সলমন খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রয়েছে অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি। তারই সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ভোর তখন ৪টে ৫১ মিনিট। ঘটনার পর অভিনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন সলমন খানের বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি চালান বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। পরে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। রবিবারের ঘটনার পর সলমন খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় পুলিস ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিভাগের টিম সলমনের বাড়ির বাইরে থেকে বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার ও অ্যাডিশনাল ডিএসপির নেতৃত্বে এগোচ্ছে তদন্ত।
ঘটনার পরেই বাদ্রা পুলিসের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিস জানাচ্ছে, যখন গুলি চলে সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন সলমন খান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার একাধিকবার সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। তারপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। ওই দুই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার বাড়িতে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
জমি দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন চম্পাই সোরেন। শুক্রবার দুপুর ১২ টা নাগাদ রাঁচির রাজভবনে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।
৬৭ বছর বয়সে চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ বৃহস্পতিবার চম্পাইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। তারপরই মুখ্য়মন্ত্রীর পদ গড়া নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। এরপর রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা চম্পাই সোরেন, জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের অনুগত হিসাবে বিবেচিত হন। নয়া মুখ্য়মন্ত্রীর আসন পান তিনি। জেএমএম আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর, চম্পাই সোরেন বলেন, আমি আমার বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতাম। এখন ভাগ্য আমাকে একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করার সুযোগ দিয়েছে।
হেমন্তের জায়গায় চম্পাইকে বেছে নেন জেএনএম। বুধাবার রাতে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর চম্পাই রাজভবনে গিয়ে নতুন সরকার নিয়োগ দাবি জানিয়ে এসেছেন। রাজভবনের সামনে প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জানা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটেই চলেছে। অতি সঙ্কটজনক তিনি। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিটে তাঁর প্রয়াণের খবর জানা গেল। শোকের ছায়া পুরো সঙ্গীত জগতে।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছিল, রশিদ খানকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ আইসিইউ-র ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। রাখা হয়েছিল সম্পূর্ণ অক্সিজেনের সাহায্যে। হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিল্পীর পালস রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছিল। শারীরিক অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক ছিল যে কাজ হচ্ছিল না ভেন্টিলেশনেও। জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনায় বসেছিল। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাঁর শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হলেও মঙ্গলবার তাঁর এতটা অবনতি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। এর পরই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, শেষ রক্ষা আর হল না। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
একমাসেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হাসপাতালে ভর্তি। অতীতে তাঁর প্রস্টেট ক্যানসার হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু পরে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় তাঁকে পিয়ারলেসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাতেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে পড়েছে সারা রাজ্যজুড়ে।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রশিদ খান। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। সেবছরই সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি।
২০২৩-এ বক্স অফিসে উঠেছে 'বাদশা ঝড়'। শাহরুখ খানের 'পাঠান', 'জওয়ান'-এর পর 'ডাঙ্কি' জমিয়ে ব্যবসা করে চলেছে। এরই মাঝে 'ধুম ৪'-এ (Dhoom 4) শাহরুখের অভিনয় নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা যে, 'ধুম ৪'-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন শাহরুখ খান। শুধুমাত্র তিনি নন, রামচরণও এই ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন। কিন্তু কতটা সত্যি এই খবর?
এক সূত্র অনুযায়ী, 'ধুম ৪' নিয়ে কোনও আপডেটই ইতিমধ্যে নেই বলেই জানা গিয়েছে। তার সঙ্গে যশরাজ ফিল্মসের হয়ে এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চতুর্থ সিক্যুয়েলে শাহরুখকে কোনওভাবেই দেখা যাবে না, এমনটাই সূত্রের খবর। শাহরুখের অভিনয় করা শুধু নয়, ছবির কাস্টিংই এখনও সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়নি। এই সপ্তাহের শুরুর দিকেই 'ধুম ৪'-এ শাহরুখ এবং রামচরণের অভিনয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড তৈরি করে ফেলেছেন যে 'ধুম ৪' ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে। যদিও এর কোনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। ফলে জানা যাচ্ছে, ধুম ৪-এ রামচরণ ও শাহরুখের অভিনয় নিয়ে যে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সবই ভুয়ো।
হঠাৎ অসুস্থ টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান (Hina Khan)। এমনকি হাসপাতালে ৪দিন ধরে ভর্তিও রয়েছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে হাসপাতালের ছবি শেয়ার নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। হঠাৎ তাঁর কী হল, এই নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা।
জানা গিয়েছে, আচমকা জ্বর আসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় হিনা খানকে। গত ৪ দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। ৪ দিন ধরে কার্যত হাই ফিভারে ভুগছেন বলে জানান জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ফলে তাঁর শরীর একেবারেই ভাল নেই। কোনও কিছু করতে পারছেন না। ফলে গত ৪ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান হিনা। তবে তিনি খুব দ্রুতই সুস্থ হবেন, সেটাই জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগেই এক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। ফলে আবার তাঁকে হাসপাতালে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা।
এদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। পোস্ট করে লিখেছেন, "গত চার দিন ধরে ধুম জ্বরে ভুগছি। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তা বৃথা। জ্বর কিছুতেই কমছে না। ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় ১০২-১০৩ জ্বর রয়েছে গায়ে।" এখন তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনায় নায়িকার অনুরাগীরা।
আবারও ঝাড়খন্ডে মাওবাদী হামলা। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।মাওবাদীদের সমর্থনে লাগানো হয়েছে রেললাইনে ব্যানার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগের অধীন হাওড়া-মুম্বই প্রধান রেলওয়ে বিভাগের মনোহরপুর থানা এলাকায় পোসাইতা স্টেশনের মাঝে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৭০ মিটার রেল লাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে একটি লাল রঙের ব্যানার পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবারও নকশালরা পোস্টার দিয়েছিল মনোহরপুর শহুরে এলাকার কলেজ মোড়ে। ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার আয়োজিত বনধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছিল। পোস্টারে, ঝাড়খণ্ড এবং কোলহান মুক্তের নামে আদিবাসী এবং জনগণের উপর পুলিসের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বর প্রচারাভিযান সফল করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। বনধকে সফল করতে হাওড়া-মুম্বই রেলপথের গোইলকেরা এবং পোসাইতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পোল নম্বর ৩৫৬/২৯এ এবং ৩১এ-এর মধ্যে তৃতীয় লাইনে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলপথ উড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জাগারগুন্দা এলাকায় নাশকতা চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু সিআরপিএফ সাব-ইন্সপেক্টরের। ঝাড়খণ্ডেও মাঝে মাঝেই নাশকতা চালাচ্ছে নকশালপন্থীরা।
মাত্র দু'বছর হয়েছে ভিকি জৈন (Vicky Jain) ও অঙ্কিতা লোখান্ডের (Ankita Lokhande) বিবাহিত জীবনের। কিন্তু তার মাঝেই বিবাহবিচ্ছেদের খবর শোনা যাচ্ছে। 'বিগ বস ১৭'-এ জুটি হিসাবে এসেছেন ভিকি জৈন ও অঙ্কিতা লোখান্ডে। কিন্তু বিগ বস-এ আসার পর থেকেই প্রায় নিত্যদিনই দর্শকরা দেখতে পাচ্ছেন ঝগড়া-অশান্তি। এবারে একেবারে বিবাহ বিচ্ছেদের কথাই মুখে আনলেন অঙ্কিতা। আর তারপর থেকেই তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
চলতি সপ্তাহে বিগ বস-এর ঘরে ফের অঙ্কিতাকে দোষারোপ করতে দেখা গিয়েছে ভিকিকে। অভিনেত্রীর স্বামী বলেন, "তুমি একটা বিবাহিত পুরুষের সমস্যা কখনই বুঝতে পারবে না। সেটা মুখে বলা যায় না, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, কোন কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।" বিয়ে নিয়ে ক্ষোভ শুনে রেগে ওঠেন অভিনেত্রী। এর পর অঙ্কিতা বলেন, "আমার মনে হয় আমি তোমার সঙ্গে আর বাড়ি ফিরে যেতে চাই না। এতই যদি কষ্ট দয়া করে বিয়েটা এ বার ভেঙে দাও।" আর এমনটা বলতেই জল্পনা শুরু হয় তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে।
প্রসূন গুপ্ত: ২০২৩ সালটি নিশ্চিত শাহরুখ খানের। বছরের শুরু হয়েছিল তাঁর 'পাঠান' ছবি দিয়ে। বছরের মাঝখানে রিলিজ করেছিল 'জওয়ান'। অনেক মাস পরে শাহরুখের ছবি পাঠান রিলিজ করেছিল। এখনও সুপার হিরো হিসাবে তাঁকে এবং সলমনকেই ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু দুজনের অভিনয়ের দিকে মস্ত ফারাক আছে।
সলমন খান অবশ্যই চমৎকার অভিনেতা কিন্তু অ্যাকশন ধর্মী ছবিতে তিনি অদ্বিতীয়। অন্যদিকে শাহরুখ পরিচিত রোমান্টিক হিরো হিসাবেই। অসংখ্য তাঁর ছবি হিট করেছে রোমান্টিকতায় ভরপুর নায়ক হিসাবেই। এসব ছবিতে শাহরুখের জুড়ি নেই। কখনও কাজল কখনও জুহি চাওলা বা রানী মুখার্জিকে নিয়ে বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছেন শাহরুখ। ১০ বছরের উপর তাঁর একটি ছবি টানা চলেছে মুম্বাইয়ের একটি হলে। সেই শাহরুখ ২০১৫ তে এসে বুঝলেন এখন আর হল নামক বস্তুটি চলে গিয়েছে। কোটিকোটি টাকা খরচ করে ছবি রিলিজ করে মাল্টিপ্লেক্সে, যেখানে টিকিটের যা দাম তা সাধারণের জন্য নয়। এ ছবি দেখা আর টাকা ওড়ানো অনেকটা সমার্থক কাজেই কয়েক বছর অপেক্ষা করে ডন ১, ডন ২ করে বুঝেছিলেন অ্যাকশন ছবি না করলে তাঁর বাজার থাকবে না কারণ আজকের প্রজন্ম গল্প শুনতে চায় না।
অপেক্ষার পরে রিলিজ করল পাঠান এবং কয়েক মাস পরে জওয়ান। দুটিতেই কথার থেকে বন্দুক ব্যবহার বেশি তাঁর সঙ্গে মারধর তো আছেই। কাজেই নিজের লুকস পাল্টে ফেলে নতুন করে ছবি করলেন। দুটি ছবিই কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা করলো। শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে হলিউড ছবির মতোই ছড়িয়ে গেলেন শাহরুখ। এবারে পড়লেন রাজকুমার হিরানির পাল্লায়। রাজু হিরানি সুপার হিট ছবি করার পরিচালক। মুন্নাভাই, সনজু, থ্রি ইডিয়টস ইত্যাদি ছবির পরিচালক।
রাজু কিন্তু তাঁর ছবি ডাঙ্কিতে আবার অন্য শাহরুখকে নিয়ে আসলেন। অনেকটা রোমান্টিক, মজা কিংবা অ্যাকশন সবই আছে যা কিনা মসলা হিন্দি ছবিতে থাকে। ডাঙ্কি রিলিজ করলো বৃহস্পতিবার। সমস্ত শো অনেক আগে থেকেই পরিপূর্ণ হয়ে আছে। ১৯৯৫ এর ঘটনা, ৫ ব্যক্তি, যাদের শিক্ষা দীক্ষা ইত্যাদি বিশেষ কিছু নেই অথচ তারা লন্ডনে যেতে চায় কিন্তু ভিসা পায় না। এরাই চোরা পথে ইংল্যান্ডে গিয়ে পৌঁছায় অবশেষে। এই চোরা যাত্রীদেরই ডাঙ্কি বলা হয়ে থাকে। এই যাত্রা পথে অনেক কান্ড, অ্যাকশন ইত্যাদি আছে। বাকি তো .... হলে দেখতে হবে।
এবারে মন্নতের দুয়ারে এল ইডির চিঠি। বেশ কয়েক মাস ধরেই মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় বলিউডের একাধিক তারকারা ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন। আর এবারে বলিউডের কিং খান গৌরী খানকেও তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় নয়, গৌরী খানকে ইডি নোটিশ পাঠিয়েছে আর্থিক তছরুপের মামলায়।
শাহরুখ খানের স্ত্রীর পাশাপাশি গৌরী খান রেড চিলিজ প্রযোজনা সংস্থার মালকিন ও ইন্টিরিয়র ডিজাইনার কোম্পানিরও কর্ণধার। এবারে তাঁর নাম জুড়েছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তুলসিয়ানি গ্রুপের সঙ্গেও। আসলে এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন তিনি। আর তাতেই বিপােকে পড়লেন গৌরী খান। এই সংস্থার বিরুদ্ধে কখনও প্রতারণা, কখনও আর্থির তছরূপের একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর গৌরী খান এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলেই এবার ইডির ডাক পেলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই সংস্থার এক প্রজেক্টের জন্য প্রায় ৩০ কোটি পেয়েছিলেন গৌরী খান। আর এই অর্থের উৎস নিয়েই বর্তমানে প্রশ্ন তুলছে ইডি। অভিযোগ উঠছে, এই সংস্থা বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ফলে গৌরী খান আর্থিক তছরূপের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তিনি যেহেতু এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত, তাই গৌরী খানের বয়ান রেকর্ড করা প্রয়োজন। গৌরী খানকে তুলসিয়ানি গোষ্ঠী কত পারিশ্রমিক দিয়েছিল এবং তাঁদের মধ্যে কী চুক্তি হয়েছিল, তা জানতে চাইবে ইডি। এখনও পর্যন্ত ইডির তলব নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি গৌরীর।
সিবিআই নয়, সিট-এই ভরসা কলকাতা হাইকোর্টের। আনিস খান মৃত্যু মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্ত নয়। সিট তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে। ৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মঙ্গলবার সিটের আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, সুমন বালা সাউ, সিটের প্রধান (আইপিএস) সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করবেন। তাঁর জায়গায় নতুন সিটের প্রধান নিয়োগ করুক আদালত। এর পরই প্রধান বিচারপতি জানান, এই নির্দেশ জারি করেছিল ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। এই বিষয়ে ওই বৃহত্তর বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে বা বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখ্যপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তাই প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, 'সিটের পক্ষ থেকে অবসরের বিষয়টা জানিয়ে আপনারা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান যে সিটের ওই প্রধানের জায়গায় অন্য কোনও আইপিএসকে নিযুক্ত করা হোক।'
প্রসঙ্গত, আনিস খানের পরিবার প্রথম থেকেই ঘটনাটিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। কিন্তু বিচারপতি মান্থা সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছিল, এখনই এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই। তদন্ত করবে রাজ্যের সংস্থাই। এর পর আজ কলকাতা হাইকোর্টও সিবিআই নয় সিট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এই নিয়ে ছয়বার! ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand )মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) ফের সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আগামী ১২ ডিসেম্বর হেমন্ত সোরেনকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে হাজির হতে হবে বলে ইডির তরফে জানানো হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, রাঁচীতে জমি কেনাবেচায় আর্থিক তছরুপের মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছে ইডি। এই নিয়ে ষষ্ঠবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠানো হল বলে খবর। হেমন্তের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় এক আইএএস-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। দুটি পৃথক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে ইডি। ফলে ফের তাঁকে সমন করায় আরও বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসূন গুপ্ত: মঙ্গলবারের একটিই খবর বাংলায় যে, শাহরুখ খান এবারের কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসবেন না তবে কি হবে? এ ছিল খবরওয়ালাদের প্রশ্ন মাত্র। কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বই সফরে গেলে তাঁকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান অমিতাভ বচ্চন। কিছু গল্পগুজবের পরে অমিতাভ নাকি তাঁর শারীরিক কারণ দর্শিয়ে এ বছর ফিল্ম উৎসবে আসতে পারবেন না জানিয়েছিলেন। অমিতাভের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তিনি অনেকটাই কাজ কমিয়ে ফেলেছেন এবং খুব একটা বাইরে শুটিং করছেনও না কিন্তু বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর শাহরুখ খানও আসছেন না এটা হয়তো বোঝা যায়নি। জানা গেল ইদানিং শাহরুখ প্রচন্ড ব্যস্ত তাঁর ছবির প্রচারে এবং অন্য ব্যবসায়ে। মমতা সময়ের সঙ্গে চলতে পটু কাজেই দেরি করেন নি, বাণিজ্য মেলাতেই সৌরভ গাঙ্গুলিকে বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর ঘোষণা করলেন। সেই সাথে এবারের সিনেমা উৎসবে চমক দিলেন বলিউডের আর এক সুপারস্টার সলমন খানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে।
কে বেশি জনপ্রিয় একেবারে অতি সাধারণ জনতার কাছে তা কিন্তু পরিষ্কার হলো মঙ্গলবারই। সলমন। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে নেতাজি ইনডোরে প্রবেশের আগেই ধর্মতলা চত্বরে প্রবল ভিড় শুধু একবার 'ভাইজান'কে দেখার জন্য। বাস্তবে সকলেই তো আর প্রবেশ পত্র পায় না। বিশাল হর্ষধ্বনি নিয়ে সলমন অনেকটা চুলবুল পান্ডের মতোই প্রবেশ করলেন। হলে প্রবেশের পরে কয়েক হাজার নানান পেশার দর্শকের ফের হল কাঁপিয়ে চিৎকার। এ যেন ইডেনে সচিন টেন্ডুলকারের ব্যাট করতে নামার মতোই। যখনই সলমন কিছু করছেন তখন আর ঘোষকের কথা বা অন্য প্রসঙ্গ চাপা পরে যাচ্ছে। বিগত বছরগুলির মতো নিয়ম মেনে সময়োপযোগী অনুষ্ঠান এবারে আর দেখা গেলো না কারণ ওই সলমন। হাসি ঠাট্টা মজা করেই কাটিয়ে দিলেন সময়টা। সলমন হয়তো অমিতাভ বা শাহরুখের মতো কলেজের ডিগ্রি নিয়ে ছবির জগতে আসেন নি, কিন্তু তাঁর পরিবার চিরকাল মুম্বই সিনেমাকে দিয়ে এসেছে নানান প্রতিভা। বাবা সেলিমতো শোলে থেকে ডন হয়ে নানান ছবির কাহিনীকার। সেলিম অন্তত সলমনকে শিখিয়েছেন ব্যক্তি জীবনের চিত্রনাট্য কি হতে পারে। একই সাথে কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও, তিনি জানেন প্রয়োজনে কীভাবে রাজনীতির চিত্রনাট্য বদলাতে হয়।
প্রসূন গুপ্ত: আগামী ৫ ডিসেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ২৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য বিভাগের আয়োজনে প্রতি বছর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সাত দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব হয়ে থাকতো। কিন্তু এ বছর কালীপুজো সহ বিভিন্ন উৎসবের কারণে অনুষ্ঠান পিছিয়ে ডিসেম্বরের ৫ তারিখে আয়োজন করা হয়েছে। চলবে ৭দিন ব্যাপী। ইদানিং এই উৎসবে পুরস্কার দেওয়াও হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূল কান্ডারি হলেও এখন উৎসব কমিটির প্রধান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। সাধারণত এই উৎসবের প্রধান বক্তা থাকেন অমিতাভ বচ্চন এবং উপস্থিত থাকেন শাহরুখ খান সহ বিভিন্ন বলিউডের শিল্পীরা। বছরের পর বছর এর ব্যতিক্রম হয়ন। কিন্তু এবারের উৎসবে এমন অনেকে উপস্থিত হচ্ছেন, যাঁরা এর আগে কলকাতার এই উৎসবে আসেননি, চমক এখানেই।
মুম্বই সিনেমায় দীর্ঘদিন রাজ করেছেন নিঃসন্দেহে অমিতাভ বচ্চন। দেখা গিয়েছে, বিগত বছর তিনেক বিগ বি তাঁর ছবি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। করোনাকালে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্য অসুস্থতায় ফের হাসপাতালমুখী হয়েছিলেন। তিনি ইদানিং খুব একটা শহরের বাইরে যান না। সম্প্রতি রাজনীতির এক বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বইতে গেলে তাঁকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন অমিতাভ জয়া। মুখ্যমন্ত্রী সময় বের করে বচ্চন পরিবারে অনেকটা সময় কাটান। অমিতাভ যে এবারে আসতে পারবেন না শারীরিক কারণে তা জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর শাহরুখ খান একেবারেই বাংলার জন্য সময় বার করতে পারছিলেন না, ব্যস্ততা অনেকটাই তাঁর সিনেমা ব্যবসা ইত্যাদিতে। মমতা দেরি করেননি। এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে শাহরুখের পরিবর্তে সৌরভ গাঙ্গুলিকে বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর করেন। তখনই আভাস ছিল শাহরুখ হয়তো বাদ পড়তে পারেন চলচ্চিত্র উৎসব থেকে। হলোও তাই। মুম্বইয়ের আরেক সুপারস্টারকে আগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছিলেন এবং সেই স্টার সানন্দে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। সলমন খান।
এবারে মঙ্গলবারে প্রধান অতিথি হিসাবে তাই ভাইজান 'দিদির' আমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসছেন। সলমন খান ছাড়া আরও আসছেন সোনাক্ষী সিনহা, অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা, পরিচালক মহেশ ভাট এবং কমল হাসান। এ ছাড়াও বাংলার প্রথম সারির সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা থাকছেন এবং অবশ্যই সৌরভ গাঙ্গুলি। সলমনকে দেখার জন্য বাংলার সিনেমা প্রেমীরা আকুল দীর্ঘদিন ধরে। দেখার বিষয় কী বক্তব্য রাখেন সলমন সোনাক্ষী জুটি।
উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে কী ফের শাবল, গাঁইতি, কোদালে ফিরছে প্রশাসন। কারণ, এই উদ্ধারে গত কয়েকবার বারবার ধাক্কা খেয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। তাই নতুন করে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে এমনটাই ইঙ্গিত উত্তরাখণ্ড সরকার। যদি উদ্ধার কাজে প্রাচীন পন্থায় ফিরতে হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে উদ্ধার আরও দেরি হতে পারে।
গত বাহাত্তর ঘণ্টায় বারবার থমকে গিয়েছে উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ। ইতিমধ্যে ৫৭ মিটার পথ খুঁড়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। বাকি রয়েছে এখনও কয়েক মিটার। সেই কাজ করতে গিয়েই বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে অগার যন্ত্রে যান্ত্রিক ত্রুটিোর কারণে কাজ বন্ধ করতে হয়। যন্ত্রটি যে উঁচু জায়গার উপর রেখে খননের কাজ চালানো হচ্ছিল, সেই জায়গাটিতেও নাকি আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটি সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ। কিন্তু কখন ওই ৪১ কর্মীকে উদ্ধার করা যাবে? সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় প্রশাসন।
উত্তরাখণ্ডের সিল্কারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যের আলো দেখতে পারেন বলে আশা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্য প্রায় শেষের মুখে। সেই সঙ্গেই টানেলের সামনেই আনা হয়েছে এম্বুলেন্স, ব্যাবস্থা করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালের।
জোজিলা সুড়ঙ্গের প্রোজেক্ট হেড এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্য হরপাল সিং জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে।
আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধারকাজে। অক্সিজেন মাস্ক পরে পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে ঢুকেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। শ্রমিকরা বেরিয়ে এলেই তাঁদের পাঠানো হবে হাসপাতালে।