Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

JusticeGanguly

Court: বৃদ্ধার আবেদনে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

নিজস্ব ফর্মেই রয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতি দেখলেই বিচারপতির কড়া নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এর আগে তাঁর একের পর এক নির্দেশে বিপাকে পড়তে হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। এবার অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

উল্লেখ্য, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর ১৮১, শান্তিনগরের বাসিন্দা অশীতিপর বৃদ্ধা কুন্তিবালা কল্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে আবেদন করেন, তাঁর বাড়ি ও বাড়ি লাগোয়া কিছুটা অংশে ফ্ল্যাট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্থানীয় প্রোমোটার। ২০১৯ সালে ৫০ শতাংশ অনুপাতে চুক্তি হয়। তারপর নির্মাণ যখন তৈরি হয়, তখন আবেদনকারী বোঝেন, এটা অবৈধ নির্মাণ। বারবার প্রোমোটার ও পরে বিধাননগর পুরনিগমে অভিযোগ করলেও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।

সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, বন্ধ করে দিতে হবে ওই বিল্ডিং-এর এর জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ। সোমবারই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে। ওই বাড়ির বাসিন্দারা চাইলে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে পুনর্বাসন চাইতে পারেন। সোমবারই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ কাউন্সিলর চামেলী নস্করকে। বিধাননগর পুরনিগমকে বৈঠক ডেকে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ। আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরনিগম বাড়ি ভাঙা নিয়ে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে। নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

7 months ago
Court: ১২ বার ইডি হাজিরা এড়ালেও, জাস্টিস গাঙ্গুলির তলবে মুহূর্তে হাইকোর্টে হাজির মলয় ঘটক

বুধবার বিস্ময়কর এক ইতিহাসে সাক্ষী থাকল কলকাতা হাইকোর্ট। জাস্টিস গাঙ্গুলির তলবে ১ ঘন্টার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এভাবে কোনো মন্ত্রীকে তলব বোধহয় আদালত বহু দিন দেখেনি। কিন্তু স্বভাবতই হাইকোর্টে বিস্ফোরক হতে দেখা গেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তবে কেন তিনি আইনমন্ত্রীকে ডেকে পাঠালেন! কেনই বা বিস্ফোরক নির্দেশ দিলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি।

আগে কি ঘটেছে? 

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মামলাকারী বাবলু পালের করা ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিবিআই-এর সিটের প্রধানকে আদালতে তলব করেছিলেন তিনি। সেইমত বুধবার হাজিরা দেন সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিন শেনভি।  তাঁর জবাবে এদিন বিচারপতি সন্তুষ্ট হলেও সিবিআই ও ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে রাজ্যের করা মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বুধবার কি ঘটেছে? 

বুধবার হাইকোর্টে ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির একটি মামলায় প্রথমে সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অশ্বিন শেনভিকে এদিন বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কি তদন্ত করতে গিয়ে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন? সিবিআই ডিরেক্টর অশ্বিন শেনভি জানান, কুন্তল ঘোষের ক্ষেত্রে সিবিআই ও ইডি-র কয়েকজন অফিসারের নামে অভিযোগ হচ্ছে, মামলা হচ্ছে। আমরা হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেও মামলার ভয়টা থাকছে। সিবিআইয়ের সিটের প্রধান উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর চাপের কথা উল্লেখ করলে নিম্ন আদালতের এক বিচারকের বদলির বিষয়ে জানতে চেয়ে লিগ্যাল সার্ভিসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠান তিনি।  লিগ্যাল সার্ভিসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল এসে উপস্থিত হলে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, অ্যাক্টিং সিবিআই কোর্ট জজ অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় স্থায়ী বিচারক কেন দেওয়া হয়নি? সেক্রেটারি জানান, ২৫ অগাস্ট থেকে ওই ফাইল আইন মন্ত্রীর কাছে আছে। এরপরেই বিকেল ৫ টার মধ্যে আইন মন্ত্রীকে হাইকোর্টে তলব করেন তিনি।

তবে সিবিআই সিটের প্রধান তাদের ওপর চাপের প্রসঙ্গ টেনে আনায় বেশ কিছু সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার দাবি, কলকাতা পুলিসকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়নি। সুতরাং, কোনোভাবেই এই মামলার তদন্তের ব্যাপারে তথ্য পেতে পারে না রাজ্য পুলিস। আমি কিছু সূত্র মারফত খবর পেয়েছি, আলিপুরের কোনও সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক পুলিসের সঙ্গে মিলে বেশ কিছু নির্দেশ দিচ্ছেন। আমি তাঁকে সতর্ক করছি, এই কাজ যেন তিনি না করেন। অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়ে যাওয়ার পরেও কী করে তিনি মামলা শোনেন? ৪ অক্টোবরের মধ্যে ওঁর বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

ওদিকে সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল মন্ত্রীর কথা বললে সরাসরি আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেই তলব করেন জাস্টিস গাঙ্গুলি।  দুর্নীতির জট খুলতে শুধু শাসকদল বা শিক্ষাবিভাগের দিকে নয়, বিচারবিভাগের মধ্যেও যদি কারোর দিকে আঙুল ওঠে, তাহলেও যে তিনি কড়া পদক্ষেপ করবেন, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন তিনি। এরপর ইডির ১২ বার তলবেও হাজিরা না দিলেও এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তলবে হাজিরা দিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও জাস্টিস গাঙ্গুলির মধ্যে কথোপকথন:

বিকেল ৪ টে ৫০ মিনিট বিচারপতির তলবে হাইকোর্টে এসে হাজির হন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বিচারপতি বলেন, আমায় ভুল বুঝবেন না, আমার আপনার এর আগে বহুবার হাইকোর্টের অলিন্দে দেখা হয়েছে। ৪ অক্টোবরের মধ্যে অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে রিলিজ করুন। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,  আমি বহুদিন অসুস্থ ছিলাম হাসপাতালে। আমি চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা করছি। বিচারপতি বলেন, অন্তত ৬ অক্টোবরের মধ্যে চেষ্টা করুন। বিচারপতির মন্তব্যে প্রাথমিক সম্মতি দিয়ে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে যান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

7 months ago
DI: আদালতকে ভুল তথ্য, ডিআইকে অপসারণের নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির

ডিআই যে কাজ করেছেন তা আদালত ভালো চোখে দেখছে না। আর তাই অবিলম্বে মুর্শিদাবাদের ডিআই নৃপেন কুমার সিনহাকে অপসারণ করার জন্য শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডিআইকে অপসারণ করতে হবে। তিনি অন্য দফতরে চাকরি করতে পারেন। তবে ডিআই পদে চাকরি করার যোগ্য তিনি নন।

নদিয়াতে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন এক শিক্ষিকা বনানী ঘোষ। তাঁর আইনজীবী উজ্জ্বল রায়ের আবেদন ছিল, শিক্ষিকার সন্তান জটিল রোগে আক্রান্ত এবং স্বামী ৬০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম। এই ইস্যুতে ওই স্কুলে কতজন শিক্ষিকা আছেন তা জানতে চেয়ে ডিআই-এর রিপোর্ট তলব করে আদালত। এই রিপোর্টেই শিক্ষকদের সঙ্গে প্যারা টিচারের সংখ্যা যোগ করে তথ্য দেন ডিআই। এখানেই বিরক্ত হয় আদালত, কারণ আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, এই দুই সংখ্যা এক করা যাবে না। আর সেই কারণেই মঙ্গলবার ডিআই'কে পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দিলেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তার নির্দেশ, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ ডিসেম্বর। সেদিন রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিয়ে নির্দেশ কার্যকরের বিষয়ে জানাতে হবে।

এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরই রীতিমত চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের ডিআই অফিসে। সেই দফতরে এদিন উপস্থিত হয়েছিলাম আমরা। তবে এদিন দফতরে দেখা মেলেনি অভিযুক্ত ডিআই নৃপেন কুমার সিনহার। শিক্ষা দফতরের একের পর এক দুর্নীতি এবং গাফিলতি সামনে আসায় এর আগেও কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ফের আরও একবার তার নির্দেশের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কোনও রকম গাফিলতিকে একচুলও রেয়াত করবেন না তিনি।

7 months ago


Court: অভিষেকের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই! ইডি-সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা জাস্টিস সিনহার

লিপস এন্ড বাউন্ডস মামলায় খাম বন্ধ কাগজে ইডি অভিষেক সহ অন্যান্য কর্মীদের সম্পত্তির বিবরণ জমা দেয়। সেই হলফনামা বা বিবরণের ভিত্তিতে ইডির যোগ্যতা এবং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জাস্টিস সিনহা। সোমবার বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, সাংসদের মাত্র তিনটি বিমা! ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস নেই কেন? এই নিয়ে ইডিকে তীব্র ভর্ৎসনা হাই কোর্টের। বিচারপতি এও জানিয়েছেন, লিপ‌স অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে গত আট মাস ধরে ইডি যে তদন্ত করেছে, তার নিট ফল শূন্য। এই নিয়ে বিশদ তথ্য ইডিকে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর।

সোমবার তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘অভিষেক লিপ‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার যে সিইও, তাঁর সম্পত্তির কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই? কেন? কোথায় জমি? ইডি একবারও সমস্ত তথ্য যাচাই করে। দেখার প্রয়োজন করল না?'

হাইকোর্টের নির্দেশে লিফট সান বাউন্স মামলা অভিষেকসহ সমস্ত কর্মচারীদের নথি ও সম্পত্তির বিবরণ জমা দিলেও সোমবার শোনেন সময় তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন জাস্টিস সিনহা। বিবরণে অভিষেকের কোনও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট জানায়নি ইডি। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘এটা কি হতে পারে? সাংসদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তা হলে তিনি বেতন পান কী ভাবে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অভিষেকের বাড়ির ঠিকানা জানে না ইডি? ১৮৮এ হরিশ মুখার্জি রোডে কার নামে বাড়ি রয়েছে?’’

ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার একটি কারখানা ছিল। বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সেই কারখানার বিষয়েও বিশদে কিছু জানায়নি ইডি। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা বলছেন, সংস্থার কারখানা ছিল? তা কবে, কোথায় তৈরি হয়েছে, জানাননি। সংস্থার সম্পত্তির বিবরণ দেননি। আপনারা জানিয়েছেন, সংস্থার এসি রয়েছে, গাড়ি রয়েছে, লরি রয়েছে। কিন্তু কার নামে সেই গাড়ি, লরি, কিছুই জানাননি।’’ এর পরেই বিচারপতি কড়া সুরে বলেন, ‘‘আপনারা কি সঠিক ভাবে তদন্ত করবেন না? সংস্থার ৬ জন ডিরেক্টর রয়েছেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ছাড়া কারও বিরুদ্ধে কি কোনও তদন্ত করেছেন? সুজয়ের গলার নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তা কি তদন্ত করে দেখেছেন?’’

সিইও অভিষেক-সহ লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিবরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সিংহ। এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি স্পষ্ট করার জন্য সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইয়ের আধিকারিকদের তিনি আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সিংহের নির্দেশে লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও এবং অন্য ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি। সেই সঙ্গে নিয়োগ মামলায় জড়িত এক অভিনেতার নাম এবং সম্পত্তির বিবরণও আদালতে জমা পড়েছিল। অভিষেকের সংস্থার পাশাপাশি, এক টলিউড অভিনেতার সম্পত্তি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি সিংহ। তাঁর মন্তব্য, সম্পত্তির যে বিবরণ জমা পড়েছে, তা নিয়ে কিছু সন্দেহ রয়েছে। কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদেরই আদালতে হাজির থাকতে বলেছিলেন তিনি। তাঁদের উপস্থিতিতে সোমবার বিকেলে ইডিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

7 months ago
Tapas: এসব কি বলছেন বিচারপতি ?

তাপস রায় (উপ-মুখ্যসচেতক/বিধানসভা): মাঝে মাঝে ভুলে যেতে ইচ্ছা করে যে আমিও একজন আইনজীবী এবং কলকাতা হাইকোর্টের। যখন নিয়মিত রাজনীতির ফাঁকে কাজের সূত্রে হাইকোর্টে যেতে হত তখন সওয়াল জবাবের মাঝে মুগ্ধ হয়ে শুনতাম তৎকালীন মাননীয় বিচারপতিদের অর্ডার। এজলাস গমগম করতো। আজকেও নিয়মিত না হলেও ব্রিফ নিয়ে হাজির হতে হয় আদালতে কিন্তু ওদিনের আকর্ষণ আজ আর টানে না। কত কিছুই হচ্ছে, কত অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা চলেছে এজলাসে। এটা ঠিক মাননীয় বিচারপতিরা অনেক ক্ষেত্রে শুনানিতে পুরাতন প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসাবে নিয়ে আসেন, আনা উচিতও। কিন্তু উদাহরণের সুধাকরণের আস্থা থাকে কি? সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের রেষারেষিতে বারবার পুরাতনী উদাহরণ এসেছে কিন্তু সবটাই তৃণমূলের ত্রুটি খুঁজে।


আমার মনে পরে যায়, ৯০ এর গোড়ায় কলকাতা পুরসভার ভোটে বৌবাজার কেন্দ্রের একটি ওয়ার্ডে আমি প্রার্থী ছিলাম। সারাদিন ধরে শুধু বোমাবাজি এবং এক সময়ে আমাকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছিল, স্বাভাবিক ভাবে সিপিএমের জয় হয়েছিল। তারপর ৯১ এর বিধানসভার নির্বাচনে আমি বিদ্যাসাগর কেন্দ্রের প্রার্থী হই, যদিও সেই কেন্দ্রটি আজ বিলীন হয়ে গিয়েছে। দিনভর বোমাবাজি আর ছাপ্পা ভোট চললো। রাত ৯টার পরেও আমার বুথ এজেন্টদের বের করে আনতে পারি নি। পরে অনেক আহতকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করতে হয়েছিল। পরদিন কাগজে ছাপা হয়েছিল 'কলকাতায় অসময়ের কালী পূজো", এতো বোমাবাজি এর আগে বা পরে কলকাতার মানুষ দেখে নি। কার্যত পরাজয় এবং সিপিএম বাহুবলি লক্ষী দের জয়। কিন্তু কোথায়, আজকের আদালতে তার পুরাতনী উদাহরণ?


শুক্রবার কত অপ্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিলেন তাঁর এজলাসে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। প্রসঙ্গ ছিল কোনও এক সরকারি কর্মচারী করোনাতে মারা গিয়েছেন তো তাঁর স্ত্রী কি ভাবে সরকারি সাহায্য পাবেন ইত্যাদি। বিচারপতি গাঙ্গুলি বললেন যে, চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হলে সরকার ২ লক্ষ টাকা দেয় কিন্তু কোভিড মৃতদের কি হবে? প্রথমত যেবারে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে সে সময়ে কিছু মানুষ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ মদ খেয়ে মারা যায়। একটি মর্মান্তিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের গ্রেফতার করার আদেশ দেন এবং ওই মৃতদের অসহায় পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ করে টাকা দেন। বেচারা পরিবারের রোজগেরে ব্যক্তি মারা গিয়েছে কাজেই অসহায় পরিবারে যাতে পথে না বসে সেই কারণেই অর্থ সাহায্য কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে নিয়মিত নিয়ম এই টাকা প্রদানের। অথচ বিচারপতি তাই বললেন। এ ছাড়া বললেন, কে একজন ভাইপো আছে, তার চারতলা বাড়ি। কোটি টাকার বাড়ি। এতো টাকা আসে কোথা থেকে। .... কি বলছেন বিচারপতি? এর মধ্যে ভাইপো আসছে কোথা থেকে? তার কোটি টাকার বাড়ি থাকে যদি, তার সঙ্গে কোভিড মৃত্যুর কি সম্পর্ক ? ভাইপো বলতে তিনি কাকে বোঝাচ্ছেন?


এসব কথা তিনি আইনত বলতে পারেন কি? প্রসঙ্গান্তর হওয়ার যুক্তি কোথায়? তিনি এর আগেও মিডিয়ার খবর হয়েছেন ব্যক্তিগত ভাবে। ফের কি মিডিয়ার খবর হওয়ার জন্যই অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছেন বারবার। আর যাই হোক এ সমস্ত বিচারালয়ে বিচারপতির কাছে আশা করা যায় না। আইনজীবী হিসাবে আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি।

(অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত )

7 months ago


Abhijit: 'ভাইপোর বাড়ি চারতলা, কোথা থেকে আসে এত টাকা!' এজলাসে মন্তব্য জাস্টিস গাঙ্গুলির

আবারও শিরোনামে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যােয়। আবারও প্রমাণিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে যে অন্যায়ের কোনও ঠাঁই নেই। কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলা। যার আবেদন শুনে বিস্মিত খোদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলায় টেনে আনলেন 'ভাইপো' প্রসঙ্গ।  

২০২০ সালের ১ অগাস্ট করোনায় মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার নালাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভূতি কুমার সরকারের। তাঁর মৃত্যুর পরে চাকরি না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী দীপ্তি সরকার। দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। তা সত্তত্বেও চাকরি এবং আর্থিক সাহায্য কিছুই পাননি বলে মামলায় দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। 

শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, চোলাই মদ খেয়ে মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা। তাহলে কোভিডে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কত টাকা দিচ্ছে রাজ্য? আদৌ টাকা ধার্য করা হয় তো? 

পাশাপাশি ভাইপোর প্রসঙ্গ টেনে বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটা কে ভাইপো আছে তার বাড়ি চারতলা। কোভিডের মৃত্যুর পরেও চাকরি নয়। অথচ ভাইপোর বাড়ি কোটি টাকার। কোথা থেকে আসে এত টাকা? ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে এই মামলার সঙ্গে ভাইপোর চারতলা বাড়ির কী সম্পর্ক? কেনোই বা এই প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের অন্দরে। 

7 months ago
Court: ওএমআর শিট মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই, ডিরেক্টরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট বিতর্ক মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই। বুধবার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে কেস ডায়েরি জমা দিলেও সেই কেস ডায়েরি দেখে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সরাসরি সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'আপনারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন? সিবিআই-এর কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো?' ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির। 

এই নিয়ে টানা ৩ দিন বিচারপতির ক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তীব্র সমালোচনা বিভিন্ন মহলে। সিবিআই যদি এতদিন ঠিকভাবে কাজ করত, রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়ত। বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতা এবার সিবিআই-কেই প্রমাণ করতে হবে। জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কি তদন্ত করতে জানে না? নাকি তাকে তদন্ত করতে বাধা দিচ্ছে তার মনিবরা? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিকে নারদা প্রসঙ্গ তুলে সিবিআই-কে খোঁচা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার।

যদিও বিচারপতির কোনও মন্তব্য, কোনও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বারবার মুখ পুড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে কি সত্য উদঘাটন করতে সত্যিই ব্যর্থ হচ্ছে সিবিআই? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

7 months ago
Justice Ganguly: 'দুর্গা' বানান ভুল, অথচ চাকরি পেতে আইনি লড়াই জাস্টিস গাঙ্গুলির বেঞ্চে, এরপর...

'দুর্গা' বানান ভুল, অথচ চাকরি পেতে আইনি লড়াই। তাও জাস্টিস গাঙ্গুলির বেঞ্চে। কিন্তু জানেন না 'দুর্গা' ও 'করি' বানান?  নিজেকে 'যোগ্য' বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী আমনা পারভিন। কিন্তু সেই চাকরিপ্রার্থীর জ্ঞানভাণ্ডার দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বলতে পারলেন না সামান্য 'দুর্গা' ও 'করি' বানান টুকুও? নিজেকে যোগ্য দাবি করা চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষার হাল দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতির। ভরা আদালতে ফেল করলেন বিচারপতির সামনেই? আবার স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষক হবেন?

প্রসঙ্গত, ছয়টি প্রশ্ন ভুল মামলায় শুক্রবারই আদালতে হাজির হন আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থী আমনা পারভিন। ভরা এজলাসে তাঁর সামনেই ১৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি বছরেই বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমনা পারভিনের ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি, সমস্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন শুনানিতে আদালতে সেই ভিডিওটিই দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

মামলাকারী বলেন আমায় জিজ্ঞাসা করল কোথা থেকে এসেছেন? দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে। বিচারপতির প্রশ্ন, আর কী জিজ্ঞাসা করল? আমনার জবাব, কোন বিষয়ে পড়াতে চাই? জিজ্ঞাসা করল। এদিকে ভিডিওতে দেখা যায় আমনা পারভিন 'করি' বানান ভুল করেছিলেন। তা নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, আপনি 'করি' বানান ভুল করলেন? আপনি 'দুর্গা' বানান বলুন তো?

আমনার উত্তর, দূর্গা। বিচারপতি বলেন ভুল। এরপর ফের আমনাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। বিচারপতি জিজ্ঞাসা করলেন 'করি'-র সমার্থক শব্দ বলুন? উত্তরে কার্যত চুপই থাকলেন আমনা।

এদিন আদালতে সর্বসম্মুখে বিচারপতির প্রশ্নে ভুল করায় আর দ্বিতীয় বার ভাবতে হল না বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির মন্তব্য, এই বিদ্যা নিয়ে আপনার আর ছোট বাচ্চাদের পড়াতে যাওয়ার দরকার নেই। আমি বারণ করব আপনি যাবেন না। হয়তো আপনার থেকে আরও অনেক খারাপ শিক্ষক এখন টাকা দিয়ে চাকরি করছেন। কিন্তু আপনি দয়া করে আর শিক্ষিকা হতে যাবেন না। পাশাপাশি, মামলা খারিজ করে  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া পেন ড্রাইভ ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি।

যে বিচারপতির দরবারে থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না, আজ সেই বিচারপতির দরবার থেকেই খালি হাতে ফিরে যেতে হল, আমনা পারভিনকে। তবে, আবারও অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন বিচার তাঁর কাছে সমসময় নিরপেক্ষ। 

8 months ago


Fired: আদালত অবমাননার দায়ে প্রাথমিক বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারিকে বহিষ্কারের নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির

ফের আদালতে ধাক্কা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। আদালত অবমাননার দায়ে প্রাথমিক বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারিকে বহিষ্কারের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে আদালতে নির্দেশ বিচারপতির। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ প্রশ্ন ভুল মামলায় ওই নম্বর পরীক্ষার্থী সুমনা চট্টোপাধ্যাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রমান হিসেবে ওই পরীক্ষার্থী আদালতে ওএমআর জমা দেন। তার প্রেক্ষিতেই গত ২৩ অগাস্ট এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। যদিও ওই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও ওই নম্বর দেয়নি পর্ষদ। যার ফলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বহিষ্কারের পাশাপাশি ২ সপ্তাহের মধ্যে ৫ হাজার টাকা আদালতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


8 months ago
High Court: শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির অভিযোগে শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার জরিমানা জাস্টিস গাঙ্গুলির

২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির অভিযোগে রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতের লিগ্যাল এইড সার্ভিসে। পাশাপাশি কীভাবে ওই টাকা জোগাড় করবে শিক্ষা দফতর তারও পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি।

শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি-র তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাঁদের কাছ থেকে জরিমানার টাকা নিতে হবে।

২০১২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। যোগ্যতা না থাকা সত্বেও কয়েকজনকে নিয়োগ করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালে আদালত শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। কিন্ত ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়।

নতুন দায়ের করা মামলার শুনানিতে শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

9 months ago


Kuntal: জাস্টিস গাঙ্গুলির এজলাস বদল, আদালতে ঢোকার আগে কিছুই বললেন না কুন্তল

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে শুক্রবার রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে একটির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাঁর। কিন্তু নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষ শনিবার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করলেন না!

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কুন্তলকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁর কাছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতে চান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কিছু বলবেন কিনা। সাধারণ ভাবে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেও কুন্তলকে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ভূমিকায় দেখা গেল। কোনও কথা না বলে আদালত ভবনের ভিতরে ঢুকে গেলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর চলতি মাসেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এরপর শুক্রবার মামলা থেকেই সরানো হল তাঁকে। চিঠিতে কুন্তল অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁকে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছেন।

আদালতকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি, অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনায় হেস্টিংস থানায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান কুন্তল। অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, কুন্তলের চিঠির মামলায় প্রয়োজনে অভিষেককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।

12 months ago
Kunal: 'কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম', সুপ্রিম রায়ের পর মুখ খুললেন জাস্টিস গাঙ্গুলি

শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) এজলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই নির্দেশের পর দুপুর ২টো ২৪ মিনিট নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে বসেন বিচারপতি। প্রথমে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি চান। তারপরেই তোলেন কুণালের (Kunal Ghosh) প্রসঙ্গ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। তিনি যা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তা আমার জানা ছিল না। তাঁর পুরো কথা মিলে গিয়েছে।’

এদিন তিনি আরও বলেন প্রয়োজনে রাত ১২টা অবধি চেম্বারে থাকব। এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এখনও পাইনি, আমার সাক্ষাৎকারের অনুলিপি চেয়ে পাঠিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে না আসা পর্যন্ত এই মামলায় কিছু বলব না।' এ ছাড়া এবিষয়ে নিজের এজলাসে তিনি বলেন, 'কোন মামলা থেকে আমাকে সরানো হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।' একথা বলেই এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারপতি।

অন্যদিকে, বিচারপতির এই মন্তব্যের পর, কুণাল পাল্টা বলেন, ‘গোটা জিনিসটার মধ্যে আমি কোনও জয়-পরাজয় দেখছি না। আদালত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সব বিচারপতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু মামলার বাইরে গিয়ে আমার দলনেতা-নেত্রীকে আক্রমণ করলে দলের মুখপাত্র হিসাবে আমার কর্তব্যটুকু পালন করতে হয়েছিল শুধু।’ এছাড়া এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'জাস্টিস গাঙ্গুলি চেয়ারের অপব্যবহার করছিলেন, চেয়ারকে ব্যবহার করে দলীয় নেতা-নেত্রীদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন।'

12 months ago
Behala:পার্থের বেহালায় জাস্টিস গাঙ্গুলির প্রশংসায় নাগরিকরা, লাগলো হোর্ডিংও

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) সমর্থনে বেহালা ১৪ নম্বরে  বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হল। বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফে এই হোর্ডিং পড়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Education Scam) সারা রাজ্য তোলপাড়। ইতিমধ্যে তিন জন তৃণমূল বিধায়ক এই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। ঘটনাচক্রে বেহালা পশ্চিম আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিধানসভা। যদিও গত বছর ২৩ জুলাই থেকে তৃণমূল বিধায়ককে এলাকায় দেখেননি ভোটাররা। কারণ গ্রেফতার হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।

এদিকে, প্রায় গোটা শিক্ষা দফতর জেলে। সেই সময় দাঁড়িয়ে বেহালা ১৪ নম্বরে হঠাৎই দেখা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সমর্থনে পোস্টার। বেহালা ১৪ নম্বরের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকে দুটি বড় হোর্ডিং বসেছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে। যারা এই পোস্টার লাগিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই আজকের নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত চোররা ধরা পড়ছে। সারা বেহালাবাসী বিচারপতির সঙ্গে রয়েছে, এমনটাই বেহালা নাগরিকবৃন্দের বক্তব্য।

এই প্রচার কর্মসূচির নেপথ্যে থাকা এক উদ্যোক্তা জানান, 'শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উনি লড়াই লড়ছেন, একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের ধরছেন আর জেলে পুড়ছেন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উনি এখন বাংলার গর্ব, বাংলার মানুষের কাছে ভগবান হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আগামি প্রজন্ম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্ব করবে।'

one year ago


Justice: 'এত দুর্বৃত্ত পাশে থাকলে দিদি কী করে সামলাবেন', মানিক প্রসঙ্গে মন্তব্য জাস্টিস গাঙ্গুলির

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Corruption Case) ফের বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC MLA) বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, 'লজ্জার এটাই যে এখনও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেনি। তিনি ভাবছেন আবার ফিরে আসবেন। এত দুর্বৃত্ত পাশে থাকলে দিদি কী করে সামলাবেন, সম্ভব নয়। এটা এখন সবাই জানে। রাজ্যটা কি নষ্ট হয়ে যাবে, এটা কি হয়?'

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির দুটি বৈধ পাসপোর্ট। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন রাজ্যের আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য। পাশাপাশি প্রাথমিকের তদন্তে গত ২ সপ্তাহে তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানাল সিবিআই। মানিক ভট্টাচার্যর জোড়া পাসপোর্ট প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'আমি তো আগেই বলেছিলাম। কিন্তু কী ভাবে সম্ভব? আদালত না আপনারা তদন্ত করছেন?'

তাঁর দাবি, 'মানিক ভট্টাচার্যের লন্ডনেও বাড়ি রয়েছে। কার বাড়ির পাশে ওই বাড়ি সেই নামও বলে দিতে পারি।'

one year ago
CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে থাকা সিবিআই সিট সদস্যকে সরালো হাইকোর্ট, ক্ষুব্ধ জাস্টিস গাঙ্গুলি

সিবিআই তদন্তে কি ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থার এক তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একইভাবে অন্য একটি মামলা চলাকালীন ফের সিবিআই তদন্তে অসন্তোষের কথা শোনা গেলো বিচারপতির গলায়। সেই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চলা শুনানিতে উঠে এসেছে মানিক ভট্টাচর্য্য প্রসঙ্গ। মাদ্রাসা সংক্রান্ত এক মামলায় আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, 'এই ঘটনায় সিবিআই হল উপযুক্ত সংস্থা, যাকে তদন্তভার দেওয়া যায়।'

এই বক্তব্য শুনেই বিচারপতি বলে ওঠেন, 'সিবিআই কেন? ডিআইজি সিআইডি নয় কেন?

সিবিআইয়ের পর্যাপ্ত আধিকারিক নেই। তাই আমি ভাবছি বিভিন্ন মামলায় এবার থেকে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেবো। বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে তদন্তের ভার দেবো।'

এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন তদন্তকারী অফিসারের নাম দেওয়ার জন্য সময় চাইলেন সিবিআই আইনজীবী। সেই আবেদন মঙ্গলবার শুনানিতে মঞ্জুর করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বরখাস্ত সিবিআই আধিকারিকের জায়গায় নতুন নাম জানাবে সিবিআই।

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে থাকা সিবিআই সিটের সদস্য এই মামলার কোনও কাজে অংশ নিতে পারবে না। তাঁর কাছে থাকা কাগজ, নথি সিটের প্রধানের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

one year ago