Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Kolkatamunicipalcorporation

Firhad: 'বাড়তি বোঝা', ছুটির দিনে নির্দেশিকা জারি করে বাতিল বর্ধিত পার্কিং-ফি

পার্কিং-ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) বিরুদ্ধে বিতর্ক চরমে ওঠে। শুক্রবার অর্থাৎ ‘গুড ফ্রাইডে’র ছুটির দিনেই নতুন নির্দেশিকা দিল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার রাতেই বর্ধিত পার্কিং-ফি (ParkingFee) প্রত্যাহারের নির্দেশিকা (Notice) জারি হয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ পুরসভার তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত পুরনো পার্কিং ফি-ই বহাল থাকবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতা পুর এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং-ফি বাড়ায় কলকাতা পুরসভা। এই মর্মে নির্দেশিকার পরে শুরু হয় বিতর্ক। দলের অন্দরে গুঞ্জন দানা বাঁধে। প্রশ্ন ওঠে এই ফি বৃদ্ধির ব্যাপারটি মুখ্যমন্ত্রী জানেন কিনা! প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ব্যতিরেকেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভা এলাকায় রাস্তার পার্কিং-ফি বৃদ্ধি করেছেন। এই বক্তব্যের পরেই চাপে পড়েন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হতেই শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বললে পার্কিং ফি বাড়ানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেব। তবে এটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রকাশ্যে না বলে দলের ভিতরে বললেও হত!’ অন্যদিকে, দলের মুখপাত্র কুণাল সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অগোচরে’ পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছিল। তিনি কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন ওই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে পুরনো হারেই পার্কিং ফি নিতে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের উপর ‘বাড়তি বোঝা’ চাপাতে চান না।

one year ago
Ayan: অয়নের ড্রাফটে কলকতার কোন মেয়র! ইডি র‍্যাডারে উত্তর দমদম, কামারহাটি-সহ আর কোন পুরসভা

শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের গ্রেফতারির পর ইডির (Ed) হাতে এলো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, অয়নের (Ayan) অফিসের নথি ঘেটে জানা গিয়েছে, কলকাতা (Kolkata) কর্পোরেশনের মেয়রকে উদ্দেশ্য করে ড্রাফট লেটার যেত অয়নের মারফত। এবার স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সেই মেয়র কে ছিলেন? সিএন-এ আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল যে, অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এ রাজ্যের কম বেশি ৭০টি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে।

পাশাপাশি জানানো হয়েছিল কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও দমকল বিভাগে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এবার অয়নের বাড়ি থেকে ইডির উদ্ধার করা ড্রাফটের ভিত্তিতে প্রশ্ন উঠছে কলকাতার কোন মেয়রের কাছে ওই ড্রাফট পৌছতো? কেনই বা পৌছতো? সমস্ত নথি উদ্ধার করে এদিন ট্রাকে করে আদালতে হাজির হয় ইডি। সোমবারই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সোমবার অয়নের পক্ষের আইনজীবী ও ইডির পক্ষের আইনজীবীর জোর সওয়াল জবাবের পর বিচারক অয়নকে ১৩ দিনের ইডির হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

অয়নের বাড়ি থেকে মেয়রের উদ্দেশ্যে ড্রাফট উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কলকাতার প্রাক্তন ও বর্তমান মেয়রের দিকে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, যার কাছে ড্রাফট পৌছতো, সেই মেয়র কে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় না ফিরহাদ হাকিম? অয়নের বাড়ি ও অফিস থেকে ৩২টি ব্যাঙ্কের নথি, অয়নের নিজের ব্যাঙ্ক নথি এবং তাঁর স্ত্রী কাকলি শীলের যৌথ অ্যাকাউন্ট ছাড়াও একটি প্রাইভেট লিমিটেড, একটি সার্ভিস স্টেশন সংস্থা ইডির আতস কাঁচের তলায়। সোমবার ইডি সূত্রে দাবি, এ রাজ্যের কম বেশি ৭০টি পুরসভায় ৫০০০ বেনিয়মে নিয়োগ হয়েছে। মজদুর ও টাইপিস্ট নিয়োগে ৪-৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হত। চাকরি সেই চাকরির রেটও উদ্ধার করেছে ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রেই খবর, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুরসভাগুলিতে।

দক্ষিণমুখী জেলার পুরসভাগুলিতে হয়েছে বেলাগাম দুর্নীতি। উত্তর দমদম, দমদম, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরাহনগর, পানিহাটি, ডায়মন্ডহারবারসহ আরও পুরসভায় চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ইডি কর্তাদের। আগে থেকেই এ রাজ্যের একাধিক নেতা, মন্ত্রী জেলে রয়েছেন বিভিন্ন দুর্নীতিতে। আবার অয়নের নথি ঘেটে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। ইডির দাবি নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের সবকটি দফতর গুলিতে। এবং নাম উঠেছে বহু চেয়ারম্যান সহ মন্ত্রী, মেয়রদের। অয়নের নথি ঘেটে, ইডি নিয়োগ দুর্নীতির আরও গভীরে যেতেই কার ডাক আগে আসবে সেটাই এখন দেখার?

one year ago