কুয়েতের মাটিতে কুয়েতকেই হারাল ভারত। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জিতল ভারতীয় ফুটবল টিম । বিদেশের মাটিতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জেতেন সুনীল ছেত্রীরা। ভারতের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মনবীর সিং।
জাবের আল-আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কুয়েতের মুখোমুখি হয় ভারত। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোল করে ভারত। ৭৫ মিনিটে গোল করেন ফুটবলার মনবীর সিং। মাঠের বাঁ দিক থেকে ছাংতে বল দেন মনবীরকে। তাঁর বাঁ পায়ের শটে কুয়েতের ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন মনবীর।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। কাতার, কুয়েত এবং আফগানিস্তানের পাশাপাশি ভারতকে গ্রুপ এ-তে রাখা হয়েছে।
টাইব্রেকারে কুয়েতকে (Kuwait) ৫-৪ গোলে হারিয়ে নবম বার সাপ কাপ (SAAF Cup) জিতল ভারত। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ক্রান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের কল ছিল ১/১। ১৪ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে গেছিল ভারত। ৩৮ মিনিটের মাথায় গোল করে দেশকে সমতায় ফেরান ছাঙ্গতে এরপর ম্যাচ গোড়ায় টাইব্রেকারে। এবারও দুটি শট আটকে ম্যাচের নায়ক গুরপ্রীত সান্ডু।
ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকলেও, শক্তির বিচারে কুয়েত ছিল সমান সমান। তাই ফাইনাল টাফ হবে তা আগাম আঁচ করা গিয়েছিল। ১২০ মিনিট পর সেটাই হল। ম্যাচে হলুদ কার্ডের বন্যা যেমন বয়েছে, তেমনই কুয়েতের দুর্গ ভেদ করতে নাকাল হতে হয়েছে ভারতীয়দের। এর মধ্যেই ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল খেয়ে খানিক দিশাহারা হয়ে যান সুনীল ছেত্রীরা। ৩৮ মিনিটে সমতায় ফিরতেই ধীরে ধীরে নিজেদের গোছাতে শুরু করেন ভারতীয় ফুটবলাররা।
এদিনও পেনাল্টি থেকে গোল করে ভারতকে লিড দেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। যদিও টেনশন তৈরী হয় উদান্তার গোল মিসে। কিন্তু গুরপ্রীতের হাতে এই নিয়ে রেকর্ড নবম বার ফাইনাল জিতল ভারত।
কুয়েত ফুটবলার (Kuwait Footballer) বদর আল মুতাওয়া-কে চেনেন? মেসি, রোনাল্ডো (Messi-Ronaldo), নেইমারদের তারকা দুনিয়ার বাসিন্দা নয়। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের (International Football) এক অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন বদর। দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১৯৬টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল তাঁর দখলে। বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) থেকে বিদায়ের রাতে সেই সাম্রাজ্যে ভাগ বসিয়ে গেলেন আরেক কিংবদন্তী। এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন কার কথা বলা হচ্ছে।
ক্রিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো, দেশের জার্সিতে তাঁরও তো ১৯৬ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। বদর আল মুতাওয়ার (Badr Al Mutawa) প্রায় হারিয়ে যাওয়া নামটা তোরঙ্গ থেকে এরাবিয়ানে বেরিয়ে এল। আরব্য রজনীর দেশে রূপকথার জন্ম দিয়েছে মরক্কো। কিন্তু এমন রাতেও রোনাল্ডোময় কাতার বিশ্বকাপ। বয়স ৩৭, ধরেই নেওয়া হচ্ছে পরের বিশ্বকাপে তিনি নেই। মানে বিশ্বকাপে শেষবার খেলে ফেলেছেন দেশের জার্সিতে। কিন্তু বিদায় বেলাতেও এত করুণ আবহ জন্ম নেবে সেটা নিজেও ভেবেছিলেন কি?
কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে মন কষাকষি। সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের তিনি প্রথম এগারোয় নেই। দলের রাশ হাতে রাখতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়েছিল কোচকে। ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। শৃঙ্খলার চেনা তত্ত্ব প্রয়োগ করেছিলেন কোচ। মরক্কোর কাছে প্রথমার্ধে দল পিছিয়ে, নামলেন রোনাল্ডো। কিন্তু কামব্যাক হলো না। গোল পেলেন না। গোল করার মতো বল কি পেলেন?
রোনাল্ডো জোন থেকে ফ্রি কিক নিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। পর্তুগিজ মহাতারকা এখানেও ব্যর্থ। শেষ বাঁশি বাজার পরেই মরক্কোর উদ্দাম উৎসব শুরু। রোনাল্ডো ফিরে চললেন টানেলে। চোখের জল বাঁধ মানলো না। তামাম ফুটবল দুনিয়ায় ভাইরাল হল কান্নার ছবি। পায়ে পায়ে ড্রেসিংরুমের পথে সিআর-সেভেন।
দেশের হয়ে ২২ বছরের কেরিয়ারে কি দাঁড়ি পড়বে? আশঙ্কা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে পর্তুগালের সাজঘরে। পাঁচটা বিশ্বকাপে ৮ গোলের মালিক কি বুটজোড়া তুলে রাখবেন? ইউসেবিওর পর পর্তুগাল ফুটবলের সেরা পোস্টার বয় কী করবেন?