
কেরলের কালামাসেরির প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল এক ব্যক্তি। ত্রিশুর জেলার কোদাকোরা থানায় সে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানায় কেরল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম ডমিনিক মার্টিন। আত্মসমর্পণের পর পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। ওই ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি গুজরাতের বাসিন্দা। মেঙ্গালুরু থেকে আরিককোড যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। তার সঙ্গে একটি ব্যাগও ছিল। ব্যাগে সন্দেহজনক দ্রব্যও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে গোষ্ঠীর প্রার্থনা চলছিল, তিনি তারই সদস্য।
কেরালা পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণটি কোনও আইইডি বিস্ফোরণ। NIA-এর পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশও সিট গঠন করে তদন্ত করবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও যোগ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেরলের কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। রবিবার সকালে অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। মৃত্যু হয় একজনের। জখম ২০ জনের বেশি। ঘটনার পরপরই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।
অমিত শাহের নির্দেশ,অবিলম্বেই যেন ঘটনাস্থলে এনআইএ ও এনএসজি টিম পাঠানো হয়। সেই নির্দেশ মতোই ৪। জনের এনআইএ টিম গঠন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ-ও।
জানা গিয়েছে সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। সেইসময় সেখানে প্রায় ২০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একাধিকবার বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু কী কারণে বিস্ফোরণ, তা এখনও জানা যায়নি।
অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ বিস্ফোরণ। রবিবার সকালে কেঁপে উঠল কেরলের এর্নাকুলাম এলাকা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম একাধিক। এর্নাকুলামের কালামাসেরি এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ওই কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। একবার নয়, তিনবার বিস্ফোরণ হয়। সেরকমই দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে রয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ২০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। সেইসময় ওই কনভেনশন সেন্টারে প্রায় ২০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।
একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে দেখা যাচ্ছিল না সামনের দিকে কী রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গুগল ম্যাপ-এ ভরসা করেই গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন দুই ব্যক্তি। কিন্তু এতেই হল মর্মান্তিক পরিণতি। বৃষ্টির ফলে সামনে কী রয়েছে দেখতে না পারায় নদীতে পড়ে যায় গাড়ি। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির। সূত্রের খবর, দুই ব্যক্তি পেশায় চিকিৎসক। কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ কাজেই বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে চলতে গিয়েই মৃত্যু হয় তাঁদের। এই ঘটনায় আহত হয় তিনজন। সূত্রের খবর, রবিবারের রাতের ঘটনাটি কেরলের (Kerala) কোচির (Kochi)।
সূত্রের খবর, অদ্ভৈত ও অজমল নামের দুই চিকিৎসক এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ তাঁদের কোনও এক কাজ থাকায় তাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। গাড়িতে মোট পাঁচজন ছিলেন। সেসময় বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতে তাঁরা গুগল ম্যাপস দেখে গাড়ি চালাতে থাকেন। কিন্তু চালক গুগল ম্যাপের দিক কোনও কারণে ভুল অনুসরণ করেন। আর এতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। গাড়ি পড়ে যায় পেরিভার নদীতে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করতে ছুটে আসলেও তিনজনকেই প্রাণে বাঁচাতে পারেন। চালক ও তাঁর পাশের সিটে বসে থাকা চিকিৎসকের জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁরা বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে খবর।
কাজের তাগিদে কেরলে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant worker)। কেরলে (Kerala) থাকাকালীনই জ্বরে ভুগছিলেন। রাজ্যে ফিরে আবারও জ্বর আসায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা নিপা ভাইরাস (Nipah virus) সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। যদিও বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের সুনির্দিষ্ট কোনও রকম উপসর্গ নেই। কিন্তু জ্বর, গা-হাত-পা ও গলায় ব্যাথা ও বমি ভাব থাকায় ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে ওই যুবক পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই যুবকের দুই সঙ্গীর কেরলেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। তাই, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজ, বুধবার মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে। তারপর জানা যাবে ওই যুবক নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
জানা গিয়েছে, এই যুবকের প্রথম জ্বর আসে। তখন দু'দিন তিনি এনাকুলাম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ছুটি পেয়ে রাজ্যে ফেরার পরে ১০ তারিখ ফের জ্বর আসায় পরের দিন তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসোলেশনে রেখেই চলছিল চিকিৎসা। মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কেউ নিপাতে আক্রান্ত হননি। ওই যুবকও স্থিতিশীল রয়েছেন।
করোনার দাপট কমলেও নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)। কেরলে (Kerala) ইতিমধ্যে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু'জনের মৃত্যুও হয়েছে। ফলে তার পর থেকেই কেরলের কোঝিকোড়ের সাতটি গ্রামকে 'কনটেনমেন্ট জোন' বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই আতঙ্কের মাঝেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিল কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ (Veena George)। তিনি জানিয়েছেন, গত দু'দিন অর্থাৎ শনি ও রবিবার আর কোনও নিপা ভাইরাসে সংক্রমণের কথা শোনা যায়নি। ফলে কেরলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই এসেছে।
বেশ কিছুদিন আগেই কেরলে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এমনকি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু'জনের মৃত্যু হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয় কেরল সরকার। কিছু গ্রামকে কনটেনমেন্ট জোন করে বেশ কিছু স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর আরও চার জনের নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের কথা প্রকাশ্যে আসে। তবে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সোমবার জানিয়েছেন, যে চারজন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত, তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর রবিবারেও কোনও নিপা সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। তাই পরিস্থিতি দু'দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তবে বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ জানানো হয়েছে, নিপা ভাইরাসে সংক্রমণ হারের চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি। এমনকি নিপা ভাইরাসে মৃত্যুর হার করোনার থেকেও বেশি। তাই নিপা ভাইরাসের উপসর্গ শরীরে দেখা গেলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নিপা ভাইরাসের জেরে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে কেরলে। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও একজনের শরীরে নিপা ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। যার ফলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫।
এদিকে ওই ৫ জন আক্রান্তের সংস্পর্ষে এসেছেন ৭০৬ জন। তাঁদের প্রত্যেকের নিপা টেস্ট করানো হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যে কোঝিকোড়ে নিপা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য হাই এলার্ট জারি করেছে স্বাস্থ দফতর।
অতীতেও সবথেকে বেশি নিপা আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গিয়েছিল কোঝিকোড়ে। ২০১৮ সালে এবং ২০২১ সালে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সেসময় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মোট ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবারও বেশ কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। নিপা ভাইরাসের জেরে একাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ টি কমিটি গঠন করে পুরো পরিস্থিতি নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনার (Corona) দাপট শেষ হলেও এখনই স্বস্তি নেই। এবারে কেরলে (Kerala) প্রবেশ করেছে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)। সোমবার রাতে দু'জনের অজানা জ্বরে মৃত্যু হওয়ার পর আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, তাদের নিপা ভাইরাসেই মৃত্যু হয়েছে। এবারে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রিপোর্ট আসার পর জানা গিয়েছে, কেরলের কোঝিকোড়ের দু'জন নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে এবারে নড়েচড়ে বসেছে কেরল সরকার। কোঝিকোড়ের ৭ টি গ্রামকে 'কনটেনমেন্ট জোন' হিসাবে ঘোষণা করল। এর পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল।
সূত্রের খবর, কেরালার কোঝিকোড়ে মৃত্যুর ঘটনা জানার পর স্বাস্থ্য বিভাগ চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে। রাজ্যের আরও পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের দেহেই নিপা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা আক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে নয় বছরের এক শিশুও রয়েছে। এছাড়াও নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কেরলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
কোঝিকোড়ের যে যে গ্রামগুলোকে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে, সেখানে বাইরের কারোর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জানা গিয়েছে, কোঝিকোড়ের আটানচেরি, মারুথনকারা, তিরুভাল্লুর, কুত্তিয়াদি, কায়কোডি, ভিলিয়াপল্লী এবং কাবিলুমপাড়া গ্রামগুলোকে কনটেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসের বাংলাদেশ নামর রূপটিই মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই প্রজাতির সংক্রমণের হার কম। তবে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, এখনই নিপা ভাইরাসের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যাঁরা নিপা ভাইরাসে সংক্রামিত, তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
করোনার (CoronaVirus) পর বর্তমানে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে সারা বিশ্বের মানুষ। তার মধ্যে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু এর মধ্যেই দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে নিপা ভাইরাস (Niph Virus)। একেতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ডেঙ্গির দাপট। ফলে পুজোর আগেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে নিপা ভাইরাস। তবে এখনও বাংলায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের কথা শোনা যায়নি। কিন্তু কেরলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। কেরলের কোঝিকড়ের হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যুতে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই ২ জনের 'অস্বাভাবিক মৃত্যু' হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
সূত্রের খবর, সোমবার কেরলের কোঝিকড়ে হাসপাতালে ২ জনের অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। তবে এই দু'জনের যে যে উপসর্গ দেখা গিয়েছে, তা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই দু'জনের নিপা ভাইরাসের ফলেই মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি তথা এনআইভিতে পাঠানো হয়েছে নমুনা। মঙ্গলবার সন্ধের পর রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃতরা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
ইতিমধ্যেই সরকারি উদ্যোগে আপৎকালীন বৈঠক শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই নিপা সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।
প্রেমের (Love) প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন 'প্রেমিকা', আর এই দেখেই হাইকোর্টের মধ্যেই নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি কেরলের (Kerala) ত্রিশূর জেলার। সূত্রের খবর, প্রেমিকাকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলে তাকে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে প্রেমিকার সামনে তার প্রেমের কথা বললেও তরুণী তা অস্বীকার করে নেন। আর প্রেমিকার এমন ব্যবহার দেখেই আদালতের মধ্য়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন যুবক। পকেট থেকে ছুরি বের করে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ৩১ বছর বয়সী যুবক বিষ্ণু কেরলের ত্রিশূর জেলার বাসিন্দা। ২৩ বছরের তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি এক মাস তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু তরুণীর বাবা 'হেবিয়াস কর্পাস' মামলায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ তাঁর মেয়েকে জোর করে বন্দি করে রাখা হয়। এরপরই বিষ্ণুকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বিষ্ণু তাঁদের প্রেমের কথা বললেও তরুণী তা অস্বীকার করে নেন। এমনকি তিনি জানান, তাঁদের মধ্য়ে কোনও প্রেমের সম্পর্কই নেই। তাঁকে ভাইয়ের মতো দেখেন। এছাড়াও তাঁকে সেখানে আটকে রাখার জন্য হুমকি দিতেন বলে দাবি করেন তরুণী। পরে তিনি এও জানান, তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান।
এসব শুনেই 'প্রেমিক' বিষ্ণু পকেট থেকে ছুরি বের করে নেন ও আদালতে বিচারক অনু শিবারমনের সামনেই হাতের শিরা কেটে ফেলেন। অবিলম্বে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে ও তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
একদিকে উত্তর ভারতে চলছে বৃষ্টির দাপট। নেমেছে একাধিক জায়গায় ধস। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তখন দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্য পুড়ছে তীব্র দাবদাহে। এই বর্ষার মরসুমেও এই রাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দোরগোড়ায়। কেরলবাসীকে সতর্কও করা হয়েছে। এমনকি খুব প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেরল রাজ্য দিয়েই বর্ষার আগমন ঘটেছে। এদিকে যখন দেশের অন্যান্য রাজ্য বৃষ্টিতে নাজেহাল, তখন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী কেরলে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কেরলবাসীর। তাপপ্রবাহ চলছে। জল অপচয় বন্ধ করে তা ধরে রাখার জন্য জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, সমতলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাপপ্রবাহ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই তাপমাত্রা যদি উপকূলীয় অঞ্চলে ৩৭ ডিগ্রি বা তার কাছাকাছি পৌঁছয়, তখন তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার তিরুবনন্তপুরতম, কোলামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৫ ডিগ্রি বেশি। এছাড়া আলাপ্পুঝা, কোট্টায়ম এবং পালাক্কড়ে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর্নাকুলাম, ত্রিশূর, মালাপ্পুরম এবং কোঝিকোড়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি বাড়ছে আর্দ্রতাও। তবে কিছুটা সুখবর, অগাস্টে তাপমাত্রা বেড়ে চললেও সেপটম্বরের শুরুতে রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবেই হবে সেই বৃষ্টি।
আদাহ শর্মা (Adah Sharma) নাম বলতেই মাথায় আসে, 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমার কথা। আর এই ছবির টিজার শুরুর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক-সমালোচনা। তবে এই বিতর্ককে সঙ্গী করেই বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ছবি। প্রায় ৩০০ কোটির মতো ব্যবসা করেছে ছবিটি। এই ছবিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আদাহ শর্মা। বহু বছর পর সিনেমার পর্দায় তাঁকে দেখা গেলেও তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। আর এই ছবির পর থেকে তাঁর ভক্তও হয় অগুনতি। কিন্তু এবারে আদাহ শর্মার জন্যই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আদাহ, কী হয়েছে তাঁর, কেমন আছেন তিনি, একাধিক প্রশ্ন তাঁর অনুরাগীদের মনে।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকেই আদাহর শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। গতকাল সকাল থেকেই তাঁর বমি শুরু হয়। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, ডায়রিয়ায় ভুগছেন তিনি, এর পাশাপাশি ফুড অ্যালার্জিও হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত তাঁর আসন্ন ছবি 'কমান্ডো'-র প্রোমোশনের জন্য। সেই ছবির প্রোমোশনের মাঝেই হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলে খবর। আর এই কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে এই ফুড অ্যালার্জি, তার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
প্রায় দেড় বছর ধরে নিখোঁজ এক ৩৪ বছরের যুবক। তাঁর স্ত্রী পুলিসের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনিই নাকি তাঁর স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রেখেছেন। তাঁর দেখানো জায়গায় সেই যুবকের দেহ খোঁজা হলেও তাঁকে পাওয়া যায় না। এরপর স্ত্রীকে গ্রেফতার করার পর জামিনও পেয়ে যান তিনি। তবে এসবই পুরনো কথা, সম্প্রতি খবরে এসেছে, কিছুদিন আগেই নাকি তাঁর স্বামীকে এক গ্রামে দেখা গিয়েছে। এরপর তাঁর পালিয়ে যাওয়ার কারণ শুনেই অবাক পুলিস আধিকারিকরা। তিনি বলেন, 'স্ত্রীকে ভয় পেয়ে এতদিন লুকিয়েছিলাম।' ঘটনাটি কেরলের (Kerala) পাথানামথিট্টার।
সূত্রের খবর, কেরলের ৩৪ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম নওশাদ। তিনি পাথানামথিট্টার বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি হঠাৎ বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। এভাবে আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার পিছনে স্ত্রী আফসানার হাত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আফসানাও দাবি করেছিলেন যে, তিনি তাঁর স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কোথাও তাঁর দেহ খুঁজে না পেয়ে আফসানাকে জামিন দেওয়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার ইদ্দুকি জেলার এক গ্রামে নওশাদকে দেখা যায় বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর পুলিসকে খবর দিতেই সেখান থেকে নওশাদকে খুঁজে বের করা হয়। এই দেড় বছর কেন লুকিয়ে ছিলেন, এমনটা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, স্ত্রীর ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। লোক জোগাড় করে তাঁকে মারধর করত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নওশাদের স্ত্রী আফসানাকে পুলিস ডেকে পাঠান ও এই মামলায় পুলিসকে বিভ্রান্ত করার ফলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
অ-জৈব বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করতেন কেরলের (Kerala) ১১ জন মহিলা, সংসার চলত টেনে-টুনে। কিন্তু হঠাৎই একদিন তাঁদের ভাগ্য বদলে গেল মুহূর্তের মধ্য়ে। ২৫০ টাকার লটারির (Lottery) টিকিটই বদলে ফেলে তাঁদের জীবন। কারণ তাঁরা সেই ২৫০ টাকার লটারির টিকিট কেটেই নিমেষের মধ্যে হয়েছেন কোটিপতি। জানা গিয়েছে, তাঁরা মোট ১০ কোটি টাকা জিতেছেন লটারিতে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি কেরলের মালাপ্পুরমের (Malappuram)।
জানা গিয়েছে, এই ১১ জন মহিলা কেরলের মালাপ্পুরমের হরিথা কর্ম সেনায় কাজ করতেন। তাঁরা বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের উপার্জনের টাকায় সংসার চালানো ভীষণ কষ্টকর হত। তাই তাঁরা একসঙ্গে প্রায়ই চাঁদা তুলে লটারির টিকিট কাটতেন। কিন্তু এর আগে লটারি কাটলেও তেমন কোনও বিশেষ পুরস্কার পাননি। কিন্তু তাঁরা হাল ছাড়েননি। কষ্ট করে হলেও তাঁরা চাঁদা তুলে ২৫০ টাকা জমান ও লটারির টিকিট কাটেন। এরপর কেরলের লটারি বিভাগ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, তাঁরা ১০ কোটি টাকা জিতেছেন। আর এই খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন তাঁরা।
হরিথা কর্ম সেনার চেয়ারম্যান সীজা বলেন, 'এই টাকা যাঁদের বেশি দরকার ছিল তাঁদের কাছেই গিয়েছে। তাঁরা অত্যন্ত পরিশ্রমী মহিলা। তাঁদের অনেকের ঋণ রয়েছে, আবার কারোর মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। ফলে এই টাকা তাঁদের অনেকক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবে।'
ব্রেনের (Brain) মধ্যে অ্যামিবা (Amoeba) ঢুকে গিয়ে কেরলে মৃত্যু হল এক ১৫ বছরের কিশোরের। জানা গিয়েছে, এই অ্যামিবা এমনই যে এটা ব্রেনের মধ্যে গিয়ে কুরে কুরে খেয়ে নেয় মস্তিষ্ক। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। প্রায় দেড় বছর করোনার জন্য সারা বিশ্বের মানুষকে আতঙ্কে থাকতে হয়েছে। আর এবারে ফের নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে এই 'মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা' (Brain Eating Amoeba)। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত কেরলে পাঁচ জনের শরীরে এই সংক্রমণ বাসা বেঁধেছে। প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জল থেকে মস্তিষ্কের এই সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল।
সূত্রের খবর, কেরলের আলাপুঝা জেলার বাসিন্দা ওই কিশোর 'নেইগেলেরিয়া ফাউলেরি' (Naegleria Fowleri) বা সহজ কথায় 'মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা' সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিল বলেই জানিয়েছে কেরল প্রশাসন। সপ্তাহখানেক ধুম জ্বর, সঙ্গে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূচক একেবারে এলোমেলো হয়ে যায় এই সংক্রমণে। তাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, দূষিত জল থেকে অ্যামিবার সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তার দেহে।
এককোষী এই প্রাণী সাধারণত, হ্রদ, উষ্ণ প্রস্রবণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পড়ে থাকা সুইমিং পুলে বৃদ্ধি পায়। মাইক্রোস্কোপ ছাড়া একে দেখা সম্ভব নয়। অ্যামিবাটির অনেকগুলি প্রজাতি রয়েছে। তবে শুধুমাত্র 'নেইগেলেরিয়া ফাউলেরি' -ই মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণ হলে সাধারণত বমি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, হ্যালুসিনেশন-এর মত উপসর্গ দেখা যায়। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করে থাকারই নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।