সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) উপহাস তোলপাড় ফেলেছে সংসদীয় রাজনীতিতে। জগদীপ ধনখড় দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তাই তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সাংসদের এহেন আচরণ মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার অধ্যক্ষ। আবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মিমিক্রি করার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান 'মিমিক্রি বা নকল করা একটা শিল্প।'
নতুন সংসদ ভবনের মকর দ্বারের সামনে বিরোধী সাংসদদের অবস্থান বিক্ষোভে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গভঙ্গি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে নকল করে উপহাস করেছেন তিনি আর সেই নকল করার ভঙ্গিমাকে ভিডিও করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এরপরে ক্রমেই নিন্দার ঝড় ওঠে সামাজিক মাধ্যম ও জাতীয় রাজনীতিতে। দেশের সংবিধান প্রধান তথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও সামাজিক মাধ্যমে অভিযুক্ত সাংসদকে সাংবিধানিক রীতি-নীতির পাঠ শেখান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেছেন। গত ২০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নিজেও এমন আচরণের শিকার বলেও মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন। বুধের সকালে সামাজিক মাধ্যমে এহেন পোস্ট করে জগদীপ ধনখড় লেখেন, "আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোনে কথা হয়েছে। সংসদ চত্বরে মাননীয় সাংসদদের কীর্তিতে উনি বেদনা পেয়েছেন। উনিও গত ২০ বছর ধরে এমন আচরণের শিকার। কিন্তু সাংবিধানিক পদে বসে থাকা এমন একজনের উদ্দেশে এহেন আচরণ তাও সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে দুর্ভাগ্যজনক, এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।"
মঙ্গলবার শ্রীরামপুরের সাংসদের কীর্তি ঘিরে হৈচৈ আর নিন্দার ঝড় উঠতেও আজ অর্থাৎ বুধবার অবস্থান বদল করেননি তৃণমূল সাংসদ। এক মিনিটের ব্যবধানে ধারাবাহিক পোস্ট করেন তিনি। মিমিক্রি বা নকল করা একটা শিল্প দাবি করে সংসদ থেকে শতাধিক বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ড হওয়ার প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেন আইনজীবী-সাংসদ। এমনকি, ধনখড়জিকে তিনি শ্রদ্ধা করেন তাঁকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে আবার কল্যাণ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীজিও লোকসভায় মিমিক্রি করেন। আমার কাছে সেই প্রমাণও আছে, বিষয়টি সবাই হালকা ভাবে নেয়। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, আমি যেভাবে নকল করেছি, ঠিক সেই আচরণ কি রাজ্যসভায় করেন ধনখড়জি।'
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদের যে প্রতিনিধি দল দেখা করে, সেই তালিকায় ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদের ভিতর ঢোকেননি। কল্যাণের কর্মে বিতর্ক বাড়তেই কি তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চাইলেন খোদ দলনেত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কি ব্রাত্য থাকলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ, উঠছে প্রশ্ন। বুধবার অবশ্য কল্যাণ প্রশ্নে কৌশলী অবস্থানে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জগদীপ ধনখড়ের উদ্দেশে করা কল্যাণের মিমিক্রিকেও ছোট্ট ঘটনার মোড়কে হালকা ভাবে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন মমতা। উল্টে তিনি গোটা-কাণ্ডের দায়ভার ঘুরিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়েছেন।
বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে কল্যাণীর চাঁদমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম মিহির বিশ্বাস। বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। অভিযোগ বিজেপি কর্মীকে মাটিতে ফেলে কোপানো হয়। অভিযুক্ত আরমান তরফদার ও তাঁর ভাইকে স্থানীয়রা পাকড়াও করে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলে যায় কল্যাণী থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। পুলিস জনরোষের হাত থেকে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মিহির বিশ্বাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই আক্রান্তের হাতের একটি আঙুল কেটে গিয়েছে। এমনকি ঘাড়ের পিছনেও হাঁসুয়ার কোপ মেরেছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিন সকালে সেলুন খোলেন মিহির বিশ্বাস। হঠাৎই পিছন থেকে এসে আরমান তাঁকে হাঁসুয়ার কোপ মারেন। সে ঘুরে দাঁড়াতে হাতেও কোপ মারেন বলে অভিযোগ। যার দরুন মিহিরের একটি আঙুল কেটে যায়।
উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। চলে গণপ্রহার। আরমানকে বাঁচাতে এসে আহত হয় তাঁর ভাইও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কল্যাণী থানার পুলিস। তবে কী কারণে এই খুনের চেষ্টা তা জানা যায়নি। অন্যদিকে আহত আরমান ও তাঁর ভাইও চিকিৎসাধীন কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন মাস। মেলেনি কোনো সুবিচার। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আলাদা করে তদন্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত হয়নি কোনও সমাধান। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১২ জন পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী জেলে থাকলেও রহস্য অধরাই থেকে গিয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসি বৈঠক হলেও সেখানে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কোনও উল্লেখ নেই। এই নিয়েই ফের সোচ্চার হয়েছেন সেখানকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী।
এর আগেও তিনি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে চিঠি লিখেছেন। সেখানেও তিনি সুবিচার চেয়ে এমন দীর্ঘসূত্রীতার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সেখানে দোষীদের আড়াল কেন করা হচ্ছে- এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু তার কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই দাবি করেছেন ইমন কল্যাণ লাহিড়ী। আর ঠিক এই কারণেই সুবিচারের আশায় বসেছেন অনশনে। প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় এর ভূমিকা নিয়ে। বৃহস্পতিবার ফের রেজিস্ট্রার-এর কাছে ডেপুটেশন দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একাংশ। শুক্রবার রয়েছে ইসি বৈঠক। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবনে এক অধ্যাপকের এরকম একটি গুরুতর বিষয়ে অনশনে বসা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অফিসারকে নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন । প্রশ্ন উঠেছিল ডিন অফ স্টুডেন্টস এর ভূমিকা নিয়েও । তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ন্যায় বিচার না মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়া সেই ১২ জনের সঙ্গে কথা বলা যায়নি, আদালতে আমরা আবেদন করব যাতে তাদের সঙ্গেও কথা বলা যায়। একটা শাস্তি তাদের দেওয়া হয়েছে। যত দিন আদালত তাদের নির্দোষ না বলবে, তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও স্কোয়াড সহ অভ্যন্তরীণ যে অন্তঃকমিটি তদন্ত করছিল, তাঁদের ঘাড়েই দায় ঠেললেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । এর আগেও না কি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেননি উপাচার্য। তবে অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী জানিয়েছেন, যতদিন না ন্যায়বিচার মিলবে ততদিন তিনি অনশন করে যাবেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া এবং অধ্যাপকের একাংশ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কেটে গেছে তিন মাস। আর কত মাস পরে এই রহস্যমৃত্যুর সমাধান হয় বা আদৌ হয় কি না, সেটাই দেখার।
পুজোর আগেই বড়সড় সাফল্য় পেল রানাঘাট জেলা পুলিস। রবিবার ফের কল্যাণী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম খুদু মিস্ত্রি, রঞ্জন সরকার এবং মাঝের চর সত্যপল্লির রাহুল মাঝি ও অতীন শিউলি। সকলকেই কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে অভিযানে নামে কল্য়ানী থানার পুলিস। এরপর ওই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কল্য়ানী থানার পুলিস। তারপর গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীদের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৯ টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৩৯ রাউন্ড গুলি। যার মধ্যে রয়েছে একটি সেভেন এমএম-সহ ৩ রাউন্ড গুলি, ৬টি হ্যান্ডমেড পিস্তল, চারটে ওয়ান সাটার-সহ ১৩ রাউন্ড গুলি। কল্যাণী থানা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানালেন রানাঘাট পুলিস জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেখ জাভেদ হোসেন।
তবে এর পেছনে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে আর এত আগ্নেয়াস্ত্র আনার উদ্দেশ্যই বা কি..? এই সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জেলা পুলিস ও কল্যাণী থানা।
কলকাতায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে বকেয়া নিয়ে আলোচনা করতে খুব দ্রুতই কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে রাজ্যপাল কিছু করতে পারবেন না বলেও দাবি কল্যাণের।
রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে এদিন দার্জিলিং গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুলা মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৈঠক শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল।
এদিকে, বাহাত্তর ঘণ্টা হল রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পর পাল্টা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই পরিস্থিতে এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার সাত সকালে পুলিশের হাতে আটক হলেন দক্ষিনী অভিনেতা পাওয়ান কল্যাণ। শনিবার ভোরে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটক হলেন অভিনেতা তথা জনসেনা পার্টির সভাপতি পাওয়ান কল্যাণ। আটক করা হয়েছে দলের প্রবীণ নেতা নাদেন্দলা মনোহরকেও। অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এনটিআর জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন জনসেনা পার্টির সমর্থকরা। অশান্তি সৃষ্টি করতেই তাঁদের আটক করা হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার ভোরে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর বিরুদ্ধে অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের স্কিল ডেভেলপমেন্ট স্কিমে ৩৭১ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী প্রচার সেরে শনিবার ভোরে তিনি যখন ভ্যানিটি ভ্যানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেই সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গতকাল স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আজ ভোররাতে টিডিপি প্রধানকে অ্যান্টি-কোরাপশন ব্যুরোর আদালতে পেশ করা হয়।
চন্দ্রবাবু নাইডুর গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন ভোরে মাটিতে শুয়ে প্রতিবাদ করেন জনসেনা পার্টির প্রেসিডেন্ট পাওয়ান কল্যাণ। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের নেতা নাদেন্দলা মনোহরও। বিক্ষোভ-অশান্তি বাড়তেই তাঁদের আটক করে পুলিশ।
কল্যাণীতে হুগলির বিজেপির মণ্ডল সভাপতির রহস্যমৃত্যু। একটি হোটেল থেকে শনিবার দুপুরে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
গুড়াপের বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষের বয়স ৩৭ বছর। গুড়াপ থানা ধনেখালি বিধানসভা গুড়বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপা গ্রামে বাড়ি তাঁক। ধনেখালি ২-এর মন্ডল সভাপতি তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ অগাস্ট কল্যাণীর হোটেলে একটি ঘর ভাড়া নেন সুদীপ। শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ওই হোটেলের ঘর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
কল্যাণীতে আসে সুদীপের পরিবার। তাঁর বাবা ও বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সুদীপকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করার ছেলে নয় সুদীপ। হোটেল কর্তৃপক্ষের দিকেও সন্দেহের তির।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস। বর্ষীয়ান রেলকর্মী (Railway worker) গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি কল্যাণী সীমান্ত (kalyani simanta) এলাকার। বছর ৬০-এর গোপালচন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত ছিলেন পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনর সঙ্গে। বছর তিনেক আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন গোপালচান্দ্র বিশ্বাস। কিন্তু সুস্মিতা বিয়ের কথা বললেই অত্যাচার (torture) করা হতো সুস্মিতাকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায়, জুলাই মাসের ২ তারিখ সুস্মিতাকে মারধর করে। জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে সুস্মিতার পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসে গোপাল। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা গোপালের কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাকে দেওয়া হয়নি কিছুই, উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক এরকম অভিযোগ রয়েছে গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিবাহের পূর্বে দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। সুজাতাদেবীকে বারবার গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয় গোপাল। সুজাতাদেবী রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। বিশেষভাবে সক্ষম এক সন্তানের জন্ম দেন সুজাতাদেবী। তারপর বেশ কয়েকবার সেই সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল।এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গোপালকে ছেড়ে চলে আসেন সুজাতা তাঁর বাড়িতে। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতাও। পরে কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় দের দাবি, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বছর ৬০-এর রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোপাল বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানিয়েছেন, " তাঁর উপর বহুবার জীবননাশক ব্যবহার করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় যখন ছিলেন তখন তাঁকে উদরে লাথি মারেন, যার জন্য তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম হয়।এর আগেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলেন।" তার পাশাপাশি একজন মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ করেছেন সুজাতা। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গোপালের যাতে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।
গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবেশী শম্পা দেবী জানিয়েছেন, " গোপাল বাবু অনেকদিন ধরে এখানে এই মেয়েটিকে এনে রেখেছেন। মেয়েটিকে কখনো কখনো শাখা , সিঁদুর পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। গোপাল বিশ্বাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর কথাও শোনা যায় শম্পা দেবীর মুখে"।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ (Fire Arms) গ্রেফতার (Arrest) হল ৫ দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কল্যাণী (Kalyani) জেআইএস কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি জনশূন্য রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার (Rescue) হয় এক রাউন্ড গুলি, একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ একাধিক ধারালো অস্ত্র, দড়ি এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে আনা সামগ্রী। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ দুষ্কৃতীরা হল শ্যামলেন্দু রায় (৫৩) দমদম, তাপস মজুমদার (৫০) নোয়াপাড়া (উত্তর ২৪ পরগনা), কৃষ্ণেন্দু সরকার (৪৪) গিরিশ পার্ক কলকাতা, অমিত মালি (২৭) নোয়াপাড়া (উত্তর ২৪ পরগনা) ও অসীম মালি (৫০) নোয়াপাড়ার বাসিন্দা।
রানাঘাট থানার পুলিস জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেখ জাভেদ জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জমায়েত হওয়া ওই পাঁচ দুষ্কৃতীকে শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। তিনি আরও জানান, ওই দুষ্কৃতীর দল সাম্প্রতিক সময়ে কল্যাণীতে এক ব্যক্তিকে খাবারের সঙ্গে মাদকদ্রব্য খাইয়ে অচৈতন্য করে তাঁর গাড়ি ছিনতাই করে। এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এমন একাধিক গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ রয়েছে একধাকি থানায়।
শনিবার ওই পাঁচ দুষ্কৃতীদের পাঠানো হয় কল্যাণী মহকুমা আদালতে। তদন্তের স্বার্থে পুলিস হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারপতি ১০ দিনের পুলিসের হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
নজরুল পরিবারে শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন কাজী নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী (Kalyani Kazi)। শুক্রবার প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট নজরুলগীতি শিল্পী। বিদ্রোহী কবির কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধকে বিয়ে করেছিলেন কল্যাণী কাজী। নজরুল গীতির অন্যতম ধারক ও বাহকের প্রয়াণ ঘটল। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কল্যাণী কাজী বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর লড়াই চলছিল ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে। আবার সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শহরের বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার তাঁর মাল্টি অরগান ফেইলিউর হয়, চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও তাঁকে আর ফেরাতে পারেননি। সমস্ত লড়াই শেষ করে অমৃতের পথে যাত্রা করলেন নজরুল পুত্রবধূ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
গায়িকা এবং নজরুল পুত্রবধূর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। টুইটারে মমতা লিখেছেন, 'বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী এবং কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ তথা কাজী অনিরুদ্ধের স্ত্রী কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।'
মমতা আরও লিখেছেন, 'তাঁর অসামান্য গায়কীতে গাওয়া নজরুলগীতি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালে তাঁকে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' প্রদান করে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যা ছিলেন।' বিশিষ্ট গায়িকার পরিবারের সদস্যদের গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওপার বাংলার নজরুল গীতি শ্রোতারাও কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে শোকাহত।'
পাইকপাড়ার বাড়িতে কল্যাণী কাজীর মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে শায়িত রাখা হবে পিস হেভেনে। জানা গিয়েছে, মেয়ে অনিন্দিতা কাজী নিউ জার্সি থেকে দেশে ফিরলে পার্ক সার্কাসে কবর দেওয়া হবে কল্যাণী কাজীকে।
সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি আক্রান্ত (HIV) ৫ জন। অভিযোগের তীর কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের দিকে। সূত্রের খবর, রোগীর পরিবারের তরফে গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের স্বাস্থ্য দফতরে। অভিযোগের তীরে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলের পরিচালিত ডায়ালিসিস সেন্টারের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ২ মহিলা-সহ ৫ জন রোগী, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়ালিসিস সেন্টারে ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে বর্তমানে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই ডায়ালিসিস সেন্টারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বাসা বেধেছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবার-পরিজনের। পাশাপাশি রোগীর পরিবারের অভিযোগ ওই হাসপাতালের যন্ত্রপাতি বিকল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুষ্কৃতীমূলক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কল্যাণী (Kalyani Incident) মুরাতিপুর এলাকায় রাজকুমার মণ্ডল নামে বছর ২৬-এর এক দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিস। শুক্রবার ওই আসামীকে (Inmate escape) কল্যাণী মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে কোর্ট চত্বরে পুলিসের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় সেই আসামী। আর এতেই চাঞ্চল্য কল্যাণী মহকুমা আদালত চত্বরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কল্যাণী থানার একাধিক পুলিস ভ্যান ওই আসামিকে খুঁজতে বেরোয়। ওই আসামীকে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিস প্রশাসনকে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ওই আসামীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, কল্যাণী দু'নম্বর বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া এক ডাকাত দলের মধ্যে থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও বাকিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া ওই আসামীকে শুক্রবার কল্যাণী মহকুমা আদালতে তুলতে গেলে বিপত্তি। পুলিসি হেফাজত থেকে ওই আসামি চম্পট দিয়েছে।
হাইকোর্টে পত্রপাঠ খারিজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন (Bail Plea)। বুধবার জামিন মামলার শুনানিতে আদালত সাফ জানিয়েছে, যেহেতু আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kalyanmay Ganguly) জামিন আবেদনের মামলা আপাতত চালানো সম্ভব নয়। আবেদনকারী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বক্তব্য জানাবেন।
ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড প্রায় ৪ মাস জেলবন্দি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। এই মামলার তদন্তে চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিন জামিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের বক্তব্য, 'গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্যানেল বাতিলের পর শান্তিপ্রসাদ সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র তৈরি করেন। সেগুলো দেওয়া হয় কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে। তিনি রাজেশ লায়েককে দিয়ে বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি করান।'
এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত। বিচারপতি বলেন,'আমরা স্পষ্ট জানতে চাই কি ভাবে অপরাধ হয়েছে আর সেখানে ধৃতের ভূমিকা কি? এটা শুধু প্যানেল বাতিলের পর সেখান থেকে নিয়োগ নয়। এখানে টাকার খেলা আছে? না কি ভালোবাসার সম্পর্কে নিয়োগ?' জবাবে সিবিআই জানায়, 'পিছনে টাকার যোগ আছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।'
এই শুনানিতে আদালতের মন্তব্য, 'আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। সেই তদন্ত এত না এগোনো পর্যন্ত জামিনের আবেদন সাড়া দেওয়া যাবে না।' যদিও বুধবার কোনও লিখিত নির্দেশ হয়নি। আবেদনকারী মামলা আপাতত প্রত্যাহার করবে কিনা, সেই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাবেন কল্যাণময়বাবুর আইনজীবী। তাই ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যন্ত মুলতুবি মামলা।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুর জান মসজিদের কাছ থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিস (police)। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি ওয়ান শাটার বন্দুক ও চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মোহাম্মদ দিলদার ও শেখ দানিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে বারুইপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন এসডিপিও বারুইপুর আতিশ বিশ্বাস। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, কল্যাণী (Kalyani) থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি-সহ গ্রেফতার ৩ দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে কল্যাণী থানার অন্তর্গত আনন্দনগর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানা। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয় এক রাউন্ড গুলি-সহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক দুষ্কৃতীকে সগুনা আনন্দনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, ধৃতরা হল রাজ বিশ্বাস (১৮), সুমন সেন (২৮) ও অজিত সরকার (৪০)। ধৃতরা সকলেই সগুনা অঞ্চলের বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবারই কল্যাণী থানা থেকে পাঠানো হয় কল্যানী মহকুমা আদালতে।
৪৫ মিনিটের সফল অস্ত্রোপচারে কল্যাণীর (Kalyani Youth) এক যুবকের প্রাণ বাঁচালো এনআরএস হাসাপাতাল (NRS Hospital)। জানা গিয়েছে, বছর ৩৩-র এক যুবককে সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ গলায় ত্রিশূলবিদ্ধ অবস্থায় কল্যাণী থেকে এনআরএস নিয়ে আসা হয়েছিল। যুবকের এহেন অবস্থা দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। যে জায়গায় ত্রিশূলটি বিদ্ধ ছিল, তার এক ইঞ্চি উপর-নিচে ত্রিশূলটি বিঁধলে প্রাণ সংশয় ছিল। সেই অবস্থায় ওই যুবককে কল্যাণী থেকে কলকাতার এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ট্র্যাকিওস্কোপি করে ৪৫ মিনিটের অপারেশন (Surgery) শেষে তাঁর গলা থেকে ত্রিশূল বের করে যুবককে বিপদমুক্ত করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই রোগী।
জানা গিয়েছে, কীভাবে গলায় ত্রিশূল ঢুকে গেল তা নিয়ে হতবাক চিকিৎসকরা। যখন সার্জারি করা হচ্ছিল সেই সময় কোনভাবেই রোগী নড়াচড়া করেনি একেবারে নির্লিপ্ত ছিলেন। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের চিকিৎসকের টিম এই সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে ত্রিশূলটি বের করেন।