প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশে চলে গিয়েছে। শোনা গেলো বিজয়ী দলের জন্য সেরকম কিছু হৈচৈ হলো না তাদের দেশে। আসলে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন করে কি আর আনন্দ করবে? এতো কাপ যেটা একরকম নিয়মই হয়ে গিয়েছে। কাঁটাছেঁড়ার পালাও শেষ। এবারে প্রচার মাধমের কাছে আর এখনই খেলার কিছু নেই যদিও টি ২০ শুরু হচ্ছে ওই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই কিন্তু তাতে বিশ্বজয়ীদের খুব একটা কেউ নিয়ে , ভারতীয়দের তো প্রায় নেইই। কি হবে আর ওই ম্যাচ নিয়ে, ধারণা যেমন দর্শকদের স্বাভাবিক ভাবে মিডিয়ারও। কিন্তু এতো কাণ্ডের পর একটি ঘটনা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সারা জাগিয়েছে , কপিল দেব কিংবা ধোনিকে ফাইনালে মাঠে দেখা গেলো না কেন ?
জানা গেলো ১৯৮৩ বিশ্বকাপের অধিনায়ক তথা ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কপিল নিজেই তা সোশ্যাল নেটে জানিয়েছেন। কিন্তু এমন ভুল হলো কেন ? জানা যাচ্ছে যা, কপিলকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নিমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কিন্তু এই দুঃসাহস হলো কি করে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি থেকে। যতটুকু গুঞ্জনে জানা গেলো তা, সম্প্রতি যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তুলে অবস্থান করেছিল আমাদের কুস্তির খেলোয়াড়রা, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছিলেন কপিল দেব কাজেই গোঁসা তো হতেই পারে । অথবা আরও একটি বিষয় তো ছিলই। কপিল বরাবরই কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। ইন্দিরা রাজীব নারসিমার সঙ্গে অতি সুসম্পর্ক ছিল। এতেই কি কোপ পড়লো আমন্ত্রণে ? অবিশ্যি ধোনি এলেন না কেন ? তাঁকেও কি আমন্ত্রণ জানানো হয় নি ? গুঞ্জনে, তিনি নাকি বিজেপির প্রচার করতে চান নি গত ঝাড়খন্ড নির্বাচনে, অন্যটি কপিলকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি বলেই নাকি তিনি আসেন নি। রাজনীতিটি কি ভয়ঙ্কর ভাবেই ছিল বিশ্বকাপে ?
এবার কুস্তিগিরদের (wrestler) পাশে দাঁড়ালেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ (World Cup) জয়ী টিমের সদস্যরা। কপিল দেব (Kapil Dev), সুনীল গাভাসকর ও বর্তমান বোর্ড সভাপতি রজার বিনি। কুস্তিগিররা ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন কুস্তিগিররা। এই নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই উত্তাল রাজধানী। ক্রিকেটাররা কেন পাশে নেই, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন কুস্তিগিররা। এবার এগিয়ে এলেন প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ীরা।
৮৩ দলের ক্রিকেটাররা বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এই ঘটনায় আমরা খুবই হতাশ। মহিলা কুস্তিগিরদের টেনে-হিঁচড়ে নামানো হয়েছে। গঙ্গায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কত বছরের পরিশ্রম জড়িয়ে থাকে ওই পদকে। এটা শুরু ওদের পদক নয়, দেশেরও সম্মান। আশা করি, ওদের দাবি শোনা হবে ও তাড়াতাড়ি বিচার হবে। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তাঁরা।'
মঙ্গলবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা হরিদ্বার গিয়েছিলেন। গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেবেন, বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত গঙ্গায় পদক না ভাসিয়ে কুস্তিগিররা কেন্দ্রকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন।