Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Karunamoyee

SSC: 'আমরা উচ্চশিক্ষিত, চোর নয়', করুণাময়ীর বিক্ষোভে পুলিসি ধরপাকড়, সরব চাকরিপ্রার্থীরা

নিয়োগের দাবিতে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের (Upper Primary) বিক্ষোভে ধুন্ধুমার সল্টলেক করুণাময়ী (Karunamoyee) এলাকা। ২০১৪ সালের আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা উত্তীর্ন হয়েও ইন্টারভিউয়ে ডাক পায়নি। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত, কোনও নিয়োগ নেই। এই অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এসএসসি ভবন (SSC Bhawan) অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ চাকরিপ্রার্থী। ঘোষিত এই কর্মসূচি নিরস্ত্র করতে করুণাময়ী (Saltlake) চত্বরে পুলিসি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতোন। সেক্টর ফাইভ থেকে তাঁরা মিছিল করে আচার্য ভবনের সামনে আসতেই তাঁদের আটকায় পুলিসের ব্যারিকেড। 

সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিস কার্যত বলপূর্বক তোলার চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার কাণ্ড করুণাময়ী এলাকায়। যদিও পুলিসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, যে এলাকায় তাঁরা অবস্থান করছেন, সেটা ১৪৪ ধারা কার্যকর। কিন্তু সেই ঘোষণায় কর্ণপাত করেননি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এতেই শুরু হয় ধরপাকড়। আন্দোলনকারীদের টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হয় এলাকা।


এমনকি অবস্থানে থাকা অনেক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিসের তরফে মাইকিং করে সহযোগিতার আবেদন করা হয়। এদিকে, মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় কিছু চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে পুলিস। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না পেয়ে তাঁরা এই অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কাতর আর্তি, 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও পুলিস টেনে-হিঁচরে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে। আমরা উচ্চশিক্ষিত, বিএড করা। সাদা খাতাও জমা দিইনি। আমরা কী চোর, দেখুন পুলিস কী ব্যবহার করছে।'

one year ago
Rally: চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিসি বলপ্রয়োগের প্রতিবাদ, অনীক, বাদশারা হাঁটলেন নাগরিক সমাজের মিছিলে

মধ্যরাতে করুণাময়ীতে (Karunamoyee) চাকরিপ্রার্থীদের বলপূর্বক তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার রাজপথে নাগরিক সমাজ। সেই ঘটনায় পুলিসি ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে এদিন ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে প্রতিবাদ মিছিল (Protest Rally) আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিলের একদম প্রথমসারিতে ছিলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, পরিচালক অনীক দত্ত (Anik Dutta), বাদশা মৈত্র প্রমুখরা। মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে, অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, দেবদূত ঘোষ, জিতু কামাল প্রমুখ। এই মিছিলের সমর্থনে এগিয়ে এসে পা মেলান প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিমান বসু এবং রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।

তবে এঁদেরকে মিছিলের একদম শেষ প্রান্তেই দেখে গিয়েছে। যেহেতু অরাজনৈতিক ব্যানারে এই মিছিল, তাই সমর্থক হিসেবে মিছিলের শেষে ছিলেন এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান তিনি।

মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং মেধার ভিত্তিতে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি। গানে, কবিতা, স্লোগানে মুখরিত ছিল নাগরিক সমাজের এই মিছিল। 

2 years ago
TET: 'আমি এবিষয়ে বিস্তারিত জানি না..', টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য মমতার

উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে জানবাজারে পুজো উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। সেই ফাঁকেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীন ঝুলে থাকা কাজে গতি আনতে একাধিক ফাইলে সই করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর যুবভারতীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে করুণাময়ীতে (Karunamoyee) চলা টেট ২০১৪ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation) অনশন নিয়ে সেভাবে কিছু বলতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। ব্রাত্য বেশি ভালো বলতে পারবে। কারণ দফতরটা ওর। আমি এবিষয়ে কোনও মন্তব্যই করব না। তবে ন্যায্য দাবিতে যারা আন্দোলন করেন আমি তাঁদের ভালোবাসি। কোর্ট মামলা চলছে, আমরা কোর্ট নির্দেশ মেনে চলছি। আমি চাই না কারও চাকরি যাক। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

বিজেপির শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, 'আমরাও চাই সব শূন্যপদে নিয়োগ হোক। শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকার। সব দফতরের ঊর্ধ্বে যিনি আছেন, তিনি এভাবে দায় ঝাড়তে পারেন না। তিনি এই জটিলতার সমাধান করুন।' তৃণমূলের এক নেতা চাকরিপ্রার্থীদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এই জটিলতায় ধীরে ধীরে সরকারি স্কুলের হাল বেহাল হয়ে পড়ছে।'

২০১৪ টেট আন্দোলনকারী সন্তু দাস জানান, আমরা আশাবাদী ২০২০ সালে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই আশ্বাস তিনি রাখবেন আমরা সেই আশা রাখি। পাশাপাশি সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'উনি কাটমানি, পুজো উদ্বোধন, উৎসব ছাড়া কিছুই জানেন না। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর জানার পরিধি স্বল্প তাই এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরেও কিছুই জানেন না। মিথ্যাচার করে মানুষকে বিপদে ফেলছেন মুখ্যমন্ত্রী।' 

2 years ago


TET: করুণাময়ীতে আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা, 'রাজনৈতিক ইন্ধন' দেখছেন পর্ষদ সভাপতি

করুণাময়ীতে ২০১৪ টেট (TET 2014) চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের ২৪ ঘণ্টা পার। মঙ্গলবার সকাল থেকে নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে (Fast onto Death) চাকরিপ্রার্থীরা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। অনশনমঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীরা (Job Aspirants) অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠান। পুলিস কোনওরকম সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিধান নগর পুলিসের তরফে মাইকিং চলেছে। যেহেতু চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানমঞ্চ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। যেহেতু হাসপাতাল রয়েছে তাই এটা একটা সাইলেন্ট জোন। শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে মাইকিংয়ে। যদি চাকরি প্রার্থীরা জায়গা না ছাড়েন তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই হুঁশিয়ারিও বিধাননগর পুলিসের তরফে দেওয়া হয়।

এতে উত্তেজনা বাড়ে। চাকরিপ্রার্থীরা পাল্টা তাঁদের সঙ্গে থাকা জল, ফল, শুকনো খাবার ছুড়ে ফেলে আমরণ অনশনের ডাক দেন। এদিন সকাল ১১টা থেকে চলছে সেই অনশন। তাঁদের একটাই দাবি, 'নিয়োগপত্র হাতে না পেলে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এটা ডু অর ডাই আন্দোলন।' তাঁদের এই অবস্থার জন্য প্রাইমারি বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দায়ী করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।


সরকার সবকিছু কোর্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন চাইলে অযোগ্যদের নিয়োগ খারিজ করে আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারে। এমন দাবিও করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

এদিকে, করুণাময়ীর অবস্থান বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন দেখছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান, একস্তরীয় বা বহুস্তরীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নিয়োগ জট কাটিয়ে নিয়োগ করতে যাচ্ছি।


তাঁর আবেদন, 'যারা নট ইনক্লুডেড তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করুক। স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ হবে। প্রতি বছর দুটি টেট হলে আগামি দিনে আরও শূন্যপদ বেরোবে।' তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা সংক্রান্ত জটিলতায় সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছেন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, '২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন। আমি সেই মঞ্চের চার জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০২০-তে ১৬৫০০ নতুন পদ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে ১৬,৫০০ শূন্যপদের জায়গায় ১৩,৪৬৫ পদে নিয়োগ হয়েছে। ২০১৪-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা দু'বার ইন্টারভিউয়ে অংশ নিয়েছেন।'

2 years ago