কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি পাঠিয়ে কংগ্রেস ছাড়লেন আইনজীবী কৌস্তব বাগচী। ফলে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বুধবার সকালে কংগ্রেসের সদস্য পদ ছাড়তে চেয়ে দলের সভাপতি ছাড়াও বঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন কৌস্তভ। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কৌস্তভের দাবি, এখন কংগ্রেসের আত্মসম্মান নেই।
ইস্তফা দেওয়ার পর সিএন কে দেওয়া এক্সক্লুজিভ সাক্ষাৎকারে কৌস্তভ জানালেন, 'বারবার দলকে জানিয়েছেন ঠিক কোথায় কোথায় ভুল রয়েছে, এছাড়া কংগ্রেস আর তৃণমূল এখন একই দলের মত অবস্থা। ওই দলে আত্মসম্মান নেই। তাই দল ছাড়লাম।' গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে যদিও জামিন পেয়ে যান। তবে আদালত থেকে বেরিয়েই সে সময় কৌস্তভ হুঙ্কার করেছিলেন, “যদি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করবেন, ততদিন পর্যন্ত মাথার চুল রাখবেন না।” এরপর মাথা মুণ্ডন করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকে দেখায় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে পর্যুদস্ত করতে কংগ্রেস-তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটে সহাবস্থান করছে। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি এই নেতা।
এছাড়া সিএন কে দেওয়া এক্সক্লুজিভ সাক্ষাৎকারে কৌস্তভ বললেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র মুখ তিনি।' কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা উস্কে দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।
আইনজীবী কৌস্তব বাগচীর (Koustav bagchi) গ্রেফতারিতে, কলকাতা পুলিস কমিশনারের (CP) রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বিচারপতি (Judge) রাজশেখর মান্থা। সোমবার এই মামলার শুনানিতে সিপির রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ ঘটনায় হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিলো হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এঘটনার পরবর্তী শুনানি ২০ এপ্রিল।
সূত্রের খবর, শুনানির সময়ে, সরকারি কৌঁসুলিকে বিচারপতি মান্থা বলেন, ' কমিশনারের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার সিপি গোটা পুলিস অভিযান যুক্তি গ্রাহ্য বলছেন! গোটা ঘটনা গ্রহণীয় নয়, সবাই সেটা জানে। অথচ সিপি কি তাঁর পুলিসকে বেআইনি কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন? এই ধরনের আচরণ মানতে পারছি না। ' তিনি আরও বলেন, ' এটা কি খুব গ্রহণযোগ্য, পাবলিক ফিগার একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করবে? '
সূত্রের খবর, সোমবার তিনি সরকারি কৌঁসুলিকে বলেন, ' পুলিসকে সতর্ক করা জরুরি। ' পাশাপাশি সূত্রের খবর, সিআরপিএফ নিরাপত্তা দিতে আপত্তি করলেও, সিআইএসএফকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে মামলায় যুক্ত করা হলো। আগামী দিনে সি আই এস এফ ওই জায়গা ঘুরে দেখবে এবং নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা, সেটা জানিয়ে রিপোর্ট দেবে।