চাষের ক্ষেত থেকে উদ্ধার একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর দলগাঁও বস্তি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা যায় এবং চিতা বাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। চিতা বাঘের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে বের হয়েছিল। সেই সময় তারাই প্রথম চাষের জমির উপরে একটি মৃত চিতাবাঘ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। তবে ঠিক কী কারণে চিতা বাঘটির মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বনকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দু মাস ধরে ফালাকাটা ব্লক এলাকায় চিতা বাঘের উপদ্রব বেশ বেড়ে গিয়েছিল। তারপর এদিন সাত সকালে সেই এলাকারই একটি চাষের ক্ষেতে উদ্ধার হয় চিতা বাঘের মৃতদেহ। তবে চিতা বাঘটির কবে, কী ভাবে মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
একটি ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন জলদাপাড়ার বনদফতরের আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানে নামেন বনদফতরের কর্মীরা। সন্দেহের জেরে ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় লেপার্ডের চামড়া। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্য়ে একজনের বাড়ি কোচবিহার জেলার ঘুঘুমারি আর অপরজনের বাড়ি মালদহের সুজাপুরে। যদিও তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম গোপন রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার বনপাল রাজেন্দ্র শেখর জানান, কোচবিহারের দিক থেকে ফালাকাটার দিকে গাড়ি নিয়ে আসছিল ওই চোরাকারবারীরা। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিসের সাহায্য নিয়ে বনকর্মীরা সোনাপুরের কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন। সম্ভবত লেপার্ডের চামড়া পাচারের উদ্দেশ্য়ে অসম থেকে চামড়াটি আনা হচ্ছিল।
শুক্রবার ধৃত ওই দুজনকেই আলিপুরদুয়ার আদালতে পাঠিয়ে বারো দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ এবং চামড়া পাচারের সঙ্গে আরও বড়ো কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চা বাগানের নর্দমার মধ্য থেকে উদ্ধার হল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের (Leopard) মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের (Dooars) মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানে (Tea Garden)। কীভাবে চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য চিতাবাঘের দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা এসে চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকেরা দেখতে পান বাগানের মেইন ডিভিশনের ১৬ নম্বর সেকশনের একটি নর্দমায় লেপার্ড-এর দেহ পড়ে রয়েছে। খবর চাউর হতেই বহু মানুষ ভিড় জমান চা বাগান চত্বরে। আসেন বাগান কর্তৃপক্ষের আধিকারিকেরাও। তবে কীভাবে চিতাবাঘটি সেখানে এল? কীভাবে মৃত্যু হয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন দফতরের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন জায়গা থেকে চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এবারে বার্ধক্যজনিত কারণেই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে, নাকি চোরা পশু শিকারীর গুলিতে নিহত হয়েছে, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
ফের খাঁচাবন্দী হল আরও একটি চিতাবাঘ (Leopard)। দশদিন আগেই জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটার ভগৎপুর চা বাগানে উদ্ধার (Rescue) হয়েছিল একটি চিতাবাঘ। দশদিন যেতে না যেতেই আবারও নাগরাকাটার ভগৎপুর চা বাগানে খাঁচাবন্দী (Caged) হল আরও একটি চিতাবাঘ। চা বাগানের ৮ নম্বর সেকশনে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হয়েছিল বনদফতরের তরফে। বৃহস্পতিবার, সকালে সেই খাঁচার ফাঁদে বন্দী হয়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতা বাঘ। এই চিতাবাঘ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে চিতাবাঘের উৎপাত শুরু হয়েছিল ভগৎপুর চা বাগানে। এমনকি গৃহপালিত হাস, মুরগি, ছাগল নিয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটছিল। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাগানের বাসিন্দাদের মধ্যে। এরপর বাগান কর্তৃপক্ষকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাগানের ১৫ নম্বর সেকশনে খাঁচা পাতা হয়েছিল বনদফতর তরফে। ২২ জুলাই সেই ফাঁদে ধরা পড়ে একটি চিতাবাঘ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে ফের বাগানের ওই এলাকায় একটি গরু নিখোঁজ হয়ছিল। তখনই বুঝতে পারা যায় আরও চিতাবাঘের অস্তিত্ব রয়েছে বাগানে। বাগান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধে করে, তখনই ৮ নম্বর সেকশনে খাঁচা পাতার বন্দোবস্ত করে বনদফতরের কর্মীরা। এদিন সেই ফাঁদেই ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক চিকিত্সার পর চিতাবাঘটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের অনুমান, আরও চিতাবাঘ থাকতে পারে বাগানে। বনদফতরের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জানানো হয়েছে বনকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি চালাবে বাগানের আনাচে কানাচে।
মা চিতাবাঘ সহ দুই (Leopard) শাবকের মৃতদেহ (Death Body) উদ্ধার। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের থানজোড়া চা বাগানের তিন নম্বর সেকশনের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘোষপুকুর বন দফতরের কর্মীরা (Forest Division) তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মা চিতাবাঘ ও দুই শাবকের দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। এমনকি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও একটি চিতাবাঘের শাবককে উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে অসুস্থ চিতাবাঘ শাবকের চিকিৎসা চলছে বেঙ্গল সাফারিতে। পাশাপাশি মৃত মা চিতাবাঘ ও দুটি শাবকের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সর্বপ্রথম চা বাগানের চা শ্রমিকেরা মৃত চিতাবাঘগুলিকে দেখতে পান। এরপরই দ্রুত খবর দেওয়া হয় বাগানের ম্যানেজার সহ ঘোষপুকুর বন দফতরে। তবে কী কারণে বাঘগুলির মৃত্যু ঘটলো তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এ যেন লুকোচুরি খেলা খেলছেন চিতাবাঘ বাবাজী (Cheetah)। গ্রামের মানুষদের চোখে হঠাৎ, হঠাৎই দেখা দিচ্ছেন তিনি। অথচ বন দফতর এলে টিকিও দেখা মিলছে না তার। বন দফতরের(Forest Department) পাতা খাঁচার ফাঁদেও পা দেননি তিনি। তাই আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না স্থানীয় বাসিন্দা এবং চা শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ির পাতকাটা অঞ্চলের পাদ্রিকুটির, লেবুডাঙা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিতাবাঘের দেখা মিলছিল। এলাকায় একাধিক ছোট ছোট চা বাগান রয়েছে। বুধবার, সেরকমই একটি ছোট চা বাগানে কাজ করার সময় চিতাবাঘের অতর্কিত হানায় জখম হন এক চা শ্রমিক। এরপরই বন দফতরের তরফে খাঁচা পাতা হয় ওই বাগানে। কিন্তু তিনদিন কেটে গেলেও সেই খাঁচা ফাঁকাই পড়ে থাকে। যদিও মাঝে-মধ্যেই চিতাবাঘের দেখা মিলছে বলে দাবি স্থানীয়দের। শুক্রবার রাতে নাইট ডিউটি চলাকালীন বাগানের এক নিরাপত্তারক্ষী চিতাবাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেন। অতর্কিত হামলায় জখম হন গোপাল দাস। তাঁর চোখমুখে এখনো আতঙ্কের ছোঁয়া। বাগানে কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠি হাতে বাগানে টহল দিচ্ছেন। এলাকায় একটি চিতাবাঘই বারবার দেখা যাচ্ছে নাকি।
স্থানীয়দের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন চিতাবাঘটি ধরা হয়। কারণ, গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই চিতাবাঘটি। যার ফলে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে কোথাও বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন। শনিবার সকালে বন দফতরের তরফে এলাকায় টহলদারি চালানো হয়, ফাটানো হয় পটকা। কিন্তু তবুও দেখা মেলেনি চিতাবাঘের। কোথায় ঘাপটি মেরে আছে কে জানে। আচমকাই হয়তো ফের দেখা দেবে। দিন-রাত এই আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
জলপাইগুড়ির একাধিক গ্রামে চিতাবাঘের (Leopard) আতঙ্ক, জখম এক চা শ্রমিক। জলপাইগুড়ি পাতকাটা অঞ্চলের পাদ্রীকুটির লেবুডাঙ্গা এবং নাহাটা চা বাগানে চিতাবাঘের হানা বলে দাবি স্থানীয়দের। বুধবার পাতা তোলার কাজ করার সময় নাহাটা চা বাগানের এক শ্রমিক গোপাল দাস চিতাবাঘের আক্রমণে (Leopard Attack) জখম হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের বেলাকোবা রেঞ্জ ও গৌরীকোন বিটের বন কর্মীরা। যদিও দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পরও চিতাবাঘের দেখা পাননি তাঁরা। তবে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় খাঁচা বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে।
অন্যদিকে, বেলাকোবা অঞ্চলের ডাঙ্গাপাড়া এবং মন্থনী এলাকাতেও চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার বিকেলে একসঙ্গে তিনটি চিতাবাঘ দেখতে পান তাঁরা। খবর পেয়ে গৌরীকোন বিটের বন কর্মীরা আসেন। এলাকায় তল্লাশির পাশাপাশি পটকা ফাটান বন কর্মীরা। কিন্তু চিতাবাঘের দেখা মেলেনি। এই এলাকাগুলিতে অনেক ছোটো ছোট চা বাগান রয়েছে, যা চিতাবাঘের পক্ষে লুকিয়ে থাকার আদর্শ জায়গা। গ্রামবাসীদের অনুমান সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে চিতাবাঘ। একটি চিতাবাঘই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে, নাকি একাধিক চিতা বাঘ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকাগুলিতে চিতাবাঘকে ফাঁদে ফেলার জন্য খাঁচাও পাতা হয়েছে। তবে যতক্ষণ না চিতাবাঘ ফাঁদে পড়ছে ততক্ষণ আতঙ্ক কাটছে না বাসিন্দাদের।
চা বাগানে খাঁচাবন্দী হয় একটি লেপার্ড (Leopard)। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের আটিয়াবাড়ি চা বাগান এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে নিমতি রেঞ্জের বনকর্মীরা (Forest Department) পৌঁছে খাঁচাবন্দী লেপার্ডটিকে উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সোমবার খুব ভোরে খাঁচাবন্দী হয় লেপার্ডটি। এদিন সকালে আটিয়াবাড়ি চা বাগানের ১৬ নং সেকশনে বনদফতরের পাতা খাঁচাতেই ধরা পড়ে ওই পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডটি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে কাজ করতে গিয়ে বাগানের শ্রমিকরা খাঁচাতে ওই লেপার্ডটিকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে লেপার্ডটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বন দফতর সূত্রে খবর, পশু চিকিৎসক লেপার্ডটিকে পরীক্ষা করে সুস্থ ঘোষণা করেছেন। লেপার্ডটি সুস্থ আছে জেনে বক্সারের গভীর জঙ্গলে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই আটিয়াবাড়ি চা বাগানে লেপার্ডের উপদ্রব চলছে। এখনও পর্যন্ত দুজন শ্রমিক লেপার্ডের হানায় জখমও হয়েছে। তাই চা বাগান কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই বন দফতর লেপার্ড ধরতে খাঁচা পেতেছিল। এমনকি এই কাজে সফলও হয়েছে বন দফতর।
চিতাবাঘ (Leopard) বাচ্চা জন্ম দেওয়ার আগে নিরাপদ স্থান খুঁজে নেয়। জঙ্গলের মধ্যেই স্বভাবত জন্ম দিয়ে থাকে শাবকের। কিন্তু এবার একেবারে জঙ্গল ছেড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি এসে শাবকের জন্ম (Birth) দিল চিতাবাঘ। যা দেখে অবাক স্থানীয়রা এবং বন দফতরের কর্মীরাও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাগেশ্বর জেলার সিরকোট গ্রামে। জানা গিয়েছে, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের ওই বাড়িতে কয়েকজন থাকতেন। কিন্তু তাঁরা বেশিরভাগ সময় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে বাইরে থাকতেন। ফলে ওই বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকত।
এছাড়া জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় ওই এলাকায় জনবসতিও কম ছিল। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে ওই মা চিতাবাঘ। পরিত্যক্ত ঘরে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে সে। সেই এলাকায় থাকা বন দফতরের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ওই চিতাবাঘের ছবি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মা চিতাবাঘের গর্জন শুনেছেন এর আগে। পরে বন দফতরের লোকেরা এসে নজর রাখছিলেন চিতাবাঘের শাবকের উপর। জানা গিয়েছে, চিতাবাঘ জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে শাবকদের।
উল্লেখ্য, বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, তিনটি শাবকের মধ্যে দুটি শাবককে মুখে করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে মা চিতাবাঘ। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তখন একটি শাবক ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে রয়েছে। সেই শাবককে দুধ খাইয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। ওই এলাকায় চিতাবাঘের গতিবিধির নজর রাখতে তিনটি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। অপর এক শাবককে উদ্ধার করেনি বন দফতরের কর্মীরা। অপেক্ষায় রয়েছেন, মা চিতাবাঘ এসে কখন ওই শাবককে জঙ্গলে নিয়ে যায়।
আবারও চিতাবাঘের আক্রমণে (leopard Attack) আহত এক মহিলা চা শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বাগডোগরা (Bagdogra) চা বাগানে (Tea Garden) চা পাতা তোলার সময় চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েন মহিলা। ওই মহিলার উপর চিতাবাঘটি লাফিয়ে পড়ে। এর ফলে মহিলা মুখে গুরুতর আঘাত পান। আক্রান্ত মহিলা অঞ্জলী কেরকাট্টা (২০)। মহিলা চিৎকার শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি।
পরে শ্রমিকরা আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ক্ষত এতটাই গুরুতর যে সেখান থেকে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অপরদিকে, ওই আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে শান্তি বরাইক নামে আরও এক মহিলা শ্রমিক চা-পাতা তুলছিলেন। চোখের সামনে সবটা দেখে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরবর্তীতে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগেও ওই এলাকায় চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে। এলাকায় চিতাবাঘ বারবার নজর আসায় আতঙ্কে রয়েছেন বাগান শ্রমিকরা।
খাঁচাবন্দি হল একটি লেপার্ড (Leopard)। বৃহস্পতিবার সকালেই বন্দি করা হয় লেপার্ডটি। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগান এলাকায়। বন দফতরের (Forest division) পাতা ফাঁদে বন্দি হয় লেপার্ডটি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন দফতরের আধিকারিকরা খাঁচাবন্দি লেপার্ডকে উদ্ধার করে। লেপার্ডকে উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়া নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর লেপার্ডটি বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মেচপাড়া চা বাগানে লেপার্ডের হামলায় জখম হয় এক শ্রমিক। পরবর্তীতে বন দফতরের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের পক্ষ থেকে মেচপাড়া চা বাগানে খাঁচা বসানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেই খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায় একটি লেপার্ডকে। চা বাগানের শ্রমিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যাওয়ার সময় বাগানের শ্রমিকরা দেখতে পায় লেপার্ডটি খাঁচাবন্দি হয়েছে।
পরবর্তীতেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন দফতরের আধিকারিকরা খাঁচাবন্দী লেপার্ডটি উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে যায়। এক রেঞ্জ অভিসার অঙ্কন নন্দী জানান, বুধবার রাতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সকালেই তা সফল হয়েছে। কিছু শারীরিক চিকিত্সা করিয়ে লেপার্ডকে বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই পুরুষ লেপার্ডের বয়স ছিল প্রায় ১২ বছর।
চিতাবাঘের (Tiger Attack) হামলায় মৃত্যু ৫৩ জনের! মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) চন্দ্রপুর জেলাতেই ঘটেছে এই হাড়হিম করা ঘটনা। ২০২২ সালে ঘটেছে এই ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চন্দ্রপুর-সহ বিদর্ভের অরণ্যভূমিতে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে, অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় ‘মানুষখেকো’ বাঘটিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই অঞ্চলের যাবৎমলে। গুলি করে মারা ওই বাঘের নাম ছিল অবনী। সেই বিষয়ে ছবিও হয়েছে বলিউডে। পনডারকাওড়া, টিপেশ্বর এলাকায় দু’বছরে ১৩ জন মানুষকে ‘খুনের’ অভিযোগ উঠেছিল অবনীর বিরুদ্ধে। তাই ২০১৮ সালের নভেম্বরে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল তাঁকে।
মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার সোমবার বিধানসভায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন বাঘের হামলার শিকার হয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, বিদর্ভ অঞ্চলের আরও কয়েকটি জেলাতেও বাঘ-চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী।
তবে তিনি আরও বলেন, 'গেল বছরেও বিদর্ভে বিভিন্ন কারণে ১৪টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।'
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করল এক চিতাবাঘ (Leopard)। পাকিস্তান থেকে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করল সে। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সাম্বা জেলার রামগড় সাব সেক্টরের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে চিতাটি। তবে তাকে নিয়ে একটু বিপাকে পড়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা। তাই স্থানীয়দের সতর্ক করে দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ফলে ভীতস্ত হয়ে আছে স্থানীয়রা।
#WATCH | A leopard was spotted entering Indian territory by crossing the International Border from Pakistan side in Ramgarh Sub Sector of Samba today around 7pm. Police issued an alert for the locals residing near the border.
— ANI (@ANI) March 18, 2023
(Source: BSF) pic.twitter.com/Zii349MdW4
পাক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গিরা। তবে এই বারের ছবিটা যেন একটু অন্যরকম। পাক সীমান্ত ছেড়ে চিতাবাঘটি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে কাঁটাতারের নীচ দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে চিতাটি। তারপরই পালিয়ে যায় জঙ্গলে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাল ভিডিওতে একজন লিখেছেন, ‘‘চিতাবাঘটিও আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছে না। সে দেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করছে না চিতাবাঘটি।’’
চিতাবাঘের (Leopard Attack) হানায় জখম হলেন এক চা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানে। আহতকে অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। জানা গিয়েছে, জখম ওই চা শ্রমিকের নাম টিকে থোকর। ঘটনার দিন বিকেলে টিকে নামের ওই ব্যক্তি চা বাগানে কাজ করছিলেন। আচমকাই তাঁর উপরে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ। তাঁর চিৎকার শুনে অন্য শ্রমিকরা ছুটে এলে চিতাবাঘটি ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, ফের বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল চিতল হরিণ। বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে ৮৬টি চিতল হরিণ নিয়ে এসে বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘেদের খাদ্য ভান্ডার সুনিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত, জানালেন বন দফতর। বন দফতর থেকে আরও জানা যায়, মোট তিনটি কন্টেনারে চাপিয়ে হরিণ গুলিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ধকল কাটিয়ে হরিণ গুলিকে সুস্থ অবস্থাতেই প্রকৃতিতে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
চলন্ত স্কুটিতে চিতাবাঘের (Leopard Attack) হামলা। চিতাবাঘের আক্রমণে আহত স্কুটি আরোহীর মৃত্যু। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Incident) মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানের এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম সফিকুল ইসলাম, বয়স ৫০ বছর। জানা গিয়েছে, পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি ওই আইভিল চা বাগানে মিস্ত্রির কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতোই সোমবার রাতে কাজ শেষ করে স্কুটিতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সফিকুল। ঠিক তখনই চা বাগানের নির্জন রাস্তায় একটি পাম্প ঘর থেকে হঠাত্ একটি চিতাবাঘ এসে তাঁর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত ওই ব্যক্তি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে তাড়াতাড়ি মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে রাতেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক জানান,পথেই মৃত্যু হয়েছে সফিকুলের।
মঙ্গলবার হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। বন বিভাগের খুনিয়া স্কোয়াডের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।