প্রকাশ্য রাস্তায় খুনের ঘটনায় দিনের পর দিন বাড়াচ্ছে মানুষের আতঙ্ক। এবার ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল খাস শহর কলকাতার বুকে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। খুন করা হয় বছর ২৬-এর যুবক, ফুটপাতে বসবাসকারী সঞ্জয় মল্লিককে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযোগ, আমচকা একটি ভারী পাথর দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়। ঘুমের মধ্যে লাঘাতার মাথায় আঘাত হওয়ায় তা ভয়ানক রূপ নেয়। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা আসেন, সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসরাও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত অন্যান্য ফুটপাত বাসিন্দারাও।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, রাতেই পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুমিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিত অ্যাপ ক্যাবে করে সেখানে আসে। এসে আঘাত হানে সঞ্জয়ের ওপর। কেন এই খুন? নেপথ্য কাহিনী কী? বের হবে তদন্তে। তবে, কলকাতার মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো ব্যস্ততম জায়গায় প্রকাশ্যে এমন খুন, কলকাতাবাসীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এনআরএস কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। ২০১৯ সালে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংস হত্যায় নাম জড়িয়েছিল দুই নার্সিং ছাত্রীর। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রায় বছর তিনেক পর আবারও একই ঘটনার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ করেছে দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লিতে সম্প্রতি একটি পথকুকুর ১৫টি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাদের দেখভাল করতেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল তারা। রাতের দিকে একের পর এক ১০টি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকা থেকে আরও একাধিক কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয়রাই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পথে নামে পশু প্রেমী সংগঠন। পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা অমানবিক কাজ করল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।
ভাইয়ের হাতে খুন (Killed) হলো দাদা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট আঠারো কোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি এই ঘটনায় ওই অভিযুক্ত ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। তারপরেই অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জমশের আলী (৩৫) এবং আহত ওই ব্যক্তির নাম রহমত আলী। জমি নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। তারপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু'জন দুজনকে আঘাত করে। তারপরে দু'জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তবে জমশের আলীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে এসে রহমত আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিজের মা কে খুন (Killed) করল ছেলে! বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম থানার বেংডোবা বনবস্তি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুমারগ্রাম থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এমনকি এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম বাহা টুডু (৫৯) এবং অভিযুক্ত ওই ছেলের নাম রমান টুডু (৩৩)। পুলিস আরও জানিয়েছে, অভিযু্ক্ত ওই ছেলেটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। সূত্রে খবর, বাড়িতে মা বাহা টুডুকে নিয়ে বসবাস করত ছেলে রমান টুডু। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দেখতে পান বাহা টুডু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারপরেই স্থানীয়রা কুমারগ্রাম থানায় খবর দেয়।
জমি বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে বিবাদ। বিবাদের জেরে মাকে খুন (Killed) করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলরোড এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ফালাকাটা থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই মায়ের নাম মায়া চট্টোপাধ্যায় (৬৫)। আর অভিযুক্ত ছেলের নাম বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি বিক্রির টাকার বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের মাকে খুন করে অভিযুক্ত। তারপরে সেই দেহ শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে। তবে স্থানীয়রা এই খবর জানতে পেরে খবর দেয় পুলিসে। পুলিস এসে শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দেহটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জমি বিক্রি করা হয়েছিল। সেই জমি বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়া নিয়েই মা ও ছেলের মধ্যে বচসা প্রায়ই লেগেই থাকতো। আর এর ফলেই এমন ঘটনা। তবে ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্তের ভার নিয়েছেন ফালাকাটা থানার আইসি সমিত তালুকদার।
রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে একের পর এক কুকুর বাচ্চার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে জোকার জেনেক্স ভ্যালি আবাসনে। ওই কুকুর ছানাদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই হরিদেবপুর থানায় (Haridevpur Police Station) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমন অমানবিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা আবাসনে। জানা গিয়েছে, একটি কুকুরের ছটি বাচ্চা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে আবাসনের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করত ছোট্ট ছানাগুলি। তার মধ্যে হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকালে কুকুরের একটি বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় আবাসনের সিকিউরিটি ম্যানেজার।
অপর আরেকটি বাচ্চাকেও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। স্থানীয়দের বক্তব্য, 'ছ'টি বাচ্চাকেই বিষ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চারটি মরে যাওয়ার পর তাদেরকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এখনও একটি বাচ্চা আবাসনের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ও অপর বাচ্চাটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।'
ইতিমধ্যেই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। কে বা কারা এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বছর শুরুর দিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। আগুন লাগল দিল্লির একটি বৃদ্ধাশ্রমে। রবিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির গ্রেটার কৈলাস টু এলাকায় অবস্থিত ওই বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে দু'জন প্রবীণ মহিলা নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহত আরও ছয় জন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (Fire Brigade) একাধিক ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, আহতদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে।
এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দিল্লির সংগম বিহার এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় তল থেকে ১৪ জনকে (চারজন মহিলা, পাঁচটি পুরুষ এবং পাঁচটি শিশু) উদ্ধার করা হয়। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের।
স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই পলাতককে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে খুজেছে পুলিস। অবশেষে সেই বিড়াল-ইঁদুর দৌড়ে ইতি। হরিয়ানা পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারি এড়াতে বারবার ঠিকানা বদল করেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর সন্ধানে ৫ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণাও করেছিল প্রশাসন। অবশেষে সাফল্য।
জানা গিয়েছে, ২০২১-র ৬ অগস্ট সকালে মদ খাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে স্ত্রীর মুখ জ্বলন্ত উনুনে ঢুকিয়ে দেন পিকু। ফুটন্ত তেল ঢেলে দেন স্ত্রীয়ের মুখে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন পিকুর স্ত্রীকে।
এরপরেই বিপদ আঁচ করে পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত। কয়েক মাসে কখনও রাজস্থান, কখনও পঞ্জাবে গিয়ে থাকছিলেন তিনি। আদতে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা পিকু কাজের সূত্রে হরিয়ানার ফরিদাবাদে থাকতেন।
সেখানেই সস্ত্রীক দিনমজুরির কাজ করতেন পিকু। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে গোপন সূত্রে খবর আসে ফরিদাবাদেই রয়েছেন পিকু। তারপরই তাঁকে গ্রেফতারে কোমর বাঁধে পুলিস। জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন পিকু।
ফের নৃশংস ঘটনা! পারিবারিক অশান্তির জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে খুন (murder) করলো ছেলে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘী (Raidighi) থানার উত্তর কুমড়োপাড়া এলাকায়। নিহত ব্যক্তি দুলাল গায়েন, বয়স ৬২ বছর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছেলে দীপঙ্কর গায়েনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে রায়দিঘি থানার পুলিস (police)।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বাপ ছেলের মধ্যে একটা মনোমালিন্য চলছিল। সোমবার সকালে সেই অশান্তি পৌঁছয় চরমে। পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা দুলাল দাসকে তাঁর বড় ছেলে দীপঙ্কর গায়েন শাবল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দুলাল গায়েন। পরে স্থানীয় লোকজন দুলাল গায়েনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে রায়দিঘি থানার পুলিস। এলাকাবাসীরা আরও জানায়, দুলাল বাবুর বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
অন্যদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড আবার পুলিস মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় রায়দিঘি থানার পুলিস। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘির উত্তর কুমারপাড়া এলাকায়।
সম্পত্তিগত বিবাদে ছেলের হাতে খুন হিন্দি ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ বীণা কাপুর (Veena Kapoor)। বেসবলের ব্যাট দিয়ে মায়ের (Son killed Mother) মাথায় মেরে খুন করেছে ছেলে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিস (Mumbai Police)। এই ঘটনায় হইচই পড়েছে গোটা বিনোদন জগতে (Entertainment Industry)। অভিনেত্রীর জুহুর বাড়িতেই এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তাঁর মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে এনে দাবি বীণার সহ-অভিনেত্রী নীলু কোহলির।
এই খুনের ঘটনায় অভিনেত্রীর তাঁর ছেলে সচিন কাপুর ও বাড়ির এক পরিচারককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিনেত্রীর দুই ছেলে, বড় ছেলে থাকেন আমেরিকায়। ছোট ছেলের সঙ্গেই থাকতেন বীণা। অভিনেত্রীর খুন নিয়ে নীলু কোহলি সামাজিক মাধ্যমে জানান, বেসবলের ব্যাট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে খুন নিশ্চিত করে সচিন। তারপর দেহ লোপাট করতে মুম্বই থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মাথেরান জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত। ১২ কোটি টাকা মূল্যের এক জমির জন্য বিবাদের জেরে মাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন তিনি।
অনলাইনে গেম (Online game) খেলার প্রতি মারাত্মক আসক্তি সর্বনাশ ডেকে আনলো আদ্রার এক রেল কর্মীর পরিবারে। খেলতে গিয়ে বাজারে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ করে ফেলেছিলেন আদ্রার বাসিন্দা ওই রেল কর্মী। অবশেষে ঋণ (loan) শোধ করার কোনও উপায় না পেয়ে নিজেই আত্মঘাতী হলেন। তবে শুধু নিজেকেই শেষ করেননি, আত্মঘাতী (Suicide) হবার আগে শ্বাসরোধ করে খুন (murder) করেন বছর ৫ এর নিজের সন্তানকেও। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ৩৫ এর অমরচন্দ্র মোদকের সংসারে ছিলেন স্ত্রী জবা মোদক (২৮) ও মেয়ে অঙ্কিতা মোদক (৫)। তিনি তাঁর নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারায় এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন। পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার তিনি নিজে আত্মঘাতী হওয়ার আগে স্ত্রী জবা দেবীকে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাইয়ে খুনের চেষ্টা করেন। এরপর স্ত্রী ওষুধ খেয়ে আচ্ছন্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মারা গিয়েছেন মনে করে মেয়েকেও খুন করে আত্মঘাতী হন তিনি। পরে জবা দেবীর ঘুম ভাঙলে চোখের সামনেই মেয়ে ও স্বামীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদর এমন অবস্থা দেখতে পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবাশীদের সমস্ত বিষয় জানান। জানাজানি হলে স্থানীয়রাই খবর দেয় পুলিসে।
খবর পেয়ে আদ্রা থানার পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি জবা দেবাকে ভর্তি করা হয় আদ্রা রেলের বিভাগীয় হাসপাতালে। সেখানেই মৃতের স্ত্রীর প্রাথমিক জবানবন্দী নেয় পুলিস। জবা দেবী পুলিসকে জানিয়েছেন, অনলাইনে গেম খেলতে গিয়েই প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল স্বামীর। পরিজনরা ধার মেটাতে টাকা দিয়ে সাহায্যও করেছিল।কিন্তু গেমের নেশা দূর হয়নি। এরপরই রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনা।
হাঁসখালিতে (Haskhali Incident) এবার প্রেমের প্রস্তাব (Love Affair) ফেরানোয় এক তরুণীকে খুনের অভিযোগ। মৃতার পরিবারের কাঠগড়ায় স্থানীয় এক তরুণ দীপজিৎ সরকার। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (Ranaghat Police) ঘটনার তদন্ত নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, বাবা-মা বাইরে আছে, এই খবর পেয়ে একা তরুণীকে ঘরে পেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দীপজিৎ।। এমনটাই অভিযোগ মৃত তরুণীর পরিবারের।
মৃতার মা-কে নাকি ঘটনার আগে ফোন করে অভিযুক্ত জানতে চায় তাঁরা কোথায়? বাড়িতে নেই, মেয়ে একা বাড়িতে; এই খবর নিশ্চিত হতেই ওই তরুণীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মৃতার এক আত্মীয় জানান, রবিবার বিকেলে মেয়ের মাকে ফোন করে বিপ্রজিৎ। যখন জানে তাঁরা বাজারে আছে, তখনই বাড়ি ঢুকে যায়। পৌনে পাঁচটা-সাড়ে ৫টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তরুণীর পরিবারের একজন ছেলেটিকে বাড়িতে ঢুকতে দেখে। সে সময় সেভাবে পাত্তা দেয়নি। ১৫-২০ মিনিট পর বেড়িয়ে মেয়েটির দুই তুতো দাদাকে ডেকে বলে মেয়েটি গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: উচ্চ মাধ্যমিকের পর ছাত্রছাত্রীদের নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ থাকে। আগে এই সুযোগ ছিল না। তখন শুধুই জয়েন্ট দিয়ে হয় ডাক্তারি অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগটুকু থাকতো। পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট কোর্স বলতে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ। কিন্তু যুগ বদলের সঙ্গে গত দু দশকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক বিষয়ে টেকনিকাল কোর্সে নানা সুযোগ এসেছে। বেসরকারি কলেজ হয়েছে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ এসেছে আগ্রহী পড়ুয়াদের। বিশ্বয়ানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে কাজেই ইনস্টিটিউট হয়েছে সেই মোতাবেক।
ইতিমধ্যে কয়েক বছর বিশেষ করে করোনাকালে টেকনিকাল কোর্সের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যুক্তি ছিল কোর্সের পর চাকরি নেই, কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করেছে, যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি তাদেরই হবে, যারা বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করছে। এটা বাস্তব যে সরকারি চাকরি কমছে এবং আরও কমবে। কারণ বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় এবং একাধিক রাজ্য সরকার।
এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিমানবন্দর, সেল-ভেল ইত্যাদি সরকার হাতে রাখতে চাইছে না। সরকারের যুক্তি, তারা দেশ চালাতে এসেছে, ব্যবসা করতে নয়। বিদেশে একমাত্র সেনাবাহিনী সরকারি, বাকি সব বেসরকারি। এমন উদাহরণ খাড়া করা হচ্ছে। কাজেই দক্ষ মানব সম্পদ পেতে টেকনিকাল কোর্স জরুরি।
এ বছর ফের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কোর্স পড়ার চাহিদা বেড়েছে। রাজ্যের এক প্রথমসারির বেসরকারি কলেজ সূত্রে খবর, এবছর প্রচুর ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে। বহু বিভাগে সিট ভরেছে, ম্যানেজমেন্ট কোর্সেও একই অবস্থা। তাদের যুক্তি, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ভালো থাকলে চাহিদা বাড়বেই। অবশেষে কি বাংলার ছাত্রছাত্রীরাও এখন বুঝতে পারছে যে টেকনিকাল বিষয় পড়তেই হবে।
ভাসানের (Immersion) সময় মদ খাওয়াকে ঘিরে বচসা, তর্কাতর্কি! দুষ্কৃতীদের দায়ের কোপে মৃত দমকল কর্মী (Fire Brigade Staff) তুহিনশুভ্র ঘোষ।। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar Incident) রানীনগর এলাকায় বুধবার রাতের এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারও চাঞ্চল্য। এই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ থেকে মৃতের পরিবার। প্রত্যেকেই প্রশাসনিক গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে। অত্যাধিক রক্তক্ষরণের কারণে ওই দমকল কর্মীর মৃত্যুর হয়েছে। পরিবারকে জানান চিকিৎসকরা। ঠিক কী হয়েছিল?
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রানীনগর চৌমাথা মোড়ে কয়েকদনের সঙ্গে মদ্যপান নিয়ে বচসা বাঁধে। সেই সময় ভাসানের প্রস্তুতি চলছিল। আমাদের দিকে ওরা দা নিয়ে তেড়ে এসে হামলা চালায়। আমার মুখে আঘাত লাগলেও প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসি। কিন্তু তুহিন ওদের মধ্যে পড়ে যায়। ওর পায়ে কোপ মেরেই পালায় অভিযুক্তরা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তুহিনকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও শেষরক্ষা হয়নি। যারা এই কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে।
নিহতের ভাই জানিয়েছে, এলাকায় এই ধরনের ঘটনা বাড়লেও প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। এক স্থানীয় জানান, এই এলাকায় প্রায় মদের আসর বসে। আমাদের পরিবার নিয়ে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। এই ঘটনা যখন ঘটেছে, আমরা বিসর্জন দেখছিলাম। পরে পুলিস আসলে আমরা যে যার বাড়িতে ঢুকি।