বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আব্দুল মাথিন তাহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। এনআইএ সূ্ত্রের খবর, আইডি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত ছিল আব্দুল এবং মুসাভির।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ। কিন্তু কারা এই আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হোসেন? কীভাবে তারা জড়িয়ে পড়লেন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে? এইবারই প্রথম নয় এরআগেও এই দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। যেহেতু ঘটনাটি আইডি বিস্ফোরণের, ফলে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকবে সেটাই অনুমান করেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। মাথিন ও মুসাভির ছন্দনাম নিয়ে আত্মগোপন করেছিল। এই দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় এনআইএ-র পক্ষ থেকে। শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিসও ছিল এই অভিযানে।
দিঘা নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের কাঁথি বাইপাসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দিঘাগামী একটি চার চাকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। জখম একাধিক। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল ১১৬বি জাতীয় সড়ক। আহতদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
বুধবার বিকেলের দিকে একটি গাড়ি দিঘার দিকে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই উল্টো দিক থেকে একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দফতরের পিছন থেকে উদ্ধার হলো মহকুমা শাসকের দেহরক্ষীর দেহ, কাঁথির মহকুমা শাসকের দেহরক্ষীর মৃতদেহ (Body) উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। মঙ্গলবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কাঁথি (Kanthi) থানার পুলিস (Police)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, অত্যাধিক মাত্রায় মদ্যপানের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ওই ব্যক্তি। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মুক্তার। সোমবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই ব্যক্তি।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাজার যাবে বলে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে রাত ১১ টা বেজে গেলেও বাড়ি না ঢোকায় চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। তখনই পরিবারের সদস্যরা পুলিসে খবর দেয়। পুলিস ও পরিবারের লোকজন সোমবার রাতে তন্ন তন্ন করে গোটা কাঁথি এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেও ওই ব্যক্তির হদিস পায়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে কাঁথি মহকুমা শাসকের দফতরের পিছন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস।
এই ঘটনায় মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এমনকি প্রচণ্ড পরিমাণে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে পরিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না, এমনটাই দাবি পরিবারের।