তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) কাবেরী নদীর (Cauvery River) জল ছাড়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত কর্নাটক (Karnataka)। এবারে এই দক্ষিণী রাজ্যে বনধের ডাক দিল কন্নড়পন্থী সংগঠন এবং কৃষক সংগঠনগুলি। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বন্ধ ডাকা হয়েছে। ফলে বেঙ্গালুরু সহ কর্নাটকের একাধিক শহরে এদিন বনধের ছবি ধরা পড়েছে। সেই রাজ্যের স্কুল, কলেজ, অফিস থেকে শুরু করে শপিং মল, সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি বনধের জন্য ব্যাহত হয়েছে ট্রেন, বিমান পরিষেবা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৪ টির মতো বিমান বাতিল করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি তামিলনাড়ুকে ১৫ দিনের জন্য পাঁচ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে কর্নাটককে নির্দেশ দিয়েছে কাবেরী জল বণ্টন পর্ষদ বা কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। আর এর ফলেই শুরু হয় বিবাদ। আর এর পরই আজ ১২ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী সংগঠন কন্নড় 'ওকুট্টা'। এই বনধকে সমর্থন করেছে কর্নাটকের অটো রিকশা ও হেল রাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে জানা গিয়েছে, এই বনধের ফলে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তায় ক্যাব পরিষেবাও বন্ধ। আবার গত ৬ ঘণ্টার মধ্যে বেঙ্গালুরু বিমান থেকে ৪৪টি বিমান বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা আটকে পড়েছেন বিমানবন্দরে। আবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরী পরিষেবাগুলি সচল রয়েছে।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) কর্নাটকে (Karnataka)। একটি বাসের সঙ্গে লরির (Lorry) সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৫ জনের। গুরুতর জখম ৮। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিত্রদুর্গা জেলার গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসটি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়চুর থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই বাসটি। সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত একাধিক। সূত্রের খবর, বেপরোয়া ভাবে বাস চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, যাত্রী বোঝাই বাসের সামনেই ছিল একটি লরি। কিন্তু সেটি খুব ধীর গতিতে চলছিল। ফলে লরিটিকে ওভারটেক করার জন্য বাসের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে লরিতে। এতেই বাসের বামদিক পুরো ভেঙে-চুরে যায়। এর পরই ঘটনাস্থলে একজন ৫ বছরের শিশু সহ মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিত্রদুর্গার সুপারইনটেনডেন্ট অফ পুলিস ধর্মেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে।
চকোলেট (chocolate) ছোট থেকে বড় সকলেরই কম-বেশি পছন্দের। কিন্তু বাচ্চাদের একটু বেশি প্রিয়। তবে কোনও বাচ্চা যদি চকোলেটে আসক্ত হয়ে পড়ে তা খারাপই বটে। সম্প্রতি কর্নাটকের (Karnataka) মেঙ্গালুরুর কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের চকোলেট খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছিল। এমনকি চকোলেট কেনার টাকা না পেলে অদ্ভুদ আচরণ লক্ষ্য করছিলেন অভিভাবকরা। এরপর অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগে পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল কেউটে। চকচকে কাগজে মুড়ে চকোলেট নামে যে জিনিসটা বিক্রি হচ্ছিল তা আসলে গাঁজা। চকোলেটের মধ্যে গাঁজার নির্যাস মিশিয়ে বিক্রি করছিলেন দোকানদার। আর তাতেই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বাচ্চারা।
বৃহস্পতিবার তল্লাশি অভিযানে নেমে পুলিস মোট ১২০ কেজি মাদক মেশানো চকোলেট উদ্ধার করেছে। তড়িঘড়ি দুই দোকনদারকে গ্রেফতার করেছে মেঙ্গালুরু পুলিস। জানা গিয়েছে, প্রতি পিস ২০ টাকা করে বিক্রি করছিল দোকানদাররা। গাঁজার নির্যাস মেশানো সেই চকোলেট কিনতে ভিড় জমিয়েছিল আট থেকে আশি অনেকে। এর পিছনে বড়সড় কোনও মাদক চক্রের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সেলফি (Selfie), রিলস-এর (Reels) নেশা এমনই হয়ে উঠেছে যে, মানুষের বিপদের কথা মনেই থাকছে না। এর আগেও একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, ভিডিও বা ছবি তুলতে গিয়ে হয়েছে মর্মান্তিক মৃত্যু। এবারেও ফের একই কাণ্ড। এবারে রিলস বানাতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল কর্নাটকের (Karnataka) এক যুবকের। জানা গিয়েছে, রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের শিবমোগ্গার কোল্লুরে। আরাশিনাগুণ্ডির জলপ্রপাতের সামনে রিলস বানাতে গিয়েই এমন ভয়ানক পরিণতি হয় যুবকের।
জানা গিয়েছে, রবিবার বন্ধুর সঙ্গে আরাশিনাগুণ্ডি জলপ্রপাতের সামনে গিয়ে ইনস্টাগ্রামের রিলস বানাচ্ছিলেন। ঝরনার সামনে একটি বড় পাথরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আর পিছন থেকে ভিডিও শ্যুট করে দিচ্ছিলেন তাঁর বন্ধু। কিন্তু ঝরনার জল এসে এমনভাবে তাঁকে ধাক্কা দেয় যে তিনি পিছলে পড়ে যান। চোখের নিমেষে জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি তাঁর বন্ধু। সেই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
VIDEO | A man died in Karnataka's Udupi after falling into an overflowing waterfall. pic.twitter.com/gP1q1L6EG7
— Press Trust of India (@PTI_News) July 24, 2023
লুঠ হয়ে গেল টোম্যাটো (Tomato)। অবাক হচ্ছেন তো? তবে এমনটাই হয়েছে কর্নাটকের (Karnataka) হাসান-এ (Hassan)। জানা গিয়েছে, বুধবার প্রায় লক্ষাধিক টাকার টোম্যাটো চুরি করা হয়েছে চাষের ক্ষেত থেকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বাজারে যখন প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির দাম আকাশছোঁয়া, সেই সময়েই ঘটেছে এমন ঘটনা। উল্লেখ্য, কর্নাটকে প্রতি কেজি টোম্যাটোর দাম ১২০ টাকা ছুঁয়েছে।
সূত্রের খবর, হাসানের গোনি সোমানাহালি নামক গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনাটি। সেখানকার এক মহিলা কৃষক ধারণি এই টোম্যাটো চুরির অভিযোগ এনেছেন ও হালিবিদু পুলিস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষেত থেকে প্রায় ৫০-৬০ টি টোম্যাটোর ব্যাগ চুরি করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য বর্তমানে ১.৫ লক্ষ টাকা। পুলিস এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, হালিবিদু থানার পুলিস এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হালিবিদু থানার পুলিস আধিকারিক জানান, টোম্যাটো চুরির অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন ধারণি। হালিবিদু থানায় টোম্যাটো লুঠের অভিযোগ এটাই প্রথম। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্নাটকে অতিরিক্ত হারে টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বর্তমানে টোম্যাটোর দাম হয়েছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। স্ত্রীর (Wife) সঙ্গে এক ব্যক্তির পরকীয়া, এমন সন্দেহেই সেই ব্যক্তির গলা কেটে রক্ত খাওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর (Husband) বিরুদ্ধে। সেই দৃশ্য আবার ক্যামেরাবন্দিও করা হয়েছে বলে খবর। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka)। ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত স্বামীর নাম বিজয়। তার স্ত্রীর সঙ্গে মারেশ নামে এক ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল বিজয়ের। ফলে সেই রাগ থেকেই সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৯ জুন বিজয় মারেশকে এক জঙ্গলে নিয়ে যায় ও সেখানেই তার গলার একাংশ কেটে দেয়। এরপরই সেখান থেকেই ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। আর সেখানেই ঝাপিয়ে পড়ে বিজয়। নির্মমভাবে সেখান থেকে রক্ত খেতে শুরু করে বিজয়। সেখানে তার বন্ধু জনও ছিল। সে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে। এরপর সেটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই হইহই পড়ে যায় সারা দেশজুড়ে।
আরও জানা গিয়েছে, রমেশের গলার কিছুটা অংশ কাটার ফলেই তিনি কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়িতেও ফিরেছেন তিনি। এরপর মারেশ পুলিস থানায় গিয়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে ও এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাড়িতেই গাঁজার (Cannabis) চাষ! এমনটাই অভিযোগ উঠছে তিনজন মেডিক্যাল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka)। শুধু গাঁজার চাষ নয়, এগুলো অন্যান্য পড়ুয়াদের বিক্রি করারও অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক বাড়িতে তল্লাশি করার পর ২২৭ গ্রাম গাঁজা, ১.৫৩ কেজি কাঁচা গাঁজা, ১০ গ্রাম চরস এবং গাঁজার বীজ উদ্ধার করেছে শিবমোগা থানার পুলিস। ইতিমধ্য়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন বিঘ্নরাজ, পান্ডিদোরাই এবং বিনোদ কুমার। এরা কলেজের ছাত্রদের কাছে গাঁজা ও অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করে। সংবাদমাধ্যমে শিবমোগা এসপি মিঠুন কুমার বলেছেন, 'বিঘ্নরাজ শিবমোগায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র, তার বাড়িতেই হাই-টেক চাষের কৌশল নিয়ে গাঁজা চাষ করা হচ্ছিল। অন্য দুই অভিযুক্ত শহরের কলেজের ছাত্রদের কাছে গাঁজা বিক্রিতে সহায়তা করছিল। আমরা অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২২৭ গ্রাম গাঁজা, ১.৫৩ কেজি কাঁচা গাঁজা, ১০ গ্রাম চরস এবং একটি ছোট বোতলে গাঁজার বীজ উদ্ধার করেছি।'
উল্লেখ্য, এই বছরের জানুয়ারিতে ম্যাঙ্গালুরু সিটি পুলিস গাঁজা সেবন ও ব্যবসা করার অভিযোগে মেডিক্যাল ছাত্র সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ২ কেজি মাদকদ্রব্য জব্দ করে। আর এবারে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এর আগে সমকামী অর্থাৎ পুরুষ-পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে মহিলার বিয়ে (Marriage) তো অনেক দেখেছেন। তবে কখনও শুনেছেন কি বৃষ্টির দেবতা বা বরুণ দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য ছেলের সঙ্গে ছেলে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে? হয়তো এমন ঘটনা আপনি কখনও দেখা তো দূর, শোনেনওনি। তবে এবারে এমনটাই ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) মান্ড্য জেলায়।
দু'জন ছেলের মধ্যে একজনকে বর ও অন্য একজনকে কনে সাজিয়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে দিল গ্রামবাসী। শুধু বিয়েই নয়, বিয়ের পর বেশ খাওয়া-দাওয়ারও এলাহি আয়োজন। জানা গিয়েছে, মান্ড্য জেলার কৃষ্ণরাজপেট তালুকার গঙ্গেনাহাল্লি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীদের কথা অনুযায়ী, বৃষ্টির ঘাটতি মেটাতে ও বৃষ্টির দেবতাকে তুষ্ট করতে বিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই বালকের। দুই বালকের পরিবার ও গ্রামবাসী মিলেই তাদের বিয়ের আয়োজন করেছে। শুক্রবার রাতে তাদের এই বিয়ে হয়েছে। সেই গ্রামবাসীদের বিশ্বাস দুই বালকের বিয়ে দিলেই নাকি বরুণ দেবতা তুষ্ট হবেন ও সেখানে বৃষ্টি পড়বে।
গ্রামবাসীরা বলেন, 'এটি বৃষ্টি দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য এবং বৃষ্টি আনার জন্য একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে এটি করা হয়েছে। বিয়ের পরে একটি ভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে।' তাঁরা আরও বলেন, 'রাজ্যে বর্ষা দুর্বল, তাই গত বছরের তুলনায় বৃষ্টির অভাব রয়েছে। এর কারণে, রাজ্যের লোকেরা পুরানো ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। এককথায় দুই বালকের এই বিয়ে নিয়ে বেশ আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা।
বিয়ে (Wedding) করার জন্য কনে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, ফলে শোকে-দুঃখে আত্মহত্যা করে নেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka) হাভেরি জেলার। আশ্চর্যের হলেও এটাই সত্যি। শুক্রবার খবরে উঠে এসেছে যে, ৩৬ বছর বয়সি, পেশায় কৃষক কনে (Bride) খুঁজে না পেয়ে হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ৩৬ বছর বয়সি সেই কৃষকের নাম মঞ্জুনাথ নাগানুর। তিনি প্রায় ৮ বছর ধরে বিয়ে করার জন্য কনে খুঁজছিলেন। কিন্তু কোনওমতেই তিনি নিজের জীবনসঙ্গী খুঁজে পাননি। জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার তাঁর সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি হতাশায় পরে নিজেকেই নিজে মেরে ফেলেন। জানা গিয়েছে, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
আরও জানা গিয়েছে যে, তিনি আত্মহত্যা করার সময়ে এটি চিঠিও লিখে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই তাঁর সমস্ত দুঃখ-কষ্ট, হতাশা লিখে রেখে গিয়েছিলেন। এও লেখা ছিল যে, এত বছর ধরে তিনি কনে খুঁজে না পাওয়ায় তিনি তাঁর বাবা-মাকেও হতাশ করেছেন। ফলে অবশেষে নিজের প্রাণ শেষ করলেন বিষ খেয়ে। পুলিস সূত্রে খবর, ব্যাদাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
বাড়িতে রয়েছে মাত্র দুটি বাল্ব, কিন্তু ইলেকট্রিক বিল (Electric Bill) এসেছে লক্ষাধিক। অবাক হচ্ছেন তো! তবে এটাই সত্যি। ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka) কোপ্পালের (Koppal)। জানা গিয়েছে, সেই ছোট্ট বাড়িটিতে থাকেন এক নব্বই বছরের বৃদ্ধা গিরিজাম্মা। তিনিই জানিয়েছেন যে, তাঁর বাড়িতে রয়েছেই মাত্র দুটি বাল্ব, কিন্তু তাঁর ইলেকট্রিক বিল এসেছে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। এই বিল দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কোপ্পালের ভাগ্যনগরের বাসিন্দা গিরিজাম্মা। সেরাজ্যের সরকারের ভাগ্য জ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমেই বাড়িতে ইলেকট্রিক পেয়েছেন তিনি। আর এই প্রকল্পের অধীনেই ১৮ ইউনিট পর্যন্ত বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক পাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু এর একেবারেই বিপরীতটা ঘটেছে। বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক পাওয়া তো দূর, গিরিজাম্মার এমন বিল এসেছে, যার জন্য বড় সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
গিরিজাম্মা জানিয়েছেন, প্রত্যেকমাসে ৭০-৮০ টাকা তাঁর ইলেকট্রিক বিল আসে। কিন্তু মে মাসের বিল দেখে তাঁর চক্ষু চড়াকগাছ। তাঁর বাড়িতে রয়েছেই মাত্র দুটি বাল্ব, একটি ঘরের ভিতরে ও একটি বাইরে। ফলে কীভাবে এত বিল আসে, তাই নিয়ে দিশাহারা বৃদ্ধা। এরপর এই খবর স্থানীয়েরা জানতে পেরে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে জানালে, দফতর থেকে প্রতিনিধিরা এসে দেখেন যে, তাঁর মিটারটি অনেকদিনের পুরনো ও ত্রুটিপূর্ণ। ফলে এমনটা ঘটেছে। বিদ্যুৎ দফতরের থেকে এও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে তারা এটা বদলে দেবে ও ইলেকট্রিক বিলও ঠিক করে নতুন করে পাঠানো হবে।
বাবা পুলিসে সাব-ইন্সপেক্টর (Police Sub-Inspector) পদে কাজ করছেন গত ১৬ বছর ধরে, এবারে সেই পদেই নিযুক্ত হলেন তাঁর কন্যাও। শুধু তাই নয়, একই পুলিস স্টেশনে মেয়েও দায়িত্ব পেয়েছেন। সাধারণত এমনটা হয়তো খুবই কম দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এর আগে এমন অনেক উদাহরণ দেখা গিয়েছে যে, বাবা-মায়ের পেশাকেই পছন্দ করে সন্তানরাও সেই পেশাকেই বেছে নেন। এবারেও এমনই এক উদাহরণ দেখা গেল, যা দেখে অনুপ্রাণিত হবেন আপনিও।
সূত্রের খবর, কর্নাটকের (Karnataka) মান্ড্যর (Mandya) সেন্ট্রাল পুলিস স্টেশনের পুলিস সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন ভেঙ্কেটেশ। তিনি এই পেশায় প্রায় ১৬ বছর ধরে রয়েছেন। তবে এবারে তাঁর অবসরের সময় এসেছে। আর তাঁর জায়গায় এসেছেন তাঁরই মেয়ে বর্ষা। দেখা গিয়েছে, পুলিস স্টেশনে হাতে ফুল দিয়ে নিজের মেয়েকে বরণ করে নিচ্ছেন বাবা। এই দেখে চারিদিক থেকে ধেয়ে আসছে শুভেচ্ছা।
বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করে পুলিসে যোগ দেওয়ার কথা ভাবেন মেয়ে বর্ষা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে পিএসআই পরীক্ষা দিয়ে সাব-ইন্সপেক্টর হন বর্ষা। এরপর অপ্রত্যাশিতভাবেই বর্ষার ডিউটি পড়েছে সেই পুলিস স্টেশনেই, যেখানে তাঁর বাবা ভেঙ্কেটেশ সাব-ইন্সপেক্টর পদে ছিলেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে মান্ড্যর সেন্ট্রাল পুলিস স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। বাবা-মেয়ের এমন গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসতেই বদল হল কর্নাটকের (Karnataka) পাঠ্যক্রমে। কংগ্রেস সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পাঠ্যক্রম সংশোধন এবং সংযোজন করার। পাঠ্যক্রম যাচাই করে দেখার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি তৈরী করা হয়েছিল। বিস্তারিত বিশ্লেষণ করার পরেই পাঠ্যক্রমে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাদ দেওয়া হয়েছে আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বলিরাম হেডগেওয়ার (Baliram Hedgewar) এবং সাভারকারের (Savarkar) প্রসঙ্গ। এর বদলে সংযোজিত হয়েছে জওহরলাল নেহেরু এবং বিআর আম্বেদকরের বিষয়। জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সংস্কারিত পাঠ্যক্রম পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী কুমার বানগারাপ্পা জানিয়েছেন, কংগ্রেস শপথ নিয়েছিল পাঠ্যক্রমের বিষয় সংশোধন করবে। এই বিষয়ে সাহায্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সামাজিক শিক্ষা বিষয়ের পাঠ্যক্রমে বদল আনা হয়েছে।
আম্বেদকারের উপর একটি কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই কবিতা আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সিলেবাসে সাবিত্রী ফুলে বিষয়ক একটি পৃষ্ঠা সংযোজিত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, 'পাঠ্যপুস্তকের এই বদল নিয়ে নির্দেশিকা পৌঁছে যাবে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে। কোন বিষয়গুলি পড়ানো হবে এবং কোন বিষয়গুলি পড়ানো হবে না, তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।'
এক নতুন ও অদ্বিতীয় প্রকল্পের সূচনা করেছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার। শুরু হল মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা (Free Bus Services) দেওয়ার প্রকল্প ‘শক্তি’র। রবিবার কর্নাটকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গেল বিনামূল্যের বাস পরিষেবা। বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ-র সামনে এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারও। এমনকি এদিন বাসে উঠে মহিলা যাত্রীদের মধ্যে গোলাপি টিকিট বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকে নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের তরফ থেকে ৫ টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। তার মধ্যে একটি অর্থাৎ এই বিনামূল্যে মহিলাদের বাস পরিষেবার প্রতিশ্রুতিটি পূরণ করা হল। এই সফলতাকে কেন্দ্র করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, “আমি আশা করব, আগের তুলনায় মহিলারা আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি বাসে চড়বেন।”
ফের দুর্ঘটনার কবলে বায়ুসেনার এয়ারক্রাফ্ট (Aircraft Crash)। ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রশিক্ষণে ব্যবহার হওয়া বিমান 'সূর্য কিরণ' (Surya Kiran)। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের (Karnataka) চামরাজনগরের বোগাপুরা গ্রামে মাটিতে আছড়ে পড়ে বায়ুসেনার এই বিমানটি। নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য উড়ছিল বিমানটি। কিন্তু তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে বিমানে থাকা দুজন পাইলটই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ু সেনা। তবে এই ঘটনার পিছনে কী কারণ, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
A Kiran trainer aircraft of the IAF crashed near Chamrajnagar, Karnataka today, while on a routine training sortie. Both aircrew ejected safely. A Court of Inquiry has been ordered to ascertain the cause of the accident.
— Indian Air Force (@IAF_MCC) June 1, 2023
এই ঘটনার পরই ভারতীয় বায়ু সেনার তরফে জানানো হয়েছে, 'আজ কর্নাটকে ভারতীয় বায়ু সেনার কিরণ এয়ারক্রাফ্টটি ভেঙে পড়েছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে দু'জন পাইলটই নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তবে কেন এমন ঘটনা, তার জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।' ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি এয়ারক্রাফ্ট একটি ফাঁকা মাঠে পড়ে রয়েছে ও সেটি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। জানা গিয়েছে, মাটিতে আছড়ে পড়তেই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। এরপর সেখান থেকে ধোঁয়াও বেরোতে থাকে। তবে এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
#WATCH | A Kiran trainer aircraft of the IAF crashed near Chamrajnagar, Karnataka today, while on a routine training sortie. Both aircrew ejected safely. A Court of Inquiry has been ordered to ascertain the cause of the accident: Indian Air Force pic.twitter.com/RQn6JFRJqH
— ANI (@ANI) June 1, 2023
সূত্রের খবর, দু'জন পাইলটের মধ্যে একজন মহিলা পাইলট ছিলেন। তিনিও নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার জন্য উদ্বিগ্ন বায়ু সেনা। ফলে এই ঘটনার তদন্ত করতে এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে।
অবশেষে দীর্ঘ জল্পনার পর কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে শপথগ্রহণ করলেন ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই কর্নাটক নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন সিদ্দারামাইয়া।
শনিবার এই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এদিন শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ ছিল না, তাঁদের পাশাপাশি একাধিক বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন আজ। সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমার ছাড়াও ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে যাঁরা শপথ নিয়েছেন তাঁরা হলেন- ড. জি পরমেশ্বরা, কেজি জর্জ, কে এইচ মুনিয়াপা, সতিশ জারকিহোলি, জমীর আহমেদ, রামালিঙ্গা রেড্ডি, প্রিয়ঙ্ক খড়গে ও এমপি পাটিল। মোট আট জন বিধায়ক শনিবার কর্নাটকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। এখনও পর্যন্ত আরও ২৪ জন মন্ত্রীর নাম দেওয়া বাকি রয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
এদিন কর্নাটকের নতুন মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তাঁর বোন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে সোনিয়া গান্ধী এই অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রিত করা হলে এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে তাঁর জায়গায় প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উল্লেখ্য, গত শনিবার ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ফল ঘোষণা হয়। অনেক বেশি আসন পেয়ে দক্ষিণী এই রাজ্যে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। এবারের ভোটে মোট ১৩৫টি আসন জিতেছে হাত শিবির। বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬। মাত্র ১৯ টি আসন পেয়েছে জেডি(এস)।