Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

KishorKumar

Food Lovers: অশোক কুমার ও কিশোর কুমার; দু'জনেই মনে প্রাণে খাঁটি বাঙালি এবং খাদ্যরসিক

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: গত ১৩ অক্টোবর ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি অভিনেতা অশোক কুমারের জন্মদিন। পাশাপাশি তাঁর ছোট ভাই ভারতীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি গায়ক ও অভিনেতা কিশোর কুমারের মৃত্যুদিন। বলিউডের এই দুই কিংবদন্তি শিল্পীকে কাছ থেকে দেখার ও মেশার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। ওরা প্রবাসী বাঙালি হলেও এঁদের মধ্যে যথেষ্ট বাঙালিয়ানা ছিল। অশোক কুমার বাংলা লিখতে ও পড়তে পারতেন। কিন্তু কিশোর কুমার বাংলা লিখতে ও পড়তে পারতেন না। তবে অশোক কুমার ও কিশোর কুমার দু'জনেই পরিষ্কার বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতেন। 

বাড়িতে ওরা বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই কথা বলতেন। অশোক কুমার ও কিশোর কুমার দু'জনেই ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। অশোক কুমার বিরাট মাপের অভিনেতা তো ছিলেনই তা ছাড়াও উনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে খুবই দক্ষ ছিলেন। খুব ভাল ছবি আঁকতেন।   খুব ভাল জ্যোতিষচর্চা করতেন। অসম্ভব ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতেন। নিয়মিত সকাল বেলায় ঘন্টা দুয়েক বিনা পয়সায় রুগি দেখতেন এবং ওষুধ দিতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজনা করা ছাড়াও তিনি অনেক বড়বড় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

নানান বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। সাহিত্যের প্রতি ওর গভীর অনুরাগ ছিল। বাংলা সাহিত্যের প্রতি ছিল প্রবল ভালবাসা। নিয়মিত বাংলা কবিতা, উপন্যাস পড়তেন। আমি বেশ কিছু বাংলা কবিতার বই ও বাংলা পত্রপত্রিকা দাদামণিকে পড়তে দিয়েছিলাম। বাংলা বই পেলে খুব খুশি হতেন অশোক কুমার। কলকাতা থেকে ওর ঘনিষ্ঠরা কেউ এলে তাজা সবজি, মিষ্টি নিয়ে আসত। অশোক কুমার পটল ভাজা খেতে খুব ভালবাসতেন। কলকাতার সন্দেশ ও রসগোল্লার প্রতি খুবই দুর্বল ছিলেন। 

তবে অশোক কুমার খুবই নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করতেন। খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তেন এবং খুবই ভোরে উঠেতেন। এমনিতে কাজের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস ছিলেন দাদামণি। আবার প্রিয়জনদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডাও দিতেন। পাশাপাশি কিশোর কুমারও অসম্ভব প্রতিভাধর ছিলেন। একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সুরকার-গায়ক। দারুণ মজার মানুষ ছিলেন কিশোর কুমার। সর্বদাই হাসি মজা করে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। বাংলা ভাষা পড়তে বা লিখতে না জানলেও পরিষ্কার বাংলায় কথা বলতেন। 

বাঙালি হিসেবে উনি খুবই গর্ব অনুভব করতেন। বাঙালি খাবারের প্রতি ছিল বিশেষ দুর্বলতা। এমনিতে সিগারেট, মদ্যপান এসব কোন নেশা না থাকলেও, খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে উনি বড় ভাই অশোক কুমারের মত কঠোর নিয়ম মেনে চলতেন না। ঘি, মশলা যুক্ত সুস্বাদু খাবার খুবই পছন্দ করতেন। পছন্দ করতেন ঘিতে ভাজা ফুলকো ফুলকো লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, আলুর দম সহযোগে জল খাবার খেতে ও খাওয়াতে। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা ছিল নানা রকমের বাঙালি মাছের পদ ও কলকাতার বাঙালি মিষ্টির প্রতি। কিশোর কুমার প্রায়ই বলতেন বাঙালিদের মতো মাছ রান্না করতে কেউ পারে না।

গলদা চিংড়ি র মালাইকারি, ইলিশ ভাপা, ভেটকি সর্ষে, কাতলা মাছের দম, ট্যাংরার ঝাল, শিং, মাগুরের ঝোল প্রভৃতি পছন্দ করতেন। মিষ্টির মধ্যে দই, রাবড়ি, রাজ ভোগ, রসগোল্লা, নতুন গুড়ের সন্দেশ, জল ভরা তালশাস, মালাই চমচম ইত্যাদি ভালবাসেন।  নিজে কলকাতা থেকে যাওয়ার সময় অনেক দই, মিষ্টি ও মাছ নিয়ে যেতেন।

2 years ago