বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে কল্যাণীর চাঁদমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম মিহির বিশ্বাস। বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। অভিযোগ বিজেপি কর্মীকে মাটিতে ফেলে কোপানো হয়। অভিযুক্ত আরমান তরফদার ও তাঁর ভাইকে স্থানীয়রা পাকড়াও করে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলে যায় কল্যাণী থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। পুলিস জনরোষের হাত থেকে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মিহির বিশ্বাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই আক্রান্তের হাতের একটি আঙুল কেটে গিয়েছে। এমনকি ঘাড়ের পিছনেও হাঁসুয়ার কোপ মেরেছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিন সকালে সেলুন খোলেন মিহির বিশ্বাস। হঠাৎই পিছন থেকে এসে আরমান তাঁকে হাঁসুয়ার কোপ মারেন। সে ঘুরে দাঁড়াতে হাতেও কোপ মারেন বলে অভিযোগ। যার দরুন মিহিরের একটি আঙুল কেটে যায়।
উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। চলে গণপ্রহার। আরমানকে বাঁচাতে এসে আহত হয় তাঁর ভাইও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কল্যাণী থানার পুলিস। তবে কী কারণে এই খুনের চেষ্টা তা জানা যায়নি। অন্যদিকে আহত আরমান ও তাঁর ভাইও চিকিৎসাধীন কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
পুজোর আগেই বড়সড় সাফল্য় পেল রানাঘাট জেলা পুলিস। রবিবার ফের কল্যাণী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম খুদু মিস্ত্রি, রঞ্জন সরকার এবং মাঝের চর সত্যপল্লির রাহুল মাঝি ও অতীন শিউলি। সকলকেই কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে অভিযানে নামে কল্য়ানী থানার পুলিস। এরপর ওই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কল্য়ানী থানার পুলিস। তারপর গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীদের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৩৯ রাউন্ড গুলি। যার মধ্যে রয়েছে একটি সেভেন এমএম-সহ ৩ রাউন্ড গুলি, ৬টি হ্যান্ডমেড পিস্তল, চারটে ওয়ান সাটার-সহ ১৩ রাউন্ড গুলি। কল্যাণী থানা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানালেন রানাঘাট পুলিস জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেখ জাভেদ হোসেন।
তবে এর পেছনে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে আর এত আগ্নেয়াস্ত্র আনার উদ্দেশ্যই বা কি..? এই সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জেলা পুলিস ও কল্যাণী থানা।
কল্যাণীতে হুগলির বিজেপির মণ্ডল সভাপতির রহস্যমৃত্যু। একটি হোটেল থেকে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
গুড়াপের বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষের বয়স ৩৭ বছর। গুড়াপ থানা ধনেখালি বিধানসভা গুড়বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপা গ্রামে বাড়ি তাঁক। ধনেখালি ২-এর মন্ডল সভাপতি তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ অগাস্ট কল্যাণীর হোটেলে একটি ঘর ভাড়া নেন সুদীপ। শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ওই হোটেলের ঘর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
কল্যাণীতে আসে সুদীপের পরিবার। তাঁর বাবা ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সুদীপকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করার ছেলে নয় সুদীপ। হোটেল কর্তৃপক্ষের দিকেও সন্দেহের তির।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস। বর্ষীয়ান রেলকর্মী (Railway worker) গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি কল্যাণী সীমান্ত (kalyani simanta) এলাকার। বছর ৬০-এর গোপালচন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত ছিলেন পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনর সঙ্গে। বছর তিনেক আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন গোপালচান্দ্র বিশ্বাস। কিন্তু সুস্মিতা বিয়ের কথা বললেই অত্যাচার (torture) করা হতো সুস্মিতাকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায়, জুলাই মাসের ২ তারিখ সুস্মিতাকে মারধর করে। জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে সুস্মিতার পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসে গোপাল। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা গোপালের কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাকে দেওয়া হয়নি কিছুই, উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক এরকম অভিযোগ রয়েছে গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিবাহের পূর্বে দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। সুজাতাদেবীকে বারবার গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয় গোপাল। সুজাতাদেবী রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। বিশেষভাবে সক্ষম এক সন্তানের জন্ম দেন সুজাতাদেবী। তারপর বেশ কয়েকবার সেই সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল।এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গোপালকে ছেড়ে চলে আসেন সুজাতা তাঁর বাড়িতে। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতাও। পরে কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় দের দাবি, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বছর ৬০-এর রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোপাল বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানিয়েছেন, " তাঁর উপর বহুবার জীবননাশক ব্যবহার করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় যখন ছিলেন তখন তাঁকে উদরে লাথি মারেন, যার জন্য তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম হয়।এর আগেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলেন।" তার পাশাপাশি একজন মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ করেছেন সুজাতা। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গোপালের যাতে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।
গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবেশী শম্পা দেবী জানিয়েছেন, " গোপাল বাবু অনেকদিন ধরে এখানে এই মেয়েটিকে এনে রেখেছেন। মেয়েটিকে কখনো কখনো শাখা , সিঁদুর পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। গোপাল বিশ্বাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর কথাও শোনা যায় শম্পা দেবীর মুখে"।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ (Fire Arms) গ্রেফতার (Arrest) হল ৫ দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কল্যাণী (Kalyani) জেআইএস কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি জনশূন্য রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার (Rescue) হয় এক রাউন্ড গুলি, একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ একাধিক ধারালো অস্ত্র, দড়ি এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে আনা সামগ্রী। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ দুষ্কৃতীরা হল শ্যামলেন্দু রায় (৫৩) দমদম, তাপস মজুমদার (৫০) নোয়াপাড়া (উত্তর ২৪ পরগনা), কৃষ্ণেন্দু সরকার (৪৪) গিরিশ পার্ক কলকাতা, অমিত মালি (২৭) নোয়াপাড়া (উত্তর ২৪ পরগনা) ও অসীম মালি (৫০) নোয়াপাড়ার বাসিন্দা।
রানাঘাট থানার পুলিস জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেখ জাভেদ জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জমায়েত হওয়া ওই পাঁচ দুষ্কৃতীকে শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। তিনি আরও জানান, ওই দুষ্কৃতীর দল সাম্প্রতিক সময়ে কল্যাণীতে এক ব্যক্তিকে খাবারের সঙ্গে মাদকদ্রব্য খাইয়ে অচৈতন্য করে তাঁর গাড়ি ছিনতাই করে। এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এমন একাধিক গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ রয়েছে একধাকি থানায়।
শনিবার ওই পাঁচ দুষ্কৃতীদের পাঠানো হয় কল্যাণী মহকুমা আদালতে। তদন্তের স্বার্থে পুলিস হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারপতি ১০ দিনের পুলিসের হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
নজরুল পরিবারে শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন কাজী নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী (Kalyani Kazi)। শুক্রবার প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট নজরুলগীতি শিল্পী। বিদ্রোহী কবির কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধকে বিয়ে করেছিলেন কল্যাণী কাজী। নজরুল গীতির অন্যতম ধারক ও বাহকের প্রয়াণ ঘটল। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কল্যাণী কাজী বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর লড়াই চলছিল ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে। আবার সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শহরের বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার তাঁর মাল্টি অরগান ফেইলিউর হয়, চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও তাঁকে আর ফেরাতে পারেননি। সমস্ত লড়াই শেষ করে অমৃতের পথে যাত্রা করলেন নজরুল পুত্রবধূ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
গায়িকা এবং নজরুল পুত্রবধূর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। টুইটারে মমতা লিখেছেন, 'বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী এবং কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ তথা কাজী অনিরুদ্ধের স্ত্রী কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।'
মমতা আরও লিখেছেন, 'তাঁর অসামান্য গায়কীতে গাওয়া নজরুলগীতি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালে তাঁকে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' প্রদান করে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যা ছিলেন।' বিশিষ্ট গায়িকার পরিবারের সদস্যদের গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওপার বাংলার নজরুল গীতি শ্রোতারাও কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে শোকাহত।'
পাইকপাড়ার বাড়িতে কল্যাণী কাজীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে শায়িত রাখা হবে পিস হেভেনে। জানা গিয়েছে, মেয়ে অনিন্দিতা কাজী নিউ জার্সি থেকে দেশে ফিরলে পার্ক সার্কাসে কবর দেওয়া হবে কল্যাণী কাজীকে।
সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি আক্রান্ত (HIV) ৫ জন। অভিযোগের তীর কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের দিকে। সূত্রের খবর, রোগীর পরিবারের তরফে গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের স্বাস্থ্য দফতরে। অভিযোগের তীরে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলের পরিচালিত ডায়ালিসিস সেন্টারের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ২ মহিলা-সহ ৫ জন রোগী, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়ালিসিস সেন্টারে ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে বর্তমানে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই ডায়ালিসিস সেন্টারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বাসা বেধেছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবার-পরিজনের। পাশাপাশি রোগীর পরিবারের অভিযোগ ওই হাসপাতালের যন্ত্রপাতি বিকল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুষ্কৃতীমূলক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কল্যাণী (Kalyani Incident) মুরাতিপুর এলাকায় রাজকুমার মণ্ডল নামে বছর ২৬-এর এক দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। শুক্রবার ওই আসামীকে (Inmate escape) কল্যাণী মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে কোর্ট চত্বরে পুলিসের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় সেই আসামী। আর এতেই চাঞ্চল্য কল্যাণী মহকুমা আদালত চত্বরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কল্যাণী থানার একাধিক পুলিস ভ্যান ওই আসামিকে খুঁজতে বেরোয়। ওই আসামীকে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিস প্রশাসনকে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ওই আসামীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, কল্যাণী দু'নম্বর বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া এক ডাকাত দলের মধ্যে থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও বাকিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া ওই আসামীকে শুক্রবার কল্যাণী মহকুমা আদালতে তুলতে গেলে বিপত্তি। পুলিসি হেফাজত থেকে ওই আসামি চম্পট দিয়েছে।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুর জান মসজিদের কাছ থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিস (police)। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি ওয়ান শাটার বন্দুক ও চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মোহাম্মদ দিলদার ও শেখ দানিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে বারুইপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন এসডিপিও বারুইপুর আতিশ বিশ্বাস। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, কল্যাণী (Kalyani) থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি-সহ গ্রেফতার ৩ দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে কল্যাণী থানার অন্তর্গত আনন্দনগর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানা। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয় এক রাউন্ড গুলি-সহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক দুষ্কৃতীকে সগুনা আনন্দনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, ধৃতরা হল রাজ বিশ্বাস (১৮), সুমন সেন (২৮) ও অজিত সরকার (৪০)। ধৃতরা সকলেই সগুনা অঞ্চলের বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবারই কল্যাণী থানা থেকে পাঠানো হয় কল্যানী মহকুমা আদালতে।
৪৫ মিনিটের সফল অস্ত্রোপচারে কল্যাণীর (Kalyani Youth) এক যুবকের প্রাণ বাঁচালো এনআরএস হাসাপাতাল (NRS Hospital)। জানা গিয়েছে, বছর ৩৩-র এক যুবককে সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ গলায় ত্রিশূলবিদ্ধ অবস্থায় কল্যাণী থেকে এনআরএস নিয়ে আসা হয়েছিল। যুবকের এহেন অবস্থা দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। যে জায়গায় ত্রিশূলটি বিদ্ধ ছিল, তার এক ইঞ্চি উপর-নিচে ত্রিশূলটি বিঁধলে প্রাণ সংশয় ছিল। সেই অবস্থায় ওই যুবককে কল্যাণী থেকে কলকাতার এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ট্র্যাকিওস্কোপি করে ৪৫ মিনিটের অপারেশন (Surgery) শেষে তাঁর গলা থেকে ত্রিশূল বের করে যুবককে বিপদমুক্ত করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই রোগী।
জানা গিয়েছে, কীভাবে গলায় ত্রিশূল ঢুকে গেল তা নিয়ে হতবাক চিকিৎসকরা। যখন সার্জারি করা হচ্ছিল সেই সময় কোনভাবেই রোগী নড়াচড়া করেনি একেবারে নির্লিপ্ত ছিলেন। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের চিকিৎসকের টিম এই সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে ত্রিশূলটি বের করেন।
মর্মান্তিক ঘটনা! ঋণের (loan) দায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হলেন এক ব্যক্তি। শোকাহত পরিবার। মর্মান্তিক এই ঘটনা নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী থানার অন্তর্গত রথতলা এলাকার। মৃত (death) ব্যক্তির নাম সুখেন দাস (৪৩)। পরিবার সূত্রে খবর, সুখেন বাবু ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়েছিলেন। আর তার জেরেই এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত। তিনি নিজের বাড়িতেই মঙ্গলবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি খবর দেন কল্যাণী থানায়। পুলিস (police) এসে সুখেন দাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় নদিয়ার কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে (hospital)। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার তাঁর মৃতদেহ ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিস মর্গে, এমনটাই জানালেন মৃত সুখেন দাসের দাদা বাবলু দাস।
কল্যাণী এইমস-এ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল বাঁকুড়ার বিজেপি(BJP) বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার (Niladri Sekhar Dana)। তবে এই ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট সামান্য আলাদা। এবার কল্যাণী এইমসে (AIIMS) নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠায় সিআইডি (CID)। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫মিনিট নাগাদ ভবানীভবনে আসেন এবং সিএইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। বিধায়কের কন্যা মৈত্রেয়ী দানার এইমস নিয়োগ নিয়ে জেরায় একাধিক প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের খবর। প্রায় ৭ ঘণ্টা ভবানী ভবনে ছিলেন তিনি।
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে বিধায়ক বলেন, এ ব্যাপারে আইনগতভাবে তিনি এগোবেন যা বলার বলবেন দলের সভাপতি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বাম আমল থেকে শুরু করে এই আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগসাজসের অভিযোগও করেছেন তিনি।
উলেখ্য, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে, এই অভিযোগে এফআইআর (FIR) করা হয়েছিল চাকদহ থানায়। যেখানে নাম ছিল ৮ জনের। এরপরেই আদালতের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এর আগে মৈত্রেয়ী দানাকে বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম ভাবেই বাবা বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার প্রভাব নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন মৈত্রেয়ী। কিন্তু এরপর তদন্তে নেমে জানা যায় এইমসে মেয়েকে নিয়ে নিজে গিয়েছিলেন বিধায়ক।
শুধু তাই নয়, যে এজেন্সি মারফত মৈত্রেয়ীর চাকরি হয়েছে সেখানে স্বয়ং বিধায়কের সুপারিশপত্র গিয়েছিল বলেও দাবি সিআইডি আধিকারিকদের। আর সেই বিষয়ে বিশদে জিজ্ঞসাবাদ করার জন্যই এদিন আবার তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার বিধায়ককে বলে খবর।
শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দুর্নীতির একের পর এক চিত্র উঠে আসছে রাজ্যের রাজনৈতিক ক্যানভাসে। প্রভাব খাটিয়ে ছেলে, মেয়ে, পরিবার, পরিজন বা বন্ধু স্থানীয়দের বাড়ির লোকের হাতে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা তুলে দিয়েছেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র! এসব ঘটনা সামনে আসতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অযোগ্য হয়েও বাবার প্রভাবে চাকরি পাওয়ায় স্কুল চাকরি গিয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। নাম জড়িয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যারও, এবার শেষে একই অভিযোগ কি বিদ্ধ বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা?
তবে এই গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। "যেহেতু সিবিআইয়ের (CBI) জালে তৃণমূলের নেতারা ছটফট করছেন, বড় বড় দুর্নীতি করে মুখ কালো করে বসে রয়েছেন, তাই তার প্রতিহিংসা হিসেবেই কোথাও কিছু নেই তাও আমাদের নেতাদের দিনের পর দিন ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে।" ঠিক এভাবেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
দুর্গাপুজোর সময়ই মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। হাসপাতালেই (hospital) চিকিৎসারত অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) এক রোগী। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির। ঘটনাটি নদিয়া (Nadia) জেলার কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের।
জানা যায়, এই হাসপাতালে আত্মঘাতী চিকিৎসাধীন রোগী। মৃত ব্যক্তি শান্তি সরকারের আনুমানিক বয়স ৬৫। তিনি বেথুয়াডহরীর বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৫ দিন আগে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর গত সাত দিন আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে। এরপর থেকে করোনা বিভাগের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘটে সেই মর্মান্তিক ঘটনা। পরনের ধুতি দিয়েই জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
ভোর রাতে এমন ঘটনা ঘটার পর তড়িঘড়ি নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় কল্যাণী থানায়। পুলিস প্রশাসনের উপস্থিতিতে আত্মঘাতী হওয়া শান্তি সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল পুলিস মর্গে। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রোগীর মৃত্যুতে উঠেছে নানান প্রশ্ন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউ।
এবার এক কর্তব্যরত নার্সকে (nurse) হেনস্থা করার অভিযোগে উত্তাল নদিয়া (Nadia)। জানা যায়, কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (hospital) প্রসূতি বিভাগে লেবার রুমে কর্তব্যরত ছিলেন ওই নার্স। অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালেরই এক জুনিয়র চিকিৎসকের (doctor) বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ঘটনার পর বিক্ষোভে সরব জুনিয়ার চিকিৎসকেরাও। অন্যদিকে এই অভিযোগের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরাও একত্রিত হন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের মূল ভবনের সামনে। অভিযুক্ত সলমন হালদারও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগকারী নার্সের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মঙ্গলবার এই অভিযোগে হাসপাতালে সকল নার্সরা একত্রিত হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতদিনের সময় চেয়েছিল। তবে সমস্ত নার্সরা একত্রিত হয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, এই অভিযোগের সঠিক বিচার না হলে তাঁরা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করবেন। একই সঙ্গে কর্মবিরতিতেও যাবেন। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসক সলমন হালদার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। পাশাপাশি এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা। মামলায় বিপাকে সিআইডি (CID)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানো সিআইডিকে এই মর্মে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, গত শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রের আইনজীবীর যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার সিআইডিকে সতর্ক করল আদালত। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিকে সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।