স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করে, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী স্বামী। রবিবার সকালে খড়দহ এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ও মহিলার নাম পূজা ও তাঁর স্বামীর নাম পাপ্পু। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিস। পুলিস এসে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, রবিবার সকালে পরিচারিকা এসে বারংবার ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢোকেন, এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় পূজার দেহ পরে থাকতে দেখেন তিনি। পাশে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পূজার স্বামী পাপ্পুর। পরিচারিকার চিৎকারেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
স্থানীয়দের দাবি, মাঝেমধ্যেই সাংসারিক বিষয় নিয়ে প্রথম স্ত্রী পূজার সঙ্গে বিবাদ লেগে থাকত পাপ্পুর। অশান্তি চরমে যেতেই কি এই ঘটনা ঘটল! তা খতিয়ে দেখছে খড়দহ থানার পুলিস।
বুধবার সোদপুর স্টেশন রোডে চিত্রশিল্পী ও তাঁর মা-কে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিস প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস-এর স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল। খড়দহের মুখার্জী রোডের বাসিন্দা জলি বিশ্বাসের অভিযোগ, ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছেন আবাসনের কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যরা। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতারা।
জলি বিশ্বাস ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়, শুরু হয় একের পর এক নিগ্রহ। অভিযোগ, ফ্ল্যাটের সামনে নোংরা আবর্জনা ফেলা রেখে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে আবাসনের কোনও বাসিন্দাই প্রাক্তন পুলিস কর্তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন না। আতঙ্কে গৃহবন্দি রয়েছেন জলি।
গত ২০২০ সালে মৃত্যু হয় প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের। মৃত্যুর ৩ বছর পর আচমকাই আবাসন থেকে চাপ দেওয়া শুরু হল। খড়দহ থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন জলি বিশ্বাস ও তাঁর মেয়ে।
আবাসনে বসবাসেও নেই নিরাপত্তা? সামান্য আবাসন কমিটির সদস্য হয়েই এত বাড়বাড়ন্ত? নাকি মাথায় প্রভাবশালী হাত থাকার সুবাদেই এই সাহস? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস। খড়দহ থানার হস্তক্ষেপে এলাকার নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত হয়, সেটাই দেখার।
খাল থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার হল। যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) থানার অন্তর্গত সাহাপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রহড়া ও খড়দহ থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মৃতের শরীরে ও মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় খালের জলে ভেসে থাকতে দেখা যায় দেহটিকে। এরপরেই তড়িঘড়ি করে খবর দেওয়া হয় থানায়। তারপর পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দাবি, বারবার এই খাল থেকে দেহ উদ্দার হয়ে চলেছে। বেশ কয়েকদিন আগেই উদ্ধার হয়েছিল একটি দেহ। তাঁদের আরও দাবি, উদ্ধার হওয়া ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে অনুমান করা যাচ্ছে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে, এমনই দাবি তাঁদের। যদিও ওই যুবকের পরিচয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস, পাশাপাশি এই মৃতদেহ কিভাবে এলো! তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
গরুপাচার চক্র (Cattle trafficking) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে গরুপাচার করতে গিয়ে খড়দহ থানার পুলিসের (Khardah police station) জালে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী। আটক করা হয় ম্যাটাডোর ভ্যানটি। সেই ভ্যানে ছিল ভিন রাজ্যের পাঁচটি মূল্যবান গরু।
জানা গিয়েছে, সোদপুর আর এন এভিনিউ রোড ধরে একটি ম্যাটাডোর ভ্যান খড়দহ থেকে সোদপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় টহলরত খড়দহ থানার পুলিস ভ্যানে থাকা আধিকারিকের সন্দেহ হওয়ায় সে ম্যাটাডোর ভ্যানকে ধাওয়া করে। সোদপুর গোশালার সামনে ম্যাটাডোর ভ্যানটিকে ধরে ফেলে খরদহ থানার পুলিস। তল্লাশি চালানোর পর ম্যাটাডোর ভ্যানের ভিতরে ভিন রাজ্যের গরুগুলিকে দেখে পুলিসের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গাড়ির চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে গরুগুলোকে তারা পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। গরুগুলিকে হরিয়ানা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের (Businessman) রাস্তায় ফেলে মারধর (Beaten)। লাঠি, রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) রাসখোলা ঘাট এলাকায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী। ঘটনার পুরো ভিডিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরায়। সিসিটিভি ফুটোজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস (Police)। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকার ব্যবসায়িক মহলে।
এক ব্যবসায়ী জানান, ওই এলাকার বেশকিছু দোকানে চার থেকে পাঁচ জন যুবক চাঁদা আদায় করতে আসে। সেই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ব্যবসায়ীদের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। শুধুমাত্র মারধরেই আটকে থাকেনি। দোকানগুলিতেও লাঠি দিয়ে হামলা করে তারা। দোকানের মধ্যে ভাঙচুড় শুরু করে। এই ঘটনায় গুরুতর আহতও হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যবসা করতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারি স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) কোচিংয়ে রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের (State Home Teachers Association) অভিযান। আর এই অভিযানের পরেই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের বচসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) মিশন পাড়া এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আদালত থেকে রায় দিয়েছিল যে, সরকারি স্কুলে পড়ানো শিক্ষকরা কখনও বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন না। এমনকি চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের পড়াতেও পারবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও খড়দহ অঞ্চলের সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। আর এই অভিযোগ পেয়েই রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শিক্ষকদের কোচিংয়ে অভিযান চালান। অভিযান চালিয়েই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গৃহশিক্ষকরা।
গৃহশিক্ষক সংগঠনের দাবি, সরকারি স্কুলের বেতন পেয়েও এরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করিয়ে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে ব্যবসা করে চলেছেন। এরফলে গৃহ শিক্ষকদের যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছেই পড়তে যাচ্ছে। যার ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটে পড়ছেন গৃহশিক্ষকরা।
পাড়ার পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে (Drowing) মৃত্যু (Death) হল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) রহড়া থানার অন্তর্গত রহড়া বাজারের পাশে কোঅপারেটিভ কলোনি পুকুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রহড়া থানার বিশাল পুলিস (Police) বাহিনী। পুলিস পুকুরে প্রথমে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায়। তবে দেহ উদ্ধার না হওয়ায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের ডুবুরিদের পুকুরে নামানো হয়। তারপরেই উদ্ধার করা হয় দেহটি। পুলিস দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য ডক্টর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রর নাম পর্ণাঘ্য সাহা। বাড়ি খড়দহের রহড়া সাহাপাড়ায়। সে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল পর্ণাঘ্য। তারপর সে ওই পুকুরে স্নান করতে যায়। মৃতের পরিবারের দাবি, ভালো সাঁতার জানতো না। তাই পুকুরে ঢুবে গিয়েছে।
বোমা (Bomb) মজুত করে রাখার অভিযোগে দুই হোমগার্ডকে গ্রেফতার (Arrest)। গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিস (Police)। ধৃতদের থেকে পাঁচটি কৌটো বোমা উদ্ধার করল পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) থানার অন্তর্গত টিটাগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগত বল্লভভাই রোড এলাকায়। বোম উদ্ধারের ঘটনায় অস্থায়ী হোমগার্ডদের জড়িয়ে যাওয়ায় পুলিস মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। গোটা ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন টিটাগড় পুরসভার পুরপ্রধান কমলেশ সাউ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মোহাম্মদ শাহীদ ও মোহাম্মদ শাহবাজ।
এই ঘটনায় টিটাগড় পুরসভার পুরপ্রধান কমলেশ সাউ জানান, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তবে সোমবার সকালে তিনি বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বলেছেন, 'যা ব্যবস্থা নেওয়ার আপনি নিন। কোনও অভিযুক্তকে টিটাগড়ে বরদাস্ত করা হবে না। যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তাকেই যেন গ্রেফতার করা হয়।' এমনকি তিনি পুলিস আধিকারিককে আরও বলেন, 'যেখানে যেখানে সন্দেহ হবে সেই জায়গাগুলি ভালো করে তল্লাশি করা হোক।' তিনি আরও বলেন, 'প্রশাসন একদম শক্ত আছে। আমি টিটাগড়ে কোনও রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেব না।'
খড়দহ (Khardaha) স্টেশনে মাওবাদীর পোস্টার (Maoist Poster)। গোটা স্টেশনজুড়েই লাগানো মাওবাদীর পোস্টার। মাওবাদী পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্টেশন চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিআরপির (GRP) আধিকারিকেরা এসে মাওবাদী পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। তবে এই মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
তৃণমূল যুব নেতা দিব্যেন্দু চৌধুরী জানান, খড়দহ স্টেশন রোডের যানজট এড়াতে ওভার ব্রিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খড়দহ পৌরসভা। ওভারব্রিজ করার জন্য খড়দহ স্টেশন রোডের অনেক বেআইনি দোকান ভাঙা হবে। সেই দোকানগুলি থেকে অনেকে তোলাবাজি করেন। তাই দোকান ভাঙা হলে তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। সেই কারণেই এই ধরনের মাওবাদী পোস্টার ফেলে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে তোলাবাজরা।
এমনকি খড়দহ স্টেশন চত্বরে মাওবাদীর পোস্টার নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা কিশোর কর জানান, মাওবাদীরা সমাজ গঠনের কোনও কাজ করে না। তবে আদৌ মাওবাদীর পোস্টারটি মাওবাদীরা লাগিয়েছেন না অন্য কেউ তা তদন্ত করবে প্রশাসন।
প্রথমে সামনে এসেছিল খড়দহ থানার পুলিসের (Khardaha Police) রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে লরি ও ট্রাক থেকে টাকা তোলার ছবি। এবার সরাসরি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল খড়দহ থানার পুলিসের বিরুদ্ধে। শনিবার এমনই এক অভিযোগ করা হয় ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের দফতরে।
অভিযোগ, সোদপুর সুখচর গীর্জা এলাকার বাসিন্দা এক যুবক রাস্তায় বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে পুলিসের নিগ্রহের শিকার হন। এমনকি গোটা রাত থানার লকআপে কাটাতে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় যুবকের ও তাঁর পরিবারের মারাত্মক অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগ নিয়ে শনিবার ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারের দ্বারস্থ হয় সোদপুর সুখচর গীর্জা এলাকার পাঁজা পরিবার।
পরিবার সূত্রে দাবি, পাঁজা পরিবারের সন্তান সমন্বয় পাঁজা গত ১৪ তারিখ রাতে পাশের বাড়ি থেকে বিস্কুট আনতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় খড়দহ থানার একটি টহলদারী অটোতে দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও একজন অফিসার এসে পৌঁছায় ওই স্থানে। এরপরেই শুরু হয় নিগ্রহের পর্ব। সমন্বয়ের দাবি, অটোর মধ্যে থেকে কেউ তাঁর মুখে বারবার টর্চ মারতে থাকেন। তখন সে বলেন যে, আলো তাঁর মুখে না মেরে, রাস্তায় একটু আলো ফেললে খুব ভালো হয়। এই কথা শোনা মাত্রই ওই অটো থেকে দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ার বেরিয়ে আসেন এবং তার ঘাড় ধরে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে বলপূর্বক অটোতে তুলে নেন।
অভিযোগ, অটোতে একজন খাকি উর্দি পড়া অফিসার বসে ছিলেন। কিন্তু তিনি দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সংযত থাকতে বলেননি বরং নির্বাক দর্শক হয়ে সেদিন সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করছিলেন। এরপরেই তাঁকে অটোর মধ্যে চড় থাপ্পর মারে এবং অভব্য ভাষার ব্যবহার করে বলে দাবি সমন্বয়ের। এরইমধ্যে তাঁর মোবাইল থেকে আড়াই হাজার নগদ টাকা নিয়ে নেয় পুলিস বলে অভিযোগ।
সমন্বয়ের মা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁর ছেলেকে ওই রাতে খড়দহ থানায় নিয়ে গিয়ে সারারাত লকআপে আটকে রাখে। থানার তরফে বলা হয়, সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁর ছেলেকে। সকাল আটটার পর তাঁর স্বামী খড়দহ থানায় গেলে, থানার ডিউটি অফিসার বলে তাঁর ছেলেকে কোর্টে পাঠানো হবে। সমন্বয়ের মা, তাঁর ছেলেকে বিনা কারণে মারধর করে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিস যে নির্মম অত্যাচার করেছে তাঁর সুবিচার চেয়েছেন অভিযোগ পত্রে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, থানার আধিকারিকেরা এই সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষদের উপর অন্যায় করছেন। রোজ তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিভিক এবং পুলিস অফিসার গাড়ি থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলছে। সেটারও প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
বাংলায় আবার যখের ধন, এবার খড়দহে (Khardaha) এক অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে উদ্ধার আনুমানিক ৩২ লক্ষ টাকা (Cash Recovery)। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মিলিয়ে মোট ১৪ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযানে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে। এমনটাই ব্যারাকপুর কমিশনারেট (Barrackpur) সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, পেশায় এক বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক অমিতাভ দাসের বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। পাশাপাশি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের মোটা টাকার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বের করে দিতেন অমিতাভবাবু। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর গোয়েন্দা বিভাগ এবং খড়দহ থানা যৌথ ভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পর নাথুপাল ঘাট রোডের শিরোমণি আবাসনের একতলায় অভিযান চালায়।
রাতভর অভিযান এবং তল্লাশিতে অমিতাভ দাসের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ টাকা। যদিও এই অভিযান সম্বন্ধে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অন্ধকারে ছিলেন ওই আবাসনের অন্য আবাসিকরা। তাঁরা জানান, স্ত্রী বর্ণালী সাধুখা এবং এক সন্তানকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে গত আড়াই বছর ধরে থাকছেন অমিতাভবাবু। এর আগে কোনওদিন কোনও সন্দেহজনক কিছু চোখেও পড়েনি। বেশ সজ্জন ভাবেই থাকত এই পরিবার। ঠিক কী কারনে পুলিশ এসে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই তাদের। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কিছু লোকের আনাগোনা দেখেছি। এর বাইরে কিছুই অনুমান করতে পারিনি।
এক পড়শি জানান, অনেক রাত অবধি ওদের ঘর থেকে শব্দ আসছিল।দেওয়ালে ড্রিল মেশিন চালানোর শব্দও পাওয়া গিয়েছে। সকালে উঠে শুনি এভাবে টাকা উদ্ধার হয়েছে।
দুই বাসের (bus) রেষারেষির জেরে গন্ডগোল। শুরু হয় হাতাহাতি ও বচসা। এক রুটের বাস মালিককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল অন্যরুটের বাসকর্মীরা। চলে বাসে ভাঙচুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সোদপুর গির্জা মোড় (Sodepur Girja More) এলাকা। প্রথমে বাস বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিলেও পরে চালু হয় ২১৪/A রুটের বাস। খড়দহ থানার পুলিস (police) এবং সোদপুর ট্রাফিকের সহায়তায় বাস চালু হয়। তবে দুই রুটের মারামারি এখানেই শেষ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জানা যায়, সোদপুর গির্জা মোড়ের ২১৪/A রুটের বাসের সঙ্গে বারাকপুর ৭৮ নম্বর রুটের বাসের রেষারেষি চলছিল বিটি রোডের ওপর। রেষারেষি চলার সময় ২১৪/A রুটের বাসের জানালার কাচ ভেঙে যায়। বারাকপুর ৭৮ নম্বর সেই বাস সোদপুর গির্জা মোড়ে আসার পর ২১৪/A রুটের বাসের কর্মীরা সেই বাস থামায়। এরপর তাদের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা চাওয়া হয়। শুরু হয় বচসা। ঘটনাস্থলে খড়দহ থানার পুলিস আসলে ৭৮ নম্বর রুটের বাসটি সেখান থেকে চলে যায় বারাকপুরের উদ্দেশ্যে। তারপর ঠিক ৩০ মিনিট পর ৭৮ নম্বর রুটের বাসকর্মীরা ৩০-৪০ জন একটি বাসে করে সোদপুর গির্জা মোড়ে এসে ২১৪/A রুটের বাসের কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলেই অভিযোগ।
পরপর বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। বাধা দিতে গেলে ২১৪/A রুটের বাস মালিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। আহত অবস্থায় সেই বাস মালিককে খড়দহ বলরাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোদপুর গির্জা মোড় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে যদি দোষীরা গ্রেফতার না হয় তাহলে বুধবার সকাল থেকে বাস বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২১৪/A রুটের বাসকর্মীরা।
খড়দহে (Khardaha) রেস্টুরেন্ট মালিকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ খড়দহ তৃণমূল টাউন সভাপতি (Trinamool Town President) সুকণ্ঠ বণিকের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টাউন সভাপতি। তবে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সুর তুলেছে বিরোধীরাও।
জানা যায়, খড়দহ স্টেশন রোডে (Station Road) রেস্টুরেন্টের দোকান দিয়েছিল লক্ষী সিং ও তাঁর ছেলে দ্বীপজয় সিং। রেস্টুরেন্টটি (Restaurant) চালু করার পর দোকানের সামনে বৃষ্টির জল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেড দিয়ে দোকানে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। দোকানের সেড রাস্তার ওপর আসাতে সেটা অবৈধ বলে ভেঙে ফেলতে বলেন খড়দহ টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকন্ঠ বণিক। রেস্টুরেন্টের মালিক লক্ষ্মী সিং তৃণমূলের টাউন সভাপতিকে জানান, এটি যদি অবৈধ হয়, তাহলে তিনিই তা ভেঙে দেবেন।
কিন্তু রেস্টুরেন্ট মালিকের অভিযোগ, দোকানের সামনের সেড অক্ষত রাখতে খড়দহ টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকণ্ঠ বণিক ৫ লক্ষ টাকা চান তাঁর কাছে। টাকা না দিলে সেই সেড ভেঙে ফেলা হবে এণনটাও বলা হয়। তবে ৫ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় রেস্টুরেন্টের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ টাউন সভাপতির বিরুদ্ধে।
তিনি জানান, এরপর লোকজন নিয়ে এসে দোকানের সামনের সেড ভেঙে দেওয়া হয়। টাউন সভাপতিকে তোলার টাকা না দিতে পারায় এই ধরনের আক্রমণ বলে অভিযোগ রেস্টুরেন্টের মালিক লক্ষ্মী সিংয়ের।
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে টাউন সভাপতি সুকন্ঠ বনিক বলেন, অনৈতিক কাজ কর্মের প্রতিবাদ করার ফলেই তাঁর দিকে এই ধরনের অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। ৫ লক্ষ কেন ৫০ কোটি টাকা দিলেও খরদহের বুকে সুকণ্ঠ বণিককে কেনা যাবেনা।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় খড়দহ স্টেশন চত্বর এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস। তবে এমন ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্ব জানায়, "তৃণমূল মানেই তোলাবাজি। যে যত বেশি তোলাবাজি করতে পারবে সে ততো বড় নেতা।"
বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ গ্রেফতার (Arrest) খড়দহ (Khardaha) তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতির ছেলে। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (Barrackpore Police Commissionerate) গোয়েন্দা বিভাগ গত কয়েকদিন আগে ঘোলা উত্তর তালবান্দা থেকে গাঁজা মাফিয়া টুলু বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল। আর তার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার ৫ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার হল তৃণমূল নেতার ছেলে।
ঘোলা মুড়াগাছা মোড় এলাকা থেকে উদ্বাস্তু সেলের খড়দহ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন বিশ্বাসের ছেলে দেবব্রত বিশ্বাসকে ৫ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করলেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। দুর্গাপুজোর আগে এই ধরনের অভিযান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, এঁদের সঙ্গে আর কোন কোন চক্র জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখছে ঘোলা থানার পুলিস ও বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর। গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতার ছেলে এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ছেলের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিজেপির তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে, তৃণমূল কংগ্রেস যুবসমাজকে চাকরির ব্যবস্থা না করে মদ,গাঁজা, জুয়ায় লিপ্ত করে দিয়েছে।
কাগজপত্র ঠিক না থাকায় দুধের গাড়ি চালককে কেস না দিয়ে টাকা নেন বলে অভিযোগ খড়দহ থানার (Khardah police station) দুই পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই দুই পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ড (suspend) করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট (Barrackpore Police Commissionerate)।
সূত্র মারফত খবর, চেকিং-এর সময় সোদপুর (Sodepur) বি টি রোডে একটি দুধের গাড়ি থামিয়ে তার কাগজপত্র দেখতে চায় খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাস। গাড়ির কাগজপত্রে কিছু ভুল থাকায় কেস না দিয়ে টাকা দাবি করে বসেন সাব ইন্সপেক্টর। সেইমতো রফা করে টাকাও নেন সাব-ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার।
এরপর গাড়ির মালিক খড়দহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনারকে বিষয়টি জানান। গাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সাব ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাসকে সাসপেন্ড করল বারাকপুর পুলিস কমিশনার। পুলিস অফিসারদের মধ্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আনার জন্যই এই ধরনের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।