Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

JusticeAbhijitGanguly

Justice Ganguly: 'আমার কথায়-কাজে একশ্রেণী বিপদে পড়ছে', অভিষেকের মামলা প্রসঙ্গে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রকাশ্যে বিরূপ মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকার দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন অভিষেক। এরপরই মুখ খুললেন বিচারপতি। বুধবার কারোর নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, 'আমার কথায়-কাজে একশ্রেণী বিপদে পড়ছে।' নাম না করে ফের কাদের খোঁচা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, উঠছে প্রশ্ন। শহরের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দুর্নীতি ইস্যুতেও সরব হয়েছিলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

উপযুক্ত সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি, কাকে ইঙ্গিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, উঠছে প্রশ্ন। তিনি বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে উপযুক্ত কারণ থাকলে নিশ্চয় পদক্ষেপ করবে আদালত।' তাঁর দাবি, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু বিচারপতিদের গায়ে সাংবিধানিক কবচ থাকে, তাই সেই ধরনের মামলা হতে পারে না। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্নেও বুধবার সরব ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগে এত চুরি-জোচ্চুরি দেখেছেন, প্রশ্নের সুরে খোঁচা হাইকোর্টের বিচারপতির।

শাহজাহান-কাণ্ডেও বুধবার মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সন্দেশখালি-কাণ্ডে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। বিচারপতির বিস্ফোরক মন্তব্য, ভালো কাজ যাঁরা করতে চেয়েছেন, তাঁদের টেনে নামানোর চেষ্টা হয়েছে। বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগরকে শারীরিক নিগ্রহও করা হয়েছিল, দাবি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

4 months ago
Justice Ganguly: 'এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে, হিসাব দিতে পারবেন?', অভিষেককে চ্যালেঞ্জ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি প্রসঙ্গে এবারে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়েচ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এদিন কুণালের সেই চিঠি প্রসঙ্গে কুণালকে নিজের এজলাস থেকে পাল্টা জবাব দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, এসব করে তো আর চুরি আটকানো যাবে না। আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে অভিষেকের সম্পত্তির প্রসঙ্গও। সম্পত্তির হিসেব নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'একের পর এক কোটি কোটি টাকা খরচ করে মামলা হয়, এই মামলার খরচ কে বহন করে তা জানাতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? যদি হলফনামা দিয়ে জানান তাহলে বাকি নেতা মিনাক্ষীর মতো তাদের বলব আপনারাও সম্পত্তির কথা জানান। উনি কি পারবেন? মনে হয় না পারবেন? রাজ্য দুর্নীতি ঢাকতে কত টাকা খরচ করছে। এরপর অফিসিয়ালি জানতে চাইব। বিভিন্ন স্তরের লোকেরা জেলে তাই আমার উপর রাগ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর কন্ঠস্বরের পরীক্ষা কেন? তিনি তো আসামী নন। একটা হাসপাতাল ব্যবহার করল। কী চলছে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। দেখি কদিন হয়। দুর্নীতি করে টাকা রাখতে চাই এরপর এই ধরণের মামলা করবে।'

বিচারপতি আরও বলেন, 'সুদীপ রাহাকে আমি চিনি না সুতরাং তার বক্তব্যের কোনও মতামত আমি দেব না। সুদীপ রাহার নাম শুনিনি। আমায় সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। অনেক কাজ করতে পারে। আমার মনে হয় একদল চোর এবার হয়ত সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে আমাদের সম্পত্তি চুরি করে করা। বন্ধ হলে অসুবিধা হবে তাই অবাধে চুরি করার অনুমতি চেয়ে মামলা করবে। যার যেখানে অভিযোগ করার করুক, আমি ন্যায়ের পথেই চলবো।'

4 months ago
Justice Ganguly: 'উনি মানুষটা ভালো', হঠাৎ বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় কুণাল ঘোষের প্রশংসা

রাজ্য ঘটা একাধিক ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এবারে তাঁরই মুখে শোনা গেল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশংসা। বিচারপতিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'কুণাল ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। উনি মানুষটা ভাল।' 

সোমবার বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি চলছে। আর সেসময়ই এজলাসে বসেই শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশংসা করলেন বিচারপতি। কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করলেন। কুণাল ঘোষ সম্পর্কে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'কুণাল ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। উনি মানুষটা ভাল। অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। উনি একদিন আমার চেম্বারে এসেছিলেন। কথা বলে ভাল লেগেছে। ওনার সঙ্গে আমার এখন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ওনার উপন্যাসের কয়েকটা বই দিয়েছেন। আমি পড়ছি, ভালোই লিখেছেন।

কুণাল ঘোষ যে তাঁকে নিশানা করে কটূক্তিও করেছেন, সে কথাও বলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, 'উনি আমায় গালাগালি করেন। তাতে অসুবিধা নেই। উনি ওনার জায়গা থেকে ওনার কথা বলেন। কালকেও বলেছেন, আমায় টুল নিয়ে বাইরে বসতে। ওতে আমি কিছুই মনে করি না। আমার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।' তিনি আরও বলেন, 'কল্যাণ ব্যানার্জিও আমায় পদত্যাগ করতে বলেছেন। ভেবেছিলাম আজ হয়তো সকালে এসে বলবেন তুমি পদত্যাগ কর। তবে উনি আমায় খুব ভালবাসেন আমিও ওনাকে খুব শ্রদ্ধা করি। আমিও কি সব সময় নিয়ন্ত্রণ রেখা মেনে চলি।'

4 months ago


Justice Abhijit Ganguly: ১০ দিনের মধ্যেই প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে। বুধবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই শুনানি শেষে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মামলার বুধবার শুনানি ছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। সেখানে আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। যদি প্যানেল আগেই প্রকাশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্যানেলের হার্ড কপি ও সফ্ট কপি উভয়ই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৫ জানুয়ারি। ওই দিনই পর্ষদকে আদালতে প্যানেলের হার্ড কপি জমা দিতে হবে।

২০১৪ র টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় তার মাধ্যমে প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়। মামলায় অভিযোগ ওঠে যে সংরক্ষণ নীতি না মেনেই নিয়োগ হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতেই অভিযোগ ওঠে যে অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই ইচ্ছামত নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ নিয়ম মেনে হয়নি। কারও ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি না মেনে নিয়োগ হয়েছে। এই মামলাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্টারভিউয়ার অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর ৩৬ হাজার চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেন তিনি।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার মাধ্যমে  ২০১৬ এবং ২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী গত ১২ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। জানানো হয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। তবে সে যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি সিনহা। দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল প্রকাশের কথা বলেন। পর্ষদের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরপর বুধবার ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নির্দেশ দেয়, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

4 months ago
Justice Ganguly: 'আমরা ভগবানের দর্শনে এসেছি', বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা!

নিয়োগের দাবিতে এতদিন চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বুধবার দেখা গেল এক অন্য দৃশ্য। এবারে ২০১৬-এর এসএলএসটি শারীর শিক্ষা কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীরা পৌঁছে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বাড়িতে। হাতে পোস্টার নিয়ে বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা। পোস্টারে লেখা, 'আমরা ভগবানের দর্শনে এসেছি। ভগবান আমাদের উদ্ধার করুন।' তাঁদের দেখে বিচারপতিও অবশেষে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন ও পরামর্শ দিলেন।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে সুপারিশপত্র পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সুপার নিউমেরারি পোস্ট ঘিরে আইনি জটিলতা থাকায় চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকার তাঁদের নিয়োগ আটকে রেখেছে। সেই কারণেই এদিন বিচারপতির দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিচারপতিও তাঁদের দেখতে নীচে নেমে আসেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ও পরামর্শও দেন। বিচারপতি তাঁদের রাস্তায় বিক্ষোভ না দেখিয়ে আদালতে আসার পরামর্শ দেন।

চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, সোমা দাস চাকরি পেয়েছেন। আর তা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সুপারিশেই। তাদের চাকরিটাও যাতে হয় সে বিষয়ে বিচারপতিকে আবেদন জানান। আর তা শুনেই চাকরিপ্রার্থীদের স্পষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সোমা দাসের চাকরির ব্যবস্থা করেননি। সুপারিশ করেছিলেন। অন্যদিকে ১০০০ দিন ধরে চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, 'আমিও সমব্যথিত। চাই সবাই চাকরি পান। কিন্তু বসে থেকে কোনও লাভ হবে না। যোগ্য হলে কেন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না?'

5 months ago


Justice: 'আমার বাড়িও যদি বেআইনি নির্মাণ হয় ভেঙে ফেলুন,' বিস্ফোরক মন্তব্য জাস্টিস গাঙ্গুলির

'যেখান থেকে পারুন হাজির করুন, নেতাজি ইন্দোরে খুজুন আজ, পাবেন তাঁকে।' হাওড়ার এক বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রোমোটারকে হাজিরার নির্দেশ দেয় জাস্টিস গাঙ্গুলি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গাঙ্গুলি পুলিশকে নির্দেশ দেয় পুলিশ যেন অভিযুক্ত ওই প্রোমোটার পার্থ ঘোষকে বেলা ৩ টের মধ্যে আদালতে এনে হাজির করে। এরপরেই তিনি আরও বলেন, 'একটাও বেআইনি নির্মাণ কোথাও থাকবে না। হাওড়ায় আমার নিজের বাড়ি আছে সেটাও যদি বেআইনি হয় তাহলে সেটাও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে হবে।'

সম্প্রতি, হাওড়ার লিলুয়ায় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেবার নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। অভিযোগ নির্দেশ কার্যকর করেনি বালি পৌরসভা, সেকারণেই ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন করে মামলাকারী সন্ধ্যা ঘোষ। সেই মামলার শুনানিতেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাড়ে তিনটের সময় ওই প্রোমোটারকে হাজিরার নির্দেশ দেন জাস্টিস গাঙ্গুলি।

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এবার বেআইনি নির্মাণে মামলায় সরব তিনি ।বৃহস্পতিবার একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন যে, অভিযুক্ত প্রোমোটারকে যেন নেতাজি ইনডোরে গিয়ে খোঁজে পুলিশ। বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত আজ নেতাজি ইনডোরে তৃণমূলের মেগা সভা রয়েছে, তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে। সেখানে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে খুঁজতে বলায় আপাতত তৃণমূলকেই ইশারা করছেন জাস্টিস গাঙ্গুলি এমনটাই ধারণা অভিজ্ঞ মহলের। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমলের পাশাপাশি পুলিশকে টার্গেট করে বলেন, 'পুলিশ প্রোমোটারের দালালের কাজ করছে।'

6 months ago
Justice: 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাস্টিস গাঙ্গুলির সঙ্গে আমিও লড়াইয়ে', বিস্ফোরক জাস্টিস বসু

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) পর এবার দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Basu)। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বাকিটা জলের নিচে আছে। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোন পেশায় নেই!' তিনি জানান, ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙ্গুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এঁরা কেমন শিক্ষক? আমি জানিনা এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা নিয়োগ প্যানেল খারিজ করা উচিৎ। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে।'

সদর্পে তাঁর ঘোষণা, 'বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে সামিল হচ্ছি।' গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির এক মামলায় এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় ১৮-ই নভেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে পরবর্তী রিপোর্ট দিতে হবে। সেদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে বুধবার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি ভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা ইস্তফা দিন। নয়তো কোর্ট এমন ব্যবস্থা নেবে, যাতে তাঁরা আগামি দিনে কোনও সরকারি চাকরি না পায়। এভাবেই সমঝে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

2 years ago
Court: 'বিচারপতি-আইনজীবী সম্পর্ক ছিন্ন', মন্তব্য অরুণাভর, জাস্টিস গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ফের আক্রমণের মুখে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি এজলাসে দেরিতে বসেন। এই অভিযোগ পত্র বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির (chief justices ) কাছে। এই চিঠি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে জানান যারা এই চিঠি লিখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার (contempt of court)মামলা করা হবে। তার আগে তাদের হলফনামা (affidavit) দিয়ে আদালত জানতে চাইবে এই চিঠি তে সই করার কারণ।

বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বার্তা পেয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ (Arunavo Ghosh)। অরুণাভ ঘোষের দাবি, যত দিন যাচ্ছে বিচারপতি-আইনজীবীদের সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। এর প্রত্যুত্তরে প্রধান আইনজীবী জানান আদালতের গরিমা রক্ষার দায়িত্ব বিচারপতি এবং আইনজীবী উভয়েরই। পাশাপাশি আইনজীবীদের দাবি, কোর্টে সংবাদমাধ্যমের (media) অবাধ বিচরণ বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ করছে। কোর্টরুমের প্রসিডিং ভিডিওগ্রাফি করছে সংবাদ মাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার আবেদনও জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁদের এই আবেদন ও ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

সম্প্রতি ভরা এজলাসে একেরপর এক উত্তপ্ত কথোপকথনে জড়িয়ে পড়েন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। সুকন্যা মণ্ডল শুনানিতেও উত্তেজক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। এই বাগযু্দ্ধের জেরে আইনজীবীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত চত্ত্বরে ব্যানারও পড়েছিল। এবার অভিযোগ স্বয়ং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দ্বিধাবিভক্ত বিচার ব্যবস্থা।

2 years ago