
তিন মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে (Kalbaisakhi Storm) লণ্ডভণ্ড গোসাবার (Gosaba) দয়াপুর গ্রাম। কালবৈশাখীর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাড়িঘর, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টির বেশি বাড়ি। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। উড়ে গিয়েছে খড়ের ছাউনি, অ্যাসবেস্টর। নষ্ট পড়ুয়াদের পাঠ্যবই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পাঠ্যবই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কীভাবে পরীক্ষায় বসবে তারা, সেই উদ্বেগ স্থানীয়দের মনে। ব্লক প্রশাসনের (Block Administration) আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
একইভাবে নববর্ষের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ফাঁসিদেওয়ার চটহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হেলাগছ এলাকা। বৃষ্টি-ঝড়ের কবলে উপড়ে পড়ল গাছ। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা। সঙ্গে গাছ পড়ে বিপদজনক অবস্থায় এক বাড়ি। বাড়ির উপর গাছ পড়ায় আটকে পড়েন ঘরের বাসিন্দারা। কার্যত প্রাণের ঝুঁকিতে রাত কাটাতে হয় পরিবারের সদস্যদের। এক স্থানীয় বলেন, 'ভোররাতে গাছ ভেঙে একজন আহত হয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা এসে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।'
ফের ঊর্ধ্বমুখী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Temperature)। সকাল থেকে বেড়েছে রোদের দাপট। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি রয়েছে শহর কলকাতা (Kolkata) ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাজুড়ে। মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে বুধবারের তাপমাত্রা (Weather)। অন্যদিকে মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে স্বস্তির খবর, জেলায় জেলায় কালবৈশাখীর (Kal Baishakhi) সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে দু'তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল উত্তরবঙ্গজুড়েই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার এই তিন জেলা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা ও আশপাশে এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। বুধবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী ঝড়। এমনটাই সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি, কোনও কোনও জায়গায় দমকা হাওয়া থাকবে। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে তুলনামূলক বৃষ্টিপাত বেশি থাকবে। এর সঙ্গে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে এবং অন্য জেলাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত থাকবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে মৌসম ভবন সূত্রে খবর।
বুধবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে। কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রধানত মেঘলা আকাশ থাকবে। আগামী দু-তিনদিন এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ২১ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়তে থাকবে ২ থেকে ৪ ডিগ্রির মতো।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাগুলো, বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ২২ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
পূর্বাভাস থাকলেও শুক্রবার রাতে কালবৈশাখীর দেখা পায়নি মহানগরবাসী। শনিবার সকালেও মেঘলা আকাশ রয়েছে। তবে ন্যূনতম তাপমাত্রা শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে এবার তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কোনও কোনও জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) আপাতত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ২০ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২১ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তারপর তিনদিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে এই আবহাওয়া চলতে পারে ২১ মার্চ বুধবার পর্যন্ত। পাশাপাশি, শনিবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ও ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাস ছিল কালবৈশাখীর জেরে কিছুটা স্বস্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। শুক্রবারও কলকাতা (Kolkata)-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করেছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ শহরের। তাপমাত্রা আগের থেকে কমলেও ভ্যাপসা গরম (Weather) রয়েই গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু'দিন আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে খবর। তবুও বলা যায়, রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির কারণে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমেছে কলকাতা সহ জেলাগুলিতে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কালবৈশাখীর পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখী এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দর্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে।
ফের বেড়েছে রোদের দাপট (Weather)। সকাল হতেই গলদঘর্ম অবস্থা রাজ্যবাসীর (Bengal)। সপ্তাহের শুরুতে কলকাতা (Kolkata) ও আশেপাশ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতিমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আপাতত দিন ও রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনাও নেই। মঙ্গল ও বুধবার দার্জিলিং ও কালিম্পং এবং বৃহস্পতিবার নাগাদ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবার নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। গত কয়েকদিন ধরে রোদের দাপটে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল রাজ্যবাসী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল রোদের তেজ (Weather)। সেই অস্বস্তি থেকে খনিকের মুক্তি পেলেন সকলে। পূর্বাভাস মতোই দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যদিও কলকাতার তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের নেই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। এছাড়া জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।
শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীর সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রবীন্দ্র সরোবরে। রোয়িং করার সময় জলে ডুবে মৃত্যু দুই কিশোরের। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম পুষ্পেন সাধুখাঁ এবং সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিযোগিতার জন্য রোয়িং প্র্যাকটিস করতে পাঁচ জনের একটি দল সরোবরে অনুশীলনে নামে। সেই সময় ঝড়বৃষ্টির তান্ডবে এই দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, তিন জন কোনওক্রমে পাড়ে পৌঁছলেও দু'জন দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ ছিলেন। কলকাতা পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা দল সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় দু'জনের দেহ উদ্ধার করে। দু'জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, লেকের যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা ২০ ফুট গভীর।
শনিবারের বারবেলায় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে (Thunder Storm) ব্যাহত জনজীবন। এদিন বিকেলের দিকেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। কালবৈশাখী (Kal Baisakhi) ঝড়, সঙ্গে বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জীবনযাত্রা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলিয়ে বিকেল থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রাজপথে ব্যাপক যানজট। টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো রেল (Kolkata Metro) চলাচল। মেট্রো রেল লাইনে গাছ পড়ে ব্যাহত মেট্রো চলাচল।
বৃষ্টি বন্ধ হলেই গাছ সরানোর কাজ হবে বলে জানা যাচ্ছে। টলিগঞ্জের কারশেডের সামনে পড়েছে গাছ। এদিকে, ন্যাশনাল লাইব্রেরির কাছে রাস্তায় গাছ পড়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিস এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। শুধু কলকাতা ও শহরতলিই নয়, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি। দমকা হাওয়ার দাপটে বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
বর্ধমানে একজনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। রবিবারও ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি কালবৈশাখীর সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। শনিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাখানেকের ঝড়-বৃষ্টিতে (Rain in Kolkata) স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে। এদিন সন্ধ্যা গড়াতেই ঝড়ো হাওয়া (Thunder Storm) বইতে শুরু করে। তারপরেই প্রবল বৃষ্টি কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়ায়। এমনটাই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। যদিও শনিবারের ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস সত্যি হল এদিন সন্ধ্যায়।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি। স্বস্তির বৃষ্টির দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও। এই বৃষ্টির জেরে গরম এবং তাপপ্রবাহের দাপট কমবে। এমনটাই ধারণা আবহাওয়াবিদদের। এদিন সন্ধ্যায় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঝড়-বৃষ্টির জেরে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। শুধু জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে মহিষাদলে রাস্তার উপর ভেঙেছে বাঁশের তোরণও।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বৃষ্টি