চলন্ত ট্রেনে মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণ। অভিযুক্তকে এনকাউন্টার (Encounter) করে নিকেশ করল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিস (Police)। অভিযুক্তের দুই সঙ্গী এখনও চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে অগাস্ট সরযূ এক্সপ্রেসে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছিল ওই মহিলা পুলিস কর্মীর দেহ। গুরুতর অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অভিযুক্তের খোঁজ পেয়েই এনকাউন্টার করে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম আনিস। শুক্রবার সকালে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে আনিস ও তার দুই সঙ্গী। পুলিসের গুলি লেগে গুরুতর আহত হন আনিস। পরে তার মৃত্যু হয়। আনিসের দুই সঙ্গী আজাদ খান ও বিশ্বম্ভর দয়ালও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্মী রতন শর্মাও আহত হয়েছেন এনকাউন্টার চলাকালীন।
প্রসঙ্গত, ৩০ অগাস্ট অযোধ্যা স্টেশনে সরযূ এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলা কনস্টেবলকে। ধারা্লো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মুখ কোপানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মারধর করে ভেঙে দেওয়া হয় মাথার খুলিও। গুরুতর অবস্থায় ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
লেডি কনস্টেবলকে (Lady Constable) ধর্ষণের অভিযোগ বিএসএফ-র (BSF) এক ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia Incident) কৃষ্ণগঞ্জের টুঙ্গি আউটপোস্টে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে। নির্যাতিতা ওই বিএসএফ-র লেডি কনস্টেবল কলকাতার একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। সেখান থেকে তিনি ভবানীপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে, সেই অভিযোগের কপি কৃষ্ণগঞ্জ থানায় আসার কথা। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ইনস্পেক্টরকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিএসএফ-র পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গোপন জবানবন্দি দিতে আনা হয়েছে নির্যাতিত বিএসএফ কর্মীকে কৃষ্ণনগর জেলা দায়রা আদালতে।
এই প্রসঙ্গে বিএসএফ-র এক কর্তা জানান, তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টির অনুসন্ধান চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে বিএসএফ।