বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে আমির খান অভিনীত ‘লাল সিংহ চড্ডা’ (Lal Singh Chadda)। এই ছবি নিয়ে এবার আমিরকে (Amir Khan) কটাক্ষ করলেন বলিউড পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। আমিরকে 'ফালতু', 'ধাপ্পাবাজ' বলে মন্তব্য করলেন দা কাশ্মীর ফাইলস-এর পরিচালক (Vivek Agnihotri)। তাঁর দাবি,বয়কটের কারণে 'লাল সিংহ চড্ডা' ছবির ব্যবসা ডোবেনি। ডুবেছে খোদ আমিরের জন্য। কারণ দর্শক আমিরের অভিনয়ের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব দেখেছেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেছেন,'আশা করি,লাল সিংহ চড্ডাকে' একটা উদাহরণ হিসাবে দেখবেন আমির। যদিও এই ছবি নিয়ে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বলেছে,'ভক্তদের' জন্য ছবিটা বরবাদ হয়ে গেল।
এর পরেই বিবেকের কটাক্ষ, 'আমিরের কোনও ভক্তমণ্ডলই নেই। যদি থাকত, তাহলে এই ছবি বয়কটের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল তার বিরোধিতায় ওই ভক্তদের দেখা যেত। বিবেকের মন্তব্যে তা ফুটেই ওঠে, আমিরের সত্যিকারের ফ্যানবেস থাকলে উনি একটি ছবি করার জন্য ১৫০-২০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক চাইতেন না।
আপনি দর্শকদের বোকা বানিয়ে এসেছেন। কেন একটা ছবি করার জন্য ১৫০-২০০ কোটি টাকা দর হাঁকান? এভাবেও সরব হয়েছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বক্সঅফিসে আশানুরূপ ফল করতে পারলো না,‘লাল সিংহ চড্ডা’। তাই এই ছবির জন্য কোনও পারিশ্রমিক না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির।
মুক্তির প্রথম দু'দিন হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল আমির খানের (Aamir Khan) লাল সিং চাড্ডার (Lal Singh Chadda)। কিন্তু শনিবার সামান্য ঊর্ধ্বমুখী বক্স অফিস গ্রাফ (Box Office Collection)। ইতিমধ্যে ন্যূনতম দর্শক অনুপস্থিতির কারণে দেশব্যাপী একাধিক প্রেক্ষাগৃহ ছবির স্ক্রিনিং বাতিল করেছিল। কিন্তু শনিবার একধাপে ২০% বেড়ে গোটা দেশে প্রায় ৯ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি।
তবে এই বক্স অফিস বৃদ্ধির শতাংশ ৪০ হলে প্রথম দু'দিনের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিত। এমনটাই বলছেন চলচ্চিত্র সমালোচক তরণ আদর্শ। তিনি নিজের সোশাল মিডিয়া পেজে লাল সিং চাড্ডার প্রথম তিনদিনের বক্স অফিস সংগ্রহের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। সেখানেই এই তথ্য দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত এই ছবির দেশব্যাপী মোট আয় ২৭.৭১ কোটি টাকা।
এক প্রতিবেদনে উল্লেখ, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পূর্ব পঞ্জাব থেকেই মূলত ৪০ শতাংশ আয় হচ্ছে ছবির। অন্য দিকে মহারাষ্ট্র, গুজরাতের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
এদিকে, স্বাধীনতার ৭৫-এ সময় একদমই ভালো যাচ্ছে না মিস্টার পারফেকশনিস্টের। এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ আমির খান অভিনীত লাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী। তার ক্রিয়াকলাপ দেশের আইনের চোখে ‘অসঙ্গত’ বলে অভিযোগ বিনীত জিন্দাল নামে দিল্লির এক আইনজীবীর। এই দাবিতে পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অসম্মান’ করেছে এই ছবি। মূলত এমনটাই অভিযোগ ওই আইনজীবীর। পাশাপাশি দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশে ইন্ধন, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা, কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো ধারায় এফএইআর দায়ের করেন তিনি।
হলিউড ছবি ফরেস্ট গাম্পের বলিউড সংস্করণ লাল সিং চাড্ডা। মুক্তির পর থেকে এই ছবির বক্স অফিস সংগ্রহে খুব একটা মুখের হাসি চওড়া হচ্ছে না নির্মাতাদের। অনেক প্রেক্ষাগৃহে ন্যূনতম দর্শক অনুপস্থিতির কারণে বাতিল হচ্ছে শো। এই পরিস্থিতিতে এবার বড়সড় আইনি জটে পড়ল লাল সিং চাড্ডা। ভারতীয় সেনা এবইং হিন্দু আবেগকে আঘাত করার দায়ে অভিযোগ দায়ের এই ছবির বিরুদ্ধে। শুধু প্রযোজক-পরিচালকের বিরুদ্ধে নয়, ছবি নির্মাণে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ফলে স্বাধীনতার ৭৫-এ সময় একদমই ভালো যাচ্ছে না মিস্টার পারফেকশনিস্টের। এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ আমির খান অভিনীত লাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী। তার ক্রিয়াকলাপ দেশের আইনের চোখে ‘অসঙ্গত’ বলে অভিযোগ বিনীত জিন্দাল নামে দিল্লির এক আইনজীবীর। এই দাবিতে পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অসম্মান’ করেছে এই ছবি। মূলত এমনটাই অভিযোগ ওই আইনজীবীর। পাশাপাশি দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশে ইন্ধন, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা, কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো ধারায় এফএইআর দায়ের করেন তিনি।
লাল সিং চাড্ডা ছবির প্রযোজক প্যারামাউন্ট পিকচার্স, আমির, পরিচালক অদ্বৈত চন্দনের নামও উল্লেখ হয়েছে এফআইআর-এ। মামলাকারীর অভিযোগ, 'ছবি নির্মাতারা এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে কার্গিল যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। যেটা অবাস্তব। এই মানসিক অবস্থা নিয়ে লালকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি কী ভাবে দেওয়া হল? সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, কঠোর প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ সীমান্তে যেতে পারেন না। অতএব, নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বদনাম করছেন।’
এই ছবির একটি দৃশ্যে পাকিস্তানি কর্মী লাল সিং চড্ডাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনা করি, লাল, আপনি কেন তা করেন না?' সেখানে লালের উত্তর, 'মা বলেছেন, পুজোপাঠ ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়।' আইনজীবীর বক্তব্য, এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মানহানিকর বিবৃতি। এতেই আরও দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।