Breaking News
Congress: স্বাধীনতার পর প্রথম তেলেঙ্গানায় সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস      Deganga: গুরুতর অভিযোগ! মিড ডে মিলের চাল লুকিয়ে রাখা হচ্ছে স্কুলের শৌচালয়ে      Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন      Recruitment Scam: এবারে দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি!      Jyotipriya: এসএসকেএম-এও নেই স্বস্তি! সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ আদালতের      CBI: কোথাও বিধায়ক, কাউন্সিলর, কোথাও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা, রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় সিবিআই      Mamata Banerjee: 'অনেক বিধায়কের কোটি কোটি টাকা', বিজেপি বিধায়কদের চাঁচাছোলা আক্রমণ মমতার      Amit Shah: লোকসভার আগে বিজেপির শাহী সভা যেন প্রেস্টিজ ফাইট, সভার লাইভ আপডেট      Suvendu: অসম্মানজনক আচরণ! শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু      Fraud: সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার, বৃদ্ধের ব্যাংক থেকে উধাও দেড় লক্ষ টাকা     

Kalighat

Minister: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্ত্রিত্ব নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কালীঘাট

রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে হয়তো ধীরেই চলতে চায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অন্দরের ইঙ্গিত, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র জায়গা কালীঘাট। তার বাইরে এই ব্যাপারে কেউ কোনও কথা বলবে না। নভেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে রয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। ফলে রাজনৈতিক মহল এখন তাকিয়ে ওই বৈঠকের দিকে।

জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের আগেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়র কিছু হয়ে গেলে ইডি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ঘটনা নাও ঘটতে পারে।

তাঁদের অনেকের মতে, পার্থর গ্রেফতারির পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দুটোই আলাদা ছিল। সেইসঙ্গে এই গ্রেফতারির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল টাকা উদ্ধারের ঘটনা এবং বান্ধবী যোগ। তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে হয়তো ধীরে চলো নীতিতে আস্থা রাখবে তৃণমূল।

a month ago
ED: অসুস্থ কালীঘাটের কাকু, আদালতের নির্দেশ থাকলেও মেলেনি কণ্ঠস্বরের নমুনা

গত ১৪ জুলাই, আদালতের নির্দেশ ছিল তিন দিনের মধ্যে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা জমা দিতে হবে। এরপর দুমাস কেটে গিয়েছে। এখনও সেই নমুনা জমা দেওয়া অনেক দূর। সংগ্রহ করাই হয়নি।

ইডি সূত্রে অভিযোগ, আদালত ওই নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে জেল হেফাজতে থাকলেও কার্যত টানা ২-৩ দিনও জেলে থাকেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্ত্রী মারা যাওয়ায় ১৭ দিন প্যারোলে মুক্ত ছিলেন। এরপর অসুস্থ ছিলেন তিনি। সেই কারণেই নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

ইডি সূত্রে দাবি গত ৩০ মে গ্রেফতারির পর তাঁর দুটি মোবাইল থেকে একাধিক ভয়েস কল রেকর্ড পাওয়া যায়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সেই ভয়েস কল গুরুত্বপূর্ণ বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবীরা। গত ৭ জুলাই, তাঁর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের আবেদন করে ইডি। আদালতের নির্দেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু। এরপর স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৭ দিনের প্যারোল পান তিনি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জেলে ফিরলেও ফের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

3 months ago
Metro: অফিস টাইমে মেট্রো বিভ্রাট কালীঘাট স্টেশনে, সমস্যায় বহু নিত্যযাত্রী

ফের মেট্রো বিভ্রাট। কালীঘাট স্টেশনের কাছে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে রবীন্দ্র সরোবর থেকে যতীন দাস পার্ক পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। তার জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলছে স্বাভাবিক ভাবেই।

মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, কালীঘাট স্টেশনে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাওয়ার ব্লক করে মেরামতের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই পরিষেবা ফের চালু হবে। এদিকে অফিস টাইমে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হওয়ার ফলে থিকথিকে ভিড় স্টেশনগুলিতে। বাসেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অন্যদিকে বাইক ট্যাক্সির চাহিদা বাড়ায় অনেকেই বুক করতে পারছেন না।

এর আগে বৃহস্পতিবার গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। যদিও সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী এবং যাত্রীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। সেদিনও ওই ঘটনার জন্য দীর্ঘক্ষণ মেট্রো চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়।

3 months ago


Abhishek: তবে কি নিয়োগ দুর্নীতিতে 'কাকুর ক্যালমা' সমন্ধে জানতেন অভিষেক!

মণি ভট্টাচার্য: 'কাকুর ক্যালমা,' কে কাকু? সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই কাকু সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে ক্ষমতাশালী কাকু। যিনি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভীষণ ঘনিষ্ঠ, সে কথা কাকু নিজেও স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি তিনি রাজ্য শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু এরপরই হয়েছে  কেলেঙ্কারি, ইডির পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা বলেছেন ইডি। পাশাপাশি চার্জশিটে একই অনুচ্ছেদে অভিষেক ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সম্পর্ক ও সুজয় কৃষ্ণের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগের কথা রীতিমত ভাবাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে। এছাড়া চার্জশিটে ইডির দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার তছরূপের সঙ্গে জড়িত তিনি। এবং সেই সমস্ত টাকা সাদা করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগও করতেন তিনি।

সুজয় কৃষ্ণ অর্থাৎ কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারির ঠিক ৫৯ দিনের মাথায় ১২৬ পাতার একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে ইডি। সেখানে ৭৫ নম্বর পাতায়, কে এই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকু! এই পরিচয় ব্যক্ত করতে ইডির উল্লেখ, কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত আর্থিক বিষয়টি দেখভাল করেন। এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সমস্ত নির্দেশ তিনি মানিক ভট্টাচার্য সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সমস্ত মিডল ম্যানকে পৌঁছে দিতেন। ঠিক তাঁর পরেই একই অনুচ্ছেদে ইডির উল্লেখ যে, ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণদের পাস করিয়ে দেওয়া এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩২৫টি নামের তালিকা কালীঘাটের কাকুই মানিক ভট্টাচার্যকে দিয়েছিলেন। একই অনুচ্ছেদে এই দুটি বিষয়ের উল্লেখ থাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যে তবে কি নিয়োগ-দূর্নীতি সম্বন্ধে কালীঘাটের কাকুর কেরামতি কিংবা ক্যালমা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন! যদিও ইডির দেওয়া চার্জশিটে এমন কোনও উল্লেখ নেই, যেখানে স্পষ্ট হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের কাকুর কেরামতি অর্থাৎ নিয়োগ সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা জানতেন।

ইডি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামার পর, ধাপে ধাপে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা থেকে মন্ত্রীরা। একদিকে যখন মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা গ্রেফতার  হয়েছেন, ঠিক তেমনও গ্রেফতার হয়েছেন সৃজয় কৃষ্ণ ভদ্র ও কুন্তল ঘোষ ও তাপস মন্ডলরা। ইডি তার দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম কান্ডারী। এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি কে কত টাকা পাবে! কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া আয়োজন করা হবে! এবং কত টাকা কার থেকে নেওয়া হবে! সেই বিষয়েও দেখভাল করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির দেয়া চার্জশিটে উল্লেখ আছে ৩২৫ জন, ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া এবং তাদের নিয়োগের জন্য মাথাপিছু এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ এবং ওই টাকার একটি অংশ পৌঁছে গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের কাছেও, এবং সবটাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নির্দেশেই হয়েছিল বলে ইডির উল্লেখ।

ইডির দাবি তিনি রাজ্যের কোনও রাজনৈতিক চরিত্র নয়, এমনকি শিক্ষা দফতরেরও কোনও আধিকারিক কিংবা কেউ নন। তবে কিভাবে উনি এত ক্ষমতাবান হলেন! যেখানে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীরা তার কাছে চাকরির জন্য সুপারিশ চাইতেন। এমনকি ইডির দাবি প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘরে তার প্রতিনিয়ত এবং বিনা বাধায় আসা যাওয়া ছিল।

এখানেই শেষ নয় ১২৬ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডির উল্লেখ, এম এস ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড ও লিপস এন্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে, এই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্নভাবে শেয়ার কিনে, বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারও একটি খতিয়ান চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। যদিও এই চার্জশিট তত্ত্ব উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, চার্জশিট মানেই অপরাধ প্রমাণ হওয়া নয়। এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, 'ইডির চার্জশিট প্রমান করে না তারা অন্যায় করেছে। চার্জশিট প্রাথমিক পর্যায়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে শুনানিতে গিয়ে এই ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হতে পারে।'

যদিও কোনও ভাবেই হাল ছাড়ছে না ইডি, পাশাপাশি এই চার্জশিটের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কোন ক্ষমতা বলে, কিংবা একটি অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও কোন ক্ষমতায় তিনি এই নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম পরিচালক ছিলেন? যদি কেবল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হবার জন্য এত ক্ষমতাবান তিনি হয়ে থাকেন, তবে কাকুর এহেন ক্যালমা কি সত্যিই অভিষেক জানতেন না! এ প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।

4 months ago
Arrest: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে উদ্ধার হওয়া যুবকের স্ত্রীর দাবি, 'স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন'

কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার শেখ নূর আমিন মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনটাই দাবি ধৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রী পুনম বিবির। ২১ জুলাইয়ের সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্র এবং মাদক সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল নূরকে। উদ্ধার করা হয়েছিল আইবি, বিএসএফের মতো সংস্থার পরিচয়পত্রও।

স্বামীর গ্রেফতারির পর উদ্বিগ্ন স্ত্রীয়ের দাবি, ২১ জুলাই সকালে তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মহিলার দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র নয় লাইটার ছিল স্বামীর গাড়িতে। কোনও অসৎ উদ্দেশে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাননি বলেই দাবি তাঁর।

উল্লেখ্য,এদিন সকালে একটি প্রাইভেট গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায় আটকে দেয় পুলিস। পুলিসকর্মী দাবি করলেও কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি ওই যুবক।

4 months ago


Kalighat: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ভুয়ো পুলিস! সশস্ত্র যুবককে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিস

পুলিসের ভুয়ো (Fake Police) পরিচয় পত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (CM House) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjees) বাড়ির সামনে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পরেই কালীঘাটের (Kalighat) পুলিস খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিসের (Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা কালীঘাট থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পুলিস।  

পুলিস সূত্রে খবর, ভুয়ো পরিচয় পত্র দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন (৩৮)। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার মার্টিন পাড়ায় একটি ইন্টিরিয়রের দোকানও রয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিসের দাবি, এই ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এমনকি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ছোটো ছুরি এবং বন্দুকের মতো দেখতে একটি লাইটার। আবার ওই ব্যক্তির গাড়ি থেকে একটি মানসিক রোগের প্রেসক্রিপশন সহ একাধিক সংস্থার ভুয়ো পরিচয় পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।   

কালীঘাটের পুলিস আরও দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রথমে ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন পুলিসকর্মী বলে পরিচয় দেন। তবে কালীঘাটের পুলিস এই বিষয়ে সন্দেহ হয়। যার ফলে তাঁরা ওই ব্যক্তিকে পুলিসের পরিচয় পত্র দেখাতে বলে। তবে কোনোভাবেই ওই ব্যক্তি কোনও পরিচয় পত্র দেখাতে পারে না। যার ফলে কালীঘাট থানার পুলিস তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। 

5 months ago
ED: আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে ইডি

এবার আরও বিপাকে 'কালীঘাটের কাকু'। বৃহস্পতিবার তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চের নির্দেশ, নিম্ন আদালতের নির্দেশে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে ইডি। ফলে এটা স্পষ্ট যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আবেদন মঞ্জুর করল না কলকাতা হাই কোর্ট। কণ্ঠস্বর নমুনার পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।

হাই কোর্টের মতে, তদন্তের এই পর্যায়ে এসে আদালত নমুনা সংগ্রহের উপর কোনও বাধা দিতে চাইছে না। তবে এই নমুনা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না, পরবর্তী কালে আদালত তা বিবেচনা করবে।

বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ, নমুনা পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে? কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারকের নির্দেশের উপর কেন হাই কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে, তা পরিষ্কার নয়! তদন্তের প্রয়োজনের স্বার্থে এই নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। বেআইনি ভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হলে তা নিয়ে এই আদালতের মতামত থাকতে পারে। কিন্তু তদন্তের প্রয়োজনে কোনও নমুনা সংগ্রহের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি, বিচারপতি ঘোষ জানান, এটা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ইডি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে।

ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির সওয়াল, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ কী ভাবে হবে, তা বোধগম্য নয়। প্যারোলে মুক্ত হওয়ার পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছেন। এই মামলায় এই নমুনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলের মধ্যে থাকলে নমুনা সংগ্রহের কাজ করতে পারবে ইডি। হাই কোর্ট জানায়, এ নিয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেবে না। নির্দিষ্ট বেঞ্চে গিয়ে আবেদন করতে পারবে ইডি।

5 months ago
Sujoy: অসুস্থ কালীঘাটের কাকু, প্যারোল থেকে জেলে ফেরার সময় এসএসকেএমে ভর্তি

এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। প্যারোল শেষে জেলে ফেরার দিন তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোমবার।

এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে। বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে সোমবার দুপুরে এসএসকেএমে কার্ডিওলজি বিভাগে যান তিনি। তবে শারীরিক পরীক্ষায় সুজয়কৃষ্ণের হৃদরোগজনিত কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তাঁকে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিহাইড্রেশন এবং রক্তচাপজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বানী ভদ্রের। এরপর জামিনের আবেদন করলেও সুজয়কৃষ্ণকে জামিন দেওয়া হয়নি। স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য সংশোধনাগারের তরফে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই পর্যন্ত সেই প্যারোলের সময়সীমা ছিল। ১৭ তারিখ সংশোধনাগারে ফেরার কথা ছিল। তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।

5 months ago


Sujoy: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কালীঘাটের কাকুর স্ত্রী

দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন (Under Treatment) ছিলেন। অবশেষে  সোমবার রাত ১টায় মৃত্যু হল কালীঘাটের কাকুর (Kalighat Kaku) স্ত্রী বাণী ভদ্রের। রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র।

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন সুজয়।

নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের মধ্যে সুজয়ের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, ‘কাকু’র স্ত্রী অসুস্থ। স্ত্রীর দেখাশোনা করেন সুজয়। এর মধ্যে সুজয়ের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। ফলে এর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখাও হয়নি তাঁর।

5 months ago
TMC: পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী নিধনে আরও কঠোর তৃণমূল

পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayet Election) নির্দল প্রার্থী নিধনে আরও কঠোর হল তৃণমূল (TMC)। অর্থাৎ তৃণমূল থেকে টিকিট না পেয়ে যারা দাঁড়িয়েছেন নির্দল হিসেবে, এবং অন্যান্য যারা নির্দল হয়ে জিতে তৃণমূলে ফিরতে চাইবেন তাঁদের জন্য তৃণমূলের রাস্তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো তৃণমূল। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার কালীঘাটে (Kalighat) পঞ্চায়েতের ভোটের কৌশলী আলোচনায় এমনিই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। নির্দল হয়ে পঞ্চায়েতে জিতলেও তাঁদের দলে ফেরানো হবে না বলেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির পথেই হাঁটবে তৃণমূল কংগ্রেস।

রাজনৈতিক মহলে দাবি, গত পুরসভার ভোটেও এই একই ফর্মূলা নিয়েই মাঠে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং তাতে সফলও হয়েছিল শাসক দল। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও সেই একই পথে হাঁটল তারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে শেষ বেলায় মোট আসনের প্রায় ১২ হাজার মনোনয়ন বেশি জমা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্রতিটি জেলায় ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায়, সেই কারণেই নির্দল প্রার্থী আগাম মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে। মোট নির্দল প্রার্থী ১৬,২৯৩ জন।

এদিকে, মনোনয়ন পরীক্ষার প্রথম দিনেও বেশ কিছু জায়গা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূলের জয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফলতা, বাঁকুড়া এবং হাওড়া থেকে তৃণমূলের কার্যত জয়ের খবর মিলেছে।

6 months ago


Sujay: ‘কালীঘাটের কাকু’ কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন, বিস্ফোরক দাবি ইডির

সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির (ED)। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন। সেই টাকার পরিমাণ ছিল ৭০ লক্ষ টাকা। সুজয় শুধু একাই টাকা নেননি, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও টাকা দিতে বলেছিলেন।

আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারি আর্থিক তছরুপ নিয়ন্ত্রক আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুসারে কুন্তলের যে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়, তাতে তিনি জানান, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করাতে চেয়েছিলেন কুন্তল। সুজয় তখন কুন্তলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, পার্থের সঙ্গে কথা বললেই তাঁর কাজ হয়ে যাবে। এই সময়ে কুন্তল ৭০ লক্ষ টাকা দেন সুজয়কে। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে দেন আরও ১০ লক্ষ টাকা। যদিও ইডি জানিয়েছে, ৩০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’ তাদের প্রশ্নের মুখে এই লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অপর ধৃত তাপস মণ্ডলও ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যোগাযোগের কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন। গত বছর নভেম্বরে তাপসের বয়ান অনুযায়ী, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। ইডি আদালতে এ-ও জানিয়েছে যে, সুজয় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তিনি মানিককে ২০২১ সালের আগে চিনতেন না। মানিকের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম যোগাযোগ আগে ছিল না। কিন্তু তদন্তে ইডির হাতে আসা তথ্য অন্য কথা বলছে। মানিকের হোয়াটস্‌অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়ের যোগাযোগ রয়েছে অন্তত ২০১৮ সাল থেকে। ওই সময় থেকেই মানিককে বহু টেট প্রার্থীর নথি সুজয় পাঠিয়েছিলেন। পাঠানো হয়েছিল মার্কশিট এবং অ্যাডমিট কার্ডও। অর্থাৎ, সুজয় তথ্য গোপন করতে চাইছেন, সত্যি কথা বলছেন না, দাবি ইডির।

6 months ago
TMC: চোখ, কান, গলা গ্রেফতার, এবার মাথাও গ্রেফতার হোক দাবি বিরোধীদের

মণি ভট্টাচার্যঃ আপাতত কালীঘাটের কাকুর ঠিকানা বেহালা (Behala) ফকির পাড়া নয়। আগামী ১৪ দিনের জন্য কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ঠিকানা ইডির (ED) হেফাজত। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেক-কুন্তলের একটা পৃথক মামলায় সিবিআই অস্বস্তিতে রয়েছেন অভিষেক। এবার কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারি। এতে কি কোনও ভাবে অস্বস্তি বাড়াবে যুবরাজ অর্থাৎ অভিষেকের। যদিও এ ঘটনায় বিজেপি সহ বাদবাকি বিরোধী দল গুলি কাকুকে কান স্বরূপ অভিষেককে মাথা হিসেবেই দাবি করছেন। তাঁদের মত কানে টান পড়ছে, এবার মাথার পালা। যদিও এসব তথ্য উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি 'নবজোয়ার'কে ঢাকতেই এই চক্রান্ত।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এই কাকু তাঁর ফোন থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত সমস্ত চ্যাট তদন্তের গতি বুঝে উড়িয়ে ফেলতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু আগেই তাঁর মোবাইল গুলি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই মোবাইলের তথ্য নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা করে সমস্ত কথা তিনি অস্বীকার করেন। এই বিষয়ে উত্তর দিতে চান নি। এছাড়া ইডির সূত্রে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নাম উঠেছে কাকুর ৩ টি কোম্পানির নাম। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল লিপ্স এন্ড বাউন্স। অভিষেকের এই কোম্পানির সিইও ছিলেন কাকু। সে সঙ্গেই এই কোম্পানির জয়েন্ট ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পরিবার। অভিযোগ এই কোম্পানি থেকে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

যদিও কালীঘাটের কাকু বা কুন্তল এই প্রসঙ্গে অভিষেকের মুখে কিন্তু অন্য সুর। অভিষেক জানিয়েছেন তিনি কুন্তলকে চেনেনই না। চেনেন না কাকুকেও। সূত্রের খবর, কালীঘাটের কাকু এবং কুন্তল দুজনেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেনে যুক্ত বলে দাবি ইডির। অভিযোগ কুন্তলকে পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড দিতেন কাকু। কুন্তল ওই তথ্য দিতেন মানিককে। ওই চাকরি বিক্রির টাকা পৌঁছে যেত পার্থ, মানিক ও কাকুর কাছে। গ্রেফতার হওয়ার পর বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তলের মুখে শোনা গিয়েছিল এই কালীঘাটের কাকুর নাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ঘটনায় কিভাবে জড়িয়ে গেল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

পূর্বেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। জেরা শেষে বেরিয়ে এসে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে তোপ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা উল্টো। বিজেপির আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারির মতে, 'কালীঘাটের কাকু অভিষেকের যুবা দলের সংঘটক। এই কুন্তল, শান্তনু, এদেরকে বাছাই করে তুলে আনা। আর ওই কোম্পানির মাধ্যমে এই দুর্নীতির কালো  টাকা সাদা করা হত। আর ভাগ পৌঁছে যেত অভিষেকের কাছেও।' একই দাবি বাম নেতা শতরুপ ঘোষের। শতরুপের দাবি, 'কালীঘাটের কাকু নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম হোতা। মাথা কে সেটা সবাই জানে। তদন্ত ঠিক চললে এর পরে কালীঘাটের ভাইপো, তারপর কালীঘাটের পিসি সব গারদে যাবে।'

যদিও এমন দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষে কুনাল ঘোষের দাবি, অভিষেকের নবজোয়ারে পরিকল্পিতভাবে হামলা আর এই হামলার দায় চাপতেই এই চক্রান্ত করেছে বিজেপি। পাশাপাশি 'নবজোয়ার' প্রকল্পকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে দলের বা অভিষেকের তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। তাও স্পষ্ট করেন তিনি।

6 months ago
Kaku: কাজে এলো না জারিজুরি, ১৪ দিনের ইডি হেফাজত কালীঘাটের কাকুর

কাজে এলো না কোনো জারি-জুরি। কালীঘাটের (Kalighat) কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujoy Krishna Bhadra) ১৪ দিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। যদিও বুধবার তাঁর আইনজীবী অসুস্থতার দোহাই দিয়ে জামিন চেয়েছেন। সেই জামিন মঞ্জুর করেন নি বিচারক।

ওদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে কিছু খাচ্ছেন না কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাঁর। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। ইডি আইনজীবীর দাবি, ইডির প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই না খাওয়ার কৌশল নিচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি চাইছেন, তিনি যেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে ইডি।

জানা গিয়েছে, অনশন শুরু করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি নিজে এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, "আমি হাঙ্গার স্ট্রাইক (অনশন) করব।" এদিকে, সুজয়ের আইনজীবীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতারির কথা জানানো হয়নি । অন্যদিকে, সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী মক্কেল ও তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার নথি আদালতে পেশ করে সুজয়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন করেছেন

6 months ago


Summon: শনিতে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার মঙ্গলে কালিঘাটের কাকুকে তলব ইডির

কালীঘাটের (KalighatKaku) কাকুকে কি আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সম্প্রতি কালীঘাটের কাকুকে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (ED)। শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে বেহালায় তাঁর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সে দিন কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল তাঁকে। এ বার সেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল। ইডি সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণের পাশাপাশি গত শনিবার তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিবিরবহাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। গত শনিবার বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।

6 months ago
Baisakh: শুভ পয়লায় চড়া রোদ উপেক্ষা করে দক্ষিণেশ্বর-বেলুড় মঠে মানুষের ঢল

আজ পয়লা বৈশাখ (Poila Baisakh)। নতুন বছরের আগমনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে বাংলা। নববর্ষ মানেই হালখাতা-মিষ্টিমুখ। তবে বছরের প্রথম দিনটা সবাই চায় দেব-দেবী প্রণাম করে শুরু করতে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের একাধিক ধর্মস্থানে মানুষে পৌঁছে গিয়েছেন পুজো দিতে। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। তবে এই গরমকে উপেক্ষা করেই রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে পুন্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, তবুও ভক্তদের ভক্তিতে নেই কোনও ভাটা। কলকাতার কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়মঠ থেকে শুরু করে আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে মানুষের ঢল নজরকাড়া।


করোনা মহামারী পেরিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষ। ফলে একাধিক ধর্মীয় স্থানে বাড়তে শুরু করে ভিড়। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন বহু মানুষ। ভক্তদের কাউকে দেখা গিয়েছে হালখাতা নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে, কাউকে দেখা গিয়েছে নববর্ষ উপলক্ষে পুজো দিতে। তীব্র দাবদাহের মধ্যেই কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে দেখা গিয়েছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। সেই লাইন মন্দির চত্বর পেরিয়ে বালি ব্রিজ অবধি উঠে এসেছিল। রোদ উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষকে। এমনই ভিড় দেখা গিয়েছে মহিষাদল রাজবাড়িতেও। সেখানে দর্শনার্থীদের বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁরা নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করতে ও বর্ষের প্রথম দিনে আশীর্বাদ নিতে সেখানকার কূলদেবতার পুজো দিচ্ছেন। আবার বেলুড়মঠ, বীরভূমের তারাপীঠ, কংকালীতলা এসব মন্দিরেও একই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গরম পড়লেও তাঁরা নববর্ষের শুভদিনে কষ্ট করে হলেও পুজো দেবেন।


8 months ago