
মাকালু জয়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)। যদিও পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। মাকালু (Makalu) জয়ের পর বিপদ কাটেনি বাংলার পর্বতারোহী পিয়ালী বসাকের। অসুস্থ অবস্থায় কাঠমাণ্ডুর (Kathmandu) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পিয়ালী। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে খানিকটা হলেও উদ্বেগ পরিবারের সদস্যদের। পিয়ালীর পরিবার সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পিয়ালীকে কাঠমান্ডুর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে অক্সিজেন ছাড়া মাকালু অভিযান শুরু করেন পিয়ালী। সফলভাবে শৃঙ্গজয়ের পরে নেমে আসার পথে সমস্যার শুরু, প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন, পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে কাঠমাণ্ডু নিয়ে আসা হয়। পিয়ালীর দু'পায়েই প্রবল ফ্রস্টবাইট হয়েছে বলে খবর। নতুন করে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছেন পিয়ালী। গত বছর এভারেস্ট জয়ের পর এ'বছর পিয়ালী প্রথমে অন্নপূর্ণা, তারপর মাকালু জয় করেন।
নেপালের পোখরা বিমান (Nepal Plane Crash) দুর্ঘটনায় উদ্ধার ভেঙে পড়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স। এই দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গুরুত্বপূর্ণ এই ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার (Black Box rescue) করতে সমর্থ হয়েছে উদ্ধারকারী দল। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান, সোমবার সকালেই ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়া গিয়েছে। এবার দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে উড়ে বিমানটি পোখরায় অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে আচমকাই ভেঙে পড়ে। স্থানীয় এক নদীর তীর থেকে জ্বলন্ত উদ্ধার হয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ। এই ঘটনায় বিমানের পাইলট, কেবিন ক্রু-সহ সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনা।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে পাঁচ ভারতীয়ও রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা। যদিও পরে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানায়, আকাশ পরিষ্কারই ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। এদিকে বিমান ভাঙার আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই একদম বাঁক নিয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে। সম্ভবত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এভাবে বাঁক নিতে হয়েছিল বিমানকে। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় সেই বিমান। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
কাঠমান্ডু থেকে কলকাতাগামী (Kathmandu-Kolkata) এয়ার ইন্ডিয়ার AI-248 বিমানে মিহিরকুমার সরকার কলকাতায় আসছিলেন। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মাঝআকাশে (Mid Air) তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে থাকা কেবিন ক্রু পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, জরুরিভিত্তিতে পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (ATC) সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপরেই মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। এয়ারপোর্টে নিযুক্ত চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্থানীয় এক হাসপাতালে রেফার করে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, যেহেতু তিনি অসুস্থ ছিলেন অতিরিক্ত ঝাঁকুনির ফলেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানের (Pakistan) গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট (ISI Agent) হিসাবে কাজ করা এক ব্যক্তি খুন (Murder) হলেন নেপালের (Nepal) কাঠমান্ডুতে (Kathmandu)। দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে গুলি করে খুন করেছেন। আর সেই ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। জানা গিয়েছে, ভারতে জাল নোট পাচারের মূল চক্রী ছিলেন লাল মহম্মদ ওরফে মহম্মদ দর্জি নামের ওই গুপ্তচর। আইএসআইয়ের হয়ে ভারতে জাল নোট পাচার করতো সে। তবে কারা ওই চরকে খুন করলেন সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, আইএসআই-এর ওই চরের বয়স ৫৫ বছর। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতে জালনোট পাচারের কারবারে প্রধান অভিযুক্ত। আইএসআই-এর এজেন্টরা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জালনোট এ দেশে পাচারের করে দীর্ঘদিন ধরেই। পাকিস্তানের আইএসআই-এর হয়েই কাজ করতেন ওই সংস্থা।
আরও জানা গিয়েছে, আইএসআই-এর হয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় মুদ্রার জালনোট লাল মহম্মদ নিয়ে আসতেন নেপালে। আইএসআই-এর সহযোগিতায় এই কাজ করতেন তিনি। নেপালের সীমান্ত দিয়ে সেই জালনোট ভারতে পাচার করতেন।
কাঠমাণ্ডু পুলিশ জানিয়েছে, লাল মহম্মদের গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। তার বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশে জাল টাকা ছড়ানোর অভিযোগ ছিলই। তাকে কাঠমাণ্ডুর কাগেশ্বরী মনোহরা নগরের গোথার এলাকায় প্রকাশ্যে খুন করা হয়। সিসিটিভি দেখে জানা গিয়েছে, লাল মহম্মদকে দুই বাইক আরোহী খুব কাছ থেকে পরপর গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মহারাজগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, লাল মহম্মদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের যোগ ছিল বলেই সন্দেহ নেপাল পুলিশের। আরও অভিযোগ, নেপালে আইএসআই গুপ্তচরদের রাখার ব্যবস্থা করত লাল মহম্মদ। বরাবর সন্দেহজনক লাল মহম্মদ।
দার্জিলিং কাকে না হাতছানি দেয়। সুদূর নেপাল থেকেও প্রচুর পর্যটক আসেন দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যটনস্থলগুলি ঘুরে দেখতে। একইভাবে ডুয়ার্সের জঙ্গলও তাঁদের পছন্দের তালিকায় থাকে বরাবরই। কিন্তু করোনা আবহে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো এখানকার পরিবহণ ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পর্যটকরা যেমন বঞ্চিত হচ্ছিলেন, একইভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছিল পর্যটন ব্যবসা।
অনেকদিন পর মিলল খুশির খবর। ফের চালু হল শিলিগুড়ি ও কাঠমাণ্ডুর মধ্যে বেসরকারি বাস পরিষেবা। কোভিডের জেরে এমনিতেই বন্ধ ছিল সীমান্ত। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাস পরিষেবাও। সম্প্রতি ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি দিয়ে দু'দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালু হওয়ায় স্বস্তিতে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাও। প্রায় দেড় বছর পর চালু হল যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা।
বছর কয়েক আগে শিলিগুড়ি-কাঠমাণ্ডু বাস পরিষেবা চালু করা হয়। এটি দু'দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে নয়া মাত্রা যোগ করে। কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে এই পরিষেবা চালু করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কঠোরভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি। কী সেই কোভিড বিধি? প্রথমত, যাত্রীদের ভ্যাকসিনের ডবল ডোজের সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডবল ডোজ না হলে শেষ ৭২ ঘণ্টার কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক। তৃতীয়ত, সফরের সময় মাস্ক থাকতেই হবে। সীমান্ত পারাপারের ক্ষেত্রে ভারতীয় নাগরিকদের আরও একটি নথি সঙ্গে রাখতে হবে, তা হল ভারতীয় সচিত্র পরিচয়পত্র। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।
আগের মতোই সপ্তাহে তিন দিন করে চলবে এই যাত্রী পরিষেবা। শিলিগুড়ি জংশন থেকে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার ছাড়বে এই বাস। যা পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে কাঁকড়ভিটা, লালগড়, নৌবিস হয়ে পৌঁছবে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে। অন্যদিকে, প্রতি সপ্তাহের সোম, বুধ এবং শুক্রবার কাঠমাণ্ডু থেকে এই বাস ছাড়বে। সেই একই রুট ধরে পৌঁছবে শিলিগুড়িতে। রবিবার বন্ধ থাকবে এই পরিষেবা। বাস ভাড়া বেড়ে মাথাপিছু করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা। শিলিগুড়ি বেসরকারি বাস ওনার্স বুকিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এই পরিষেবা চালু হওয়ায় সুবিধা পাবেন দু'দেশের যাত্রীরাই। শিলিগুড়ি ও কাঠমাণ্ডুর মধ্যে ফের যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশির আবহ পর্যটন মহলে। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় উত্তরের এই অঞ্চলের পর্যটনের আরও প্রসার ঘটবে বলেই মনে করছেন এর সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।