শখ করে সোনার ঠাকুর কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতারকের ফাঁদে পড়ে গুরুতর আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়৷ আক্রান্তের নাম অসীম হাওলাদার৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার বানীপুর এলাকার বাসিন্দা৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুলতলি থানার পুলিস৷ উদ্ধার করে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হওযায় তাঁকে কলকাতাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুলতলি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সোনার ঠাকুর বিক্রির নামে একাধিক প্রতারণা চক্র সক্রিয় হচ্ছিল৷ অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন দিনের পর দিন৷ গত মাসেই একটি প্রতারণা চক্রকে হাতেনাতে ধরে কুলতলি থানার পুলিস৷ এদিন ফের একই ঘটনা ঘটায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ পুলিস ও প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বাসিন্দা অসীম হাওলাদারের সঙ্গে কুলতলির জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা আরিফ শেখের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়৷ আরিফ শেখ সোনার ঠাকুর কেনার জন্য টোপ দেন। কয়েকদিন আগে কুলতলিতে এসে সোনার ঠাকুর দেখেও যান অসীম বাবু৷ শনিবার তা কেনার কথা ছিল৷ সেইমত শনিবার বিকেলে ব্যাগে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তিনি কুলতলিতে আসেন৷
জামতলায় এলে সেখানে তাঁর সঙ্গে আরিফের দেখা হয়৷ আরিফ কুলতলি জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ বাইকে করে অসীম বাবুকে নিয়ে জালাবেড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় আরিফ৷ তাঁকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলে সন্দেহ হয়৷ তখন পালানোর চেষ্টা করেন৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় তার উপর৷ তার ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা নিয়ে অভিযুক্ত চম্পট দেয় বলে দাবি আক্রান্তের৷
স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেন৷ পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে৷
ফের গার্হস্থ্য হিংসা, ফের অত্যাচারিত এ রাজ্যের নারী। প্রথমে বেধড়ক মারধর। তারপরই গায়ে ঢেলে দেওয়া হল অ্যাসিড (Acid Attack)। পণের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ স্বামী ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সমেত গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনলেন খোদ অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূ (housewife)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলির (Kultali) দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে আহাচান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। অভিযোগ, গত ২৬ তারিখ ঝামেলা চলাকালীন অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় বধূর গায়ে। চিকিৎসা তো দূর, বাড়ি থেকে পর্যন্ত বেরোতে দেওয়া হয়নি ওই অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূকে।
অবশেষে, রবিবার রাতে কোনও ক্রমে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় অভিযোগ জানান বধূ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী আহাচান হালদার ও দ্বিতীয় স্ত্রী আসিদা হালদার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলতলি থানার পুলিস।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ, পণের দাবি। সেই পরিসংখ্যানেরই তো ছোট্ট উদাহরণ কুলতলির এই ঘটনা।
বাসন্তীর (Basanti) পর এবার কুলতলি (Kultali)। তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে। সোমবার রাতে ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ঘরামি।
জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সারছিলেন কুতুবউদ্দিন। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁর উপর হামলা হয়। তাঁর ডান পায়ে গুলি লাগে। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জামতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। যদিও ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সিপিএম। তাঁদের দাবি, আদতেও কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের জেলায় জেলায় বারবার শাসক (TMC) দলের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা উঠে আসছে। জয়নগরের পর এবার কুলতলিতেও বামেদের (CPIM) উপর হামলার (Attack) অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন সিপিআইএম-এর সমর্থক জাকির সর্দার। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি (Kultali) থানার পুলিস। পুলিস (Police) আহত ওই সিপিআইএম সমর্থককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাকির সর্দার। অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর বুথের সিপিআইএম পার্থী মর্জিনা সর্দার। রবিবার সকালে ওই প্রার্থীকে নিয়েই গ্রামে প্রচার করতে যায় সিপিআইএম-এর সমর্থক জাকির সর্দার। তখনই এমন ঘটনা ঘটায় শাসক দল, এমনটাই দাবি। আহত ওই বাম সমর্থক জাকির সর্দারের অভিযোগ, গ্রামে প্রচার করার সময়ই তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকে ধরে। তারপরেই জাকির সর্দারকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এমনকি লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় জোরে আঘাতও করে। ঠিক তারপরেই জাকির সর্দারের শরীরে যাতে কোনও রক্তের দাগ না থাকে তার জন্য গায়ের জামাও খুলে নেয় অভিযুক্তরা, এমনটাই অভিযোগ করেছেন আহত ওই সমর্থক।
যদিও অপহরণ করে মারধর করার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কুলতলির ব্লক সভাপতি পিন্টু প্রধান। তিনি জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সংযোগ নেই। নির্বাচনের আগে শাসক দলকে কালিমালিপ্ত করতেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে বিরোধী দল।
তিন বছরের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও। অভিযুক্তর দ্বিতীয় বিয়ে ঘিরে প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে নিত্য অশান্তি, আর তাতেই খুনের ঘটনা। এমনটাই মৃতার পরিবারের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পান বাবা মদন সর্দার। তিনি জামাইয়ের বাড়ি গিয়ে দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। এরপর কুলতলি থানায় এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিনের প্রেম থেকে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় অনুপ মণ্ডল এবং তপতী সর্দারের। তিন বছরের একটি ছেলেও আছে দম্পতির। তপতীর পরিবারের অভিযোগ, একবছর ধরে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে সোনারপুরে সংসার পাতেন অনুপ।
প্রথম স্ত্রী এবং ছেলের খোঁজখবর পর্যন্ত নিতেন না অনুপ বলে খবর। বাবার থেকে টাকা নিয়েই সংসার চালাতেন তপতী। যে কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। রোজকার এই ঝামেলা মঙ্গলবার বিশাল আকার ধারণ করে। এভাবে ঝামেলা চলাকালীন ছেলের সামনেই স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে যান অনুপ। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, ভালোবাসা থেকে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করেছিলেন অনুপ-তপতী। ভালোভাবেই সংসার করছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুপ অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব পরিবার।
তপতী সর্দারের বাবা জানান, 'মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করে। তিন বছর আগে একটা সন্তানও হয়। জামাই অন্য একজনকে বিয়ে করে সোনারপুরে সংসার পাতে। তপতী এবং সন্তানের সঙ্গে থাকতেন না অনুপ। সংসারে কোনও টাকা পয়সাও দিতেন না। আমাদের থেকে কিছু টাকা-পয়সা এনে কোনওভাবে সংসার চালাত মেয়ে। দিন দুয়েক আগে তপতীর শ্বশুর ফোন করে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। ও বাড়ি ফিরলেই মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।'
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু(Death) এক ব্যক্তির। চাষের জমিতে জিআই(GI) তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বলে অনুমান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) শুকদেবের মোড়(Sukhdev more) এলাকার ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে পুলিস(Police)। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অলোক বৈদ্য। কুলতলির কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ বাড়ি থেকে বন্ধুর দোকানে কাজে যান অলোক। তবে কাজ সেরে সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেনি ওই ব্যক্তি। ভোরের দিকে বাড়িতে খবর আসে অলোককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবার। পরিবারের দাবি, বন্ধুদের সঙ্গে রাতে মাঠে তাস খেলত যেত অলোক। সোমবার রাতেও হয়তো তাস খেলতেই গিয়েছিল মাঠে। কিন্তু চাষের জমিতে জিআই তার লাগানো ছিল, যার জেরেই এমন ঘটনা।
পুলিস সূত্রে খবর, গভীর রাতে খবর পাওয়া যায় শুকদেবের মোড় এলাকায় ধান জমির পাসে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে অলোক তাস খেলতে মাঠে যেত। তবে ঠিক কি কারণে সে গভীর রাতে ওই এলাকায় গিয়েছিল তার তদন্ত করেছে পুলিস।
অন্তঃসত্বা বধূকে(Pregnant Woman) বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ(Rape) এক যুবকের বিরুদ্ধে। কুলতুলি(Kultali Police) থানা এলাকার ঘটনায় নির্যাতিতা নিজেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম নাজির পুরকাইত। দেড় বছরের বাচ্চার সামনেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বধূর বাড়িতে ঢুকে যৌন নির্যাতন চালায় নাজির বলে অভিযোগ। বধুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। সে সময় পালাতে গেলে প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। তখন স্থানীয়রাই অভিযুক্তকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
নির্যাতিতা জানান, স্বামী বাড়িতে না থাকায় দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে একাই ছিলেন বধূ। নির্যাতিতার স্বামী রং-এর কাজ করেন। কাজের কারণে তাকে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তাই বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা আরও জানান, অভিযুক্ত যুবক তাঁর পুর্ব পরিচিত। মাঝেমধ্যে তাঁরা ফোনে কথাও বলতেন।
দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসে কুলতুলিতে গণধর্ষণের (Gangrape in Kultali) শিকার এক নাবালিকা। অভিযোগ, 'তাকে (Minor Girl) মেলা থেকে অপহরণ নিয়ে গিয়ে প্রথমে বাড়িতে এবং পরে মাঠে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আবদুল মোল্লা-সহ এক নাবালক।'
জানা গিয়েছে, মাঠে ধর্ষণের সময় নাবালিকা চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পায়নি। কারণ মেলার মাঠে মাইকের শব্দে সেই চিৎকার ঢাকা পড়েছিল। এরপর কুকর্ম সেরে অভিযুক্তরা নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে চম্পট দেয়। মেলা ফেরত মানুষরা নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেন। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটু সুস্থ হলে নাবালিকা মাকে সব খুলে বলে।
কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিস। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃত দু'জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতিতার পরিবার অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব।
কৈখালী থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এক 'পুলিসকর্মী'র গাড়ির ধাক্কায় (Kultali Accident) আহত দুই। আহতদের মধ্যে এক শিশু (Child Injure)-সহ কিশোরীও রয়েছে। দু'জনকেই কলকাতার এক হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কুলতলী থানার কালীতলা এলাকার এই ঘটনায় সোমবার সকালেও চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়ির ড্রাইভারের সিটে বসে থাকা ব্যক্তি নিজেকে কুলতলী থানার পুলিস (Police Car) বলে দাবি করেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং কৈখালীর দিক থেকে এসে প্রবল বেগে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন ওই দুই পথচারীকে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী দু'জনকে উদ্ধার করে প্রথমে জামতলা হাসপাতাল নিয়ে যায়, দু'জনেরই অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘাতক গাড়িতে পুলিস লেখা স্টিকার এবং নিজেদেরকে কুলতলী থানার পুলিস পরিচয় দেন গাড়িতে থাকা দু'জন।। ক্ষিপ্ত জনতা গাড়িটি আটকে রাখেন। কুলতলী থানার পুলিস গিয়ে গাড়ি-সহ দু'জনকে উদ্ধার করেন।
পরিবার সূত্রে দাবি, দু'জন খাবার কিনে ফিরছিল, তখন পিছন দিক থেকে বেসামাল একটি গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। আহত একজনের নাক এবং মুখ ফেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আবারও বাঘের হামলায় মৃত্যু (death) হল এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলীর (Kultali)। মৃত্যুর খবরে শোকাহত পরিবার সহ এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত সোমবার কুলতলির দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের কাঁটামারি এলাকা থেকে দুটি নৌকা করে সাত মৎস্যজীবী রওনা দিয়েছিলেন সুন্দরবনের (Sundarbans) নদী খাড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে। এরপর শনিবার সকাল ৬ টা নাগাদ বিদ্যা নদীর চড়ে নৌকাতে বসে মুখ ধুচ্ছিলেন মৎস্যজীবী দিলীপ সরদার। হঠাৎই ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের মধ্যে থেকে একটি বাঘ (tiger) নৌকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দিলীপ সরদারের ঘাড়ে কামড় দিয়ে বিদ্যা নদীর জলে ঝাঁপায়। তত্ক্ষণাত্ই মৎস্যজীবী দিলীপ সরদারের পাঁচ সঙ্গী রঘুনাথ সরদার, বিপুল সরদার, শ্যামল মণ্ডল, মানবেন্দ্র হালদার ও হৃদয় সরদার ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে। ততক্ষণে বাঘটি মৎস্যজীবী দিলীপ সরদারকে নিয়ে নদীর পাড়ে সাঁতরে উঠে গিয়েছে। এরপরেই দিলীপ সরদারকে বাঁচানোর জন্য চলে বাঘে মানুষের লড়াই। অবশেষে বাঘটি হার মেনে মৎস্যজীবী দিলীপ সরদারকে ছেড়ে জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মাথায় গুরুতর আঘাতের দরুন মৃত্যু হয় আহত মৎস্যজীবীর।
এরপরই দিলীপ সরদারের নিথর দেহ নিয়ে দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের কাটামারির গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন মৎস্যজীবীরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পুরনো বিবাদের জেরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন (murder)। নৃশংস এই ঘটনাটি কুলতলি (Kultali) থানা এলকার জলাবেরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামের। ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ সহ পরিবারের সদস্যরা। নৃশংস এই ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে পৌঁছয় কুলতলী থানার পুলিস (police)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম সহদেব হালদার। পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী নিতাই, সঞ্জয় কয়াল সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পুলিস আসলে সেখানে থেকে উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র (weapon)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয় সহদেব। তখনই রাস্তায় তাঁকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে অভিযুক্তরা। প্রাণ বাঁচাতে পাশের একটি জলাতে ঝাঁপ দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। চিৎকারের আওয়াজ শুনে এলাকার বেশ কয়েকজন বাঁচাতে যায় সহদেবকে। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের উপরেও হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এরপরেই মৃত্যু নিশ্চিত হলে এলাকা থেকে চম্পট দেয় তারা। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস। তবে পারিবারিক বিবাদ না জমি সংক্রান্ত বিবাদ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।