Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

LeftFront

G20: 'বাম আমলে উন্নয়ন স্তব্ধ ছিল', জি-২০-র মঞ্চে সরব মমতা, তাঁর আমলে '১২ মিলিয়ন চাকরি'

বাম আমলে (Left Era in Bengal) বাংলায় উন্নয়ন স্তব্ধ ছিল, রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের ভার ছিল। আমরা এসে রাজ্যকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে G-20 বৈঠকের উদ্বোধনে এই দাবী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। তাঁর সরকারের ১১ বছরের রাজ্যব্যাপী প্রায় ১২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান হয়েছে। এদিন বিশ্ব বাংলা কনভেনশন (Biswa Bangla Convention Center) সেন্টারে দাঁড়িয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, সোমবার অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি থেকে থেকে শুরু হওয়া জি ২০ বৈঠক চলবে ১১ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত।  বিশ্বের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়েই এই দু'দিন আলোচনা হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। এদিন এই সম্মেলনের উদ্বোধনে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমরা এমন এক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি যাঁদের বাম মতাদর্শ ছিল। তাদের ৩৪ বছরের শাসন শেষে আমরা ক্ষমতায় আসি। ক্ষমতায় এসে আমরা দেখি বাংলায় কোনও আর্থিকবৃদ্ধি, উন্নয়ন নেই স্তব্ধ হয়েছিল। রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা। কিন্তু আমাদের সময়ে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি কোভিডকালেও আমরা উন্নয়ন করেছি।'

রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান প্রসঙ্গেও সোমবার সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের রাজ্যের জিডিপি ৪ গুণ বেড়েছে। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৪ গুণ। আমরা ১২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান করতে সমর্থ হয়েছি।'

তাঁর দাবী, 'আমরা মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দিই। মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা সবচেয়ে জরুরি। কারণ সরকার মানে মানুষের, মানুষের জন্য এবং মানুষের দ্বারা।'

one year ago
Left: সামনে পঞ্চায়েত ভোট, কি ভাবছে বাম শরিকরা?

প্রসূন গুপ্ত: একটা সময়ে কথাই ছিল পশ্চিমবঙ্গে নাকি বাম মনোভাবাপন্ন মানুষের বাস। একটি অঙ্গরাজ্যে এমনটি কি হতে পারে, যুক্তিতে আসে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে ১৯৭৭ থেকে এ রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ ৩৪ বছর তারা ক্ষমতা উপভোগ করছে। তারপর সেই যে তারা ক্ষমতা হারালো এবং দিনের পর দিন ক্ষয়িষ্ণু হলো, তা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাওয়ার আশা কোথায়? এখন এই মুহূর্তে সরকারিভাবে বিরোধী দল বিজেপি, যাদের ২০১১-তে কোনও অস্তিত্ব ছিল না এই রাজ্যে। বিধানসভায় একটিও আসন তারা পায়নি। আর আজকে সেই বামেদের বিধানসভায় শূন্য আসন এবং এই রাজ্য থেকে লোকসভাতেও শূন্য। রাজ্যসভায় সবেধন একটি আসন তাও আগামীতে শূন্য হয়ে যাবে, সাংসদ হিসেবে বিকাশ ভট্টাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে।

কিন্তু তাই বলে কি দীর্ঘদিনের একদল বামপন্থী দল শেষ হয়ে যায়? এ দেশে বিপ্লব হয়নি। সংসদীয় গণতন্ত্রে সিপিএম থেকে বাকি দলগুলি লড়াই করেছে। কমিউনিজম নামেই, মার্ক্সবাদ কথাতে রয়ে গিয়েছে। ৭০ দশকে যারা বন্দুক হাতে নিয়েছিল তারা আজ ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু এই রক্তক্ষয়ী অবস্থায় বামেরা কতদিন অপেক্ষা করবে সুসময়ের জন্য?

একসময়ের তাবড় বাম নেতাদের অধিকাংশই প্রয়াত, রয়েছেন বিমান বসু। একা বিমান বসু যে দলকে তুলে ধরবেন সেই বয়স বা শক্তি তাঁর এখন আছে কি? অন্যদিকে অন্য বাম দলগুলির কী অবস্থান সেটাও মস্ত প্রশ্ন। কোথায় আজ আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক, সিপিআই বা এসইউসি? এই দলগুলিকে নিজ শক্তিতে কোনও আন্দোলন বা সভা-সমিতি করতে দেখা যায় না। বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় আরএসপির দীর্ঘদিনের নেতা অশোক ঘোষকে দেখা গেলো বিরাটি অটো স্ট্যান্ডের সামনে।

কোনও এক অটোচালকের সঙ্গে অনেক্ষণ কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণ বাদে অটো চালক অবশেষে প্রশ্ন করলো, সে তো বুঝলাম কিন্তু দাদার নামটা কি? হতাশ হয়ে নেতা জানালেন, অশোক ঘোষ। এই তো অবস্থা, সিপিএম নেতা একসময় জানিয়েছিলেন, নব্য যুবারা এবারে নেতৃত্বে এসেছে কাজ করবে ওরা। সোশাল নেটের যুগে রাজ্যের যুব মহল সকলেই নিজের নিজের কেরিয়ারে ব্যস্ত, এখান থেকে নব্য বিপ্লব সম্ভব কি?

one year ago
Manab: প্রয়াত সিপিএম নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

দীর্ঘ রোগভোগের পর মল্লিক বাজারের এক নার্সিংহোমে প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় (Manab Mukherjee Death)। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই সিপিএম নেতার (CPM Leader)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। সম্প্রতি দু'বার সেরিব্রাল স্ট্রোকের আক্রান্ত হয়েছিলেন বামফ্রন্ট আমলের (Left Front Government) এই মন্ত্রী এবং বেলেঘাটার প্রাক্তন বিধায়ক (former Beleghata MLA)।

জানা গিয়েছে মঙ্গলবার চক্ষুদানের পর পিস হেভেনে শায়িত থাকবেন মানব মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। বুধবার অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর সেখান থেকে দেহ বের করে প্রথমে বেলেঘাটা পার্টি অফিস, সেখান থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং জেলা অফিস হয়ে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই হবে প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রীর দেহদান। ২০১১ সাল পর্যন্ত সিপিএম-র বিধায়ক ছিলেন মানব মুখোপাধ্যায়। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে একাধিক দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পর্যটন, তথ্য-প্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন রাজ্য রাজনীতিতে সুবক্তা হিসেবে পরিচিত এই সিপিএম নেতা।

১৯৫৫-র ২৪ অগাস্ট টালিগঞ্জের হরিপদ দত্ত লেনে জন্ম মানব মুখোপাধ্যায়ের। যোধপুর পার্ক বয়েজ হাইস্কুলের প্রাক্তনী, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে ভারতের যুব ফেডারেশন বা ডিওয়াইএফআআই-র রাজ্য সম্পাদক নিযুক্ত হন প্রয়াত এই বাম নেতা।

আজীবন বামপন্থী এই নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই মল্লিকবাজারের নার্সিংহোমে জড়ো হয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, রবীন দেব এবং সিপিএম জেলা কমিটির সম্পাদক প্রমুখরা।

one year ago