চার-ছক্কা বা উইকেট নয়। আইপিএলের (IPL 2023) প্লে-অফে যত ডট বল হবে ততই লাভ পরিবেশের। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। তিনটি প্লে-অফ এবং ফাইনাল, এই চারটি ম্যাচে ডট বল পিছু ৫০০টি করে চারাগাছ লাগাবে ভারতীয় বোর্ড।
এমনিতে ক্রোড়পতি লীগের খেলায় প্রচুর জল নষ্ট নিয়ে অতীতে বহু বিতর্ক হয়েছে। এমনকী মহারাষ্ট্রে খরার সময় খেলার মাঠে প্রচুর জল ‘নষ্ট’ নিয়ে মামলাও হয়েছে। কিন্তু এবার তেমন কোনও বিতর্ক দেখা যায়নি। উলটে বিসিসিআই (BCCI) অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে যাতে বিশ্ব উষ্ণায়ণ রোধে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করা যায়।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, প্রথম কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল, এই চারটি ম্যাচে যতগুলি ডট বল হবে তার জন্য চারাগাছ লাগাবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ডট বলের জন্য ৫০০টি চারাগাছ লাগানো হবে। অর্থাৎ মহম্মদ শামি বা দীপক চাহাররা যত ডট বল করবেন, ততই লাভ পরিবেশের। টুর্নামেন্ট শেষে গোটা দেশে এই চারাগাছগুলি লাগানো হবে। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করবে বোর্ড।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, প্রথম কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল, এই চারটি ম্যাচে যতগুলি ডট বল হবে তার জন্য চারাগাছ লাগাবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ডট বলের জন্য ৫০০টি চারাগাছ লাগানো হবে। অর্থাৎ মহম্মদ শামি বা দীপক চাহাররা যত ডট বল করবেন, ততই লাভ পরিবেশের। টুর্নামেন্ট শেষে গোটা দেশে এই চারাগাছগুলি লাগানো হবে। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করবে বোর্ড।
ঠিক হয়ে গেল আইপিএলের (IPL) প্লে-অফের লাইনআপ। নিয়ম অনুযায়ী, একের প্রতিপক্ষ দুই। তিনের প্রতিপক্ষ চার। সেইমতো, গুজরাত খেলবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। লখনউ খেলবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ২৩ মে মুখোমুখি হবে গুজরাত ও চেন্নাই। এই ম্যাচ যে জিতবে, তারাই সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। বুধবার ২৪ তারিখ চিপকেই মুখোমুখি হবে লখনউ এবং মুম্বই। এই ম্যাচে যারা হারবে, তারা সরাসরি ছিটকে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। শুক্রবার ২৬ তারিখ প্রথম ম্যাচের পরাজিত দল এবং দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ী দল মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচ থেকে যারা জিতবে, তারা ফাইনালে উঠবে। আক্ষরিক ভাবে রবিবার আইপিএল ফাইনালের আগে শুক্রবার হতে চলেছে আইপিএলের আসল সেমিফাইনাল।
এই আইপিএলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে উঠেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দল হিসাবে প্লে-অফ খেলবে চার বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই ও লখনউ সুপার জায়েন্টস। আরসিবির হারে বরাত খুলেছে গত পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসাবে তারা প্লে-অফ খেলার যোগ্যতা পেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এই আইপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলে অরেঞ্জ ক্যাপ নিজের মাথায় রেখেছেন আরসিবি অধিনায়ক ফাপ ডুপ্লেসি। তিনি রান করেছেন ৭৩০। দু নম্বরে গুজরাতের শুভমন গিল এবং তিন নম্বরে আরসিবির বিরাট কোহলি। তাঁদের রান ৬৮০ এবং ৬৩৯। ২৪ উইকেট নিয়ে পার্পেল ক্যাম্প গুজরাতের মহম্মদ সামির মাথায়। সমসংখ্যক উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় গুজরাতের রশিদ খান। ২১ উইকেট নিয়ে তৃতীয় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া গতবারের রানার্স রাজস্থানের যজুবেন্দ্র চাহাল।
আইপিএলের (IPL) শেষ লড়াই। মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। পয়েন্ট টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে গেল তাঁরা। যার ফলে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন।
লখনউর বিরুদ্ধে হেরে ১৪ পয়েন্টেই আটকে মুম্বই। শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শনিবার লখনউর বিরুদ্ধে শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে কলকাতাকে। পাশাপাশি মুম্বইয়ের হারের দিকেও নজর থাকবে কলকাতার। পঞ্জাব ও রাজস্থান ম্যাচের উপরেও নির্ভর করতে হবে কলকাতাকে। রাজস্থান অল্প ব্যবধানে জিতলে সুযোগ থাকবে কলকাতার।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামবে আরসিবি। সানরাইজার্স আগেই ছিটকে গিয়েছে। আরসিবি হারলে, সুবিধা পাবে কলকাতা। বেঙ্গালুরু সব ম্যাচ জিতলে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার কোনও সুযোগই থাকবে না।
সোমবারের গুজরাত (GT) ও হায়দরাবাদের (SRH) ম্যাচের পরে প্লে অফার দৌড়ে রয়েছে ৭ দল। ২০২৩ মরশুমের আইপিএলে (IPL) যা হচ্ছে তা নজিরবিহীন মানছেন সকলে। মঙ্গলবার আইপিএলের ৬৩ তম ম্যাচ। এখনও অবধি এই ম্যাচের আগে ৭ টি দল রয়েছে প্লে অফার দৌড়েই। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মত, এমনটা এর আগে কোনও আইপিএলে হয় নি।
রবিবার প্লেঅফে উঠে গেছে হার্দিক পাণ্ড্যর গুজরাত। গুজরাত ১৩ টি ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্টে রয়েছে। ওদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ধোনির চেন্নাই, চেন্নাই ১৩ টি ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্টে রয়েছে। এখনও প্লে অফ নিশ্চিত নয় চেন্নাইয়ের। শেষ ম্যাচ দিল্লির সাথে, দিল্লির সঙ্গে হারলে বিদায় নিতে পারে ধোনিরা। জিতলে প্লেঅফে চেন্নাই। ৩ নম্বরে রয়েছে মুম্বই। ১২ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্টে রয়েছে রোহিতদের দল। বাকি রয়েছে দুটি খেলা। একটিতে হারলেও চান্স আছে কিন্তু দুটোই হারলে সম্ভাবনা ক্ষীণ। পরেই রয়েছে লখনউ, রাহুলের অস্ত্রপ্রচার হওয়ায় দায়িত্বে রয়েছে পুরান। পুরানরাও ১২ ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্টে রয়েছে। দুটো ম্যাচের দুটিতেই জিতলে তবেই প্লেঅফ। একটায় হারলে অন্যের উপর নির্ভর করতে হবে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে বিরাটের ব্যাঙ্গালোর। বিরাটরা ১২ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্টে রয়েছে। জিতলে রানরেটের দরুন প্লে অফে যেতে পারেন কিন্তু একটায় হারলে সমস্যায় পড়বেন। ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে শামসনের রাজস্থান। শেষ ম্যাচ জিতলেই হবে না শুধু। সাঞ্জুদের নির্ভর করে থাকতে হবে অন্যদের খেলার উপরে। সাত নম্বরে রয়েছে নাইট রাইডার্স। ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্টে রয়েছেন তাঁরা। প্লে অফ যাওয়া কঠিন কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের ফলের উপরে। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। এখনও দুটির দুটি জিতলে সম্ভাবনা রয়েছে প্লেঅফে যাওয়ার।
ওদিকে আইপিএল ভালো যায়নি হায়দরাবাদের ও দিল্লির। দুজনেই ১২ টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৮ পয়েন্টে রয়েছে। যদিও চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচ দিল্লির সঙ্গে সেক্ষেত্রে দিল্লি চেন্নাইয়ে হারিয়ে দিলে পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে। মঙ্গলের সন্ধ্যায় খেলতে নামবে মুম্বই ও লখনউ।
সারা বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। ট্যুইটারের মালিকানা নেওয়ার পর ইলন মাস্ক (Elon Musk) শুরু করেছিলেন গণছাঁটাই (Layoffs)। ইলনের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে মেটা, গুগল (Google), অ্যামাজন (Amazon), ডিজনি হটস্টার। Layoffs.fyi-এর ওয়েবসাইট অনুসারে মোট ৫৭০টি কোম্পানি থেকে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১৮ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাই হলেও ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে কর্মী ছাঁটাই করতে সমস্যায় পড়ছে সংস্থাগুলি। তাই এক অভিনব পন্থা নিয়েছে কর্মী বরখাস্ত করতে।
জানা গিয়েছে, ইউরোপিয়ান দেশে গুগল, অ্যামাজন কর্মী ছাঁটাই করতে চাইলেও তা করতে পারছে না। কারণ সেখানকার 'লেবর প্রোটেকশন ল' অন্য জায়গার তুলনায় কঠোর। সেখানে বরখাস্ত করার আগে কর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনায় বসতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গণ ছাঁটাইয়ে দেরি হয়েই চলেছে। তাই কর্মী ছাঁটাইয়ের উপায় হিসেবে গুগল, অ্যামাজন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কর্মীদের এক বছরের স্যালারি বা বেতন দেওয়া হবে। যদি তাঁরা স্বেচ্ছায় তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি 'অ্যালফাবেট' থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, নিজের ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিলে তাঁকে এক বছরের বেতন দেওয়া হবে। আবার জার্মানিতে অ্যামাজনও গুগলের পথেই হেঁটেছে। সেখানেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে সরে এলে এক বছরেরে বেতন-সহ বোনাসও দেওয়া হবে।
বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তিক্ষেত্রগুলিতে এখন ঘন কালো মেঘ। কিছুদিন আগে ইলন মাস্ক টুইটার (Twitter) থেকে বহু কর্মী ছাটাই করেছেন। এবার সেই পথে হাটছে গুগুল-অ্যামাজন (Google-Amazon)। মূলত গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট থেকে কর্মী ছাঁটাই হবে। যার কোপ কিছুটা হলেও পড়বে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সার্চ ইঞ্জিন প্রযুক্তি সংস্থায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই (Lay Off) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যালফাবেট।
শতাংশের বিচারে সারা বিশ্বে অ্যালফাবেটের মোট কর্মী সংখ্যার ৬%। গুগুলের প্রধান সুন্দর পিচাই এক সংবাদ সংস্থাকে এমন কথা জানান। কিছুদিন আগে মাইক্রোসফটও ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার কথা প্রকাশ্যে এনেছে। এরপরই শোনা গেল গুগুল অ্যালফাবেটের এই কড়া সিদ্ধান্তের কথা।
পাশাপাশি আরও এক দফা কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটবে অ্যামাজনও। এখনও পর্যন্ত অ্যামাজন ১৮ হাজার, মেটা ১১ হাজার, মাইক্রোসফট ১০ হাজার, টুইটার ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। জানা গিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বাজারের স্থবিরতা এবং মন্দাভাবই আন্তর্জাতিক এই সংস্থাগুলোকে কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে। ভারতীয় চাকরি বাজারে সেই ছাঁটাইয়ের প্রভাব কতটা পড়বে, সেই উদ্বেগ এখন অর্থনীতিবিদদের মনে।
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন চাকরি গেল নবজাতক মায়ের। মেটা (Meta) সংস্থা আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে কর্মী ছাঁটায়ের (Lay off) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে সে কাজ। আর ছাঁটায়ের তালিকার মধ্যে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত অন্নেকা পটেলও। মধ্যরাতে সদ্যোজাত সন্তানকে খাওয়াতে উঠে সংস্থার ছাঁটাইয়ের এই মেল দেখতে পান তিনি। সেই মেলে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে (maternity leave) থাকাকালীন তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অন্নেকা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই দু:সংবাদ শেয়ার করে লেখেন, ভোর ৫টায় তাঁর কাছে এই মেল এসেছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩ শতাংশ কর্মী ইতিমধ্যে ছাঁটাই করেছে মেটা। অন্নেকা বলেন, 'দু'বছর আগে করোনা অতিমারির সময় একপ্রকার জোর করে মেটা তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিল। সে সময় একসঙ্গে এত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, তা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।' বৃহস্পতিবার দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, মেটা সংস্থা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, বাড়ি থেকেই কাজ করছিলেন তিনি। কয়েক মাসের সদ্যোজাতকে সামলে বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ সামলাচ্ছিলেন। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতিও দিয়েছিল সংস্থা। মা হওয়ার পর মেয়েদের এমনিতেই নানারকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়, সেখানে এই খবরে মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে কানাডায় সদ্য পা রাখা হিমাংশু ভি-ও এক পরিস্থিতির শিকার। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “মেটা সংস্থায় নিযুক্ত হওয়ার দুদিনের মাথায় আমার পথচলা শেষ হয়ে গেল।”