হাওড়ার দাসনগরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। সোমবার ভোর রাতে দাসনগর থানার অন্তর্গত বিরাজময়ী রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসনগর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার রাম (৫৫)। তিনি দাসনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় ট্রলি ভ্যান চালক। ক্যাটারিং-এর বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যেতেন। রবিবার রাতে জন্মদিন উপলক্ষে একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের পর সেখান থেকে বাসনপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সোমবার ভোর রাতে স্থানীয়দের থেকে তাঁর স্ত্রী খবর পান যে রাজকুমার সিড়ির পাশে পড়ে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্ত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দাসনগর থানার পুলিস। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পুলিস উদ্ধার করে হাওড়া হাসপতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আবারও অবৈধভাবে কয়লা মজুদ রাখার অভিযোগ। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে বীরভূমের লোকপুর থানার পুলিস বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত এলাকার ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী সগড়ভাঙ্গা জঙ্গলে বস্তা ভর্তি প্রায় ১১ টন মজুদ করা অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে। পাশাপাশি পাঁচ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ, সোমবার আজ ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে লোকপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তদের নাম, বিজ্ঞান গোপ, গণেশ বাগদী, বিকাশ বাউরি, চন্ডী বাউরি ও রাজু ঘোষ। রাজু ভেলাডিহি গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে কয়লা পাচার। এই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যদিও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন তিহার জেলে। কিন্তু তাতেও যে কয়লা পাচারে লাগাম পরানো যায়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ থামার তো লক্ষণই নেই। এবার ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি ইরানের। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যা এর আগে কখনও ব্যবহার করেনি এবার সেরকম অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইরান।
গত তিন দিন ধরে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ না করায় পাল্টা ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে ইরান। গত কয়েক মাস ধরে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের উপরে প্রথমে আক্রমণ শুরু করে। তারপরেই পাল্টা প্যালেস্তাইনে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা এমনই অভিযোগ।
এদিকে ইজরায়েলকে বারবার যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমন কী রাষ্ট্রপুঞ্জও ইজরায়েলকে যুদ্ধ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়নি তারা। গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। এবার তাই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। গতকাল থেকে লাগাতার ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের সেনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে তারা ইরানের সব হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতও আনতে পারেন তাঁরা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতকানিয়াহু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এতে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে অশান্তি তৈরি হবে।
ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। ইডির উপর হামলার পর এবার আক্রান্ত পুলিস। গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে সন্দেশখালির শীতলিয়ার পুলিস ক্যাম্পে ঘটে দুষ্কৃতী হামলা। আর সেই হামলায় আক্রান্ত হন সন্দীপ সাহা নামে একজন পুলিসকর্মী। এই ঘটনায় সন্দেহভাজনভাবে তিন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিস। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ সন্দেশখালির শীতলিয়া পুলিস ক্যাম্পে আচমকা হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ক্য়াম্পের পুলিস কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তখনই আহত হন এক পুলিসকর্মী। এরপর তড়িঘড়ি আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে খুলনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ওই আহত পুলিসকর্মীর শারীরিক অবস্থা।
তবে পুলিস ক্য়াম্পে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, কিংবা ঠিক কী উদ্দশ্য়ে ঘটানো হল এমন ঘটনা তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস। গত জানুয়ারি মাসে ইডি হানার পর থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড়া হয়েছিল গোটা রাজ্য়। তারপর একেক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির পর কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তাহলে আবার কী কারণে রণক্ষেত্রে পরিণত হল সন্দেশখালি?
কেষ্টগড়ে ‘মদ্যপ’ রাজ্য পুলিসের ‘কীর্তি’! নেশার চুর উর্দিধারী। কর্মরত অবস্থায় একেবারে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি খেলেন শান্ত মুখোপাধ্যায় নামের এক পুলিস কর্মী। যা দেখে রীতিমত হাঁসির রোল। টালমাটাল পুলিস কর্মীর গলায় আবার 'কেষ্ট' ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ঘটনায় শোরগোল বোলপুর লজমোড়ে। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিস। ‘অসুস্থ’ বলে সাফাই বোলপুর থানার এক পুলিস আধিকারিকের।
পরে নেশাগ্রস্ত পুলিসকে পুলিসের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দৃশ্যও দেখতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে! উর্দির অবমাননা! এই লজ্জা কার! রাজ্য পুলিসের এহেন কর্মকাণ্ডে সমালোচনার ঝড় সব মহলে। উঠেছে শাস্তির দাবি।
লুঠের রাজত্ব করলে যা হয় তাই হবে। রাজ্যের পুলিস মন্ত্রীকে নিশানা করে কটাক্ষ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।একজন পুলিস কর্মীর অসলগ্ন আচরণ কি শোভনীয়? সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে একজন পুলিস কর্মী যদি মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি খান তাহলে মানুষকে সুরক্ষা দেবে কে?
মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার গেট সাফা রায়পুরে বৌমার হাতে শাশুড়ি খুন। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শাশুড়ি যমুনা নস্করও বৌমা ভারতী নস্করের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগেই থাকত। শনিবার রাতেও ঝামেলা হয় শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে। বাড়িতে ছেলে, বৌমার সঙ্গেই থাকতেন যমুনা নস্কর। মৃতের ছেলে জানান, বাড়ি এসে তিনি দেখেন মা মেঝেতে পড়ে আছে। দেখার পরই আত্মীয়দের ডেকে আনেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সকালবেলায় বৌমা ভারতী নস্কর মহেশতলা জিনজিরা ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিসকে সে জানায় সে তার শাশুড়িকে হত্যা করেছে। তারপরেই মহেশতলা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ৭৭ বছরের বৃদ্ধা যমুনা নস্করের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিএসপি কামরুদ জামাল মোল্লা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে বৌমা ভারতী নস্করকে।
সাতসকালে সল্টলেকের জিসি ব্লকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতি। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা এবং বিধায়ক সুজিত বোস। দম্পতির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। সত্যিই কি আত্মহত্যা, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র এবং তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। যদুনাথবাবু পেশায় চিকিৎসক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে কাজ করতে এসে যুগলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন বাড়ির কাজের লোক। চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস আধিকারিকরা। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসও।
তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে আসেন বিধাননগরের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা। তাঁর দাবি, দেহগুলির পাশ থেকে রান্নায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রী মন্দিরা মিত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন ডঃ জেএন মিত্র। ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রী মন্দিরা মিত্র-র মৃত্যু হলেও অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন স্বামী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে সন্দিহান পুলিস। তদন্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানা।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেই মতো সকাল থেকেই প্যাটেল চক এলাকায় জোড়ো হতে শুরু করেছিলেন আপ নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিসও। কর্মসূচি শুরু হতেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় পরিস্থিতি। প্রতিবাদকারীদের আটকাতে শুরু হল ধরপাকড়। দিল্লি পুলিসের হাতে আটক হলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।
আবগারি মামলায় গত কয়েকদিন আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর থেকেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরি। জেলে বসেই সরকার চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আজ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান শেষে খুশির ইদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের সেই পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এরই মধ্যে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ভোটাভুটি হয়। আর সেখানেই সোমবার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিসংঘে।
যা একেবারে নজিরবিহীন। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম এমন পদক্ষেপ। মত বিশ্লেষকদের। যদিও আমেরিকা তথা ইউনাইটেড স্টেটস এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার সময় অনুপস্থিত ছিল। তবে এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেই আমেরিকাকে টার্গেট ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র।
মার্কিন কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের সফর বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত প্রতিনিধিদের ওয়াশিংটন থেকে ফেরত আসার কথা বলা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে গাজায় সংঘর্ষ বিরতির পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অন্যদিকে শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি নয়, একই সঙ্গে হামাস যাঁদের বন্দি করে রেখেছে, তাঁদের মুক্ত করার দাবিও রাখা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যে অতর্কিতে হামলা চালায়, সেই সময়েই পণবন্দি করা হয় বেশ কয়েকজনকে। শুরু হয়ে গিয়েছে রমজান। আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে রমজান। তার মধ্যেই পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে জাতিসংঘে। সম্প্রতি আমেরিকা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি প্রস্তাব এনেছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
প্রস্তাবে কেন আমেরিকা অনুপস্থিত থাকল, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকার দাবি, প্রস্তাবে যা যা বলা হয়েছে, তার সবকটিতে তাদের সম্মতি নেই। এছাড়াও আমেরিকার দাবি, হামাসের জন্যই বারবার আটকে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি। আমেরিকা যা যা যোগ করতে চেয়েছে প্রস্তাবে, তা গুরুত্ব পায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে কর্তব্যরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুটেরেস এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, সোমবার যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে তা কার্যকর করতে হবে, অন্যথায় ক্ষমা করা হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজরায়েলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। গাজা নিয়ে ইজরায়েলের কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়েই কথা বলতে চেয়েছেন বাইডেন।
বেপোরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় মারধর নিউটাউন থানার পুলিসকে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার চার। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ দুটি গাড়ি বেপোরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। সেই সময় নিউটাউন ওয়াচ টাওয়ার ব্রিজের নিচে এক পথ চলতি ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন। তারপরই গাড়ি থেকে নেমে সেই ব্যক্তিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউটাউন থানার পুলিস। পুলিসকে দেখেও শান্ত হয়নি অভিযুক্তরা। ব্যাট, উইকেট দিয়ে মারধর শুরু করে পুলিসকেও। এরপরে গাড়িতে থাকা সাত আট জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল রাজভবন। শনিবার জলদর্শন কর্মসূচি শেষে রাজ্যপাল বোস, রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, বাংলায় কোনভাবেই হিংসা এবং দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। পঞ্চায়েত-এর রেশ টেনে তিনি আরও বলেন, এরাজ্যে মানুষের রক্তে আর কোনও রাজনৈতিক হোলি খেলতে দেবেন না।সূত্রের খবর, ভোটপর্বে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজভবনের তরফে রাজ্য পুলিসকে পরিচিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের হিংসা রুখতে রাজভবনে একটি পিস রুম চালু করা হয়। সেই পিস রুমের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করা হয়।ইতিমধ্যে, সেই তালিকাও গোপনে রাজ্য পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুষ্কৃতীদের শণাক্ত করতে রাজভবন সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত চালাচ্ছে।এমনটাই সূত্রের খবর।
স্কুলের রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলের ক্লার্ক। আর সেই ক্লার্ককে স্কুলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনই এক বিস্ময়কর ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ধরমপুর এলাকায়। অভিযোগ, প্রায়শই ওই ক্লার্ক মদ্য়পান করে স্কুলে আসতেন। স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ধরমপুর এলাকায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-এর স্কুলের ক্লার্ক প্রায়ই মদ্য়প অবস্থায় স্কুলে আসতেন। মাঝেমধ্য়ে নেশায় আসক্ত হয়ে রাস্তাতেই পড়ে থাকতেন ওই ক্লার্ক। একবার নয় একাধিকবার ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে মদ্যপান করে স্কুলে আসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
তবে এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে কোনওরকম কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এখন দেখার বিষয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে পরপর ঘটনাক্রম কী, তা অজানা কারোও নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গতি পায় তদন্তে। এরপর বালুর সূত্র ধরে শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহান। এমন পরিস্থিতিতেই হঠাৎ কলকাতা পুলিস তৎপর হয়ে উঠল রেশন দুর্নীতি নিয়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই লালবাজারকে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে তথ্য দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এই সবটা শুক্রবারের মধ্যেই জানতে চায় লালবাজার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তমানে তদন্তাধীন, তখন হঠাৎ কলকাতা পুলিস কেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে তৎপর হয়ে উঠল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে রাজ্য পুলিসের- তারই হদিশ খুঁজছে ওয়াকিবহল মহল। বিরোধী মহলের দাবি, আবার বড় কোনও লিঙ্ক কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসার আগেই ঢেকে দেওয়ার জন্য পুলিসের এই চাল নয় তো?
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মেরুন রঙের ডায়েরি থেকে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডির কাছে। সূত্রের খবর, এই মেরুন ডায়েরিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পক্ষ থেকে অভিজিৎ দাসকে দেওয়া অর্থের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এছাড়াও, এই ডায়েরিতে হিতেশ চন্দক এবং অন্যান্য মিল মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া যাবতীয় অর্থের হিসাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, মেসার্স অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর হিতেশ চন্দক জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে অর্থ দিতেন। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক কাজের নাম করে মিল মালিকদের কাছ থেকে অর্থ চাওয়া হতো। অন্যদিকে, হিতেশ চন্দক সহ অন্যান্য মিল মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে তুলে দিতেন অভিজিৎ দাস।
সম্প্রতি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় মেরুন রংয়ের একটি ডায়েরি। এরপর সেই ডায়েরির রহস্য উন্মোচন করার জন্য একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিজিৎ দাসকে। তার বয়ানের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকেও। অবশেষে সেই মেরুন ডায়েরির রহস্যভেদে সমর্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী দিনে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে আর কোন কোন তথ্য উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির পরতে পরতে রহস্য। সেই রহস্যের পর্দাফাঁস করতে জোরকদমে তদন্তে নেমেছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কালিদাস সাহা নামে এক ব্যক্তি জ্যোতিপ্রিয়র তিনটি কোম্পানিতে ৫০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন। পাশাপাশি, শহিদুল রহমানের স্বীকারোক্তি থেকে জানা গিয়েছে যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন West Bengal Essential Commodities Supply Corporation লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন তাঁকে এই রাইস মিল থেকেই নগদ অর্থ দেওয়া হতো।
উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমানের সূত্র ধরেই গত অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর গত ডিসেম্বর মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। তাতে তৎকালীন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে কাঠগড়ায় তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এমনকি, এই দুর্নীতিতে মদত দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়, চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছিল ইডি। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্তে কোনও রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।