটা ঝোলা নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলেন জীবনের পথে-এরপর সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। ইতিহাসের পাতায় মৃণাল সেন নামটি উজ্জ্বল হয়ে আছে ও থাকবে। - আর সত্যজিতের পরে মৃণাল ও ঋত্বিক, বা ঋত্বিক ও মৃণাল শব্দ দুটি সবসময়ই একসঙ্গে উচ্চারিত হয়।"
মৃণাল সেনের সঙ্গে ঋত্বিক পত্নী সুরমার সম্পর্কের সমীকরণ কেমন ছিল, সেই উল্লেখ পাওয়া যায় এই চিঠির পাতা থেকেই। সুরমা ঘটক লিখেছেন, "মৃণালবাবু সবসময়ই আমার প্রতি সহানুভূতিশীল। মনে পড়ে আমাকে শ্মশান থেকে হাত ধরে উনির বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ছিলে তুমি ও অনুপকুমার পরে বেলা ও নৃপেন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি। সবাই মিলে সেদিন আমায় উদ্বার করে দিয়েছিলে।"
সুরমা চিঠিতে তাঁর জীবনে মৃণাল সেনের অবদান নিয়ে আরও স্মৃতিচারণ করেছিলেন। তবে নেটিজেনদের বুকে বিঁধছে চিঠির শেষের দিকের একটি লাইন। সুরমা আক্ষেপের সুরে গীতা সেনকে লিখছেন, "একটা যুগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের মধ্যেইতো মানুষ বেঁচে থাকে।"
সামাজিক মাধ্যমে মৃণাল এবং ঋত্বিক প্রেমীরা এই চিঠি রেখে দিতে চাইছেন তাঁদের টাইমলাইনে। একটা যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই চিঠির প্রতিটি শব্দ, বয়ে চলেছে সেই সময়কাল।
শিবপুর এবং রিষড়া-কাণ্ডে প্রশাসনিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে তাঁরা রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের সই করা বিবৃতিতে সাম্প্রতিক ঘটনায় নাগরিক হিসেবে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তীব্রভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি, 'রাম নবমীর উদযাপনকে কেন্দ্র করে গত ছয় দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড সক্রিয় হয়ে উঠেছে, নাগরিক হিসেবে আমরা শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করছি।'
তাঁরা লেখেন, 'তীব্র ভাবে এই ঘটনাবলির প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সাধারণ মানুষের প্রাণ এবং সম্পত্তিরক্ষার দায়িত্ব পুলিস-প্রশাসনের। সেই দায়িত্ব পালনে পুলিসের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার তীব্র নিন্দা করছি। অবিলম্বে এই মেরুকরণের হিংস্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।'
এই বিবৃতিতে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছাড়াও সই রয়েছে সুজন মুখোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্য-সহ প্রমুখদের।