Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

JusticeBasu

Court: 'দুর্নীতির অংশ, আপনাদের বিনিদ্র রজনী কাটাতেই হবে', কাদের উদ্দেশে কোর্টের মন্তব্য

চাকরি বরখাস্তের ক্ষেত্রে আদালতের (High Court) কোন তাড়াহুড়ো নেই। তবে কিছু বিনীদ্র রজনী কাটাতেই হবে আপনাদের। কারণ দুর্নীতিতে আপনাদের নাম জড়িয়েছে, নবম-দশম (Madhyamik Teacher) চাকরি বরখাস্তের মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Basu)। এদিকে, মামলাকারীদের সওয়াল, 'নিশ্চিত একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। তির আমাদের ছোঁড়া হচ্ছে। দুর্নীতির সুযোগ পেয়েছি ধরে নিলেও সামাজিক, মানসিক প্রভাব সরিয়ে ফেলা যায় না। দুর্নীতির নামে আমাদের যে তির ছোঁড়া হচ্ছে তাতে বিদ্ধ আমাদের পরিবারও।'

দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন এমন শিক্ষকের সঙ্গে যারা রয়েছে, তাঁরা এই সুবিধা না নিলেও তারাও এর মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে সময় লাগবে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে। কিন্তু তার মধ্যে আমার সন্তান স্কুলে যেতে পারবে না। দুর্নীতি দূর করতে আরেকটা অপরাধকে কোথাও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নও করেন মামলাকারীরা।

পাল্টা কোর্টের মন্তব্য, 'আমরা সেই সমাজে বসবাস করি না, যেখান থেকে এর মুক্তি মিলতে পারে। সিমপ্যাথী চাইবেন না। এখন রায় ঘোষণার দিকে সবাই তাকিয়ে। দেখা যাক তারপর কী হয়।' নবম-দশম মামলায় চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের একাংশ নতুন মামলা করেন। সেই মামলায় এই মন্তব্য বিশ্বজিৎ বসুর।

one year ago
SSC: 'দোষী প্রমাণ হলে টাকা ফেরত এবং জেল', হাইকোর্টের বার্তা অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের

OMR Sheet বিকৃতির ফলে প্যানেলভুক্ত ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছেন না? তদন্তে গতি আনুন। বুধবার এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment) দুর্নীতি মামলায় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। তাঁর মন্তব্য,'স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র উচিৎ নিজে থেকে পদক্ষেপ করা।' এদিন এজলাসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্কুল সার্ভিস কমিশন আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী এসএসসি-র উদ্দেশে বলেন, 'সিবিআই হাতে হাড়িভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে এটা হয় না।' পাল্টা এসএসসি আইনজীবীর সওয়াল, 'সেই রসগোল্লার হাড়ি আরশোলায় ভর্তি।'

এই বিতণ্ডার মধ্যেই বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'আমাদের চিন্তা শুধু শিশুদের নিয়ে আর যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রতীক্ষায় বসে রয়েছে তাঁদের নিয়ে। ইতিমধ্যে ছয় বছর হয়ে গিয়েছে।' স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ শুরু করুক। অযোগ্যদের সরিয়ে দেওয়া হোক, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের নিযুক্ত করা হোক। তালিকা তৈরি হলেই আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সব কাজ একদিনের মধ্যেই করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কত তাড়াতাড়ি শূন্যপদগুলি পূরণ করা যায়। কারণ ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, স্ক্রুটিনি শুরু করুন। যারা অপেক্ষায়, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত রাখুন। ভুয়ো চাকুরিজীবীদের বরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নতুনদের নিয়োগ করুন।

গ্রুপ ডি মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এহেন মন্তব্য করেছেন বুধবার। তাঁর প্রশ্ন, 'যারা OMR Sheet বিকৃত করেছেন এবং যারা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দুজনেই কি সমানভাবে দায়ী নয়?' এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, 'যারা তদন্তে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের সঙ্গে কী করতে হয় আমরা জানি।'

সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। এঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবে। এই মন্তব্যও এদিন করেন বিচারপতি বসু।

এদিকে এই OMR শিট বিকৃতি প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'যাদের OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬৯৮ জনকে সুপারিশ পত্র দিয়েছিল এসএসসি। ১৬৯৪ জন নিয়োগপত্র পেয়েছে।' এই তথ্য শুনেই বিচারপতি জানান, 'এই ১৬৯৮ জনকে নোটিশ জারি করা দরকার। এঁদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে। যারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি, তাঁরাও এই দুর্নীতিতে সমানভাবে দায়ী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিযুক্ত সবাইকে চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছিলেন।' জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি।

one year ago
Court: 'সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা দিন', নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের

নবম দশমে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআইয়ের উপর তীব্র অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। এবার এই তদন্তকারী সংস্থার (CBI) কাজের ধরনে বিরক্ত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। মঙ্গলবার সকালে একটি রিপোর্ট, সিল বন্ধ খামে জমা দেয় সিবিআই। সেটার সঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর রিপোর্টের কোন মিল নেই। বিরক্ত হাইকোর্টের (Calcutta high Court) বিচারপতি বলেন, "দেশের একটা প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এমন ভুল কাম্য নয়। সিবিআইয়ের ফাইল করা রিপোর্টে যা আছে তার চাইতে আইনজীবীর ফাইলে আরও বেশি তথ্য আছে। এটা কীভাবে হয়? এটা কি আপনার রেপুটেশনের সঙ্গে মিল খায়? আপনার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। সব পেপার তিনবার চেক করে পাঠানো উচিৎ। এত দেরি হচ্ছে কেন। সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।'

একইভাবে এদিন শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় সরব বিচারপতি বসু। "সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনাকে কেউ ঠকিয়ে চলে গেল। চুপ করে বসে থাকবেন? এত ভয় কেন? যা হয়েছে মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? আপনার চেয়ারম্যানকে বলুন। এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করুন।'  বৃহস্পতিবার সিবিআইকে ফের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সিবিআই গোপন রিপোর্ট দিতে গিয়ে ভুল রিপোর্ট দিয়ছে। যা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছে কোর্ট। সিবিআইকে বিচারপতির কটাক্ষ, 'কেন তদন্তে এত দেরি করছে সিবিআই। জানি না সিবিআই কেন এতো ধীর গতিতে চলছে!'

one year ago


CBI: কাকে ঘুষ দিয়ে চাকরি, বেআইনি নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের থেকে সিবিআই জানুক: কোর্ট

বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জেরা করুক সিবিআই (CBI Investigation)। কাকে টাকা দিয়ে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন, জানুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিত বসুর (Justice Basu)। তিনি বলেন, 'এটা ইয়ার্কি হচ্ছে! পড়ুয়াদের কথা না ভেবে এভাবে চাকরি পাচ্ছে, আবার এসব কথা বলছে। টাকা কাদের দিয়ে চাকরি পেয়েছে, এটা জানতেই হবে সিবিআইকে।'

এদিকে এসএসসিকে হাইকোর্টের প্রশ্ন, 'যদি এই কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি। কারণ কর্মী না থাকলে স্কুল চালানো সমস্যা হবে।  কেন এসএসসি এদের সরাতে নিজে পদক্ষেপ করছে না?'

এমনকি ৪৪৮৭ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ও ওয়েটিং লিষ্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। ওই ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। যেগুলি সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছে, সেই ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও ওমআর শিটগুলো আপলোডের নির্দেশ দিলেও সেটা এখনও কার্যকর করেনি এসএসসি। সেই নিয়ে এবার দ্বিতীয় নির্দেশ।

one year ago
Justice: 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাস্টিস গাঙ্গুলির সঙ্গে আমিও লড়াইয়ে', বিস্ফোরক জাস্টিস বসু

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) পর এবার দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Basu)। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বাকিটা জলের নিচে আছে। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোন পেশায় নেই!' তিনি জানান, ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙ্গুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এঁরা কেমন শিক্ষক? আমি জানিনা এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা নিয়োগ প্যানেল খারিজ করা উচিৎ। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে।'

সদর্পে তাঁর ঘোষণা, 'বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে সামিল হচ্ছি।' গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির এক মামলায় এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় ১৮-ই নভেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে পরবর্তী রিপোর্ট দিতে হবে। সেদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে বুধবার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি ভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা ইস্তফা দিন। নয়তো কোর্ট এমন ব্যবস্থা নেবে, যাতে তাঁরা আগামি দিনে কোনও সরকারি চাকরি না পায়। এভাবেই সমঝে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

2 years ago