Breaking News
Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার      Gardenrech Controversy: গার্ডেনরিচের বহু অবৈধ নির্মাণ প্রশাসনের ঔদাসীন্যতা! উঠছে প্রশ্ন...     

Kalighat

TMC Meet: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন! পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক মমতার

২০২৪-এর লোকসভাকে পাখির চোখ করেই একেবারে জেলা ধরে ধরে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর নেতৃত্বের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন নিজের বাড়ি কালীঘাট থেকেই। বৈঠকে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘাটালের সাংসদ দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতারা রয়েছেন এই বৈঠকে। এছাড়াও আছেন সুব্রত বক্সি, জুন মালিয়া, মানস ভুঁইয়্যা, শিউলি সাহারা। ভোটের আগে দলের রণকৌশল ও মানুষের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দিতে আজ, বুধবার জেলাস্তরের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক।

এদিন কালীঘাটের বৈঠকে কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে।

১) যুবদের প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতে হবে।

২) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার বাড়াতে হবে।

৩) সুজয় হাজরাকে বলা হয়েছে জুন মালিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে।

৪) পঞ্চায়েতের আগে যেভাবে আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন, সেটা কম মনে হচ্ছে, বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫) অনেক সাংগঠনিক নির্দেশ মানা হয়নি। চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েত সমিতি উদাহরণ। নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

৬) কেশিয়ারি ব্লকের সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রমকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭) শ্রীকান্ত মাহাতোকে ঝাড়গ্রামে সময় দিতে বলা হয়েছে।

৮) পূর্ব আর পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুইয়াকে বেশি করে সময় দিতে বলা হয়েছে।

৯) ঘরে বসে রাজনীতি নয়। মাঠে নামুন। স্পষ্ট বার্তা মমতা-অভিষেকের।

১০) সব ইস্যু নিয়ে বই ছাপানো হবে। সেই বই যাবে কর্মীদের কাছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

১১) জুন মালিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব মেটাও। জেলা সভাপতি সুজর হাজরাকে নির্দেশ।

১২) সংবাদমাধ্যমে যে কেউ মুখ খুলবে না। কথা বলার জন্য দলের মুখপাত্ররা আছেন।

১৩) মেদিনীপুর পুরসভা দ্বন্দ্ব মেটাতে দায়িত্ব মানস ভুইয়া ও জেলা সভাপতিকে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ।

১৪) বিজেপি চোর বললে ওদের ডাকাত বলে প্রচার করো বৈঠকে বার্তা দলনেত্রীর। স্লোগান দিতে হবে " গলী গলি মে শোর হায় বিজেপি চোর হায়।"

এছাড়াও জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরের কয়েকজন মুখপাত্রর ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কয়েকজন মুখপাত্র বদল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কারও কোনও ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে, দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। সেখানে বলতে হবে। যদি কেউ এর পরেও নির্দেশ না মানে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নির্দেশ না মানলে কার্যত ছেটে ফেলা হবে। রাজ্য সভাপতিকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুরে কেন দলীয় কার্যালয় এখনও তৈরি হলো না।বিধায়ককে প্রশ্নও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিনি এদিন বলেন,  'আমরা INDIA জোটে আছি থাকব। তবে বাংলায় আমরা একা লড়ার জন্য যথেষ্ট।'

এদিন বৈঠকে প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চুপচাপ থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কিছু বলতে বলেন। অভিষেক প্রথমে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু পরে মমতা বলেন, 'তুই যখন এসেছিস, তুই বল।' তারপর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রার অভিজ্ঞতা বলেন। এছাড়া বলেন, 'দল যা নির্দেশ দেবে তাই করব। সেই দায়িত্ব পালন করব।'

3 months ago
SSKM: কালীঘাটের কাকুকে নয়া পরীক্ষার নিদান এসএসকেএমের, কবে কথা বলবেন কাকু?

এবার কালীঘাটের কাকুকে 'স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান' টেস্টের পরামর্শ এসএসকেএমের চিকিৎসকদের। সঠিক কাঠামো না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করানোর নিদান এসএসকেএমের। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানিয়েছে এসএসকেএম।

দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে এসএসকেএমের বেড আগলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভুযুক্ত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই 'ভদ্র' কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা বারংবার এসএসকেএমে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এসএসকেএমের ছত্রছায়ায় কাকু রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন ইডি আধিকারিকদের। পাশাপাশি এসএসকেএম নিয়েও শুরু হয়েছে বহু বিতর্ক। ইতিমধ্যেই রাজ্যের এই প্রথম সারির হাসপাতালের বিরুদ্ধে কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট বিকৃতির অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এরপরই শনিবার সুজয়কৃষ্ণকে "স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান' টেস্ট অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিলেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। তবে এই পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালের কোথাও না হ‌ওয়ায় বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে করতে হবে বলে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে এস‌এসকেএম।

যদিও সূত্রের খবর এসএসকেএমেই রয়েছে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের যন্ত্র। যদিও অভাব রয়েছে যন্ত্রীর। অর্থাৎ মেশিন চালানোর জন্য কোনও  লোকই নেই। আর এই কারণেই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় এসএসকেএমে পড়ে রয়েছে যন্ত্রটি। এই মেশিনের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা। উল্লেখ্য ২০১০ সালে বাম আমলে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে উদ্বোধন হয়  পারফিউশন স্ক্যানের যন্ত্রের। ২০১৩ সালে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের অভাবে বন্ধ  হয়ে যায়  সেই পরিষেবা। অভিযোগ, ১০ বছরে এই বিষয় নিয়ে একাধিক আবেদনেও মেলেনি সাড়া।  এমনকি  স্বাস্থ্য ভবনে এ সংক্রান্ত মঞ্জুর  ফাইলও  পড়ে  রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এসএসকেএমে কাকুর স্বাস্থ্যের এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে ফের শনিবার এসএসকেএমে হাজির হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। আপাতত কাকুর ভবিষ্যত কী? এ নিয়ে জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। আদৌ কি কথা কইবেন কালীঘাটের কাকু? পাশাপাশি কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

3 months ago
SSKM: আইসিইউ থেকে কার্ডিওলজি কেবিনে সরানো হল কালীঘাটের কাকুকে, অপেক্ষা কণ্ঠস্বর পরীক্ষার!

শারীরিক অবস্থার উন্নতি। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এসএসকেএম-এর আইসিইউ থেকে কার্ডিওলজি কেবিনে সরানো হল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে। বুধবারও মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর থেকেই একাধিকবার অসু্স্থ হয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ। বেশ কয়েকমাস ধরেই এসএসকেএমের নিরাপদ আশ্রয়ে বহাল তরিয়তে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও এখনও অবধি কাকুর টিকিও ছুঁতে পারেননি ইডি আধিকারিকরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এসএসকেএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে প্রতিদিনই মেডিকেল রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে ইডিকে। এই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমে গিয়েছিল, রক্তচাপ ওঠানামা করছিল সুজয় বাবুর।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে এসএসকেএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে আইসিসিইউতে শিশুদের সংরক্ষিত বেডে ভর্তি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। জানা গিয়েছিল, আইসিসিইউ থেকে বার করা হলেই, সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হবে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য। এই কারণে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছিল এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউ-এর বাইরে। পাশাপাশি গত সোমবার থেকেই ২ জন করে ইডি আধিকারিক এবং দুজন সিআইএসএফ এর নিরাপত্তারক্ষী থাকছেন কালীঘাটের কাকুর নজরদারিতে। এমনকি কাকুর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ৫জি অ্যাম্বুলেন্সেরও।

তবে বিভিন্ন টালবাহানায় আটকে রয়েছে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পরীক্ষা। এক্ষেত্রে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠে এসেছে। এবার কী পদক্ষেপ করবে ইডি? কবে হবে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা? সেদিকেই নজর সকলের।


4 months ago


SSKM: শিশুর বেডেই আছেন কাকু! শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে এসএসকেএম গেলেন ইডি আধিকারিক

এসএসকেএম হাসপাতালের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড আঁকড়ে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। ৩ দিন হয়ে গেল, শিশুদের বেডেই আছেন কাকু। এই কদিনে কাকুর শারীরিক পরিস্থিতির কি কোনও উন্নতি হয়নি? তা খতিয়ে দেখতেই সোমবার সকাল ১০.৫০ নাগাদ SSKM  হাসপাতালে এলেন ইডির এক আধিকারিক।

উল্লেখ্য, কালীঘাটের কাকু এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে আসার পর, এই প্রথম ইডির কোনও আধিকারিক তাঁকে দেখতে এলেন। আর কতদিন আইসিইউতে একজন শিশুর জন্য সংরক্ষিত বেড আটক রাখবেন কাকু?

আর কতদিন লাগবে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে, শারীরিক ভাবে আদতে কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? শারীরিক অসুস্থতার গুরুত্ব ঠিক কতটা- এই সবটা নিজের চোখে খতিয়ে দেখতেই ইডির আধিকারিক আসেন SSKM হাসপাতালে। এর আগেও দেখা গিয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগের একটি কেবিন আঁকড়ে কালীঘাটের কাকুকে সেখানে থেকে যেতে, এখন দেখা যাচ্ছে একেবারে শিশুর বেড দখল করে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। তাই এখানেই প্রশ্ন জাগছে কাকুর ভবিষ্যৎ তবে কী? ছিলেন জেলে, সেখান থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এলেন হাসপাতালে। অতঃপর সেখানেই রয়ে গেলেন। সেই কারণেই কাকুর ভবিষ্যৎ কী আর কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার ভবিষ্যৎই বা কী? সেই নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা। ইডির আধিকারিকের আসার পর কী এবার কাকুর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহে খানিক তৎপরতা দেখা যাবে ? প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।

4 months ago
ED: পরীক্ষা শেষেও শিশুর বেডেই! কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠ পেতে নাজেহাল ইডি

কালীঘাটের কাকু এখনও রয়েছেন শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেডে। শিশুর বেড আঁকড়ে আর কতদিন ইডির হাতে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়া থেকে তিনি বিরত রাখবেন নিজেকে, তা এখনও অজানা। ঠিক এই কারণেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। শুক্রবার তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য। তবে হঠাৎ দেখা গেল কার্ডিওলজি বিভাগের উপরের কেবিনে কালীঘাটের কাকু অনুপস্থিত। তিনি কোথায়, এই রব উঠলে জানা যায়, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কার্ডিওলজি জরুরি বিভাগের অ্যাডাল্ট এবং পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। সেখানে ২০ টি বেড রয়েছে। যার মধ্যে শিশুদরে জন্য রাখা ১৮ নম্বর বেডে সন্ধান মিলল কালীঘাটের কাকুর। এরপর শনিবার ইডির হাতে SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাকুর সমস্ত শারীরিক রিপোর্ট তুলে দেয়। তারপরে রাতে কালীঘাটের কাকুর ইসিজি, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ইত্যাদি শারীরিক পরীক্ষাও হয়।

শুধু কি তাই? সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পাওয়া গেলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে, বারবার এমন দাবি করতে দেখা গিয়েছে ইডিকে। এর আগেও দেখা গেছিল কাকুর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে এসএসকেএম -এর উপর ভরসা হারিয়ে দিল্লি AIIMS-এর সাহায্য নিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এখন দেখার কাকুকে আইসিইউ মুক্ত করতে কী ব্যবস্থা নেয় তাঁরা। তবে এসএসকেএম হাসপাতালের অব্যবস্থার চিত্র দিনদিন কাকুর কীর্তিতে আরও বেশি সামনে আসছে। আর কতদিন সাধারণ মানুষ বেড না পেয়ে প্রাণ হারায়, চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হয়, তার উত্তর হয়ত একমাত্র দিতে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই।

4 months ago


SSKM: এসএসকেএমে 'শিশুদের বেডে' কালীঘাটের কাকু, বেডের অভাবে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু ৯ শিশুর

রাজ্যের দুই প্রান্তের সরকারি হাসপাতালে ভিন্ন দুটি ছবি। একদিকে বেড না থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে শিশু মারা যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ৯ টি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অন্যদিকে রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ ধরা পড়ল অন্য চিত্র।

এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুদের জন্য রাখা বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। তিনি শুক্রবার সকাল থেকেই অসহ্য বুকে ব্যথা অনুভব করেন। আর সেজন্যই কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিন সদস্যের চিকিৎসক দলও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে ২০টা বেড রয়েছে। যার মধ্যে ১ থেকে ১৭ নম্বর বেড বড়দের জন্য বরাদ্দ। আর ১৮,১৯,২০ নম্বর বেড শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে। ওই ১৮ নম্বর বেডে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। কারণ হিসেবে হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে দ্রুত আইসিইউ-তে দেওয়ার দরকার ছিল। তাই শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছে তাঁকে।

কিন্তু হঠাৎ করে এত বুকে ব্যথা? শুক্রবার সকালেই হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। কাকুকে আজই নিয়ে যাওয়া হবে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য। ইডির আধিকারিকরা আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না। ইএসআই হাসপাতালেই এই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা হবে। দুয়ারে ইডি বলেই কি কাকুর বুকের ব্যথা বেড়ে গিয়েছে? এমনই প্রশ্ন করছেন রাজনৈতিক বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে ৯ শিশু গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ  অকেজো হয়ে পড়ায় সেখান থেকে থেকে নবজাতকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হয়। একসঙ্গে এত শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে 'রেফার রোগ'? তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

4 months ago
Minister: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্ত্রিত্ব নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কালীঘাট

রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে হয়তো ধীরেই চলতে চায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অন্দরের ইঙ্গিত, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র জায়গা কালীঘাট। তার বাইরে এই ব্যাপারে কেউ কোনও কথা বলবে না। নভেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে রয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। ফলে রাজনৈতিক মহল এখন তাকিয়ে ওই বৈঠকের দিকে।

জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের আগেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়র কিছু হয়ে গেলে ইডি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ঘটনা নাও ঘটতে পারে।

তাঁদের অনেকের মতে, পার্থর গ্রেফতারির পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দুটোই আলাদা ছিল। সেইসঙ্গে এই গ্রেফতারির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল টাকা উদ্ধারের ঘটনা এবং বান্ধবী যোগ। তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে হয়তো ধীরে চলো নীতিতে আস্থা রাখবে তৃণমূল।

5 months ago
ED: অসুস্থ কালীঘাটের কাকু, আদালতের নির্দেশ থাকলেও মেলেনি কণ্ঠস্বরের নমুনা

গত ১৪ জুলাই, আদালতের নির্দেশ ছিল তিন দিনের মধ্যে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা জমা দিতে হবে। এরপর দুমাস কেটে গিয়েছে। এখনও সেই নমুনা জমা দেওয়া অনেক দূর। সংগ্রহ করাই হয়নি।

ইডি সূত্রে অভিযোগ, আদালত ওই নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে জেল হেফাজতে থাকলেও কার্যত টানা ২-৩ দিনও জেলে থাকেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্ত্রী মারা যাওয়ায় ১৭ দিন প্যারোলে মুক্ত ছিলেন। এরপর অসুস্থ ছিলেন তিনি। সেই কারণেই নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

ইডি সূত্রে দাবি গত ৩০ মে গ্রেফতারির পর তাঁর দুটি মোবাইল থেকে একাধিক ভয়েস কল রেকর্ড পাওয়া যায়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সেই ভয়েস কল গুরুত্বপূর্ণ বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবীরা। গত ৭ জুলাই, তাঁর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের আবেদন করে ইডি। আদালতের নির্দেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু। এরপর স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৭ দিনের প্যারোল পান তিনি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জেলে ফিরলেও ফের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

6 months ago


Metro: অফিস টাইমে মেট্রো বিভ্রাট কালীঘাট স্টেশনে, সমস্যায় বহু নিত্যযাত্রী

ফের মেট্রো বিভ্রাট। কালীঘাট স্টেশনের কাছে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে রবীন্দ্র সরোবর থেকে যতীন দাস পার্ক পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। তার জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলছে স্বাভাবিক ভাবেই।

মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, কালীঘাট স্টেশনে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাওয়ার ব্লক করে মেরামতের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই পরিষেবা ফের চালু হবে। এদিকে অফিস টাইমে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হওয়ার ফলে থিকথিকে ভিড় স্টেশনগুলিতে। বাসেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অন্যদিকে বাইক ট্যাক্সির চাহিদা বাড়ায় অনেকেই বুক করতে পারছেন না।

এর আগে বৃহস্পতিবার গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। যদিও সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী এবং যাত্রীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। সেদিনও ওই ঘটনার জন্য দীর্ঘক্ষণ মেট্রো চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়।

7 months ago
Abhishek: তবে কি নিয়োগ দুর্নীতিতে 'কাকুর ক্যালমা' সমন্ধে জানতেন অভিষেক!

মণি ভট্টাচার্য: 'কাকুর ক্যালমা,' কে কাকু? সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই কাকু সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে ক্ষমতাশালী কাকু। যিনি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভীষণ ঘনিষ্ঠ, সে কথা কাকু নিজেও স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি তিনি রাজ্য শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু এরপরই হয়েছে  কেলেঙ্কারি, ইডির পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা বলেছেন ইডি। পাশাপাশি চার্জশিটে একই অনুচ্ছেদে অভিষেক ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সম্পর্ক ও সুজয় কৃষ্ণের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগের কথা রীতিমত ভাবাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে। এছাড়া চার্জশিটে ইডির দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার তছরূপের সঙ্গে জড়িত তিনি। এবং সেই সমস্ত টাকা সাদা করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগও করতেন তিনি।

সুজয় কৃষ্ণ অর্থাৎ কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারির ঠিক ৫৯ দিনের মাথায় ১২৬ পাতার একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে ইডি। সেখানে ৭৫ নম্বর পাতায়, কে এই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকু! এই পরিচয় ব্যক্ত করতে ইডির উল্লেখ, কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত আর্থিক বিষয়টি দেখভাল করেন। এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সমস্ত নির্দেশ তিনি মানিক ভট্টাচার্য সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সমস্ত মিডল ম্যানকে পৌঁছে দিতেন। ঠিক তাঁর পরেই একই অনুচ্ছেদে ইডির উল্লেখ যে, ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণদের পাস করিয়ে দেওয়া এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩২৫টি নামের তালিকা কালীঘাটের কাকুই মানিক ভট্টাচার্যকে দিয়েছিলেন। একই অনুচ্ছেদে এই দুটি বিষয়ের উল্লেখ থাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যে তবে কি নিয়োগ-দূর্নীতি সম্বন্ধে কালীঘাটের কাকুর কেরামতি কিংবা ক্যালমা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন! যদিও ইডির দেওয়া চার্জশিটে এমন কোনও উল্লেখ নেই, যেখানে স্পষ্ট হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের কাকুর কেরামতি অর্থাৎ নিয়োগ সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা জানতেন।

ইডি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামার পর, ধাপে ধাপে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা থেকে মন্ত্রীরা। একদিকে যখন মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা গ্রেফতার  হয়েছেন, ঠিক তেমনও গ্রেফতার হয়েছেন সৃজয় কৃষ্ণ ভদ্র ও কুন্তল ঘোষ ও তাপস মন্ডলরা। ইডি তার দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম কান্ডারী। এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি কে কত টাকা পাবে! কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া আয়োজন করা হবে! এবং কত টাকা কার থেকে নেওয়া হবে! সেই বিষয়েও দেখভাল করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির দেয়া চার্জশিটে উল্লেখ আছে ৩২৫ জন, ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া এবং তাদের নিয়োগের জন্য মাথাপিছু এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ এবং ওই টাকার একটি অংশ পৌঁছে গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের কাছেও, এবং সবটাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নির্দেশেই হয়েছিল বলে ইডির উল্লেখ।

ইডির দাবি তিনি রাজ্যের কোনও রাজনৈতিক চরিত্র নয়, এমনকি শিক্ষা দফতরেরও কোনও আধিকারিক কিংবা কেউ নন। তবে কিভাবে উনি এত ক্ষমতাবান হলেন! যেখানে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীরা তার কাছে চাকরির জন্য সুপারিশ চাইতেন। এমনকি ইডির দাবি প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘরে তার প্রতিনিয়ত এবং বিনা বাধায় আসা যাওয়া ছিল।

এখানেই শেষ নয় ১২৬ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডির উল্লেখ, এম এস ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড ও লিপস এন্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে, এই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্নভাবে শেয়ার কিনে, বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারও একটি খতিয়ান চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। যদিও এই চার্জশিট তত্ত্ব উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, চার্জশিট মানেই অপরাধ প্রমাণ হওয়া নয়। এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, 'ইডির চার্জশিট প্রমান করে না তারা অন্যায় করেছে। চার্জশিট প্রাথমিক পর্যায়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে শুনানিতে গিয়ে এই ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হতে পারে।'

যদিও কোনও ভাবেই হাল ছাড়ছে না ইডি, পাশাপাশি এই চার্জশিটের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কোন ক্ষমতা বলে, কিংবা একটি অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও কোন ক্ষমতায় তিনি এই নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম পরিচালক ছিলেন? যদি কেবল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হবার জন্য এত ক্ষমতাবান তিনি হয়ে থাকেন, তবে কাকুর এহেন ক্যালমা কি সত্যিই অভিষেক জানতেন না! এ প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।

8 months ago


Arrest: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে উদ্ধার হওয়া যুবকের স্ত্রীর দাবি, 'স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন'

কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার শেখ নূর আমিন মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনটাই দাবি ধৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রী পুনম বিবির। ২১ জুলাইয়ের সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্র এবং মাদক সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল নূরকে। উদ্ধার করা হয়েছিল আইবি, বিএসএফের মতো সংস্থার পরিচয়পত্রও।

স্বামীর গ্রেফতারির পর উদ্বিগ্ন স্ত্রীয়ের দাবি, ২১ জুলাই সকালে তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মহিলার দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র নয় লাইটার ছিল স্বামীর গাড়িতে। কোনও অসৎ উদ্দেশে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাননি বলেই দাবি তাঁর।

উল্লেখ্য,এদিন সকালে একটি প্রাইভেট গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায় আটকে দেয় পুলিস। পুলিসকর্মী দাবি করলেও কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি ওই যুবক।

8 months ago
Kalighat: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ভুয়ো পুলিস! সশস্ত্র যুবককে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিস

পুলিসের ভুয়ো (Fake Police) পরিচয় পত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (CM House) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjees) বাড়ির সামনে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পরেই কালীঘাটের (Kalighat) পুলিস খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিসের (Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা কালীঘাট থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পুলিস।  

পুলিস সূত্রে খবর, ভুয়ো পরিচয় পত্র দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন (৩৮)। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার মার্টিন পাড়ায় একটি ইন্টিরিয়রের দোকানও রয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিসের দাবি, এই ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এমনকি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ছোটো ছুরি এবং বন্দুকের মতো দেখতে একটি লাইটার। আবার ওই ব্যক্তির গাড়ি থেকে একটি মানসিক রোগের প্রেসক্রিপশন সহ একাধিক সংস্থার ভুয়ো পরিচয় পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।   

কালীঘাটের পুলিস আরও দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রথমে ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন পুলিসকর্মী বলে পরিচয় দেন। তবে কালীঘাটের পুলিস এই বিষয়ে সন্দেহ হয়। যার ফলে তাঁরা ওই ব্যক্তিকে পুলিসের পরিচয় পত্র দেখাতে বলে। তবে কোনোভাবেই ওই ব্যক্তি কোনও পরিচয় পত্র দেখাতে পারে না। যার ফলে কালীঘাট থানার পুলিস তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। 

8 months ago
ED: আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে ইডি

এবার আরও বিপাকে 'কালীঘাটের কাকু'। বৃহস্পতিবার তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চের নির্দেশ, নিম্ন আদালতের নির্দেশে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে ইডি। ফলে এটা স্পষ্ট যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আবেদন মঞ্জুর করল না কলকাতা হাই কোর্ট। কণ্ঠস্বর নমুনার পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।

হাই কোর্টের মতে, তদন্তের এই পর্যায়ে এসে আদালত নমুনা সংগ্রহের উপর কোনও বাধা দিতে চাইছে না। তবে এই নমুনা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না, পরবর্তী কালে আদালত তা বিবেচনা করবে।

বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ, নমুনা পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে? কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারকের নির্দেশের উপর কেন হাই কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে, তা পরিষ্কার নয়! তদন্তের প্রয়োজনের স্বার্থে এই নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। বেআইনি ভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হলে তা নিয়ে এই আদালতের মতামত থাকতে পারে। কিন্তু তদন্তের প্রয়োজনে কোনও নমুনা সংগ্রহের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি, বিচারপতি ঘোষ জানান, এটা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ইডি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে।

ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির সওয়াল, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ কী ভাবে হবে, তা বোধগম্য নয়। প্যারোলে মুক্ত হওয়ার পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছেন। এই মামলায় এই নমুনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলের মধ্যে থাকলে নমুনা সংগ্রহের কাজ করতে পারবে ইডি। হাই কোর্ট জানায়, এ নিয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেবে না। নির্দিষ্ট বেঞ্চে গিয়ে আবেদন করতে পারবে ইডি।

8 months ago


Sujoy: অসুস্থ কালীঘাটের কাকু, প্যারোল থেকে জেলে ফেরার সময় এসএসকেএমে ভর্তি

এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। প্যারোল শেষে জেলে ফেরার দিন তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোমবার।

এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে। বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে সোমবার দুপুরে এসএসকেএমে কার্ডিওলজি বিভাগে যান তিনি। তবে শারীরিক পরীক্ষায় সুজয়কৃষ্ণের হৃদরোগজনিত কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তাঁকে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিহাইড্রেশন এবং রক্তচাপজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বানী ভদ্রের। এরপর জামিনের আবেদন করলেও সুজয়কৃষ্ণকে জামিন দেওয়া হয়নি। স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য সংশোধনাগারের তরফে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই পর্যন্ত সেই প্যারোলের সময়সীমা ছিল। ১৭ তারিখ সংশোধনাগারে ফেরার কথা ছিল। তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।

8 months ago
Sujoy: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কালীঘাটের কাকুর স্ত্রী

দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন (Under Treatment) ছিলেন। অবশেষে  সোমবার রাত ১টায় মৃত্যু হল কালীঘাটের কাকুর (Kalighat Kaku) স্ত্রী বাণী ভদ্রের। রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র।

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন সুজয়।

নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের মধ্যে সুজয়ের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, ‘কাকু’র স্ত্রী অসুস্থ। স্ত্রীর দেখাশোনা করেন সুজয়। এর মধ্যে সুজয়ের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। ফলে এর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখাও হয়নি তাঁর।

9 months ago