বুধবার ডুরান্ডে ফের ইস্টবেঙ্গল। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ পঞ্জাব এফসি। ডার্বি জয়ের পর এখন দুটি প্রশ্ন লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে। আর তা-হল কোন অঙ্কে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে তাঁদের দল।
অঙ্ক খুব পরিষ্কার। এদিনের ম্যাচে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে জিতলেই নক-আউটে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে নকআউটে উঠতে হলে অপেক্ষা করতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। কারণ, পঞ্জাবকে হারালে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই নকআউটে উঠবে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।
লাল-হলুদ সমর্থকদের দ্বিতীয় প্রশ্ন এদিন কী বল পায়ে দেখা যাবে ক্লেটন সিলভাকে? পঞ্জাব ম্যাচে আগে যা ইঙ্গিত তাতে এদিন বল পায়ে নামতে পারেন ব্রাজিলীয় এই ফুটবলার।
এমনকী পরখ করা হতে পারে লাল-হলুদে যোগ দেওয়া আর এক স্প্যানিশকেও। তবে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের এই ম্যাচ থেকে একটাই টার্গেট। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া। লিগে একটি ম্যাচ খেললেও ডার্বির পর ডুরান্ডে এই ম্যাচ খেলতে নামছে লাল-হলুদ
উনিশময় সেনেগাল (Senegal)। তারকা ফুটবলার সাদিও মানেকে (Sadio Mane) ছাড়াই নক আউটের ছাড়পত্র পেয়েছে সেনেগাল। ইকুয়েডরকে (Ecuador) হারানোর ম্যাচে বারবার ফিরে এসেছে ১৯ সংখ্যাটি। অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ডে লেখা ছিল ১৯। গ্যালারিতে সমর্থকদের জার্সিতে লেখা ছিলো ১৯। ম্যাচের পর আবিষ্কৃত হয় চমকপ্রদ তথ্য।
সেনেগালের বিখ্যাত ফুটবলার ছিলেন পাপা বৌবা দিওপ। ১৯ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামতেন তিনি। দিয়েগো মারাদোনা প্রয়াণের কয়েকদিন বাদেই আকস্মিকভাবে মারা যান দিওপ। মাত্র ৪২ বছরেই প্রয়াত হন। অভিশপ্ত দিনটা ছিল ২৯ নভেম্বর। মঙ্গলবার আরও এক ২৯ নভেম্বর ছিল ক্যালেন্ডারের পাতায়। ইকুয়েডরকে হারিয়েছে দিওপের দেশ। তিন পয়েন্ট পকেটে পুরে দেশের কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানালেন ফুটবলাররা।
একইসঙ্গে কোচ আলীউ সিসেও একটা মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন। সেনেগালের জার্সিতে ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন সিসে। কুড়ি বছর আগে আফ্রিকান নেশন কাপ ফাইনালে উঠেছিল সেনেগাল। সিসে ছিলেন ওই দলে। কিন্তু ফাইনালে হারতে হয় ক্যামেরুনের কাছে। টাইব্রেকার মিস করেছিলেন সিসে। সেদিন ব্যর্থ হয়েছিলেন। কাতারে সফল হলেন। সিসে দেশের মুখে হাসি ফোটালেন।
মুন্নি চৌধুরী: ৯৭৪, নেহাৎই কোনও সংখ্যা নয়। আস্ত ফুটবল স্টেডিয়াম, কাতারের কামাল। স্রেফ কন্টেনার দিয়ে তৈরি এই স্টেডিয়াম নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বুধবার ভারতীয় সময় মধ্যরাতে হতে চলা আর্জেন্টিনা বনাম পোল্যান্ড ম্যাচ (Argentina vs Poland) নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। ৯৭৪ স্টেডিয়ামের আয়ু বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) ফুরোলেই শেষ। কন্টেনার খুলে রাখা হবে। হাউভোল্টেজ ম্যাচের আগে পোল্যান্ডের সমর্থকেরা বিদ্রুপ করছেন। কন্টেনারে ভরেই দেশে পাঠানো হবে মেসিদের (Lionel Messi)। তরজা চলছে গরমাগরম। আসলে গ্রুপ সি থেকে কারা পরের রাউন্ডে যাবে তা পরিষ্কার নয়। চার দলের তুমুল লড়াই। একদিকে এলএম-১০ বনাম লেওয়ানডস্কি। অন্যদিকে সৌদির সামনে মেক্সিকো। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে পোল্যান্ড। ৩ পয়েন্ট মেসিদের। একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সৌদি। কিন্তু গোল পার্থক্য এগিয়ে রেখেছে স্কালোনির নীল-সাদাকে।
সোজা সাপটা সমীকরণ, পোল্যান্ডকে হারালেই নক আউটের টিকিট মিলবে আর্জেন্টিনার। হারলে? তাকিয়ে থাকতে হবে সৌদি ম্যাচের দিকে। মরুর দেশ জিতে গেলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে মেসিদের। ড্র হলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। তাই সবচেয়ে সহজ রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন আর্জেন্টিনা কোচ,'জিততে হবে'। ৩ পয়েন্ট আর নক আউটের ছাড়পত্র পেতে ভরসা সেই লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, ডি পল, লাউতারো মার্টিনেজ। স্কালোনির হাতে ঘুঁটি কম নেই। কিন্তু পোল্যান্ড জানে মেসিকে রুখতে পারলে অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে।
৪-২-২ স্ট্রাটেজিতে দল সাজিয়েছেন স্কালোনি। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে যারা প্রধান ডিফেন্ডার ছিলেন, তাঁদেরই এবারেও রাখা হচ্ছে। ডান দিকে জি মনিটেইল, দুটো স্টপার হচ্ছে ওটামেন্ডি আর লিসান্দ্র মার্টিনেজ। বাঁ দিকে একুনা। দু'জন স্ট্রাইকার মেসি আর লাউতারো মার্টিনেজ। পিছন থেকে মাঝ মাঠের দখল এবং বল পাসিংয়ের দায়িত্বে ম্যাক আলিস্টার, রডরিগেজ, ডি পল এবং ডি মারিয়া। গোলরক্ষক ডি মার্টিনেজ। তবে পরিস্থিতি দেখে বদলাতে পারে স্ট্রাটেজি।
বিশ্ব ফুটবলের বরপুত্র আগের ম্যাচে ম্যাজিক গোল করেছেন। এবার আরও একটা পরীক্ষা। সৌদির কাছে হেরেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে আর্জেন্টিনা। মেসি আর বাকি দশজন পারবেন তো? প্রহর গুনছে আর্জেন্টিনা।