নেশার প্রতিবাদ করায় জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এনআরএস মেডিকেল কলেজের ঘটনা। এ ঘটনায় এখনও অবধি ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এন্টালি থানার আধিকারিকরা। এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, নেশার প্রতিবাদ করায় জনা দুয়েক জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এনআরএসে নতুন নির্মীয়মান বিল্ডিং-এর শ্রমিকরা। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন এন্টালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এনআরএস হাসপাতালের নতুন নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ে কিছু শ্রমিক অশালীন কাজ করছিল ও নেশা করছিল। তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ জানায় কিছু জুনিয়র চিকিৎসকরা। তখন ওই শ্রমিকরা তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপর জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তাররা এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। চিকিৎসকদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
কালীপুজোর রাতে খোদ হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। অভিযোগ একদল জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালের।
অভিযোগ, রাত ১০টার কিছু পরে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাল্টা দাবি, হাসপাতালে বাজি নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। এমনকী, তাঁরা শব্দ বাজি নয়, ফাটিয়েছেন সবুজ বাজি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাসপাতালের লেডি ডক্টর্স হস্টেলের সামনে শব্দবাজি ফাটাতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। পরে জানা যায়, তাঁরা এই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে বাজির প্যাকেটও। যদিও এইগুলিকে সবুজ বাজি বলেই পাল্টা দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনার পর তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে বাজি ফাটানো যে নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। হাসপাতালের মধ্যে কারা বাজি ফাটিয়েছেন, সেই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএসের সুপার ইন্দিরা দের বক্তব্য, এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানাবেন।
এবার এক কর্তব্যরত নার্সকে (nurse) হেনস্থা করার অভিযোগে উত্তাল নদিয়া (Nadia)। জানা যায়, কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (hospital) প্রসূতি বিভাগে লেবার রুমে কর্তব্যরত ছিলেন ওই নার্স। অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালেরই এক জুনিয়র চিকিৎসকের (doctor) বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ঘটনার পর বিক্ষোভে সরব জুনিয়ার চিকিৎসকেরাও। অন্যদিকে এই অভিযোগের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরাও একত্রিত হন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের মূল ভবনের সামনে। অভিযুক্ত সলমন হালদারও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগকারী নার্সের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মঙ্গলবার এই অভিযোগে হাসপাতালে সকল নার্সরা একত্রিত হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাতদিনের সময় চেয়েছিল। তবে সমস্ত নার্সরা একত্রিত হয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, এই অভিযোগের সঠিক বিচার না হলে তাঁরা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করবেন। একই সঙ্গে কর্মবিরতিতেও যাবেন। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসক সলমন হালদার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। পাশাপাশি এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।