মুম্বইগামী বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। বিমানের জানলার কাঁচে চিড় দেখা গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, স্পাইসজেটের বিমান এস জি ৫১৫ বুধবার সকাল ৬:১৭ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে ১৭৬ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কলকাতার আকাশে থাকাকালীনই বিমানের জানলার কাঁচে ফাটল দেখতে পায় কেবিন ক্রু। তৎক্ষণাৎ পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাইলট দ্রুততার সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবতরণের অনুমতি চান। সেইমতো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অনুমতিতে ৭ঃ৪৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের নিচে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। সমস্ত যাত্রীরাই সুরক্ষিত। বিমানের মেরামতির কাজ চলছে।
বুধবার চাঁদে সফল অবতরণ হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। নেমে এসেছে রোভার প্রজ্ঞানও। বর্তমানে কতটা অগ্রগতি হল চন্দ্রযানের? ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সব স্বাভাবিক রয়েছে। চাঁদে গুটিগুটি পায়ে হেঁটে কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। ‘মবিলিটি অপারেশন’ শুরু হয়েছে। কাজ শুরু করেছে ইলসা, রম্ভা, চ্যাস্টে পেলোড।
এদিকে, চাঁদে ছোঁয়ার মুহূর্তে উপগ্রহের ছবি ক্যাপচার করে পাঠিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। সেই ছবি টুইটারে শেয়ার করেছে ইসরো। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ল্যান্ডার বিক্রম প্রায় ছুঁতে চলেছে চাঁদের মাটি। তার ঠিক আগের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের মাটিতে অসংখ্য গর্ত। ভিডিও শেয়ার করে ইসরো ক্যাপশনে লিখেছে, চাঁদের মাটিতে নামার ঠিক আগের মুহূর্তে ল্যান্ডারের ক্যামেরা এই ছবি তুলেছে।’
Here is how the Lander Imager Camera captured the moon's image just prior to touchdown. pic.twitter.com/PseUAxAB6G
— ISRO (@isro) August 24, 2023
বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে নামে ল্যান্ডার বিক্রম। রাত ১০টা নাগাদ ল্যান্ডারের পেটের মধ্যে থেকে চাঁদের মাটিতে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। এরপরই তথ্য দেওয়া শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান। ১৪ দিন পরই এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু কেন?
চন্দ্রযানের রোভার ও ল্যান্ডার দুটিই সৌরশক্তির মাধ্যমে বানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে চাঁদে সূর্যালোক পড়ছে। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়েই সক্রিয় চাঁদের রোভার প্রজ্ঞান। শুক্লপক্ষ শেষ হলে অন্ধকারে ডুবে যাবে চাঁদ। তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে প্রায় ২০০ ডিগ্রির নিচে। যার ফলে ওই পরিবেশে কাজ করা সম্ভব হবে না রোভার প্রজ্ঞানের।
বারাণসীগামী বিমানের (Airplane) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) হায়দরাবাদে। মঙ্গলবার সকালে যাত্রী-সহ বিমানটিকে হায়দরাবাদ (Hyderabad) বিমানবন্দরে নামানো হয়। কিছু যান্ত্রিক অসুবিধার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি পাইলটের। তবে যাত্রীদের বারাণসী পৌঁছনোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে বারাণসীর উদ্দ্যেশে রওনা দেয় ইন্ডিগোর ওই বিমানটি। বিমানটিতে যাত্রা করছিলেন ১৩৭ জন যাত্রী। বিমানটি কিছুক্ষণ আকাশে ওড়ার পরেই যান্ত্রিক গোলযোগ বিষয়টি বুঝতে পারেন পাইলট। নিকটবর্তী হায়দরাবাদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তড়িঘড়ি যোগাযোগ করে বিমানটি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অসামরিক বিমান পরিবহণের ডিরেক্টরেট জেনারেল জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বারাণসীগামী বিমানটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই অন্য বিমানবন্দরে নামাতে হয়েছে। তবে বিমানের যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত। তাঁরা নিরাপদেই রয়েছেন। বিমানটিতে ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু (Death) এক যাত্রীর। জানা গিয়েছে, বিমানের মধ্যেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই প্রৌঢ় যাত্রী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিমানটিকে মায়ানমারে জরুরি অবতরণ করানো হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর (Indigo Flight) একটি বিমানে।
সূত্রের খবর, ৬ই-৫৭ বিমানটি বিকেল ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিমান তখন মাঝ আকাশে, ৫৭ বছর বয়সী ওই যাত্রী আচমকা অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। বিমানটি ছাড়ার ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন প্রৌঢ়। এরপর বিমানটি মায়ানমারে নামানো হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর মায়ানমারের ইয়াঙ্গন বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর বিমান আবার মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই ঘটে একই ঘটনা। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক যাত্রীর। তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণও করানো হয়। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ফের বিমানেই (Airplan) মৃত্যু হল এক যাত্রীর (dead)। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই যাত্রী। বিমানটিকে তড়িঘড়ি নাগপুরে (Nagpur) বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করেও শেষরক্ষা হল না। রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর (Indigo) একটি বিমানেই ঘটে এই ঘটনা। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। বিমান যখন আকাশে উড়ছে ঠিক সেই সময়ই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এই পরিস্থিতির কথা জানাতেই তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। অবতরণও করা হয় বিমানটিকে। বিমানের মধ্যে এক ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে আগে থেকেই তৈরি ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও প্রয়োজনের কথা ভেবে বিমানবন্দরেই অ্যাম্বুল্যান্স রেখে দেওয়া হয়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই অ্যাম্বুল্যান্সের রক্ষণাবেক্ষণকারী আয়াজ শামি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর দিল্লি-দোহাগামী বিমানেও এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁরও মৃত্যু হয়।
কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata AIrport) ইস্তানবুল থেকে সিঙ্গাপুরগামী বিমানের জরুরি অবতরণ (Emergency Landing)। সেই বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ হাঙ্গেরিয়ান নাগরিক (Hungary Citizen)। সে কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটি। এরপরে ওই যাত্রীকে ভিআইপি রোড হলদিরামের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এখন তিনি চিকিৎসাধীন।
বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডাঃ পিটার কনজাথ নামে এক হাঙ্গেরিয়ান নাগরিক ইস্তানবুল থেকে সিঙ্গাপুরগামী বিমানে একাধিকবার খিঁচুনি অনুভব করেন। এরপরে TK0054 ওই বিমানটি কলকাতায় বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে এবং অসুস্থ ওই চিকিৎসককে আচ্ছন্ন অবস্থায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই হাঙ্গেরিয়ান নাগরিককে হাসপাতালের আইসিইউতে নিউরো কনসালটেন্টের অধীনে ভর্তি করা হয়েছে।