ষাট লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ফোন। তা না দিলে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি। অপহরণের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঝাড়খণ্ড থেকে উদ্ধার অপহৃত ব্যবসায়ী। ঘটনায় গ্রেফতার তিন অপহরণকারী। জানা গিয়েছে, অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম বেণীমাধব চট্টোপাধ্যায়। মেমারি শহরের পুরোনো পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা। পেশায় তামাক পাতার ব্যবসায়ী।
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল ৪.৩০ টা নাগাদ বাইকে ওই ব্য়বসায়ী মেমারি থেকে ছিনুই-এর দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট লাগানো একটি সাদা রঙের স্করপিও তাঁর পথ আটকায় এবং জোর করে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা ঘটনার কথা জানতে পেরে খবর দেন ওই ব্য়বসায়ীর পরিবারকে। এরপর ব্য়বসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় মেমারি থানায়।
এরপর ওই ব্য়বসায়ীর বাড়িতে ষাট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। অভিযোগ, মুক্তিপণ না পেলে ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় ফোনে। ফোনের সূত্র ধরে ও বিভিন্ন সূত্র মারফত তদন্ত শুরু করে মেমারি থানার পুলিস। সুতি টোলে গাড়িটির ছবি দেখা যায়। এরপরে মেমারি থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে ঝাড়খণ্ডের মালপাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে অপহৃত ব্যবসায়ীকে এবং গ্রেফতার করা হয় তিনজন অপহরণকারীকে।
দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ এক যুবককে। ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে থানায় দ্বারস্থ হন বাবা ও মা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহি এলাকায়। অপহৃত ওই যুবকের নাম স্বর্ণদীপ মণ্ডল (২৪)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্বর্ণদীপ। তারপর প্রায় ১০ ঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি সে। এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ছেলে বাড়ি না ফেরায় নরেন্দ্রপুর থানায় গিয়ে হাজির হন বাবা প্রদীপ মণ্ডল ও মা তপতি মণ্ডল। তাঁদের অভিযোগ, অচেনা একটি ফোন নম্বর থেকে ফোন আসে। ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারী। মোট তিনবার তাঁদের কাছে ফোন আসে টাকার জন্য।
এত কম সময়ে এতগুলো টাকা কোথায় পাবে এবং কিভাবে জোগাড় হবে এসব ভেবে রবিবার রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই তদন্তে নামে পুলিস। সোমবার ভোরে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তারপর সেই অভিযুক্তের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণদীপকে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) এক ছাত্রকে (Student) অপহরণ করলো দুষ্কৃতীরা। ভাড়া বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে গেলো ছাত্রটিকে।। থানায় মেইল (Email) করে অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম পান্না চারা। তাঁর বাড়ি মায়ানমারে। বিশ্বভারতীর সংস্কৃত ডিপার্টমেন্ট-এর পিএইচডি স্কলার ফাইনাল ইয়ারের এর পড়ুয়া পান্না।। শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এই ছাত্র। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ ৭ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতী আসে গাড়ি নিয়ে। তারপর যে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সেই ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে ছাত্রটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনার পরই সন্ধ্যেবেলায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ছাত্রের বন্ধু। জানানোর পরেই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বোলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেইল মারফত। পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার অভিযোগের ভিত্ততে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে কারা, কেন, কী উদ্দেশ্যে ছাত্রকে অপহরণ করল সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।ো কেবল টাকার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
চাকরির (Job) নামে এক যুবককে অপহরণের (Kidnapping) অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত কোড়াকাটি গ্রামে। জানা গিয়েছে, অপহৃত হওয়া ওই যুবকের নাম তপোব্রত মণ্ডল। কোড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে ১৮ জুলাই বাড়ি থেকে রওনা দেন চাকরির উদ্দেশ্যে গুজরাতের আমেদাবাদে। ২০ জুলাই গন্তব্য়ে পৌঁছে যাওয়ার পর থেকে বাড়ির সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি থেকে একাধিকবার ফোন করলেও সুইচ অফ বলে তপোব্রতর মোবাইল।
এরপর ওই বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনও সঠিক উত্তর না মেলায় তপোব্রতর দাদা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সন্দেশখালি থেকে প্রথমে আহমেদাবাদ যান। সেখানে ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তপোব্রতর ব্যাপারে কোন খোঁজ দিতে পারেনি। অবশেষে তারা আমেদাবাদের গুজরাত পুলিসের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে একটার পর একটা থানা ঘোরানো হলেও তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি তাদের কাছে মোটা অর্থ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
অবশেষে তারা পুনরায় সন্দেশখালিতে ফিরে আসে। তারপর সন্দেশখালি থানায় তপোব্রতর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল সন্দেশখালি থানার পুলিস। ইতিমধ্যে চলতি মাসের ২ তারিখে কোড়াকাটির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রণব রায়ের কাছে একটি অজ্ঞাত নম্বার থেকে ফোন আসে। সেই ফোনের ওপারে গলা ভেসে ওঠে তপোব্রতর। অবশেষে ৫ই আগস্ট শনিবার রাতে অনেক যুদ্ধের পর কোড়াকাটিতে নিজের বাড়ি ফিরে আসে তপোব্রত মণ্ডল।
বাড়ি ফিরে তপোব্রত জানিয়েছে, আমেদাবাদ স্টেশনে নামা মাত্রই স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে এক অটোওয়ালা সহ তিন যুবক তাঁকে অপহরণ করে। তারপরে তাঁকে আমেদাবাদের বানসারার একটি চালের মিলে নিয়ে যায়। টানা ১২ দিন ওখানে থাকার পরে কোনওরকমে সে ওই গ্রামের প্রণব রায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। তারপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রণব রায় তাঁর আমেদাবাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং একটি গাড়ির নম্বর তপোব্রতকে দেন। তপোব্রত কোনও রকমে প্রাণ রক্ষা করে ওই গাড়ির নম্বরটি ফলো করে, গাড়ি আসা মাত্রই সে গাড়িতে চেপে বসে এবং সোজা চলে আসে আমেদাবাদ স্টেশনে। সেখান থেকে একেবারে সন্দেশখালি বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
তবে কি করে তপোব্রত অপহৃত হল? কেনই বা তাঁকে অপহরণ করা হল? এর সঙ্গে বড়সড় কোনও অপহরণ চক্রের যোগ রয়েছে কিনা বা ওই সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিস।
বেঙ্গালুরুর (Bangalore) ব্য়স্ততম রাস্তা থেকে অপহরণ (Kidnapping) করা হল দুই যুবককে। শুক্রবার, মধ্যরাতে এইচএসআর লেআউট এলাকা থেকে এক যুবককে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান চার ব্যক্তি। সেই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন বিজয় ডেনিস নামের এক গাড়িচালক। চোখের সামনে এক জনকে অপহরণ হতে দেখে ডেনিস পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়েই তল্লাশি চালিয়ে ১২ ঘণ্টায় মধ্যে অপহৃত যুবকদের উদ্ধার (Rescue) করে পুলিস। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
15/07/23. Time 12:06 am. this incident happened in HSR layout Hangover PUB. Informed Madivala ACP Mr. Lakshmi Narayan. @CPBlr @DCPSEBCP @DgpKarnataka @hsrlayoutps pic.twitter.com/6WYECasN0i
— Vijay Dennis (@VijayDennis1) July 14, 2023
পুলিস সূত্রে খবর, দু’জনকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তাঁদের নাম হল নন্দন এবং কার্তিক। দু’জনের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, নন্দন এবং কার্তিককে যারা অপহরণ করেছিল তাঁরা তাঁদেরই বন্ধু। টাকাপয়সার লেনদেনের কারণে ঝামেলা হয়েছিল দু’পক্ষের মধ্যে। সেই কারণেই অপহরণ করেছিল তাঁরা।
পুলিস অপহরণের অভিযোগে চার জনকেই গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন, জনার্দন, মধুসূদন, যোগেশ্বর এবং আনন্দবাবু। তবে টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁদের অপহরণ করা হয়ছিল তা জানতে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অবাক করা ঘটনা! এক ১৭ বছরের নাবালিকা অপহরণ হওয়ার 'মিথ্যা' খবর দিয়েছে তার বাড়িতে। তবে কী এমন ঘটনা ঘটলো, যার জন্য তাকে অপহরণ (Kidnap) হওয়ার ভুয়ো খবর দিতে হলো? ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উজ্জয়িনীর। জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের নাবালিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরে তার বাবাকে খবর দিয়েছে, তাকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার বাবা-মা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু, তার এমন অদ্ভুত কাণ্ডের পিছনে কী কারণ, তা জানা গেলে আকাশ থেকে পড়েন প্রত্যেকে।
পুলিস তাকে খুঁজতে শুরু করলে তারপরই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। জানা গিয়েছে, নাবালিকা ইন্দোরে থাকে ও সেখানকার এক কলেজে বিএ কোর্সে পড়ে। সেই কলেজের বার্ষিক পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি সে। ফলে এই অপহরণ হওয়ার মিথ্যা খবর বানিয়েছে সে। সূত্রের খবর, নাবালিকা তার বাবাকে এক অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে অপহরণ হওয়ার খবর দিতেই তিনি ইন্দোর বানগঙ্গা পুলিস স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিসকে জানান যে, তাঁর মেয়ে শুক্রবার যখন কলেজ থেকে ফিরছিল তখনই তাকে অপহরণ করা হয়।
কিন্ত এরপরই পুলিস তাকে খুঁজতে শুরু করলে আসল ঘটনা সামনে আসে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই নাবালিকার মিথ্যা কথা ধরা পড়ে যায়। দেখা যায়, তার কথামতো কিছুই ঘটেনি। বরং তাকে উজ্জ্বয়িনীর এক রেস্তরোঁর সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। পরে শনিবার তাকে পুলিস ইন্দোরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এরপরই তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় ইন্দোর থেকে উজ্জ্বয়িনী যাওয়ার বাস টিকিট ও রেস্তরোঁর বিল। এরপরেই পুরো ঘটনাটি বুঝতে পারে ইন্দোর পুলিস। তারপর তাকে ভালোমতো বুঝিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
মাত্র ৪ থেকে ৫ মাসের ভালোবাসার সম্পর্ক। এরই মধ্যে দুঃসাহসিক কাণ্ড! প্রেমিকার ছেলেকে অপহরণ করে চম্পট প্রেমিক। ঘটনার পরই প্রশাসনের দ্বারস্থ প্রেমিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস (police)। অবশেষে বুধবার শেওড়াফুলি (Sheoraphuli) থেকে গ্রেফতার (arrest) করা হয় অভিযুক্তকে। ঘটনার পর অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই যুবতী। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের (Sonarpur)।
স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) হয়েছে বহুদিন। এরপর নিজের বছর দশেকের ছেলেকে নিয়েই সোনারপুর এলাকায় থাকতেন ওই যুবতী। মাস ছয়েক আগে তাপস দে নামে শেওড়াফুলির এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোন মারফৎ পরিচয় হয়। সেই থেকেই দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতীর অভিযোগ, লাগাতার ওই যুবক তাঁকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করত। কিন্তু তিনি কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হননি। আর এরপরই শুরু মনোমালিন্য। শুরু হয় নানাভাবে তাঁকে ব্ল্যাকমেলিং। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই যুবতীর ছেলেকে স্কুল থেকে অপহরণ করে অভিযুক্ত।
তাঁকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকে এমনকি ছেলেকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। ছেলেকে ফিরে পেতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। সোনারপুর থানার পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। উদ্ধার হয় ওই শিশুটিও।
যুবতী জানান, বিভিন্নভাবে তাঁকে বলেও যখন তিনি রাজি হননি বিয়ের জন্য, তখন তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে ধৃত। তাঁর ছেলেকে প্রথমে মা অসুস্থ, এই বলে নিয়ে যায়। এরপর মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলেই তাকে ট্রেন থেকে ফেলে প্রাণে ফেলার হুমকি দেয়। তবে ঘটনার পর ওই নাবালক যথেষ্ট আতঙ্কে।
ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে আট বছরের শিশুকে অপহরণের (Kidnapping) অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা এলাকার একে গোপালন কলোনি এলাকার। খবর পেতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে পুলিসি তল্লাশি। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিস (police) সূত্রে খবর, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তের বোন নিখোঁজ বাচ্চাটিকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সময় শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ।
পরিবার সূত্রে খবর, আট বছরের দীপ হালদার নামের ওই শিশুটিক শনিবার রাত থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী এক যুবক ঘুড়ি কিনে দেয় এবং সেটা নিয়ে খেলতে যায় পাশের একটি মাঠে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেও বাড়ি ফেরেনি আট বছরের শিশুটি। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার আত্মীয়-স্বজনরা। কিন্তু তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দীপ হালদারের ঠাকুমা দীপ্তি মহন্তের অভিযোগ, স্থানীয় মানস সিং নামের এক যুবক শনিবার ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে দীপকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি এই ঘটনায়। এলাকাবাসীদের দাবি, খুঁজে বার করা হোক অপহৃত শিশুকে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবক মানস সিংহের বাড়ির লোকজন পলাতক বলেই জানা যায়। জনশূন্য হয়ে রয়েছে তাঁদের বাড়ি।
ফের অপহরণ (Kidnapping) করে খুনের (murder) ঘটনায় চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বহরমপুর (Baharampur) থানার অন্তর্গত উত্তরপাড়া এলাকা। জানা যায়, মৃতের নাম বাপ্পা মণ্ডল, বয়স ২৪ বছর। তিনি বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দোকান থেকে বেরিয়ে যান দুই বন্ধুর সঙ্গে। এরপর রাত ৮টা নাগাদ পাঁচ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে মৃতের বাবার কাছে।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত বাপ্পার মোবাইল ব্যবহার করেছিলেন অপহরণকারীরা। বহরমপুর থানা পুলিসে খবর দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। এরপর পুলিসকে জানিয়ে সেই টাকা দিতে যায় পরিবারের সদস্যরা। রাত ১১টা নাগাদ মুক্তিপণ নিয়ে বেলডাঙা পৌঁছলে অপহরণকারী চালাকি করছিস বলে ফোনটি কেটে দেয়। পাশাপাশি ফোন সুইচ অফ করে দেয়। আর এরপরই এই মর্মান্তিক খবর। বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর থানার অন্তর্গত ফতেপুর অঞ্চলে নতুন নির্মিত রাস্তার পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এক গাড়ী ব্যবসায়ীকে অপহরণ (Kidnapping) করে মারধর করার পর মোটা অঙ্কের মুক্তিপন চাওয়ার অভিযোগ। ঘটনার পর পুলিসের (police) জালে হাতেনাতে ধরা পড়ে ৩ ধৃত। গুরুতর আহত (injured) ব্যবসায়ী উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করেন ঘোলার বাসিন্দা খোকন দাস। ব্যবসায়ী খোকন দাসের থেকে গাড়ি কেনেন নিমতা অঞ্চলের বাসিন্দা অতনু চৌধুরী। গাড়ির পর্যাপ্ত কাগজপত্র না দেওয়াতে খোকন দাসের কাছে ৫০ হাজার টাকা বকেয়া ছিল অতনু চৌধুরীর। বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য সময়ও চেয়ে নিয়েছিলেন খোকন দাস। কিন্তু হঠাৎ করেই অতনু তাঁর বন্ধুদের নিয়ে খোকন দাসকে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে চার চাকা গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর নিমতার এক ফ্ল্যাটে আটকে রেখে জোর করে মদ্যপান করিয়ে মুখে কাগজ ঢুকিয়ে মারধর চালায়। নিষ্ঠুরতা এখানেই শেষ নয়, ফোন করে তাঁর বাড়ির লোকের কাছে দু'লক্ষ টাকা মুক্তিপনও চান অতনু, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগ, মুক্তিপণের টাকা না দিলে খোকন দাসকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন অতনু ও তাঁর দলবল। খোকন বাবুর পরিবারের সদস্যদের দু'লক্ষ টাকা আগরপাড়া উষমপুর এলাকাতে নিয়ে আসতে বলে অতনু। সেই মতো অবস্থায় খোকন দাসের বাড়ির লোকজন ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এরপরই ঘোলা থানার পুলিস খোকন দাসের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে মুক্তিপণের টাকা সহ আগরপাড়া উষুমপুর এলাকায় পৌঁছে যায়। অতনু ও তাঁর দলবল মুক্তিপণের টাকা খোকনের পরিবারের থেকে নিতে আসলেই ঘোলা থানার পুলিস অতনু চৌধুরী ও তাঁর দুই বন্ধু অভিজিৎ মিস্ত্রি ও বিকি মজুমদারকে গ্রেফতার করে। তারপর তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিমতার ওই আবাসন থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ব্যবসায়ী খোকন দাসকে। ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে খোকন দাস সহ তাঁর পরিবারের লোকজন। পাশাপাশি অপহরণে ব্যবহৃত চার চাকার গাড়িটিও আটক করে পুলিস। ধৃতদের আজ ৭ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।