
ফের বিতর্কে (Controversy) নিজের নাম জড়ালেন বলিউড 'কুইন' অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তবে এবার এক অনুরাগীকে ধমকেই দিলেন বলিউডের ‘কুইন'। শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর মা-বাবাকেও ‘শিক্ষা’ দিলেন বলিউড অভিনেত্রী। ওই অনুরাগীর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড, তাতে লেখা, ‘হাই বিরাট আঙ্কল, ক্যান আই টেক ভামিকা অন আ ডেট?’ বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার মেয়ে ভামিকাকে ডেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমতো অনুমতি চেয়েছেন ওই অনুরাগী। এমনকি সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছিল অনুরাগীর হাতে ধরা ওই প্ল্যাকার্ডের ছবি। আইপিএলের খেলা চলাকালীনই এই ঘটনা ঘটে। সেই ম্যাচের গ্যালারির একটি ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে।
এই ছবি দেখে নেট নাগরিকরা বেশ মজা পেলেও, তবে বেজায় চটেছেন কঙ্গনা রানাউত। তাই ছবিটি সমাজমাধ্যমের পাতায় শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘নিরীহ শিশুদের এসব ফালতু কথাবার্তা শেখাবেন না। এতে আপনি আধুনিকমনস্ক বা কুল হয়ে যান না। বরং আপনি নিজের অশ্লীল ও বোকা মনবৃত্তির পরিচয় দেন।’ মজার ছলে লেখা ওই প্ল্যাকার্ডকে নিয়ে এত কড়া কথা বলার জন্য কঙ্গনার সমালোচনায় নেট নাগরিকরা। অনেকের দাবি, ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি’ যদিও এবিষয়ে বিরাট বা অনুষ্কার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উইকিপিডিয়ার(Wikipedia) বিরুদ্ধে তাঁর সম্পর্কে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করার অভিযোগ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut)। জন্মদিন এবং জীবনের অন্য বিষয়ে উইকিপিডিয়া ভুল তথ্য দিয়েছে বলে অভিযোগ বলিউড কুইনের। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে কঙ্গনা জানান, 'উইকিপিডিয়ায় দেখাচ্ছে আমার জন্মদিন ২০ মার্চ, কিন্তু ভুল তারিখ উল্লেখ। আসলে আমার জন্মদিন ২৩ মার্চ।' জন্মদিনের তারিখ ভুল দেখে কঙ্গনা বলেন, 'বামপন্থীরা উইকিপিডিয়া পুরোপুরি হাইজ্যাক করেছে। আমার জন্মদিন, উচ্চতা, আরও নানা তথ্যের বেশির ভাগই ভুলভাল। যতবার সংশোধনের চেষ্টা করেছি, তা আবার বিকৃত করা হয়েছে। অনেক চ্যানেল, ফ্যান ক্লাব, শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমায় ২০ তারিখের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতে শুরু করেছে।'
অভিনেত্রী আরও লেখেন, 'আমি অবশ্য এতে কিছু মনে করি না, কিন্তু অনেকেই তো বিভ্রান্ত হন। আমি জন্মদিন পালন করছি ২৩ তারিখ, এদিকে উইকিপিডিয়া বলছে ২০ তারিখ। দয়া করে উইকির কথা শুনে চলবেন না। উইকিপিডিয়ার পুরোটাই ভুলভাল এবং বিভ্রান্তিকর।'
আগামী সপ্তাহেই ৩৬-এ পা দেবেন কঙ্গনা। গত বছর জন্মদিনে তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে বৈষ্ণোদেবী মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন। এমনকি মাতা বৈষ্ণোদেবীর আশীর্বাদ নেওয়ার ছবিও তিনি ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। তবে এবার ঠিক কী করবেন বলিউডের 'মনিকর্ণিকা', উদগ্রীব অনুগামীরা।
অস্কারের মঞ্চে দর্শকের মন জয় করলেন দীপিকা পাডুকোন। কাঁধ খোলা কালো পোশাকে দেখা গেলো দীপিকাকে। আশির দশকের হলিউড অভিনেত্রীদের মতো সেজে অস্কার মঞ্চ কাঁপালেন বলিউডের পিকু। ভারতীয়দের কাছে গর্বের মুহূর্ত। এবার দীপিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। দীপিকাকে নিয়ে কঙ্গনা সমাজমাধ্যমে লেখেন,'এমন এক মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব হাসিমুখে সামলানো সহজ কথা নয়। ওর ওই সুন্দর দু’কাঁধে দেশের গৌরব ছড়িয়ে পড়েছে। কী সুন্দর ওর অভিব্যক্তি! অসাধারণ কথা বলার ভঙ্গি আর আত্মবিশ্বাস। আমি মুগ্ধ।'
কালো পোশাকে দীপিকা মঞ্চে উঠতেই করতালিতে ভরে যায় ডলবি থিয়েটার প্রেক্ষাগৃহ। নাটু নাটু গানের পারফরম্যান্সের আগেই শিল্পীদের মঞ্চে ডেকে নেন বলিউডের মস্তানি। অস্কারের মঞ্চে দিপীকা প্রমাণ করে ছাড়লেন ভারতীয় নারীরাই সেরা।
সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Actress Swara Vaskar)। বৃহস্পতিবার এই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ অভিনেত্রী। সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে আইনি মতে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। এবার তন্নু ওয়েডস মন্নুর (Tannu weds Mannu) সহ-অভিনেত্রীকে বিয়েতে শুভেচ্ছা জানান কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। বলিউডের ক্যুইন লেখেন, 'ঈশ্বরের আশীর্বাদে তোমাদের দু’জনেই হাসিখুশি আর সুখী মনে হচ্ছে। বিয়ে তো হৃদয়ের হয়, বাকি সবই আনুষ্ঠানিকতা।'
টুইটারে বেশির ভাগ সময়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফিরেছেন কঙ্গনা। কিন্তু নতুন ভাবে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়ে সেভাবে আক্রমণাত্মক নয় অভিনেত্রী। এর আগে দু’জন একসঙ্গে কাজ করেছেন ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’ ও ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু রিটার্নস’ এই দুই ছবিতে। ছবিতে তাঁরা ছিলেন একের অপরের প্রিয় বান্ধবী।
কিন্তু একটা সময়ে স্বরার তীব্র সমালোচনা করতে শুরু করেন কঙ্গনা। এমনকি, একবার স্বরাকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির অভিনেত্রী’ বলে কটাক্ষও করেন কঙ্গনা। এবার কঙ্গনার শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আপ্লুত স্বরার জবাব, 'ধন্যবাদ কঙ্গনা, তোমার জীবন খুশিতে, আনন্দে ভরে উঠুক।'
পাঠানের সাফল্য বলিউডের বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। এরই মধ্যে ট্যুইটারে নির্বাসন উঠেছে কঙ্গনার। তারপর থেকেই ফের চেনা ছন্দে তিনি। একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন বলিউডের ক্যুইন। যদিও ‘পাঠান’কে গত দশ বছরে সেরা ছবি বলে মতপ্রকাশ করেছেন বলিউডের ‘ক্যুইন’। কিন্তু সেই সঙ্গে বলিউডকে ছেড়ে কথাও বলছেন না তিনি।
‘পাঠান’-এর সাফল্যে খুশি গোটা বলিউড। করণ জোহর থেকে আলিয়া ভাট— সকলের একটাই মত, 'পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালবাসার জয়।' তাঁদের বিরুদ্ধে নাম না নিয়েই সরব হয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, কার ঘৃণা আর কার ভালবাসা? যাঁরা দাবি করছেন ‘পাঠান’ ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তাঁরা যদি আরও এক বার এই কথা বলেন, তাঁদের রীতিমতো শিক্ষা দেবেন বলেই হঙ্কার কঙ্গনার।
সদ্য টুইটার থেকে নির্বাসন উঠেছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের (Actress Kangna Ranaut)। ফিরেই স্বমহিমায় বলিউডের ক্যুইন। পাঠানের (Pathan Movie) প্রাথমিক বক্স অফিস সংগ্রহ নিয়ে পরোক্ষে সরব ছিলেন অভিনেত্রী। এবার কঙ্গনার দাবি, 'গত দশ বছরে পাঠান শাহরুখের সেরা ছবি। দেশবাসীর মনোযোগ টেনে ভালবাসা পেয়েছে পাঠান।'
দেখা গিয়েছে কঙ্গনার এই ট্যুইটের নিচে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'কঙ্গনা অভিনীত শেষ ছবি ‘ধকড়’ প্রথম দিনে মাত্র ৫৫ লাখ টাকা আয় করেছিল এবং এই ছবির মোট বক্স অফিস সংগ্রহ ২.৫৮ কোটি। এদিকে, পাঠান প্রথম দিনেই আয় করেছে ১০০ কোটির বেশি। এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছুই নয়।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কঙ্গনা লেখেন, 'আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় মুসলিমরা দেশপ্রেমী। আফগানিস্তানের পাঠানদের মতো নন। তাই ভারত কখনও আফগানিস্তান হবে না। পাঠান-এর যে চরিত্র এই সিনেমায় রয়েছে, সে-ও ভারতীয় মুসলিম। চিত্রনাট্য তা-ই বলছে।' অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক ট্যুইটে তাঁর মুখে বিদ্বেষের চেয়ে ভালবাসার ছোঁয়া বেশি পাওয়া গিয়েছে।
প্রায় দেড় বছরের পর কঙ্গনা রানাউতের ট্যুইটার নির্বাসন (Twitter) উঠলো। এই সোশাল সাইটে ফিরে পেলেন অ্যাকাউন্ট। আর ট্যুইটারে ফিরেই স্বমহিমায় বলিউডের ক্যুইন। এবার পাঠান ক্রেজ নিয়ে সরব কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ‘পাঠান’ ছবির (Pathan Movie) মুক্তির দিনেই বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর কথায়, 'ইন্ডাস্ট্রি মূর্খদের জায়গা। নোংরামি ছাড়া কিছু হয় না এখানে। যখনই কোনও সৃষ্টি বা রক্ত জল করা প্রয়াস সামনে আসে, আপনার মুখে ছুড়ে দেওয়া হবে অর্থের ঝঙ্কার। সিনেমা কতটা ভাল হল, তা মাপা হবে টাকার অঙ্কে। তা হলে শিল্পের আর দরকার কী? করুণা হয়।'
‘পাঠান’ ভাল, না খারাপ, তা নিয়ে অবশ্য ব্যক্তিগত মতামত জানায়নি কঙ্গনা। ট্যুইটারে ফিরে এসে কঙ্গনা জানান, 'এখানে ফিরে এসে ভাল লাগছে।' ‘ইমার্জেন্সি’-র ছবি প্রসঙ্গে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী জানান, 'ছবির শুটিং ভাল ভাবে শেষ হয়েছে'।
একাধিকবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য বলিউডে বিতর্কের মুখে পড়েন কঙ্গনা। বারবার টুইটারের কম্যুনিটি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে ২০২১-র মে মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্ট।
ইন্দিরা যুগে ভারতের জরুরি অবস্থা নিয়ে কঙ্গনার ছবি এমারজেন্সি (Movie Emergency)। সেই ছবিতে ম্যাডাম গান্ধী অর্থাৎ ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) চরিত্রে কঙ্গনা রানাউত (Kangna Ranaut)। সেই চরিত্রের প্রথম ঝলক ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে। দর্শকের সামনে এসেছে এমারজেন্সি ছবিতে জেপি অর্থাৎ জয়প্রকাশ নারায়ণের চরিত্রে অনুপম খেরের চরিত্র। এবার প্রকাশ্যে এলো সেই আমলে অন্যতম বিরোধী নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) চরিত্র।
এই চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রেয়স তালপাড়ে। তিনিই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন প্রথম ঝলক। তাঁর শেয়ার করা ছবির সঙ্গে লেখা, 'প্রকৃত দেশপ্রেমী, আদর্শবান, আমজনতার নেতা, সকলের প্রিয় অটলবিহারী বাজপেয়ীর চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি সম্মানিত ও আনন্দিত। আশা করি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। আমায় এই চরিত্রে ভাবার জন্য ধন্যবাদ কঙ্গনা রানাউত। তুমি যেমন গুণী এবং বৈচিত্রপূর্ণ অভিনেত্রী, ততটাই ভাল পরিচালকও বটে।'
যদিও এই ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। বিজেপির হয়ে ইন্দিরাকে অপমান করছেন কঙ্গনা। এই অভিযোগে সরব তারা। যদিও এই অভিযোগের পাল্টা প্রতিবাদ জানায় বিজেপিও।
কাশ্মীর ফাইলসের (The Kashmir Files) সাফল্যের পর একটা গুঞ্জন রটেছিল বিবেক অগ্নিহোত্রীর আগামি ছবিতে কঙ্গনা রানাউত (Kangna Ranaut) কাজ করবেন। কিন্তু সেই গুঞ্জনে জল ঢাললেন খোদ পরিচালক। তাঁর মন্তব্য, 'আমার ছবিতে তারকা নয়, অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রয়োজন।' অর্থাৎ কঙ্গনার স্টারডম তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন দা কাশ্মীর ফাইলসের পরিচালক (Vivek Agnihotri)।
যদিও কাশ্মীর ফাইলসের প্রচারে নানাভাবে সরব হয়েছিলেন বলিউডের ক্যুইন। নেট দুনিয়ার একাংশ এই ছবি দেখে প্রশংসায় ভরালেও, বলিউড চুপ কেন? এই প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা। তারপরই এই ছবির ব্যাপক বক্স অফিস সাফল্যের পর গুঞ্জন রটে, বৈঠক করেছেন বিবেক-কঙ্গনা। পরিচালকের আগামি ছবিতে দেখা যাবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীকে।
কিন্তু কঙ্গনার সঙ্গে কাজ করার গুঞ্জন উড়িয়ে পরিচালক বলেছেন, 'আমি ১২ বছর আগে থেকেই নিজের মতো করে সিনেমা বানানো শুরু করি। আমি মনে করি লেখক এবং পরিচালকের ভাবনা পর্দায় ফুটলে মানুষ এমনিতেই সেই ছবি দেখতে আসবে। সেখানে কোনও তারকা চালিকাশক্তি হবে না।'
কঙ্গনা রানাউত (Kangna Ranaut) তারকা হতে পারেন। কিন্তু তিনি একটি মামলায় অভিযুক্তও বটে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক আদালত এভাবে কটাক্ষ করেছেন বলিউডের কুইনকে। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) দায়ের করা মানহানি মামলায় তাঁকে যাতে শারীরিক হাজিরা দিতে না হয়। এই আবেদন করে আদালতের (Mumbai Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কঙ্গনার সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে ক্ষুব্ধ বিচারক আরআর খান।
মঙ্গলবার বিচারক এই রায় দিলেও বৃহস্পতিবার প্রতিলিপি সংবাদ মাধ্যমের হাতে এসেছে। পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তিনি কোর্টের তলবে হাজিরা দিতে পারবেন না। তাই অনুগ্রহ করে তাঁর শারীরিক হাজিরায় অব্যহতি দিক আদালত। এই মর্মেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনার আইনজীবী।
কিন্তু এদিন ক্ষুব্ধ বিচারক বলেছেন,'নিজের মর্জি মতো চলছেন অভিনেত্রী এবং চেষ্টা করছেন মামলার শুনানিকেও সেই পথে চালাতে। তাই তাঁর কোনও অধিকার নেই অব্যাহতি পাওয়ার। অভিযুক্তকে আইনের শর্ত মেনেই চলতে হবে।'
বিচারক বলেছেন, 'তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ খারিজে আদালতকে সহযোগিতার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি অভিযুক্ত।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নভেম্বর ২০২০-তে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন জাভেদ আখতার। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে তাঁর সম্মানহানি করেছেন কঙ্গনা। এই অভিযোগেই মামলা দায়ের করেন তিনি।
যখন বয়স অল্প ছিল, তখন তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। বিতর্কের কেন্দ্রে থাকলে পরিচিত বাড়বে। এমনটাই বোঝানো হয়েছিলে তাঁকে। কিন্তু এখন নিজের সেই ভাবমূর্তি বদলাতে চান পুনম পাণ্ডে। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন বলিউডের অন্যতম এই বিতর্কিত মুখ।
তিনি বলেছেন, 'মানুষ আমাকে যেভাবে চেনেন, সেই পরিচিতির জন্য এখন আমি আফসোস করি। কিন্তু লকআপে ঢুকে সেই ভাবমূর্তি বদলাতে চাই। আমার এই বদল দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। কিন্তু আমি মনে করি নিজেকে এই মুহূর্তে বদলাতে পারলেই, আগামি ৫ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারব।'
বালাজি ফিল্মসের প্রযোজনায় লকআপ রিয়ালিটি শোয়ের সঞ্চালক কঙ্গনা রানাউত। সেই শোয়ের প্রতিযোগী হওয়ার প্রস্তাব কেন নিলেন পুনম? এই প্রশ্নের জবাব অভিনেত্রী বলেন, 'আমি মনে করি এই শো আসল পুনম পাণ্ডেকে তুলে ধরবে। আমি আদতে পাশের বাড়ির মেয়ে। অফস্ক্রিন যাঁরাই আমাকে ভালোভাবে চেনেন, তাঁরা জানেন আমি কতটা সহজ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু প্রায় ভুল কারণে আমি বিতর্ক জড়িয়েছি। কিন্তু সেই সময় আমি মন থেকে খুব ভেঙে পড়ি।'
তাঁর মন্তব্য, 'আমি সমালোচকদের জানাতে চাই, আমি শুধুই খবরে শিরোনাম নই। আমি অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। মারধর খেয়েছি, কিন্তু এখন আমার প্রতি থাকা মানুষের ধারণা বদলাতে চাই। আমি একজন মানুষ, যার সঙ্গী শুধু বিতর্ক নয়, বরং আবেগ।'
সাক্ষাৎকারে এই শোয়ের সঞ্চালক কঙ্গনা রানাউতের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন পুনম পাণ্ডে। তিনি বলেছেন, 'আমি কঙ্গনার অনুরাগী। আমি সেসব মহিলাদের ভালোবাসি, যাঁদের সব বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত আছে এবং কাউকেই ভয় পায় না। ছোট থেকেই মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেক বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। তাই কেউ যখন সেই বেড়ি ভাঙে এবং নারী স্বনির্ভরতার পক্ষে কথা বলে, সেটা আমায় খুব অনুপ্রেরণা দেয়। কঙ্গনা বহুদিন ধরে চলা রীতি ভেঙেছেন, তাই আমি ওর সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখিয়ে আছি।'
দীপিকার 'গেহরাইয়াঁ' (Gehraiyaan) -কে 'জঞ্জাল'বলে কটাক্ষ কঙ্গনার (Kangana Ranaut)। দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone) এবং 'গেহরাইয়াঁ'র প্রসঙ্গে উঠতেই সাংবাদিকদের উপর রেগে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। তিনি বলেছিলেন, অন্যের ছবির প্রচারে আগ্রহী নয় তিনি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে শকুন বাত্রার পরিচালনায় ও প্রযোজক করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনে 'গেহরাইয়াঁ'। যার মুখ্য চরিত্রে দীপিকা পাডুকোন, অনন্যা পাণ্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, ধৈর্য্য কারওয়ারা-সহ আরও অনেকে। এবার 'গেহরাইয়াঁ'র প্রসঙ্গ টেনে শনিবার রাতে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট করেন কঙ্গনা।
'হিমালয় কি গোদ মে'(১৯৬৫) সিনেমা থেকে মনোজ কুমার ও মালা সিনহার জনপ্রিয় গান 'চান্দ সি মেহবুবা মেরি' শেয়ার করেন তিনি। আর সেই গানের সঙ্গে লেখেন, তিনিও মিলেনিয়াল। কিন্তু তিনি এই ধরনের রোম্যান্সের সঙ্গে একাত্মবোধ করেন এবং সেগুলো উপলব্ধিও করেন। তিনি অনুরোধ করেন, মিলেনিয়াল এবং নিউ এজ অথবা আরবান মুভির নাম নিয়ে 'জঞ্জাল' বিক্রি না করতে। খারাপ সিনেমা সবর্দাই খারাপই। দেহ প্রদর্শন বা পর্নোগ্রাফি দেখালেও সেটাকে কেউ বাঁচাতে পারবেন না। এটা খুব নর্মাল একটি বিষয়, এর মধ্যে কোনও ' গেহরাইয়াঁ-ওয়ালি' বিষয় যুক্ত নেই।
দেখুন সেই ইনস্টা পোস্ট:
প্রসঙ্গত, এর পূর্বেও বহুবার দীপিকাকে তীব্র সুরে আক্রমণ করেছিলেন। দীপিকা 'ডিপ্রেশন বিজনেস' চালায় বলে কঙ্গনা বলেন। বলাই যায়, দীপিকা আর কঙ্গনার ঠান্ডা লড়াই বহু পুরোনো। অকপট বক্তা কঙ্গনার নিশানায় সবসময় থাকেন দীপিকা তা স্পষ্ট।
কর্ণাটকের হিজাব-কাণ্ড (Hijab Row) কন্নড়ভূম পেরিয়ে এখন আসমুদ্র হিমাচলের বিতর্কের বিষয়। যার প্রভাব পড়েছে বলিউডেও (Bollywood)। ইতিমধ্যে পক্ষে এবং বিপক্ষে সরব হয়েছে একাধিক পরিচিত মুখ। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সোনম কাপুর (Sonam Kapoor), কঙ্গনা রানাউত, জাভেদ আখতারের। সোনম যেখানে হিজাব পরার পক্ষেই সুর চড়িয়েছেন। সেখানে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে কঙ্গনা (Kangna Ranaut)। ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, 'যদি সাহস দেখাতে হয়, তাহলে আফগানিস্তানে বোরখা না পরে বেরিয়ে দেখান।' এবার মণিকর্ণিকার এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমি।
শাবানা ট্যুইটে লিখেছেন, 'ভুল হলে সংশোধন করে দেবেন। আফগানিস্তান একটি ধর্মরাষ্ট্র। কিন্তু শেষবার জেনেছিলাম ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল কি?' যদিও শাবানার অবস্থানের বিপরীত মেরুতে অভিনেত্রীর স্বামী জাভেদ আখতার। প্রখ্যাত এই গীতিকার ট্যুইটারে লেখেন, 'ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে আমি হিজাব বা বোরখা পরাকে সমর্থন করি না। তবে সেদিন কয়েকজন উন্মক্ত যুবক ছাত্রীদের যেভাবে হেনস্থা করেছেন, তা নিয়ে আমার আপত্তি আছে।'
দেখুন সেই ট্যুইট:
Correct me if Im wrong but Afghanistan is a theocratic state and when I last checked India was a secular democratic republic ?!! pic.twitter.com/0bVUxK9Uq7
— Azmi Shabana (@AzmiShabana) February 11, 2022
অপর এক প্রবীণ অভিনেত্রী তথা সাংসদ হেমা মালিনীর মন্তব্য, 'বিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য। সেখানে ধর্ম নিয়ে আসা উচিৎ নয়। প্রতি স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক রয়েছে। তাকে সম্মান জানানো উচিৎ। স্কুলের বাইরে যে কোনও পোশাক পরা যেতেই পারে।' এদিকে, বলিউডের নারীবাদী হিসেবে পরিচিত সোনম কাপুর নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পাগড়ি পরিহিত এক ব্যক্তি এবং হিজাব পরা এক মহিলার ছবি পোস্ট করেন। তাঁর প্রশ্ন, 'পাগড়ি পরার স্বাধীনতা থাকলে, হিজাবে নয় কেন?'