সেনাবাহিনীর বাকি মহিলা অফিসারদের মতোই অগ্নিবীর প্রকল্পে নিযুক্ত মহিলা জওয়ানরাও মাতৃত্বকালীন, সন্তান পালন এবং দত্তক নেওয়ার যাবতীয় সুবিধা পাবেন এখন থেকে। প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
কেন্দ্রের বিবৃতি অনুসারে, মহিলা সেনার পদ মর্যাদা নির্বিশেষে সকলেই একই সুবিধা পাবেন। প্রসঙ্গত, এত দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদেই মহিলাদের নিয়োগ করা হত। অগ্নিবীর প্রকল্পে তার থেকে নিচু পদেও নিয়োগ করা হচ্ছে।
এখন থেকে সেনাবাহিনীতে সকল পদের মহিলারাই গোটা কর্মজীবনে সন্তান পালনের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬০ দিনের ছুটি পাবেন। সন্তানের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই ছুটি পাবেন। যাঁদের সন্তান শারীরিক ভাবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অক্ষম, তাঁদের জন্য নিয়মে ছাড় রয়েছে। মহিলা জওয়ানেরা ১৮০ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সারা কর্মজীবনে দু’বার সন্তান ধারণ করলে বা দু’টি সন্তানের জন্য এই ছুটি পাবেন। এক বছরের কম বয়সি শিশু দত্তক নিলে, দত্তক নেওয়ার দিন থেকে ১৮০ দিন ছুটি পাবেন সকল মহিলা জওয়ান।
শহর কলকাতায় শুরু হয়েছে উমার আগমনের কাউন্ট-ডাউন। চারপাশে সাজ সাজ রব। প্রায় প্রত্যেক বাঙালি ঠিক করে ফেলেছেন তাঁদের পুজোর প্ল্যান। মণ্ডপ ঘোরা থেকে খাওয়াদাওয়ার সমস্ত প্ল্যানই মোটামুটি ফাইনাল অনেকেই। কিন্তু উৎসবের মরসুমে প্রত্যেকবারই মানুষকে আনন্দের সুযোগ করে দিতে নিজেদের পরিবার পরিজন ছেড়ে রাস্তায় ডিউটি করতে হয় পুলিসকর্মীদের। চলতি বছরেও সেই নিয়ম মেনেই পুলিস কর্মীদের ছুটি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা লালবাজারের।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপূজো, কালীপুজো এবং ছট পুজোর উৎসবের জন্য সমস্ত ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে পুলিসকর্মীদের। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর ও ১০ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত কলকাতা পুলিসের অধীনস্থ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও রকম ছুটি নেওয়া যাবে না। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা পুলিসের সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উল্লেখিত কয়েকদিন কোনওরকম জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনও পুলিস কর্মীকে ছুটি দেওয়া যাবে না।
পুজো মানেই শুধু শহরবাসী নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও আগতরা ভিড় জমাবেন শহরে। ফলে স্বভাবতই শহরে লোকসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সম্ভাবনা রয়েছে দুর্ঘটনা বাড়ার পরিমাণেরও। তাই আগেভাগেই প্রস্তুত হয়ে লালবাজার হেডকোয়াটার্সের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নোটিস। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ভাবে উৎসবের মরসুম পার করাই আপাতত লক্ষ্য লালবাজারের।
জনপ্রিয়তার নিরিখে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যে বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতাদেরও ছাপিয়ে গিয়েছেন, তা একাধিকবার রিপোর্টে এসেছে। এককথায় তাঁর জনপ্রিয়তা শীর্ষে গিয়ে পৌঁছেছে। আর এবারে মোদীর বিষয়ে আরও এক চমকে দেওয়ার মত খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একদিনও 'ছুটি' (Leave) নেননি। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীত্বের সাড়ে ন'বছরের কেরিয়ারে একদিনও 'ছুটি' নেননি তিনি, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে।
জানা গিয়েছে, আরটিআই বা রাইট টু ইনফরমেশনে (Right to Information) দাখিল হওয়া প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে উত্তর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রফুল্ল পি সারদা নামে এক ব্যক্তি দুটি আরটিআই দাখিল করেছিলেন। যেখানে তিনি দুটো প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। প্রথম প্রশ্ন ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কতদিন দফতরে উপস্থিত ছিলেন তিনি?' দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কত গুলো ইভেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন?' এর পরই প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে প্রথম প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিদিন সময় মতো দফতর এসেছেন। এমনকি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও ছুটি নেননি তিনি।' দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজারের বেশি ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া উত্তর নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswasharma)। দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর গর্ববোধ করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'MyPmMyPride'। তবে শুধুমাত্র অসমের মুখ্যমন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর তাঁর কাজের প্রতি এমন নিষ্ঠা দেখে বেজায় খুশি মোদী অনুরাগীরাও।
#MyPmMyPride pic.twitter.com/EPpkMCnLke
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) September 4, 2023
সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকে প্রসব হওয়া পর্যন্ত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন (Maternity Leave) ছুটি দেওয়া হয়। এই সুবিধা বিশেষ করে সরকারি মহিলা কর্মীরাই পেয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে বেসরকারি সংস্থাতেও দেওয়া হয় ছুটি। এবারে 'চাইল্ড কেয়ার লিভে'র (Child Care Leave) মেয়াদ বাড়ানো হল। বুধবার লোকসভায় (LokSabha) ঘোষণা করা হয়েছে, সন্তানদের যত্ন নেওয়া বা চাইল্ড কেয়ার হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা কর্মীরা মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। এখানেই শেষ নয়, সিঙ্গল বাবারাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, সরকারি মহিলা কর্মীরা সন্তানদের যত্ন নেওয়ার জন্য মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। তবে সর্বাধিক দু'সন্তানের ১৮ বছর হওয়া পর্যন্তই এই ছুটি নিতে পারবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা। আবার সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানের জন্য কোনও বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।
জিতেন্দর সিং বলেন, 'কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস নিয়ম ৪৩-সি ধারার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা ও সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরা সর্বাধিক ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভ পাবেন।' আরও জানানো হয়েছে, এই ছুটি সন্তানের দেখভাল, অসুস্থতার জন্য দেওয়া হচ্ছে। পুরো চাকরি জীবনের যে কোনও সময় এই ছুটি মোট ৬ টি ধাপে নেওয়া যাবে।
একবছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave) পাবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা, এমনটাই জানালেন সিকিমের (Sikkim) মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধুমাত্র মহিলারাই নন, তাঁদের পাশাপাশি ছুটি পাবেন পুরুষ কর্মীরাও। কিন্তু পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় থাকছে মাত্র এক মাস।
বুধবার সিকিম স্টেট সিভিল সার্ভিস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসসিএসওএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণ দিয়ে গিতে মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সরকারি মহিলা কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই পরিষেবার নিয়মগুলিতে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সন্তান ও পরিবারের ভালোমত যত্ন ও পরিচর্যা করার জন্য়ই এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম সরকার।
প্রসঙ্গত, সিকিমের পুরনো আইন ম্যাটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট ১৯৬১-এর অধীনে সিকিমে সরকারি মহিলা কর্মীরা ২৬ সপ্তাহের বেতন সহ ৬ মাসের ছুটি পেতেন। এবারে সেই ছুটির মেয়াদই বাড়ানো হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অফিসাররা রাজ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ড, তাঁরা সিকিম এবং এর জনগণের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।' ফলে তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন ২২ জেলায় সমস্ত সরকারি দফতর বন্ধ থাকবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে (Notice) জানানো হয়েছে, বন্ধ থাকবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। ওই দিন সরকারি ও বেসরকারি দফতরের কর্মীরা সবেতন ছুটি (Paid Leave) পাবেন। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবেতন ছুটি দেওয়ার বিষয়টি মঞ্জুর করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। রাজ্যের পুরসভা এলাকায় কর্মসূত্রে থাকেন, অথচ পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার, তাঁদেরও সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে ছুটির দিন আগেই ঘোষণা করেছিল শ্রমদফতর। পরে ওই বিজ্ঞপ্তির কথা উদ্ধৃত করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ২২টি জেলার জেলাশাসকের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। রাজ্যের ২০টি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদ আসনে এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কেবল গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আগামী শনিবার নির্বাচন হতে চলেছে।
ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি কর্মচারীরাও। মনে করা হচ্ছে, ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই ছুটি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি (Government Employee) কর্মচারীদের জন্য নতুন ঘোষণা। আরও ১২ দিন বাড়ানো হলো সরকারি কর্মচারীদের বার্ষিক ছুটি। তাই এখন কেন্দ্রীয় কর্মীরা আগের থেকে ১২ দিন বেশি ছুটি পাবেন। কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা অঙ্গ দান করার পরে ৪২ দিনের একটি বিশেষ ছুটি (Special Leave) পাবেন।
ডিওপিটি-র (DOPT) জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যেকোনও কর্মচারীর শরীরের কোনও অংশ দান করলে তাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। যার ফলে ওই ব্যক্তির সুস্থ হতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। তাই তাঁদের সাহায্য করার জন্য বার্ষিক ৩০ দিনের ছুটি বাড়িয়ে ৪২ দিন করা হয়েছে। আর এই নিয়মটি নির্ধারণও করা হয়েছিল। তবে তা কার্যকর হয়েছে ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩ সালে।
তবে এই নিয়মটি সব কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়, জানাল ডিওপিটি। এই নিয়ম কোনও রেল কর্মচারী ও অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এমনকি সরকারের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দাতার অঙ্গ অস্ত্রোপচারের জন্য এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফের কাজে দেওয়ার জন্যই এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে চিকিত্সকের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই ছুটি দেওয়া হবে এবং হাসপাতালে ভর্তির সপ্তাহ আগেই এই ছুটি নিতে পারবে দাতা।
দক্ষিণী সুপারস্টার রামচরণ তেজা (Ramcharan Teja) বাবা হতে চলেছেন। সন্তানের আগমনবার্তা পেয়েছেন বিয়ের দশ বছর পর। নবাগত আসার আগেই বাবার দায়িত্ব নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন তিনি। সন্তানের জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠার মুহূর্ত উপভোগ করতে চাইছেন রামচরণ। স্ত্রীয়ের পাশেও যথার্থ স্বামীর দায়িত্ব পালন করতে চাইছেন। তাই শোনা গিয়েছে, পিতৃত্বকালীন (Paternity Leave) ছুটির আবেদন করেছেন তিনি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেছেন।
রামচরণের সময় বেশ ভালোই যাচ্ছে। আরআরআর সিনেমার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। অস্কারের মতো সম্মান এসেছে তাঁর অভিনীত সিনেমায়। অভিনয় জগৎ থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়ে তাই স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে মূল্যবান সময় কাটাতে চাইছেন। সদ্য ঘুরে এসেছেন মালদ্বীপ থেকে। মেজাজ বেশ ফুরফুরে। মে মাসের শেষেই তাঁর সন্তান পৃথিবীর এল দেখবে। সেই শুভ মুহূর্তের প্রহর গুনছেন পিতা। তাই নেটিজেনরা বলছেন, অভিনেতার আসন্ন সন্তান তাঁর জন্য লাক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে।
আরআরআর সিনেমার পর রামচরণ তেজার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই একাধিক পরিচালক তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন। তবে সিনেমার সাফল্যের পর রামচরণ কিছু মাস 'ফ্যামিলি ম্যান' হয়েই থাকতে চাইছেন।
যদি কাজ না করেই টাকা পাওয়া যেত, এমনটা ভাবলেও কতটা ভালো লাগে, তাই তো! তবে কাজ না করেই টাকা পাবেন, এমনটা কল্পনাতেও আসে না। কারণ এমনটা হতেই পারে না। তবে চিনে এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চিনের এক সংস্থার কর্মী 'পেইড লিভ' পেয়েছেন তাও আবার এক-দু'মাসের জন্য নয়, এক বছরের জন্য। পেইড লিভ অর্থাৎ আপনি ছুটিতে থাকবেন, তবু আপনি আপনার বেতন পাবেন মাসের শেষে।
জানা গিয়েছে, এমনটা ঘটেছে এক লটারির জন্য। চিনের ওই সংস্থায় কর্মীদের নিয়ে একটা লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। কাজের জন্য একঘেয়েমি জীবন, আর থেকেই মুক্তি দিতে এক গেম বা লাকি ড্র-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সেই কর্মী এই পুরস্কারটি জিতেছেন। সমাজমাধ্যমে এক ছবি ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক কর্মী লাকি ড্র জিতেছেন ও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এক বড় চেক।
তবে এই কর্মীর ভাগ্য ভালো তাই লাকি ড্র-তে এই পুরস্কারটি পেয়েছেন, তবে যাঁদের ভাগ্য তাঁদের সেদিন সঙ্গে ছিল না, তাঁরা পেনাল্টিও পেয়েছেন। যেখানে কোনও কর্মীকে একজন ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে কিছুদিনের জন্য, অনেকে আবার দু-দিনের পেইড লিভ পেয়েছেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন চাকরি গেল নবজাতক মায়ের। মেটা (Meta) সংস্থা আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে কর্মী ছাঁটায়ের (Lay off) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে সে কাজ। আর ছাঁটায়ের তালিকার মধ্যে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত অন্নেকা পটেলও। মধ্যরাতে সদ্যোজাত সন্তানকে খাওয়াতে উঠে সংস্থার ছাঁটাইয়ের এই মেল দেখতে পান তিনি। সেই মেলে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে (maternity leave) থাকাকালীন তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অন্নেকা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই দু:সংবাদ শেয়ার করে লেখেন, ভোর ৫টায় তাঁর কাছে এই মেল এসেছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মী ইতিমধ্যে ছাঁটাই করেছে মেটা। অন্নেকা বলেন, 'দু'বছর আগে করোনা অতিমারির সময় একপ্রকার জোর করে মেটা তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিল। সে সময় একসঙ্গে এত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, তা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।' বৃহস্পতিবার দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, মেটা সংস্থা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, বাড়ি থেকেই কাজ করছিলেন তিনি। কয়েক মাসের সদ্যোজাতকে সামলে বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ সামলাচ্ছিলেন। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতিও দিয়েছিল সংস্থা। মা হওয়ার পর মেয়েদের এমনিতেই নানারকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়, সেখানে এই খবরে মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে কানাডায় সদ্য পা রাখা হিমাংশু ভি-ও এক পরিস্থিতির শিকার। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “মেটা সংস্থায় নিযুক্ত হওয়ার দুদিনের মাথায় আমার পথচলা শেষ হয়ে গেল।”
বড় ঘোষণা! মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্ত। এতে লাভবান হবেন কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মচারীরা (Female Central Government Employees)। ঘোষণায় বলা হয়েছে, জন্মের কয়েকদিনের মধ্যে একটি শিশুর মৃত্যু (Infant Death) হলে বা প্রসবকালীন সদ্যোজাতের মৃত্যু হলে মায়েদের ৬০ দিনের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি (Special Maternity Leave) দেওয়া হবে। কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের এমনই সিদ্ধান্তের কথা শুক্রবার জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্মীবর্গ আরও জানিয়েছে, মৃত সন্তান প্রসব করা বা প্রসবের কয়েকদিন পর সন্তানের মৃত্যু হলে একজন মা-এর মানসিক স্থিতিশীলতা থাকেনা। অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণা ও শোকের মধ্যে কাটাত্বে হয় মাকে। তাই সেসময় একজন মায়ের দরকার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং পরিষেবা। সেই কারণেই এই সবেতন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রক থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই স্পর্শকাতর বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করে তারপর একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে। তবে, নতুন এই নিয়ম চালু হবে শুধুমাত্র দুইয়ের কম জীবিত সন্তান থাকা অবস্থাতেই। দুটি সন্তান হওয়ার পর তৃতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে কেউ এই সুবিধা পাবেন না।
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। নির্দেশিকায় বলা অনুযায়ী, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ইতিমধ্যে সন্তানের মৃ্ত্যুর আগে পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন, তবে তাঁকে মেডিক্যাল সার্টিফিকিট দিতে হবে। সন্তানের মৃত্যুর দিন বা মৃত সন্তান প্রসবের দিন থেকেই ৬০ দিনের সবেতন ছুটির মেয়াদ শুরু হবে। অন্যদিকে, জন্মের বেশ কয়েকদিন পর যদি সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে মায়ের ছুটির মেয়াদ বেড়ে ২৮ দিন করা হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জন্মের ২৮ দিন পর একটি শিশুর মৃত্যু হলে তবেই পাওয়া যাবে ২৮ দিনের ছুটি। গর্ভাবস্থায় ২৮ সপ্তাহের পরে বা তারও পরে ভ্রুণের মৃ্ত্যু হলে সে ক্ষেত্রে একজন মা মৃত সন্তান প্রসব করেছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
বাড়ির অনতিদূরেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary School) শিক্ষিকা (Teacher) অনুব্রত কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা মণ্ডল। ২০১২ সালে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুলে না গিয়েই বেতন নিতেন, এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেও অনেক দিন হল তাঁকে স্কুলে আসতে দেখছেন না স্থানীয়রা।
এদিকে সুকন্যা ছুটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলার প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। সূত্রের খবর, বাবার গ্রেফতারের পর নিয়োগ-বিতর্ক এড়াতে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুকন্যা। যদিও, প্রলয় নায়েক জানাচ্ছেন, এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে আমি জানি।
অন্যদিন স্কুলের বর্তমান শিক্ষকরা সুকন্যার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে, সুকন্যার বিষয়ে কিছু না বলতে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে (Indefinite Leave) গেলেন বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Dr Chandranath Adhikary)।
গত মঙ্গলবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করার জন্য। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি সুপারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি মন্তব্য করেন, তাঁকে ১৪ দিনের জন্য সাদা কাগজে ছুটি লিখে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসবের পরেই যখন বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেন, তারপর তিনি নিজের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তাছাড়া তিনি মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তিনি ফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে বিশদে আর কী কী বললেন, আসুন শুনে নেওয়া যাক।