কালীপুজো মিটতেই ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকার ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবারই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে আজ দুপুরের পর থেকেই আবহাওয়া বদলাতে পারে। ভাইফোঁটার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস,বুধবার বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। ১৬ নভেম্বর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে বৃহস্পতি ও শুক্রবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়াতে। উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ উপভোগ করছেন উত্তরবঙ্গবাসী। পার্বত্য এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।
মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবারের দিকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরা ফেরা করতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
টলিউড থেকে বলিউড, সর্বত্র অরিজিৎ সিং-এর (Arijit Singh) গান রাজত্ব করে চলেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তাঁর তেমনই জনপ্রিয়তা। এককথায় জনপ্রিয়তার নিরিখে একেবারে শীর্ষে অবস্থান করেন 'মাটির মানুষ' অরিজিৎ। কিন্তু এত কিছুর পরও তাঁর মধ্যে নেই কোনও তারকা সুলভ আচরণ। আর তাঁর এই সাদামাটা জীবন-যাপনই মুগ্ধ করে সাধারণ মানুষদের। প্রায় সব অনুষ্ঠানেই তাঁকে তাঁর জায়গা জিয়াগঞ্জেই দেখা যায়। কালী পুজোর সময়ও ব্যতিক্রম কিছু হল না। কারণ এ বছরের দীপাবলি ও কালী পুজোতেও তাঁকে দেখা গেল জিয়াগঞ্জে। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, জিয়াগঞ্জের এক কালী মন্দিরে স্ত্রী কোয়েলকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে অরিজিৎ। একেবারে সাধারণ মানুষের মতই কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে ব্যস্ত তিনি।
এবছরের দীপাবলিতে জিয়াগঞ্জের এক কালী মন্দিরে দেখা মিলল গায়কের, সঙ্গে দেখা গেল স্ত্রী কোয়েলকেও। অরিজিৎকে দেখা গেল খালি পা, পরনে সবুজ পাঞ্জাবি আর সাজা পাজামায়। হাত জোড় করে মায়ের সামনে প্রার্থনা করলেন গায়ক। খানিক্ষণ মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকলেন, আশেপাশে তাঁর পাড়ার মহিলাদের ভিড়। ঘরের ছেলেকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখল জিয়াগঞ্জ। অরিজিৎ যে কতটা মাটির মানুষ, সেই প্রমাণ আগে অসংখ্যবার মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেরকম একাধিক ভিডিও। কিন্তু জিয়াগঞ্জর এই ভূমিপুত্রর এই ভিডিও মন জয় করে নিয়েছে সাধারণ মানুষের।
ভালোয় ভালোয় কাটল কালীপুজো, দীপাবলি, বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও আকাশ পরিষ্কার ছিল। কিন্তু ভাইফোঁটায় কি শেষরক্ষা হবে? পূর্বাভাস বলছে, সে সময় রাজ্যের একাধিক জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ নভেম্বর রয়েছে ইডেনে ম্যাচ। সেই ম্যাচে বৃষ্টি প্রভাব ফেলতে পারে কি না, তা নিয়েও রয়েছে জল্পনা।
হেমন্তের মেজাজে জল ঢালতে পারে নিম্মচাপ। খবর, খুব শিগগির বঙ্গোপসাগরে ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। ফলে চলতি সপ্তাহে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিকে, ভাইফোঁটা রয়েছে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর। সেই দিনই নিম্মচাপ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার কথা। ১৬ নভেম্বর তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা।
উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।
আজ কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনাকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। এই উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরেও (Dakshineswar Kali Temple)। সকাল থেকেই মায়ের পুজো দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলা হয়েছে। মন্দির খোলার পর বিশেষ আরতি হয়। এরপর দুপুর থেকে শুরু হয় মা ভবতারিণীর পুজো। সঙ্গে রয়েছে সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোরও আয়োজন। এবার সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। মন্দিরের মধ্যে থেকে পুজো দেখার পাশাপাশি থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
মনে করা হয় যে, দক্ষিণশ্বরের ভবতারিণী মা কালী করুণাময়ীরূপে দীপান্বিতা অমাবস্যার এই বিশেষ দিনে মর্ত্যে নেমে আসেন। শ্যামা মা ভক্তদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাঁদের সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। আর এই বিশ্বাস থেকেই কালীপুজোর দিন পুজোর ডালি নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। শুধু শহর কলকাতা নয়, মায়ের পুজো দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও অগণিত ভক্ত এদিন মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন। পুজো দিতে দীর্ঘ লাইন পড়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে। বেলা বাড়তেই উপচে পড়ছে ভিড়।
দক্ষিণেশ্বরে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান মা ভবতারিণী ঠাকুর। মায়ের ভোগ অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচ রকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়।
রবিবার কালীপুজো। প্রতিবারের মতো এবারও কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে তাঁর বাড়ির ছবি পোস্ট করলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, তাঁর বাড়ির ব্রহ্মময়ী। তাঁর চরণে শতকোটি প্রমাণ। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁর বাড়ি হয়ে উঠবে ভিড়ে ঠাসা।
দিন কয়েক আগে নিজের বিধানসভা ভবানীপুরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানে কর্মীদের নানা কথার মধ্যেই জানান, প্রতিবারের মতো এবার বাড়ির পুজোতে তিনি উপোস করে ঠাকুরের ভোগ তৈরি করবেন।
এবার পায়ের জন্য দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে যেতে পারেননি। কিন্তু কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন স্বশরীরে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করেই মধ্য কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: পুজো উৎসব বলতে নানান পুজোর ছবি আমাদের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসে। পুজো পরিক্রমাতে তার তথ্য পাওয়া যায়।কিন্তু শুরুর ইতিহাস শুভ নাকি অশুভ তার হদিস কেউ রাখে কি? ফাটাকেষ্টর পুজো উদ্বোধন করতে একবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এসেছিলেন, জানে কজন? তখন এই রীতি ছিলই না। কালীপুজো মানে দাদাভাইদের পুজো নাকি এলাকার মাস্তানদের তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে সেই রঘুডাকাতের কালীপুজো থেকেই এই এক অদ্ভুত ধারণা জনমানসে আছে। ছন্নছাড়া ক্লাব তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও মাস্তানদের পুজো বিষয়টি পুজোকর্তারা তীব্র বিরোধিতার মধ্যে রেখেছে।
ছন্নছাড়া নামক অদ্ভুত নামের ক্লাবের জন্ম জরুরি অবস্থার সময়ে দমদম পার্কে। এলাকার বেকার নাকি বাউন্ডুলে কিছু তরুণ এই পুজোর জন্ম দেয়। ৪৫ বছর হয়ে গেলো প্রায়।ওই এলাকার সিপিএম কর্মীরা তখন অনেকেই এলাকার বাইরে, আবার যারা রয়েছে তারা কংগ্রেসি ছেলেদের মধ্যে মিশে রয়েছে। ওই বামদের কারুর কারুর মগজ থেকে এই পুজোর জন্ম। পুজোতে কিন্তু দলবাজি প্রাথমিক ভাবে ছিল না। নিজেদের পকেট থেকে যে যা পারে তাই দিয়ে প্রথম দু'বছর পুজো হয়েছিল। এরপর আসে ১৯৭৭। শুরু বাম জমানা। এবারেই খোলস থেকে বেরিয়ে রমরমা পুজো শুরু করে সিপিএমের যুব মহল। রাতারাতি ক্ষুদ্র পুজো বিশাল হয়ে যায়। ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফুর্তি সহযোগে চলতে থাকে পুজো। নেতৃত্ব দেয় অজু, আর বুচু ( অসম্পূর্ণ নাম)। পুজোকে কেন্দ্র করে চাঁদার নাম কংগ্রেসি ছেলেদের বেধড়ক পেটানো হয়। এলাকায় ত্রাস হয় ওঠে অজু। মদ খেয়ে পেটানোটাই ছিল তার প্রধান কাজ এবং তার সঙ্গে তোলাবাজি। পরে অবিশ্যি অনেকেই এই পুজোতে যোগ দেয় এবং ত্রাস কমে হটাৎই অজু উধাও হয় যাওয়াতে। ২০০৯-এ অজুর মৃতদেহ পাওয়া যায় রাজ্যের বাইরে কোনও এক হিন্দিভাষী স্থানে।
এরপর দিন পাল্টায়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আপাতত তাদের হাতেই পুজো। এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা নেই। চাঁদা তোলা হয় না। তবে স্মৃতিচারণে আশীষ দাস জানালেন, "আমাদের এই পুজো একেবারেই অরাজনৈতিক। ক্লাবঘর তৈরি করেছি আমাদের পয়সাতে।' ছন্নছাড়া আজ আর ছন্নছাড়া নেই বরং সাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের কবিতা হয় গিয়েছে।
আগামী রবিবার কালীপুজো পড়েছে। আর কালীপুজোর আগেই পশ্চিমবঙ্গে বাড়বে ঠান্ডা। কমবে তাপমাত্রা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না। উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গে আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। কলকাতার আকাশও মূলত পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিনদিনে রাতের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমে যাবে। পরবর্তী তিনদিনে তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না।
৫০ হাজার টাকা তোলা দাবি করেছিল এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক। সেই টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর (Beaten) করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকদের আটক করেছে পুলিস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়া শরিফ সুভাষপল্লী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবকরা এলাকার প্রশান্ত ব্যাপারির বাড়িতে যায় কালীপুজোর রাতে এবং ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। প্রশান্ত ব্যাপারি সেই টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দিতে পারায় বুধবার রাতে ইলেকট্রিক অফ করে অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। বাড়িজুড়ে ভাঙা মারুতি গাড়ি,বাইক,এসি, সিসি ক্যামেরাও। পাশে আরও একটি বাড়িও ভাঙচুর চালিয়েছে তাঁরা। এরপরে ঘটনাস্থলে আসে ঘুটিয়া শরিফ ফাঁড়ির পুলিস। ইতিমধ্যে এলাকা থেকে মোট চারজনকে আটক করা হয়ছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ঘুটিয়ারি শরিফ থানার পুলিস।
ভাসানের (Immersion) সময় মদ খাওয়াকে ঘিরে বচসা, তর্কাতর্কি! দুষ্কৃতীদের দায়ের কোপে মৃত দমকল কর্মী (Fire Brigade Staff) তুহিনশুভ্র ঘোষ।। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar Incident) রানীনগর এলাকায় বুধবার রাতের এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারও চাঞ্চল্য। এই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ থেকে মৃতের পরিবার। প্রত্যেকেই প্রশাসনিক গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে। অত্যাধিক রক্তক্ষরণের কারণে ওই দমকল কর্মীর মৃত্যুর হয়েছে। পরিবারকে জানান চিকিৎসকরা। ঠিক কী হয়েছিল?
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রানীনগর চৌমাথা মোড়ে কয়েকদনের সঙ্গে মদ্যপান নিয়ে বচসা বাঁধে। সেই সময় ভাসানের প্রস্তুতি চলছিল। আমাদের দিকে ওরা দা নিয়ে তেড়ে এসে হামলা চালায়। আমার মুখে আঘাত লাগলেও প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসি। কিন্তু তুহিন ওদের মধ্যে পড়ে যায়। ওর পায়ে কোপ মেরেই পালায় অভিযুক্তরা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তুহিনকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও শেষরক্ষা হয়নি। যারা এই কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে।
নিহতের ভাই জানিয়েছে, এলাকায় এই ধরনের ঘটনা বাড়লেও প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। এক স্থানীয় জানান, এই এলাকায় প্রায় মদের আসর বসে। আমাদের পরিবার নিয়ে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। এই ঘটনা যখন ঘটেছে, আমরা বিসর্জন দেখছিলাম। পরে পুলিস আসলে আমরা যে যার বাড়িতে ঢুকি।
কালীপুজোর (Kali Puja) রাতেই নৃশংস খুন (Murder)। খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত ছেলেকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাটি কালীপুজোর রাত তিনটে নাগাদ ঘটে উত্তর কলকাতার সিঁথি (Sinthee) থানার অন্তর্গত কেদারনাথ দাস লেনের। মৃত হলেন বছর ৬৫ এর উৎপল কান্তি রায়। অভিযুক্ত ছেলে বছর ২৪ এর উদ্দীপ্ত রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাত ৩টে নাগাদ উদ্দীপ্তের মায়ের চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায় বাড়ি থেকে। এরপর এলাকাবাসীরা ছুটে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উৎপল বাবুকে মাটিতেই পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি তাঁরাই পুলিসে খবর দেয়। রাতেই উৎপল বাবুকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে আরজিকর হাসপাতালে উৎপল বাবুর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরই উদ্দীপ্তকে পুলিস গ্রেফতার করে। পেশায় উৎপল বাবু চাটার্ড অ্যাকাউন্টান্ট ছিলেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তাঁর ছেলে প্রায়ই রাতে বাড়ি ফিরে অশান্তি করতো। ছেলে আগেও নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ছিল বলেই পরিবার জানিয়েছে। এরপরও বাবার সঙ্গে প্রায়দিনই ছেলের অশান্তি হত। সোমবার রাতে সেই অশান্তি চরম পর্যায়ে যায়। মোটর বাইকের পার্সের দোকান ছিল অভিযুক্ত একমাত্র ছেলের।
পুলিস সূত্রে খবর, ভারী কোনও জিনিস দিয়ে বাবাকে মারধর করা হয়েছে বলেই পুলিসের অনুমান। প্রথমে ছেলেকে আটকে রাখা হলেও পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিত্রাং (Cyclone Sitrang) আশঙ্কায় উৎসবপ্রিয় বাঙালিকে ঘরে থাকতেই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। সোমবার বাড়ির পুজোর (Kali Puja 2022) প্রস্তুতির ফাঁকেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ, ল্যান্ডফল, গতিবেগ এবং বাংলায় তার প্রভাব কতটা? এসব নিয়ে বিস্তারিত বলেন। কালীঘাটে নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের বরিশালে ল্যান্ডফল হবে রাত ১২টা নাগাদ। বাংলায় হালকা-মাঝারি ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলায় দুর্যোগের সম্ভাবনা আছে। আমরা যাঁদের উদ্ধার করেছি, তাঁরা যেন কোনওভাবেই সরকারি ত্রাণ শিবির না ছাড়েন। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আর উৎসব করুন , পুজো করুন সঙ্গে খুব দরকার না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে মায়ের ভোগ রান্না করেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ক্রমেই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এদিন সন্ধ্যার পর গভীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সিত্রাং। মঙ্গলবার ভোর রাতে দুই ২৪ পরগনাকে ছুঁয়ে বরিশালে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার তরফেও খোলা হয়েছে সিত্রাং কন্ট্রোল রুম।
আজ কালী পুজো (kali pujo)। শহর থেকে শহরতলীতে শক্তির আরাধোনা। সকাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের বিরাট লাইন দেখা গিয়েছে। তারাপীঠ (Tarapith) থেকে শুরু করে দক্ষিণেশ্বর (Dakshineshwar), নৈহাটি, বারাসাত, বীরভূম সব জায়গাই সেজে উঠেছে আলোর উৎসবে। গত ২ বছর করোনা মহামারির দাপটে কালীপুজোর আনন্দ সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি আমজনতা। তবে এবছর সেই দাপট কিছুটা কমতেই আরাধনায় মেতেছেন সকলেই। এবছর দুর্গাপুজোর (durga pujo) মতোই কালীপুজোতেও থিমের হিড়িক লেগেছে প্রতিটি পুজোতেই। এবছর সেই ছবিই ধরা পড়েছে বীরভূমে (Birbhum)।
বীরভূমে ৫১ সতীপীঠের শেষ দুটি পীঠ রয়েছে। একটি বোলপুরের কঙ্কালীতলা, অন্যটি নলহাটিতে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই দুই মন্দিরেই মহা ধূমধামের সঙ্গে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবছর বিশেষ আয়োজনে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা। স্থানীয়রা জানান, কালীপুজোর দিন তারা মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব পোড়া শোলমাছ মাখা। এরপর দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ।
মহেশতলার (Maheshtala) নুঙ্গি বুড়ো শিবতলা এলাকায় কালীপুজোর (Kali Puja) চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে মারধরের (Physical Assault) অভিযোগ। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় বেশ কিছু যুবক। বুড়ো শিবতলা এলাকার বাসিন্দা সৌমিত্র সেনের অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে কালীপুজোর জন্য চাঁদা হিসেবে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তিনি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন ১০১ টাকা চাঁদা দেবেন। কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ার জন্যই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সৌমিত্র বাবুর অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে এসেও চড়াও হয়েছিল স্থানীয় বেশ কিছু যুবক। এরপর তিনি ১০০ ডায়ালে ফোন করে গোটা ঘটনা জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিস। তাঁর অভিযোগ, পুলিসের সামনেই বেশকিছু যুবক তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে সৌমিত্রবাবুর পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ, স্থানীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী উৎপল তাঁর বেশ কিছু সঙ্গীদের নিয়ে এসে তার ওপর চড়াও হয়েছিলেন। সৌমিত্রবাবুকে মারধর করলে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মহেশতলা থানায় গিয়ে জিডি করেন। মহেশতলা পৌর হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করান।
সৌমেন সুর: কোজাগরী পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পরাশক্তি ধনদায়িনি মহালক্ষ্মীর পদ সঞ্চার প্রতি গৃহস্থের আঙিনায়। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় সেই একই মায়ের অর্চনা করবো অন্য নামে, ভিন্নরূপে, ধ্যানান্তরে। আজ যে জগৎ মাতার শুভ আগমন, তিনি মহাশক্তির এক বরণীয় রূপ, মহাকালের শক্তিমূর্তি আদ্যাশক্তি, চতুর্ভুজা, দিগবসনা, সুখপ্রদায়িনী ও বরাভয়দায়িনী। সৌন্দর্য, মাধুর্য এবং গাম্ভীর্যের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে দেবী কালিকার বর্ণিত ধ্যানমন্ত্রে।
'কালিকা বঙ্গদেশে চ' এই শাস্ত্রবাক্য শত শত বৎসর ধরে। পরম শ্রদ্ধায়, বড় আন্তরিকতায় ও গভীর ভক্তিতে এই বঙ্গভূমিতে এই পরম জননী কালিকারূপিণী মহাদেবী নিত্য সেবিতা ও পূজিতা। প্রচলিত কথা আছে 'যেখানে বাঙালি বাড়ি, সেখানে আছে কালীবাড়ি।' সৃষ্টিস্থিতিকারিনী কালরূপা মুক্তিদাত্রী দেবী কালিকার উপাসনাই হল কালের হাত থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র উপায়।
শ্যামা মায়ের মূর্তিতে সারল্য ও কাঠিন্যের এক অপূর্ব সমাবেশ। তাই মহাকালী নৃমুণ্ডমালিনী ও করালবদনা ভয়ঙ্করা, আবার সেইসঙ্গে তিনি বরাভয় করা। একদিকে সৃজন, অপরদিকে নিধন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালন। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, 'কালী কি কালো?' দূর থেকে কালো, জানতে পারলে কালো নয়। সমুদ্রের জল দূর থেকে নীল, কাছে গিয়ে দেখো আর হাতে তুলে দ্যাখো-- রঙ নেই। ব্রহ্মশক্তি এই বিশ্বমাতা বিবসনা। দেশকালে ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে আদৌ আবদ্ধ নয় তিনি বলেই দিগম্বরী। এই অভয়া মা ত্রিনয়ণ দিয়ে তাঁর করুণা ধারা বর্ষণ করেন তাঁর সন্তানকে সত্য, শিব ও সুন্দরকে প্রত্যক্ষ করান।
আমাদের আর্যঋষিরা বলেন, সৃষ্টির মধ্যেই সৃজন, পালন, সংহার বিদ্যমান। সেই করুণাময়ী পরমেশ্বরী মা কালী সৃষ্টি, স্থিতি, লয় করছেন। একদিকে সংহার, অন্যদিকে তিনি অভয় বরদা। একহাতে ভীতি প্রদর্শন অপর হাতে সন্তানকে কোলে ধারণ। এই নিয়েই মা। মা আমাদের করুণাময়ী, মঙ্গলময়ী, জয় মা ওঁ তৎসাৎ।
সিত্রাং (Cyclone Sitrang) প্রভাবে ঝড়ের সঙ্গে এবার বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি। কালীপুজোর (kali Puja 2022) সন্ধ্যাতেই কলকাতা এবং তার সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানালো মৌসম ভবন (Weather Office)। এদিকে, সোমবার দুপুরের মধ্যে উপকূলের থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। সাগরদ্বীপ এবং বরিশালের মাঝে ল্যান্ডফল করবে এই ঘূর্ণিঝড়। পাশাপাশি সোমবার সকাল থেকে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে থমথমে আকাশ। ভোর থেকে ঝিরঝিরে কিংবা মাঝারি বৃষ্টি রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা এবং গাঙ্গেয় বঙ্গে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, এই ঝিরঝিরে বৃষ্টি কিছুই না। বেলা গড়ালে সিত্রাংয়ের প্রভাবে আরও বাড়তে পারে বৃষ্টি।
সোমবার সকাল থেকে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে থমথমে ছিল আকাশ। ভোর থেকে নাগাড়ে বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল বেশ কিছু এলাকায়। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, এই ঝিরঝিরে বৃষ্টি কিছুই না। বেলা গড়ালে সিত্রাংয়ের প্রভাবে আরও বাড়তে পারে বৃষ্টি।
অপরদিকে, সোমবার কালীপুজো তাই রবিবার থেকেই প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণের ৭ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিও হতে পারে। তাই কালীপুজো এবং মঙ্গলবার দীপাবলি, এই দুটো দিন বৃষ্টি মাটি করতে পারে উৎসবের আমেজ।