এবারে ইডির তলব বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকে। তেজস্বী যাদব বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, জমি দিয়ে রেলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বুধবার তলব করেছে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর দ্বিতীয় পুত্র তেজস্বীকে।
এই মামলায় এর আগেই বাবা ও ছেলেকে জেরা করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বেআইনি পথে অর্থ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদকে শুক্রবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর এবং তেজস্বীকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিল্লির ইডি অফিসে যেতে বলা হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুই নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থাটি। বর্তমানে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালুপ্রসাদ জামিনে মুক্ত। তাঁর জামিন খারিজ করে ফের জেলে পাঠাতে তৎপর সিবিআই। তারা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। এরই মাঝে ফের বিপাকে আরজেডি সুপ্রিমো ও তাঁর ছেলে।
এখনও সময় আছে। বিয়ে করে নিন। আমাদের কথা শুনুন। বিরোধীদের বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) এমনই পরামর্শ লালুপ্রসাদ প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Jadav)। যা শুনে হাসির রোল উঠল বৈঠকের (Meeting) মাঝেই।
বিরোধী জোটের শেষে মিলিতভাবে ১৫ জনের দলের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, "আমরা আগেও আপনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, বিয়ে করে নিন। তখনও আপনি কথা শোনেননি। এখনও দেরি হয়নি। বিয়ে করে নিন, আমরা বরযাত্রী যাই। আপনার মায়েরও অনুযোগ, আপনি কথা শোনেন না।"
লালুপ্রসাদ যাদব এদিন বৈঠকের পর বলেন, "বহুদিন পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা হল। সিমলায় রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে। আগে লোকে বলত, বিরোধীরা আলাদা থাকবে। আমরা একসঙ্গে রয়েছি।"
দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির (kidney problem) সমস্যায় ভুগছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Chief Minister of Bihar) লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। এবার লালুর মেজো মেয়ে বাবাকে কিডনি দান (Kidney donation) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাবাকে সুস্থ করে তুলতে মেয়ের এই সাহসী মনোভাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল। এছাড়া লালুর মেজো মেয়ে রোহিণীও এই কাজ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত এবং ভাগ্যবান বলে মনে করছেন।
দিল্লির এইমসে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন ছিলেন লালু। কিন্তু সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আবার সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি। এ কথা কোনও ডাক্তার বলেননি। এরপর বাবাকে সুস্থ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন সিঙ্গাপুরে থাকা তাঁর মেজো মেয়ে। গত মাসে বাবাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। আর তখনই কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেন চিকিৎসকরা। রোহিণী নিজে বাবাকে কিডনি দিতে রাজি হয়ে যান।
কিন্তু বাবা কী আর মেয়ের সিদ্ধান্তে রাজি হতে পারেন? রোহিণীর কিডনি দানের বিষয়টি প্রথমে কিছুতেই মানতে চাইছিলেন না লালু। পড়ে মেয়ে সব কাগজপত্র ও প্রমাণ সহ বোঝান, পরিবারের একজনের কিডনি তাঁর দেহে প্রতিস্থাপন করা হলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি। শেষ পর্যন্ত নাছোড় মেয়ের সামনে হার স্বীকার করতেই হয় বাবাকে।
আর বাবাকে রাজি করিয়ে আনন্দিত রোহিণী। তিনি বলছেন, ‘‘হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, বাবাকে নিজের কিডনি দিতে পারছি। বাবার জন্য এটুকু করতে পেরে আমি সত্যি গর্বিত।’’